মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

২. ইলম অধ্যায়

হাদীস নং: ৩২
বিদ্যা অর্জন ফরয হওয়ার বর্ণনা
৩২। হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলে করীম (ﷺ) বলেছেনঃ প্রত্যেক মুসলমানের উপর বিদ্যা অর্জন করা ফরয।
عَنْ نَاصِحٍ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «طَلَبُ الْعِلْمِ فَرِيضَةٌ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

বাক্য ও অর্থের দিক দিয়ে এ হাদীস পূর্বের হাদীসের মত। ইলূমের ফযীলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে। যেমন দায়লামী স্বীয় মুসনাদে হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে, তিনি হুযূর (সা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, ইলম অর্জন করা আল্লাহর নিকট নামায, রোযা, হজ্জ এবং আল্লাহর পথে জিহাদের চেয়ে অধিক ফযীলতপূর্ণ। এমনি হাদীসে আরো বলা হয়েছে, এক ঘন্টা বিদ্যা অর্জন করা রিয়া ব্যতীত সারা রাত ইবাদতের চেয়ে উত্তম। একদিন বিদ্যা অর্জন করা তিন দিন রোযা রাখার চেয়ে উত্তম। ইবনে আদী, বায়হাকী এবং ইবনে আবদুল বার হযরত আনাস (রা) থেকে, তিনি হুযূর (সা) থেকে বর্ণনা করেন যে, বিদ্যা অর্জন কর, যদি সুদূর চীনদেশেও যেতে হয়।* অর্থাৎ যতদূরে হোক না কেন, বিদ্যা অর্জন কর

* এ হাদীসের বিশুদ্ধতার ব্যাপারে মুহাদ্দিসগণের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মুসনাদে আবু হানীফা রহঃ - হাদীস নং ৩২ | মুসলিম বাংলা