মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
৩. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হাদীস নং: ৬৯
অপবিত্র অবস্থায় দ্বিতীয়বার সহবাস করা
৬৯। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) রাতের প্রথমভাগে স্বীয় স্ত্রীদের সাথে সহবাস করতেন, কিন্তু পানি স্পর্শ করতেন না। অতঃপর শেষ রাতে যখন জাগ্রত হতেন, পুনরায় সহবাস করতেন এবং গোসল করতেন।
عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «يُصِيبُ مِنْ أَهْلِهِ مِنْ أَوَّلِ اللَّيْلِ، فَيَنَامُ، وَلَا يُصِيبُ مَاءً، فَإِذَا اسْتَيْقَظَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ عَادَ وَاغْتَسَلَ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ বর্ণনায় হযরত আয়েশা (রা) থেকে অন্য একটি সহীহ মরফূ' হাদীসও বর্ণিত রয়েছে। এতে আছে যে, হুযুর (সা) আরাম করার পূর্বে উযূ করতেন। এ হাদীসে বলা হয়েছে যে, পানি স্পর্শ না করে তিনি আরাম করতেন। কেউ আবূ ইসহাকের দিকে বর্ণনার মধ্যে ভুলের আশংকা করেছেন। কিন্তু এটা ঠিক নয়। কেননা তিনি নির্ভরযোগ্য (সিকাহ) ও সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত। তাকরীর নামক গ্রন্থেও এর ব্যাখ্যা রয়েছে।
এছাড়া এই বর্ণনায় তিনি একা নন, হায়সাম, আবদুল মালিক (র) হযরত আতা (রা) থেকে, তিনি হযরত আয়েশা (রা) থেকে এ রিওয়ায়াত করেছেন। নিকাব ইবনে ইয়ামা ও ইবনে হিব্বান স্বীয় সহীহ গ্রন্থে ইবনে উমর (রা) থেকে এ হাদীস মরফূভাবে বর্ণনা করেছেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, আমরা কি অপবিত্র অবস্থায় যতে পারি। তিনি বলেন, হ্যাঁ, তবে যদি চাও তাহলে উযূ করতে পার। এখানে ইচ্ছার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যদি আবূ ইসহাক একাও হন, তবুও যেহেতু তিনি নির্ভরযোগ্য, তাই তাঁর বর্ণনা গ্রহণযোগ্য।
সুতরাং উভয় রিওয়ায়াতের মধ্যে সমন্বয় করা প্রয়োজন। সমন্বয়ের জন্য এভাবে বলা যায় যে, হযরত (সা) গোসলের জন্য পানি স্পর্শ করতেন না। এতে উযু করাকে অস্বীকার করা হয়নি। বায়হাকী এই সময় গ্রহণ করেছেন। অথবা এটাও বলা যায় যে, এই দু'টি ঘটনা ভিন্ন ভিন্ন সময়ের হতে পারে। অধিকাংশ সময় উযু করতেন, আবার কখনো কখনো করতেন না। এটা শুধু জায়েয প্রতিষ্ঠিত করার জন্য, যাতে হুযুর (সা)-এর অব্যাহত আমলের কারণে তা ওয়াজিব হওয়ার ধারণা সৃষ্টি না হয়। এ সমন্বয় ইমাম নববী (র) বর্ণনা করেছেন।
এছাড়া এই বর্ণনায় তিনি একা নন, হায়সাম, আবদুল মালিক (র) হযরত আতা (রা) থেকে, তিনি হযরত আয়েশা (রা) থেকে এ রিওয়ায়াত করেছেন। নিকাব ইবনে ইয়ামা ও ইবনে হিব্বান স্বীয় সহীহ গ্রন্থে ইবনে উমর (রা) থেকে এ হাদীস মরফূভাবে বর্ণনা করেছেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, আমরা কি অপবিত্র অবস্থায় যতে পারি। তিনি বলেন, হ্যাঁ, তবে যদি চাও তাহলে উযূ করতে পার। এখানে ইচ্ছার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যদি আবূ ইসহাক একাও হন, তবুও যেহেতু তিনি নির্ভরযোগ্য, তাই তাঁর বর্ণনা গ্রহণযোগ্য।
সুতরাং উভয় রিওয়ায়াতের মধ্যে সমন্বয় করা প্রয়োজন। সমন্বয়ের জন্য এভাবে বলা যায় যে, হযরত (সা) গোসলের জন্য পানি স্পর্শ করতেন না। এতে উযু করাকে অস্বীকার করা হয়নি। বায়হাকী এই সময় গ্রহণ করেছেন। অথবা এটাও বলা যায় যে, এই দু'টি ঘটনা ভিন্ন ভিন্ন সময়ের হতে পারে। অধিকাংশ সময় উযু করতেন, আবার কখনো কখনো করতেন না। এটা শুধু জায়েয প্রতিষ্ঠিত করার জন্য, যাতে হুযুর (সা)-এর অব্যাহত আমলের কারণে তা ওয়াজিব হওয়ার ধারণা সৃষ্টি না হয়। এ সমন্বয় ইমাম নববী (র) বর্ণনা করেছেন।
