মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

৩. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়

হাদীস নং: ৪৩
স্থির ও জমা পানিতে প্রস্রাব করা নিষেধ
৪৩। হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলে করীম (ﷺ) স্থির বা জমা পানির মধ্যে প্রস্রাব করা অতঃপর ঐ পানি দ্বারা গোসল বা উযূ করা থেকে নিষেধ করেছেন।
عَنِ الْهَيْثَمِ الصَّوَّافِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم أَنْ يُبَالَ فِي الْمَاءِ الدَّائِمِ، ثُمَّ يُغْتَسَلَ مِنْهُ أَوْ يُتَوَضَّأَ»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

আল্লামা বায়হাকী অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। যেহেতু হাদীসে জমা বা স্থির পানির মধ্যে প্রস্রাব করা নিষেধ করা হয়েছে, তাই মল ত্যাগ করাও নিষিদ্ধ। হুযুর (সা)-এর উক্ত হাদীসের মূল উদ্দেশ্য হলো এই যে, কোন ময়লা ও অপবিত্র বস্তু যাতে এখানে না ফেলা হয়। কেননা তা হলে ঐ পানি গোসল বা উযূর যোগ্য থাকবে না। এখানে গোসলের দ্বারা অপবিত্রতার গোসলকে বুঝান হয়েছে।

মুসলিম শরীফে বর্ণিত আছে যে, তোমাদের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা অপবিত্র ও পবিত্র উভয়কে অন্তর্ভুক্ত করে। কেননা পানি যখন অপবিত্র হয়ে যায়, তখন উভয়ের জন্য এর ব্যবহার অর্থহীন হবে। অপবিত্র ব্যক্তির জন্য পবিত্র পানি প্রয়োজন। পানি যেহেতু স্বয়ং অপবিত্র, তাই এটা কিভাবে অন্যকে পবিত্র করবে ? পবিত্র ব্যক্তি এরদ্বারা নিজেই অপবিত্র হয়ে যাবে। সুতরাং প্রথম অবস্থায় অপবিত্র বস্তু পবিত্র হতে পারবে না। আর দ্বিতীয় অবস্থায় পবিত্র বস্তুও অপবিত্র বস্তু হয়ে যাবে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান