আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

২- নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ১৭২
রাতের নামায (সালাতুত তাহাজ্জুদ)।
১৭২। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি এক রাতে তার খালা এবং নবী ﷺ -এর স্ত্রী মায়মূনা (রাযিঃ)-র কাছে রাত কাটান। তিনি বলেন, আমি বিছানায় প্রস্থের দিকে শুইলাম এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তাঁর স্ত্রী বিছানায় লম্বা দিকে শুয়ে ঘুমান। রাসূলুল্লাহ ﷺ ঘুমালেন। অতঃপর অর্ধরাত বা তার কিছু কম-বেশী অতিবাহিত হলে রাসূলুল্লাহ ﷺ ঘুম থেকে জাগলেন এবং দুই হাতে মুখমণ্ডল মলে ঘুম দূর করেন। অতঃপর তিনি সূরা আল ইমরানের শেষ দশ আয়াত ( إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ.... لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ ) পাঠ করলেন, অতঃপর নিকটেই ঝুলন্ত একটি পানির মশকের কাছে গেলেন। তিনি উত্তমরূপে উযু করলেন, অতঃপর নামায পড়লেন। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমিও ঘুম থেকে উঠে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর অনুরূপ করলাম। অতঃপর আমি গিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়ালাম। রাসূলুল্লাহ ﷺ আমার মাথার উপর তাঁর ডান হাত রাখলেন, অতঃপর তাঁর ডান হাত দিয়ে আমার ডান কান ধরে মললেন। তিনি দাঁড়িয়ে দুই দুই রাকআত করে মোট বারো রাকআত নামায পড়লেন, অতঃপর (বেতের পড়ে) শুয়ে গেলেন। শেষে মুয়াযযিন আসলে তিনি সংক্ষেপে ফজরের দুই রাকআত সুন্নত পড়লেন, অতঃপর মসজিদে গিয়ে ফজরের ফরয নামায পড়লেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদের মতে রাতের (নফল) নামায দুই রাকআত দুই রাআত করে পড়তে হয়। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) বলেন, রাতের (নফল) নামায ইচ্ছা করলে একই তাকবীরে তাহরীমায় দুই রাকআত করেও পড়া যায়, চার রাকআত করেও পড়া যায়, ছয় রাকআত করেও পড়া যায়, আট রাকআত করেও পড়া যায় অথবা যতো রাকআত ইচ্ছা পড়া যায়। এতে কোন আপত্তি নেই। তবে চার রাকআত করে পড়াই উত্তম। কিন্তু বেতের নামায সম্পর্কে আমাদের এবং ইমাম আবু হানীফার একই মত। অর্থাৎ বেতেরের রাকআত সংখ্যা তিন এবং তা এক সালামেই পড়তে হবে।**
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا مَخْرَمَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْوَالِبِيُّ، أَخْبَرَنِي كُرَيْبٌ مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ بَاتَ عِنْدَ مَيْمُونَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهِيَ خَالَتُهُ، قَالَ: فَاضْطَجَعْتُ فِي عَرْضِ الْوِسَادَةِ وَاضْطَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَهلُهُ فِي طُولِهَا قَالَ: فَنَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى إِذَا انْتَصَفَ اللَّيْلُ، أَوْ قَبْلَهُ بِقَلِيلٍ، أَوْ بَعْدَهُ بِقَلِيلٍ، «جَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَسَحَ النَّوْمَ عَنْ وَجْهِهِ بِيَدَيْهِ، ثُمَّ قَرَأَ بِالْعَشْرِ الآيَاتِ الْخَوَاتِيمِ مِنْ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ، ثُمَّ قَامَ إِلَى شَنٍّ مُعَلَّقٍ، فَتَوَضَّأَ مِنْهُ، فَأَحْسَنَ وُضُوءَهُ، ثُمَّ قَامَ يُصَلِّي» .
قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: فَقُمْتُ فَصَنَعْتُ مِثْلَ مَا صَنَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ ذَهَبْتُ فَقُمْتُ إِلَى جَنْبِهِ، فَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى رَأْسِي، وَأَخَذَ بِأُذُنِي الْيُمْنَى بِيَدِهِ الْيُمْنَى، فَفَتَلَهَا ثُمَّ قَالَ: «فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ سِتَّ مَرَّاتٍ، ثُمَّ أَوْتَرَ، ثُمَّ اضْطَجَعَ حِينَ جَاءَهُ الْمُؤَذِّنُ، فَقَامَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ، ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى الصُّبْحَ» .
قَالَ مُحَمَّدٌ: صَلاةُ اللَّيْلِ عِنْدَنَا مَثْنَى مَثْنَى، وَقَالَ أَبُو حَنِيفَةَ: صَلاةُ اللَّيْلِ إِنْ شِئْتَ صَلَّيْتَ [ص:75] رَكْعَتَيْنِ، وَإِنْ شِئْتَ صَلَّيْتَ أَرْبَعًا، وَإِنْ شِئْتَ سِتًّا، وَإِنْ شِئْتَ ثَمَانِيًا، وَإِنْ شِئْتَ مَا شِئْتَ بِتَكْبِيرَةٍ وَاحِدَةٍ، وَأَفْضَلُ ذَلِكَ أَرْبَعًا أَرْبَعًا.
وَأَمَّا الْوِتْرُ فَقَوْلُنَا وَقَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ فِيهِ وَاحِدٌ، وَالْوِتْرُ ثَلاثٌ لا يُفْصَلُ بَيْنَهُنَّ بِتَسْلِيمٍ
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)