মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
৩. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হাদীস নং: ৭৬
গোসলখানা সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্থান
৭৬। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ গোসলখানা সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্থান। যেখানে পর্দাহীনতা রয়েছে এবং যেখানকার পানি অপবিত্র।
عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بِئْسَ الْبَيْتُ الْحَمَّامُ، هُوَ بَيْتٌ لَا يَسْتُرُ، وَمَاءٌ لَا يُطَهِّرُ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
গোসলখানার অনিষ্টতা সম্পর্কে অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে। বায়হাকী হযরত আয়েশা (রা) থেকে এবং ইবনে আদী হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে রিওয়ায়েত করেন যে, গোসলখানা সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্থান। এতে আওয়ায উঠে, গুপ্তস্থান উন্মুক্ত হয়ে যায়। পূর্বে আরবদেশে ক্ষুদ্র পরিসরের গোসলখানার প্রচলন ছিল। লোকজন উলঙ্গ হয়ে এর থেকে পানি নিয়ে গোসল করত। যদি গোসলখানায় পবিত্র পানির ব্যবস্থা করা যায় এবং গুপ্তস্থান খুলে না যাওয়া অর্থাৎ পর্দার ব্যবস্থা থাকে, তাহলে গোসলখানা ব্যবহার করা নিষিদ্ধ নয়।
সুতরাং আল্লামা তিবরানী কবীরে, হাকেম মুসতাদরাকে এবং বায়হাকী শুআবুল ঈমানে এ বিষয়ে বর্ণনা করেছেন যে, হাম্মাম নামক গোসলখানার অনিষ্টতা থেকে দূরে থাক। গুপ্তস্থান ঢেকে এতে প্রবেশ কর। তিবরানীর রিওয়ায়েতে বলা হয়েছে যে, এতে গুপ্তস্থান অনাবৃত হয়ে যায়। বায়হাকীতে বলা হয়েছে যে, রুমাল নিয়ে গোসলখানায় প্রবেশ করবে, রুমাল ছাড়া প্রবেশ করবে না। মোটকথা, এ সমস্ত সাবধানতা অবলম্বন করে যদি কেউ গোসলখানা ব্যবহার করে, তাহলে কোন অসুবিধা নেই।
সুতরাং আল্লামা তিবরানী কবীরে, হাকেম মুসতাদরাকে এবং বায়হাকী শুআবুল ঈমানে এ বিষয়ে বর্ণনা করেছেন যে, হাম্মাম নামক গোসলখানার অনিষ্টতা থেকে দূরে থাক। গুপ্তস্থান ঢেকে এতে প্রবেশ কর। তিবরানীর রিওয়ায়েতে বলা হয়েছে যে, এতে গুপ্তস্থান অনাবৃত হয়ে যায়। বায়হাকীতে বলা হয়েছে যে, রুমাল নিয়ে গোসলখানায় প্রবেশ করবে, রুমাল ছাড়া প্রবেশ করবে না। মোটকথা, এ সমস্ত সাবধানতা অবলম্বন করে যদি কেউ গোসলখানা ব্যবহার করে, তাহলে কোন অসুবিধা নেই।
