মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
২. ইলম অধ্যায়
হাদীস নং: ৩১
বিদ্যা অর্জন ফরয হওয়ার বর্ণনা
৩১। হযরত আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলে করীম (ﷺ) বলেছেনঃ প্রত্যেক মুসলমানের উপর বিদ্যা অর্জন করা ফরয।
عَنْ حَمَّادِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «طَلَبُ الْعِلْمِ فَرِيضَةٌ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
ইলম বা বিদ্যার হাজার হাজার শাখা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে কোন কোন ইলম অর্জন করা ফরয হওয়া না হওয়া অবস্থার প্রেক্ষিতে প্রত্যেক ব্যক্তির উপর আবর্তিত হয়ে থাকে। যেমনঃ আরকানে ইসলামের জ্ঞান ও ফরযসমূহ জানা জ্ঞানসম্পন্ন প্রাপ্তবয়স্ক নর-নারী, আযাদ ও গোলাম প্রত্যেকের উপর ফরয। এ দায়িত্ব থেকে কেউ কখনো পরিত্রাণ পাবে না। লেন-দেন ও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন ঐ সময় ফরয যখন কেউ ঐ কাজের সাথে জড়িত হয়। যেমন ক্রয়-বিক্রয়ের কাজ উপস্থিত হলে এ সম্পর্কে মাসয়ালা জানা প্রয়োজন। শিল্প-কারখানার সাথে সম্পর্ক থাকলে অথবা চাকুরীর সাথে জড়িত থাকলে ঐ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা আবশ্যক। কিন্তু ইলমে ফিকহ শহর ও গ্রাম সর্বত্র প্রয়োজন হলেও এটা শিক্ষা করা সবার উপর ফরয নয়; বরং ফরযে কিফায়া। যদি গ্রামের একজন শিক্ষালাভ করে, তা হলে সবার পক্ষ থেকে ফরয আদায় হয়ে যাবে। যদি একজনও শিক্ষালাভ না করে, তা হলে কারো ফরয আদায় হবে না; বরং সবাই এর জন্য দায়ী হবে। যেমন নামায সঠিক হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কুরআনের আয়াত মুখস্থ করা সবার জন্য ফরযে আইন; কিন্তু সমস্ত কুরআন শরীফ হিফয করা ফরযে কিফায়া যা সবার জন্য ফরয নয়।
এ হাদীস ইবনে আদী স্বীয় গ্রন্থ কামেলে, বায়হাকী শুয়াবুল ঈমানে হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। খতীব (র) তারিখে বাগদাদে হযরত মুরতাজা ও হুসাইন ইবনে আলী (রা) থেকে, তিবরানী আওসাতে হযরত ইবনে আব্বাস, ইবনে মাসউদ এবং আবূ সাঈদ খুদরী (রা) থেকে, সগীর নামক গ্রন্থে হুসাইন ইবন আলী (রা) থেকে, ফওয়ায়েদে ইবনে উমর (রা) থেকে, ইবনে মাজাহ হযরত আনাস (রা) থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। মোটকথা, সাতজন সাহাবা (রা) থেকে এ হাদীস বর্ণনা করা হয়েছে। তাই মোল্লা আলী কারী, ইমাম নববী, আল্লামা ইরাকী এবং হাফিয তিরমিযী (রা) বলেছেনঃ এ হাদীস বিভিন্নভাবে সাহাবায়ে কিরাম (র) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তাই এ হাদীসকে হাদীসে হাসান বলে গণ্য করা যেতে পারে।
এ হাদীস ইবনে আদী স্বীয় গ্রন্থ কামেলে, বায়হাকী শুয়াবুল ঈমানে হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। খতীব (র) তারিখে বাগদাদে হযরত মুরতাজা ও হুসাইন ইবনে আলী (রা) থেকে, তিবরানী আওসাতে হযরত ইবনে আব্বাস, ইবনে মাসউদ এবং আবূ সাঈদ খুদরী (রা) থেকে, সগীর নামক গ্রন্থে হুসাইন ইবন আলী (রা) থেকে, ফওয়ায়েদে ইবনে উমর (রা) থেকে, ইবনে মাজাহ হযরত আনাস (রা) থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। মোটকথা, সাতজন সাহাবা (রা) থেকে এ হাদীস বর্ণনা করা হয়েছে। তাই মোল্লা আলী কারী, ইমাম নববী, আল্লামা ইরাকী এবং হাফিয তিরমিযী (রা) বলেছেনঃ এ হাদীস বিভিন্নভাবে সাহাবায়ে কিরাম (র) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তাই এ হাদীসকে হাদীসে হাসান বলে গণ্য করা যেতে পারে।
