আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
১২- শরীআতে যিনা ব্যভিচারের দন্ড বিধি
হাদীস নং: ৬৯৬
রজম (পাথর নিক্ষেপে হত্যা)।
৬৯৬ ৷ আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। ইহুদীরা নবী ﷺ -এর কাছে এসে তাঁকে অবহিত করলো যে, তাদের মধ্যকার একটি পুরুষলোক ও একটি স্ত্রীলোক যেনা করেছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ তাদের জিজ্ঞেস করেনঃ “রজম সম্পর্কে তাওরাতে তোমরা কি নির্দেশ পাচ্ছো?” তারা বললো, আমরা এদের অপমান করি এবং বেত্রাঘাত করি । আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) তাদের বলেন, তোমরা মিথ্যা কথা বললে। তাওরাতে রজম করার নির্দেশ রয়েছে। তারা তাওরাত শরীফ নিয়ে এলো। তারা তাওরাত খুললো এবং তাদের এক ব্যক্তি রজম সম্পর্কিত আয়াতটি হাত দিয়ে ঢেকে রেখে তার আগে-পিছের অংশ পাঠ করলো। আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) বলেন, তোমার হাত সরাও। সে তার হাত তুলে নিলেই রজম সম্পর্কিত আয়াত প্রকাশিত হয়ে পড়ে। সে (হাত দিয়ে আয়াতটি ঢেকে রাখা ব্যক্তি) বললো, হে মুহাম্মাদ! আপনি সত্য কথা বলেছেন। তাতে রজম সংক্রান্ত আয়াত বর্তমান আছে। অতএব রাসূলুল্লাহ ﷺ তাদের সম্পর্কে নির্দেশ দিলেন এবং তদনুযায়ী তাদের উভয়কে রজম করা হলো। ইবনে উমার (রাযিঃ) বলেন, আমি যেনাকারী পুরুষটিকে দেখেছি সে স্ত্রীলোকটিকে পাথরের আঘাত থেকে বাঁচানোর জন্য তার দিকে ঝুঁকে যেতো (বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ)।১
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এসব হাদীস ও আছার-এর উপর আমল করি । কোন স্বাধীন মুসলমান বিবাহিত ব্যক্তি নিজ স্ত্রীর সাথে সংগম স্বাদ লাভ করার সুযোগ পাওয়ার পরও অপর কোন নারীর সাথে যেনায় লিপ্ত হলে তাকে রজমের শাস্তি দিতে হবে। কেননা এই ব্যক্তি মুহসান (বিবাহের দুর্গে সুরক্ষিত)। কিন্তু সে যদি স্ত্রীর সাথে যৌনস্বাদ আস্বাদনের সুযোগ না পেয়ে থাকে, বরং কেবল বিবাহ করেছে এবং সঙ্গম করেনি অথবা তার কাছে ইহুদী বা খৃষ্টান বাঁদী রয়েছে—তবে এসব কারণে সে মুহসান নয়। অতএব তাকে রজম করা যাবে না, বরং এক শত বেত্রাঘাত করতে হবে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের ফিকহবিদদের এটাই সাধারণ মত।২
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এসব হাদীস ও আছার-এর উপর আমল করি । কোন স্বাধীন মুসলমান বিবাহিত ব্যক্তি নিজ স্ত্রীর সাথে সংগম স্বাদ লাভ করার সুযোগ পাওয়ার পরও অপর কোন নারীর সাথে যেনায় লিপ্ত হলে তাকে রজমের শাস্তি দিতে হবে। কেননা এই ব্যক্তি মুহসান (বিবাহের দুর্গে সুরক্ষিত)। কিন্তু সে যদি স্ত্রীর সাথে যৌনস্বাদ আস্বাদনের সুযোগ না পেয়ে থাকে, বরং কেবল বিবাহ করেছে এবং সঙ্গম করেনি অথবা তার কাছে ইহুদী বা খৃষ্টান বাঁদী রয়েছে—তবে এসব কারণে সে মুহসান নয়। অতএব তাকে রজম করা যাবে না, বরং এক শত বেত্রাঘাত করতে হবে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের ফিকহবিদদের এটাই সাধারণ মত।২
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ الْيَهُودَ جَاءُوا إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَخْبَرُوهُ أَنَّ رَجُلا مِنْهُمْ وَامْرَأَةً زَنَيَا، فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا تَجِدُونَ فِي التَّوْرَاةِ فِي شَأْنِ الرَّجْمِ» ؟ فَقَالُوا: نَفْضَحُهُمَا، وَيُجْلَدَانِ، فَقَالَ لَهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلامٍ: كَذَبْتُمْ، إِنَّ فِيهَا الرَّجْمَ، فَأَتَوْا بِالتَّوْرَاةِ، فَنَشَرُوهَا، فَجَعَلَ أَحَدُهُمْ يَدَهُ عَلَى آيَةِ الرَّجْمِ، ثُمَّ قَرَأَ مَا قَبْلَهَا وَمَا بَعْدَهَا، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلامٍ: ارْفَعْ يَدَكَ، فَرَفَعَ يَدَهُ، فَإِذَا فِيهَا آيَةُ الرَّجْمِ، فَقَالَ: صَدَقْتَ يَا مُحَمَّدُ، فِيهَا آيَةُ الرَّجْمِ، «فَأَمَرَ بِهِمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرُجِمَا» .
قَالَ ابْنُ عُمَرَ: فَرَأَيْتُ الرَّجُلَ يَجْنَأُ عَلَى الْمَرْأَةِ يَقِيهَا الْحِجَارَةَ ".
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا كُلِّهِ نَأْخُذُ، أَيُّمَا رَجُلٍ حُرٍّ مُسْلِمٍ زَنَى بِامْرَأَةٍ وَقَدْ تَزَوَّجَ بِامْرَأَةٍ قَبْلَ ذَلِكَ حُرَّةٍ مُسْلِمَةٍ وَجَامَعَهَا فَفِيهِ الرَّجْمُ، وَهَذَا هُوَ الْمُحْصَنُ، فَإِنْ كَانَ لَمْ يُجَامِعْهَا إِنَّمَا تَزَوَّجَهَا، وَلَمْ يَدْخُلْ بِهَا، أَوْ كَانَتْ تَحْتَهُ أَمَةٌ يَهُودِيَّةٌ أَوْ نَصْرَانِيَّةٌ لَمْ يَكُنْ بِهَا مُحْصَنًا، وَلَمْ يُرْجَمْ، وَضُرِبَ مِائَةً.
وَهَذَا هُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
قَالَ ابْنُ عُمَرَ: فَرَأَيْتُ الرَّجُلَ يَجْنَأُ عَلَى الْمَرْأَةِ يَقِيهَا الْحِجَارَةَ ".
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا كُلِّهِ نَأْخُذُ، أَيُّمَا رَجُلٍ حُرٍّ مُسْلِمٍ زَنَى بِامْرَأَةٍ وَقَدْ تَزَوَّجَ بِامْرَأَةٍ قَبْلَ ذَلِكَ حُرَّةٍ مُسْلِمَةٍ وَجَامَعَهَا فَفِيهِ الرَّجْمُ، وَهَذَا هُوَ الْمُحْصَنُ، فَإِنْ كَانَ لَمْ يُجَامِعْهَا إِنَّمَا تَزَوَّجَهَا، وَلَمْ يَدْخُلْ بِهَا، أَوْ كَانَتْ تَحْتَهُ أَمَةٌ يَهُودِيَّةٌ أَوْ نَصْرَانِيَّةٌ لَمْ يَكُنْ بِهَا مُحْصَنًا، وَلَمْ يُرْجَمْ، وَضُرِبَ مِائَةً.
وَهَذَا هُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
