আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
১২- শরীআতে যিনা ব্যভিচারের দন্ড বিধি
হাদীস নং: ৬৯৭
যেনার স্বীকারোক্তি।
৬৯৭। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এবং যায়েদ ইবনে খালিদ আল-জুহানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত । দুই ব্যক্তি বিবাদ মীমাংসার জন্য রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে এসে উপস্থিত হলো। তাদের একজন বললো, হে আল্লাহর নবী! আমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী ফয়সালা করে দিন । অপর ব্যক্তি, যে দু'জনের মধ্যে অপেক্ষাকৃত বুদ্ধিমান ছিল, বললো, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব অনুসারে ফয়সালা করে দিন এবং আমাকে কথা বলার অনুমতি দিন। তিনি বলেনঃ 'বলো'। সে বললো, আমার ছেলে তার বাড়িতে শ্রমিকের কাজ করতো। সে এই ব্যক্তির স্ত্রীর সাথে যেনা করে বসে। লোকেরা আমাকে বললো, আমার ছেলেকে রজম করতে হবে। আমি তাকে এক শত বকরী এবং আমার একটি বাঁদী দেয়ার বিনিময়ে আমার ছেলেকে মুক্ত করে নিয়েছি। অতঃপর আমি বিশেষজ্ঞ আলেমদের কাছে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তারা আমাকে বলেন যে, আমার ছেলেকে এক শত বেত্রাঘাত করতে হবে এবং এক বছরের নির্বাসন দিতে হবে। আর তার স্ত্রীকে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করতে হবে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ “সেই সত্তার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! আমি অবশ্যই তোমাদের উভয়ের মাঝে আল্লাহ তাআলার কিতাব অনুযায়ী ফয়সালা করবো। তোমার বকরী ও বাঁদী তোমাকে ফেরত দেয়া হচ্ছে। তিনি তার ছেলেকে এক শত বেত্রাঘাত করার এবং এক বছরের নির্বাসন দেয়ার নির্দেশ দিলেন। অপরদিকে তিনি উনাইস আল-আসলামী (রাযিঃ)-কে নির্দেশ দিলেন যে, তিনি অপর ব্যক্তির স্ত্রীর কাছে গিয়ে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে দেখবেন। যদি সে যেনার স্বীকারোক্তি করে তবে তাকে রজম করতে হবে। স্ত্রীলোকটি যেনার অপরাধ স্বীকার করলো এবং তাকে রজম করা হলো।**
بَابُ: الإِقْرَارِ بِالزِّنَا
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، أَنَّهُمَا أَخْبَرَاهُ أَنَّ رَجُلَيْنِ اخْتَصَمَا إِلَى رسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ أَحَدُهُمَا: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، اقْضِ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللَّهِ، وَقَالَ الآخَرُ وَهُوَ أَفْقَهُهُمَا: أَجَلْ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَاقْضِ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللَّهِ، وَائْذَنْ لِي فِي أَنْ أَتَكَلَّمَ، قَالَ: «تكلَّمْ» ، قَالَ: إِنَّ ابْنِي كَانَ عَسِيفًا عَلَى هَذَا يَعْنِي أَجِيرًا فَزَنَى بِامْرَأَتِهِ، فَأَخْبَرُونِي أَنَّ عَلَى ابْنِي جَلْدَ مِائَةٍ، فَافْتَدَيْتُ مِنْهُ بِمِائَةِ شَاةٍ وَجَارِيَةٍ لِي، ثُمَّ إِنِّي سَأَلْتُ أَهْلَ الْعِلْمِ، فَأَخْبَرُونِي: إِنَّمَا عَلَى ابْنِي جَلْدُ مِائَةٍ وَتغْرِيبُ عَامٍ، وَإِنَّمَا الرَّجْمُ عَلَى امْرَأَتِهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَمَا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لأَقْضِيَنَّ بَيْنَكُمْ بِكِتَابِ اللَّهِ تَعَالَى: «أَمَّا غَنَمُكَ وَجَارِيَتُكَ فَرَدٌّ عَلَيْكَ» .
وَجَلَدَ ابْنَهُ مِائَةً وَغَرَّبَهُ عَامًا، وَأَمَرَ أُنَيْسًا الأَسْلَمِيَّ أَنْ يَأْتِيَ امْرَأَةَ الآخَرِ، فَإِنِ اعْتَرَفَتْ رَجَمَهَا، فَاعْتَرَفَتْ، فَرَجَمَهَا
وَجَلَدَ ابْنَهُ مِائَةً وَغَرَّبَهُ عَامًا، وَأَمَرَ أُنَيْسًا الأَسْلَمِيَّ أَنْ يَأْتِيَ امْرَأَةَ الآخَرِ، فَإِنِ اعْتَرَفَتْ رَجَمَهَا، فَاعْتَرَفَتْ، فَرَجَمَهَا
