মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
৩. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হাদীস নং: ৬৫
মাসেহ করার সময় নির্ধারিত করা
৬৫। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, আমি নবী করীম (ﷺ)-কে সফরে মোযার উপর মাসেহ করতে দেখেছি। কিন্তু তিনি এর সময় সীমা নির্ধারণ করেননি।
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ: رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «يَمْسَحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ فِي السَّفَرِ، وَلَمْ يُوَقِّتْهُ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর (রা) হাদীসে বর্ণিত لم يوقته শব্দের অর্থ এই বর্ণনা করেছেন যে, আমার জানামতে হুযূর (সা) মোযার উপর মাসেহ করার সময় সীমা নির্ধারণ করেননি। কিন্তু তিনি এটা বলেননি যে, এর কোন সময় সীমা নির্ধারিত নেই। কেননা সহীহ রিওয়ায়েতের মাধ্যমে মুসাফির ও মুকীমের জন্য মাসেহ করার সময় সীমা প্রমাণিত রয়েছে। সম্ভবত হযরত ইবনে উমর (রা)-এর এ ঘটনা হযরত সাআদ (রা)-এর প্রথমে মাসেহ সম্পর্কে মাসয়ালা অবগত না হওয়ার কারণেই সৃষ্টি হয়েছে।
সম্ভবত এ রিওয়ায়েতের আলোকেই হযরত ইমাম মালিক (র) শুধু মুসাফিরের জন্য মাসেহ জায়েয বলেছেন। কিন্তু কোন সময় সীমা নির্ধারিত করেননি। মোল্লা আলী ক্বারী (র) বলেছেন, সময় নির্ধারণ না করার কারণে এ হাদীস দলীল হতে পারে না। সহীহ মুসলিম শরীফে হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন, হুযূর (সা) মুসাফিরের জন্য তিনদিন তিনরাত এবং মুকীমের জন্য একদিন একরাত নির্ধারণ করেছেন। তবে সময় নির্ধারণ না করা সম্পর্কে আবূ দাউদ ও ইবনে মাজাহ শরীফে রিওয়ায়েত বর্ণিত আছে। তবে এগুলো দুর্বল রিওয়ায়েত বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
সম্ভবত এ রিওয়ায়েতের আলোকেই হযরত ইমাম মালিক (র) শুধু মুসাফিরের জন্য মাসেহ জায়েয বলেছেন। কিন্তু কোন সময় সীমা নির্ধারিত করেননি। মোল্লা আলী ক্বারী (র) বলেছেন, সময় নির্ধারণ না করার কারণে এ হাদীস দলীল হতে পারে না। সহীহ মুসলিম শরীফে হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন, হুযূর (সা) মুসাফিরের জন্য তিনদিন তিনরাত এবং মুকীমের জন্য একদিন একরাত নির্ধারণ করেছেন। তবে সময় নির্ধারণ না করা সম্পর্কে আবূ দাউদ ও ইবনে মাজাহ শরীফে রিওয়ায়েত বর্ণিত আছে। তবে এগুলো দুর্বল রিওয়ায়েত বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
