মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
৩. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৪
উযূর উদ্বৃত্ত পানি লজ্জাস্থানে ছিটিয়ে দেওয়া
৫৪। হযরত হাকাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, একবার নবী করীম (ﷺ) উযূ করেন। এবং এক অঞ্জলি পানি নিয়ে স্বীয় লজ্জাস্থানে ছিটিয়ে দেন।
عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ ثَقِيفٍ يُقَالُ: الْحَكَمُ أَوِ ابْنُ الْحَكَمِ، عَنْ أَبِيهِ، «تَوَضَّأَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَخَذَ حِفْنَةً مِنْ مَاءٍ، فَنَضَحَهُ فِي مَوَاضِعِ طَهُورِهِ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীসের উপর শীআ, রাফিজীসহ আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রসূত অনেকেই সমালোচনা করেছেন। অজ্ঞতার কারণে হুযূর (সা)-এর পবিত্র জীবনের অনেক বিষয় নিয়ে পথভ্রষ্ট ও ইসলাম বিদ্বেষীগণ সমালোচনা করেছে। আমরা হযরত (সা)-এর প্রতি পূর্ণাঙ্গ বিশ্বাস স্থাপন করে বিরোধীদের সমালোচনার জওয়াবে বলতে চাই, হুযূর (সা)-এর এই পবিত্র তালীম এজন্য ছিল যে, মানুষ সাধারণত সন্দেহপ্রবণ। এ সন্দেহের কারণে ইবাদতে ত্রুটি হওয়ার আশংকা থাকে। তাই লজ্জাস্থানে পানি ছিটানোর অর্থ হলো এই যে, কারো প্রস্রাবের দ্বারা অপবিত্র হওয়ার সন্দেহ থাকলে এরদ্বারা তা দূর হয়ে যাবে। যদি হুযূর (সা)-এর প্রতি সত্যিকার মহব্বত থাকে, তাহলে কোন প্রকার বিরোধিতা না করে এ হাদীসের উপর আমল করতে হবে। কারণ এ বিধান হযরত জিবরাঈল (আ) আল্লাহর পক্ষ থেকে হুযূর (সা)-এর নিকট নিয়ে এসেছেন।


বর্ণনাকারী: