আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
১৫- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায়
হাদীস নং: ৮৪০
- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায়
কোন ব্যক্তি শরীকানা গোলামে নিজের অংশ আযাদ করে দিলে, উট (মানত করে রাখালহীন) ছেড়ে দিলে অথবা আযাদ করার ওসিয়াত করলে।
৮৪০। হিশাম ইবনে উরওয়া (রাহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। আবু বাকর সিদ্দীক (রাযিঃ) একটি উট ছেড়ে দিয়েছিলেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, একটি প্রসিদ্ধ হাদীস এই যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ “আযাদকারী ওয়ালায়ার মালিক হবে।” আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলতেন, ইসলামে সায়েবা জায়েয নয়।** সায়েবা আযাদ করা যদি কারো জন্য এভাবে জায়েয হতো যে, তার ওয়ালায়ার মালিক আযাদকারী হবে না, তবে যারা হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-কে বলেছিলো, আপনি দাসত্বমুক্ত করবেন কিন্তু ওয়ালায়ার মালিক আপনি হবেন না, এটাও জায়েয হতো। তার কাছে এই ওয়ালায়া দাবিও করা হয়েছিলো। কিন্তু রাসূলুল্লাহ ﷺ ওয়ালায়ার ক্রয়-বিক্রয় ও হেবা করতে নিষেধ করেছেন। আমাদের কাছে ওয়ালায়া হচ্ছে বংশীয় সম্পর্কের মতো। সুতরাং যে ব্যক্তি দাসত্ব মোচন করবে সেই ওয়ালায়ার অধিকারী হবে, তা সায়েবা হিসাবে অথবা অন্য যে কোন প্রক্রিয়ায় আযাদ করা হোক না কেন। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও আমাদের ফিকহবিদগণের এটাই সাধারণ মত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, একটি প্রসিদ্ধ হাদীস এই যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ “আযাদকারী ওয়ালায়ার মালিক হবে।” আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলতেন, ইসলামে সায়েবা জায়েয নয়।** সায়েবা আযাদ করা যদি কারো জন্য এভাবে জায়েয হতো যে, তার ওয়ালায়ার মালিক আযাদকারী হবে না, তবে যারা হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-কে বলেছিলো, আপনি দাসত্বমুক্ত করবেন কিন্তু ওয়ালায়ার মালিক আপনি হবেন না, এটাও জায়েয হতো। তার কাছে এই ওয়ালায়া দাবিও করা হয়েছিলো। কিন্তু রাসূলুল্লাহ ﷺ ওয়ালায়ার ক্রয়-বিক্রয় ও হেবা করতে নিষেধ করেছেন। আমাদের কাছে ওয়ালায়া হচ্ছে বংশীয় সম্পর্কের মতো। সুতরাং যে ব্যক্তি দাসত্ব মোচন করবে সেই ওয়ালায়ার অধিকারী হবে, তা সায়েবা হিসাবে অথবা অন্য যে কোন প্রক্রিয়ায় আযাদ করা হোক না কেন। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও আমাদের ফিকহবিদগণের এটাই সাধারণ মত।
كتاب البيوع في التجارات والسلم
بَابُ: الرَّجُلِ يُعْتِقُ نَصِيبًا لَهُ مِنْ مَمْلُوكٍ أَوْ يُسَيِّبُ سَائِبَةً أَوْ يُوصِي بِعِتْقٍ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ «سَيَّبَ سَائِبَةً» .
قَالَ مُحَمَّدٌ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْحَدِيثِ الْمَشْهُورِ: «الْوَلاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ» ، وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ: لا سَائِبَةَ فِي الإِسْلامِ، وَلَوِ اسْتَقَامَ أَنْ يُعْتِقَ الرَّجُلُ سَائِبَةً، فَلا يَكُونُ لِمَنْ أَعْتَقَهُ وَلاؤُهُ لاسْتَقَامَ لِمَنْ طَلَبَ مِنْ عَائِشَةَ أَنْ تُعْتِقَ، وَيَكُونُ الْوَلاءُ لِغَيْرِهَا، فَقَدْ طَلَبَ ذَلِكَ مِنْهَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْوَلاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ» ، وَإِذَا اسْتَقَامَ أَنْ لا يَكُونَ لِمَنْ أَعْتَقَ وَلَاءٌ اسْتَقَامَ أَنْ يُسْتَثْنَى عَنْهُ الْوَلاءُ، فَيَكُونَ لِغَيْرِهِ، وَاسْتَقَامَ أَنْ يَهَبَ الْوَلاءَ وَيَبِيعَهُ، «وَقَدْ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَيْعِ الْوَلاءِ وَهِبَتِهِ» .
وَالْوَلاءُ عِنْدَنَا بِمَنْزِلَةِ النَّسَبِ، وَهُوَ لِمَنْ أَعْتَقَ، إِنْ أَعْتَقَ سَائِبَةً أَوْ غَيْرَهَا، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
قَالَ مُحَمَّدٌ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْحَدِيثِ الْمَشْهُورِ: «الْوَلاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ» ، وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ: لا سَائِبَةَ فِي الإِسْلامِ، وَلَوِ اسْتَقَامَ أَنْ يُعْتِقَ الرَّجُلُ سَائِبَةً، فَلا يَكُونُ لِمَنْ أَعْتَقَهُ وَلاؤُهُ لاسْتَقَامَ لِمَنْ طَلَبَ مِنْ عَائِشَةَ أَنْ تُعْتِقَ، وَيَكُونُ الْوَلاءُ لِغَيْرِهَا، فَقَدْ طَلَبَ ذَلِكَ مِنْهَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْوَلاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ» ، وَإِذَا اسْتَقَامَ أَنْ لا يَكُونَ لِمَنْ أَعْتَقَ وَلَاءٌ اسْتَقَامَ أَنْ يُسْتَثْنَى عَنْهُ الْوَلاءُ، فَيَكُونَ لِغَيْرِهِ، وَاسْتَقَامَ أَنْ يَهَبَ الْوَلاءَ وَيَبِيعَهُ، «وَقَدْ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَيْعِ الْوَلاءِ وَهِبَتِهِ» .
وَالْوَلاءُ عِنْدَنَا بِمَنْزِلَةِ النَّسَبِ، وَهُوَ لِمَنْ أَعْتَقَ، إِنْ أَعْتَقَ سَائِبَةً أَوْ غَيْرَهَا، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا