আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

১- পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়

হাদীস নং: ৩২
নাক দিয়ে রক্ত বের হলে উযু করা
৩২। ইবনে উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নামাযরত অবস্থায় যদি তার নাক দিয়ে রক্ত বের হতো, তবে তিনি উযু করার জন্য চলে যেতেন, কোন কথা বলতেন না, অতঃপর ফিরে এসে অবশিষ্ট নামায শেষ করতেন।*

* নামাযের মধ্যে উযু ছুটে গেলে নামায থেকে বের হয়ে গিয়ে উযু করতে হবে। অতঃপর ইচ্ছা করলে গোটা নামাযই পুনরায় পড়া যায় অথবা ইচ্ছা করলে অবশিষ্ট নামাযও পড়া যায় । কিন্তু মাঝখানে কথা বললে গোটা নামাযই পুনর্বার পড়তে হবে। কেননা কথা নামাযকে নষ্ট করে দেয় (অনুবাদক)।
بَابُ: الْوُضُوءِ مِنَ الرُّعَافِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ: «أَنَّهُ كَانَ إِذَا رَعَفَ رَجَعَ، فتَوَضَّأَ وَلَمْ يَتَكَلَّمْ، ثُمَّ رَجَعَ فَبَنَى عَلَى مَا صَلَّى»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, নাক দিয়ে রক্ত বের হলে অযু ভেঙ্গে যায়। মানুষের শরীর থেকে নাপাক বের হওয়ার স্বাভাবিক স্থান হলো পায়খানা এবং পেশাবের রাস্তা। এ দু’টির বাইরে নাক থেকে রক্ত বের হলে অযু ভাঙ্গা দ্বারা আরো প্রমাণিত হয় যে, পায়খানা এবং পেশাবের রাস্তা ব্যতীত শরীরের ভিন্ন কোন স্থান থেকে রক্ত বের হলেও অযু ভেঙ্গে যাবে। এ বিষয়ে সহীহ সনদে হযরত ইবনে উমার রা. থেকে বর্ণিত আছে যে, নামাযের মধ্যে কারো নাক দিয়ে রক্ত বের হলে বা বমি বেরিয়ে আসলে অথবা মজী দেখলে সে ব্যক্তি নামায থেকে সরে গিয়ে অযু করবে। অতঃপর ফিরে এসে ছুটে যাওয়া নামায পুরো করবে যতক্ষণ কথা না বলে। (আব্দুর রাযযাক: ৩৬০৯) হযরত আলী রা. থেকে হাসান সনদে বর্ণিত আছে যে, তোমাদের কেউ যখন তার পেটে (বায়ুজনিত) পীড়া অথবা নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়া বা বমি লক্ষ্য করে, সে যেন নাকে হাত দিয়ে বের হয়ে গিয়ে অযু করে নেয়। (আব্দুর রাযযাক: ৩৬০৭)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান