শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২২. ছুটে যাওয়া অতিরিক্ত মাসাঈলের অধ্যায়

হাদীস নং: ৭৩৪৮
মসজিদে কবিতা আবৃত্তি করা
৭৩৪৮। ফাহদ (রাহঃ)..... আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি-
তিনি বলেন, “হে কুরায়শ জাতি! তােমাদের মাঝে আল্লাহ্ তা'আলা এমন এক ব্যক্তিকে প্রেরণ করবেন যার মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা তােমাদের ঈমান পরীক্ষা করবেন। তিনি ধর্মের খাতিরে তােমাদেরকে বধ করবেন। তখন আবু বকর (রাযিঃ) বলেন, সে লােকটি কি আমি ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ) ? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, 'না'। তখন উমর (রাযিঃ) বলেন, সে লােকটি কি আমি ইয়া রাসূলাল্লাহু (ﷺ) ? রাসূলুল্লাহ বলেন, না, কিন্তু সে মসজিদে জুতা সেলাই করবে। বর্ণনাকারী বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হযরত আলী (রাযিঃ)-এর কাছে নিজ জুতা মুবারক অর্পণ করেছিলেন যেন তিনি তা সেলাই করে দেন। আমরা কি লক্ষ্য করি নাই যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আলী (রাযিঃ)-কে মসজিদে জুতা সেলাই করতে নিষেধ করেননি; কিন্তু লােকজন যদি একত্রিত হয়ে মসজিদে জুতা সেলাই করতে লেগে যায়, তাহলে এটা হবে অত্যন্ত খারাপ। সুতরাং আমরা বলতে পারি, যে কাজটি সাধারণভাবে মসজিদে করা অপসন্দনীয় কিন্তু তা ব্যতিক্রম হিসেবে করা অপসন্দনীয় নয়।

সুতরাং মসজিদে বেচাকেনা, কবিতা পাঠ এবং সালাত অনুষ্ঠিত হবার পূর্বে হালকাবন্দী হয়ে বসা ইত্যাদি সাধারণভাবে হলে তা
অপসন্দনীয় বা অবৈধ কিন্তু সাধারণভাবে না হলে কিংবা তা ঠেকানাে মুশকিল না হলে তা অপসন্দনীয় বা অবৈধ নয়। আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত।
7348 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الْأَصْبَهَانِيُّ، قَالَ: ثنا شَرِيكٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ , لَيَبْعَثَنَّ اللهُ عَلَيْكُمْ رَجُلًا , امْتَحَنَ اللهُ بِهِ الْإِيمَانَ , يَضْرِبُ رِقَابَكُمْ عَلَى الدِّينِ» . فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: أَنَا هُوَ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ: «لَا» . فَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: أَنَا هُوَ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ «لَا، وَلَكِنَّهُ خَاصِفُ النَّعْلِ فِي الْمَسْجِدِ» . قَالَ: وَكَانَ قَدْ أَلْقَى إِلَى عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ نَعْلَهُ يَخْصِفُهَا [ص:360] أَفَلَا تَرَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَنْهَ عَلِيًّا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ خَصْفِ النَّعْلِ فِي الْمَسْجِدِ , وَأَنَّ النَّاسَ لَوِ اجْتَمَعُوا حَتَّى يَعُمُّوا الْمَسْجِدَ بِخَصْفِ النِّعَالِ , كَانَ ذَلِكَ مَكْرُوهًا. فَلَمَّا كَانَ مَا لَا يَعُمُّ الْمَسْجِدَ مِنْ هَذَا غَيْرُ مَكْرُوهٍ وَمَا يَعُمُّهُ مِنْهُ , أَوْ يَغْلِبُ عَلَيْهِ مَكْرُوهًا كَانَ ذَلِكَ فِي الْبَيْعِ , وَإِنْشَادُ الشِّعْرِ , وَالتَّحَلُّقُ فِيهِ قَبْلَ الصَّلَاةِ مِمَّا عَمَّهُ مِنْ ذَلِكَ فَهُوَ مَكْرُوهٌ , وَمَا لَمْ يَعُمَّهُ مِنْهُ , وَلَمْ يَغْلِبْ عَلَيْهِ , فَلَيْسَ بِمَكْرُوهٍ , وَاللهُ أَعْلَمُ بِالصَّوَابِ
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ৭৩৪৮ | মুসলিম বাংলা