আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
হাদীস নং: ৪২০
- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
ইহরাম অবস্থায় মাথা ধোয়া বা গোসল করা।
৪২০। ইবরাহীম ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে হুনাইন (রাহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। আবওয়া নামক স্থানে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এবং মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাযিঃ)-র মতবিরোধ হলো। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, ইহরামধারী ব্যক্তি তার মাথা ধৌত করতে পারে। আর মিসওয়ার (রাযিঃ) বলেন, না। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সঠিক মাসআলা অবগত হওয়ার জন্য আব্দুল্লাহ ইবনে হুনাইনকে আবু আইউব আনসারী (রাযিঃ)-র কাছে পাঠান। তিনি গিয়ে দেখলেন, আবু আইউব (রাযিঃ) কূপের সাথে লাগানো দুই খুঁটির মাঝখানে দাঁড়িয়ে পর্দা টানিয়ে গোসল করছেন। রাবী বলেন, আমি তাকে সালাম দিলাম। তিনি বলেন, কে? আমি বললাম, আমি আব্দুল্লাহ ইবনে হুনাইন। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) আমাকে আপনার কাছে জিজ্ঞেস করতে পাঠিয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ ইহরাম অবস্থায় কিভাবে তাঁর মাথা ধৌত করতেন? আবু আইউব (রাযিঃ) তার উভয় হাত পর্দার কাপড়ের উপর রেখে তা মাথা পর্যন্ত উত্তোলন করলেন এবং আমাকে তার মাথা দেখান। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তিকে বলেন, পানি ঢালো। লোকটি আগে থেকেই তাকে গোসলে সাহায্য করছিল। সে তার মাথায় পানি ঢাললো। তিনি নিজ হাতে গোটা মাথা মললেন এবং বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে এভাবে তার মাথা ধৌত করতে দেখেছি।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা আবু আইউব আনসারী (রাযিঃ)-র বক্তব্য গ্রহণ করেছি। ইহরাম অবস্থায় পানি দিয়ে মাথা ধোয়ায় কোন দোষ নেই। কেননা মাথায় পানি ঢাললে চুল আরো এলোমেলো হয়ে যায়। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের সকল ফিকহবিদের এই মত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা আবু আইউব আনসারী (রাযিঃ)-র বক্তব্য গ্রহণ করেছি। ইহরাম অবস্থায় পানি দিয়ে মাথা ধোয়ায় কোন দোষ নেই। কেননা মাথায় পানি ঢাললে চুল আরো এলোমেলো হয়ে যায়। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের সকল ফিকহবিদের এই মত।
كتاب الحج
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ ابْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ ابْنَ عَبَّاسٍ، وَالْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ تَمَارَيَا بِالأَبْوَاءِ، فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: يَغْسِلُ الْمُحْرِمُ رَأْسَهُ، وَقَالَ الْمِسْوَرُ: لا، فَأَرْسَلَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ إِلَى أَبِي أَيُّوبَ يَسْأَلُهُ، فَوَجَدَهُ يَغْتَسِلُ بَيْنَ الْقَرْنَيْنِ وَهُوَ يُسْتَرُ بِثَوْبٍ، قَالَ: فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَقَالَ: مَنْ هَذَا؟ فَقُلْتُ: أَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حُنَيْنٍ، أَرَسَلَنِي إِلَيْكَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَسْأَلُكَ كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَغْسِلُ رَأْسَهُ وَهُوَ مُحْرِمٌ؟ " فَوَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى الثَّوْبِ وَطَأْطَأَهُ حَتَّى بَدَا لِي رَأْسُهُ، ثُمَّ قَالَ لإِنْسَانٍ يَصُبُّ الْمَاءَ عَلَيْهِ: اصْبُبْ، فَصُبَّ عَلَى رَأْسِهِ، ثُمَّ حَرَّكَ رَأْسَهُ بِيَدِهِ، فَأَقْبَلَ بِيَدِهِ وَأَدْبَرَ، فَقَالَ: هَكَذَا رَأَيْتُهُ يَفْعَلُ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِقَوْلِ أَبِي أَيُّوبَ نَأْخُذُ، لا نَرَى بَأْسًا أَنْ يَغْسِلَ الْمُحْرِمُ رَأْسَهُ بِالْمَاءِ، وَهَلْ يَزِيدُهُ الْمَاءُ إِلا شَعَثًا؟ ! وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا