শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২২. ছুটে যাওয়া অতিরিক্ত মাসাঈলের অধ্যায়
হাদীস নং: ৭৩০০
দুই ঈদের সালাতে কিভাবে তাকবীর বলতে হয়?
৭৩০০। আলী ইবন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ও ইয়াহ্ইয়া ইবন উসমান (রাহঃ) ..... আবু আব্দুর রহমান আল-কাসিম (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জনৈক সাহাবী থেকে বর্ণনা করেন । তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের নিয়ে ঈদের সালাত আদায় করেন এবং তিনি চার-চারবার তাকবীর বলেন। সালাত সমাপ্ত করার পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে লক্ষ্য করে বলেন, এ সালাতে জানাযার ন্যায় চার তাকবীর দেয়া হল, তা তোমরা ভুলবে না । এ বলে তিনি বৃদ্ধা অঙ্গুলীকে গুটিয়ে অন্যান্য অঙ্গুলী দ্বারা ইশারা করলেন।
এ হাদীসটির সনদ উত্তম। বর্ণনাকারী আব্দুল্লাহ্ ইব্ন ইউসুফ (রাহঃ), ইয়াহ্ইয়া ইবন হামযাহ্ (রাহঃ), আল-ওয়াবীন এবং আল-কাসিম, তারা সকলেই বিশুদ্ধ বর্ণনাকারী হিসেবে প্রসিদ্ধ। তবে প্রথমে উল্লেখিত হাদীসগুলোর বর্ণনাকারীদের মত ধী-শক্তিসম্পন্ন নন। এ অনুচ্ছেদটিতে যদি সনদের বিশুদ্ধতার প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়, তাহলে বিরোধীদের অভিমতকে এ হিসেবে গ্রহণ করাই শ্রেয় । তবে এখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রতি রাকআতে চারবার তাকবীর বলেন এবং তাদেরকে সংবাদ দেন যে, এটা জানাযার সালাতের তাকবীরের ন্যায় । তাই এখানে সম্ভাবনা আছে যে, তাকবীরে তাহরীমা ব্যতীত চার তাকবীর হবে, তাহলে এটা হবে এ ব্যক্তিদের কথার ন্যায় যারা এ হাদীস দ্বারা তাদের অভিমতের পক্ষে দলীল পেশ করেছেন । আবার তাকবীরে তাহরীমাসহ চার তাকবীর হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। তাহলে এটা হবে তাদের অভিমতের বিপরীত । তাই আমরা এ অনুচ্ছেদে উল্লেখিত এ হাদীস ব্যতীত অন্য হাদীসগুলো সম্বন্ধে অনুসন্ধান করে নিম্মবর্ণিত বর্ণনাটি খুজে পেলাম:
এ হাদীসটির সনদ উত্তম। বর্ণনাকারী আব্দুল্লাহ্ ইব্ন ইউসুফ (রাহঃ), ইয়াহ্ইয়া ইবন হামযাহ্ (রাহঃ), আল-ওয়াবীন এবং আল-কাসিম, তারা সকলেই বিশুদ্ধ বর্ণনাকারী হিসেবে প্রসিদ্ধ। তবে প্রথমে উল্লেখিত হাদীসগুলোর বর্ণনাকারীদের মত ধী-শক্তিসম্পন্ন নন। এ অনুচ্ছেদটিতে যদি সনদের বিশুদ্ধতার প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়, তাহলে বিরোধীদের অভিমতকে এ হিসেবে গ্রহণ করাই শ্রেয় । তবে এখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রতি রাকআতে চারবার তাকবীর বলেন এবং তাদেরকে সংবাদ দেন যে, এটা জানাযার সালাতের তাকবীরের ন্যায় । তাই এখানে সম্ভাবনা আছে যে, তাকবীরে তাহরীমা ব্যতীত চার তাকবীর হবে, তাহলে এটা হবে এ ব্যক্তিদের কথার ন্যায় যারা এ হাদীস দ্বারা তাদের অভিমতের পক্ষে দলীল পেশ করেছেন । আবার তাকবীরে তাহরীমাসহ চার তাকবীর হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। তাহলে এটা হবে তাদের অভিমতের বিপরীত । তাই আমরা এ অনুচ্ছেদে উল্লেখিত এ হাদীস ব্যতীত অন্য হাদীসগুলো সম্বন্ধে অনুসন্ধান করে নিম্মবর্ণিত বর্ণনাটি খুজে পেলাম:
7300 - فَإِذَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَيَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ قَدْ حَدَّثَانَا , قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ عَنْ يَحْيَى بْنِ حَمْزَةَ قَالَ:
حَدَّثَنِي الْوَضِينُ بْنُ عَطَاءٍ أَنَّ الْقَاسِمَ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَهُ , قَالَ: حَدَّثَنِي بَعْضُ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: صَلَّى بِنَا , النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ عِيدٍ , فَكَبَّرَ أَرْبَعًا , وَأَرْبَعًا , ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ حِينَ انْصَرَفَ , قَالَ: «لَا تَنْسَوْا , كَتَكْبِيرِ الْجَنَائِزِ , وَأَشَارَ بِأَصَابِعِهِ , وَقَبَضَ إِبْهَامَهُ» فَهَذَا حَدِيثٌ , حَسَنُ الْإِسْنَادِ. وَعَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ , وَيَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ , وَالْوَضِينُ وَالْقَاسِمُ كُلُّهُمْ أَهْلُ رِوَايَةٍ , مَعْرُوفُونَ بِصِحَّةِ الرِّوَايَةِ لَيْسَ كَمَنْ رَوَيْنَا عَنْهُ الْآثَارَ الْأُوَلَ فَإِنْ كَانَ هَذَا الْبَابُ مِنْ طَرِيقِ صِحَّةِ الْإِسْنَادِ , يُؤْخَذُ , فَإِنَّ هَذَا أَوْلَى أَنْ يُؤْخَذَ بِهِ , مِمَّا خَالَفَهُ. غَيْرَ أَنَّهُ ذَكَرَ فِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَبَّرَ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ أَرْبَعًا , وَأَخْبَرَهُمْ أَنَّ ذَلِكَ كَتَكْبِيرِ الْجَنَائِزِ. فَاحْتَمَلَ بِأَنْ يَكُونَ الْأَرْبَعُ , سِوَى تَكْبِيرَةِ الِافْتِتَاحِ , فَيَكُونُ ذَلِكَ قَدْ وَافَقَ قَوْلَ الَّذِينَ احْتَجَجْنَا بِهَذَا الْحَدِيثِ لِقَوْلِهِمْ. وَاحْتَمَلَ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ عَلَى أَرْبَعٍ , بِتَكْبِيرَةِ الِافْتِتَاحِ , فَيَكُونُ مُخَالِفًا لِقَوْلِهِمْ. فَنَظَرْنَا فِيمَا رُوِيَ مِنَ الْآثَارِ فِي هَذَا الْبَابِ , سِوَى هَذَا الْأَثَرِ , أَيْضًا.
حَدَّثَنِي الْوَضِينُ بْنُ عَطَاءٍ أَنَّ الْقَاسِمَ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَهُ , قَالَ: حَدَّثَنِي بَعْضُ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: صَلَّى بِنَا , النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ عِيدٍ , فَكَبَّرَ أَرْبَعًا , وَأَرْبَعًا , ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ حِينَ انْصَرَفَ , قَالَ: «لَا تَنْسَوْا , كَتَكْبِيرِ الْجَنَائِزِ , وَأَشَارَ بِأَصَابِعِهِ , وَقَبَضَ إِبْهَامَهُ» فَهَذَا حَدِيثٌ , حَسَنُ الْإِسْنَادِ. وَعَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ , وَيَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ , وَالْوَضِينُ وَالْقَاسِمُ كُلُّهُمْ أَهْلُ رِوَايَةٍ , مَعْرُوفُونَ بِصِحَّةِ الرِّوَايَةِ لَيْسَ كَمَنْ رَوَيْنَا عَنْهُ الْآثَارَ الْأُوَلَ فَإِنْ كَانَ هَذَا الْبَابُ مِنْ طَرِيقِ صِحَّةِ الْإِسْنَادِ , يُؤْخَذُ , فَإِنَّ هَذَا أَوْلَى أَنْ يُؤْخَذَ بِهِ , مِمَّا خَالَفَهُ. غَيْرَ أَنَّهُ ذَكَرَ فِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَبَّرَ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ أَرْبَعًا , وَأَخْبَرَهُمْ أَنَّ ذَلِكَ كَتَكْبِيرِ الْجَنَائِزِ. فَاحْتَمَلَ بِأَنْ يَكُونَ الْأَرْبَعُ , سِوَى تَكْبِيرَةِ الِافْتِتَاحِ , فَيَكُونُ ذَلِكَ قَدْ وَافَقَ قَوْلَ الَّذِينَ احْتَجَجْنَا بِهَذَا الْحَدِيثِ لِقَوْلِهِمْ. وَاحْتَمَلَ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ عَلَى أَرْبَعٍ , بِتَكْبِيرَةِ الِافْتِتَاحِ , فَيَكُونُ مُخَالِفًا لِقَوْلِهِمْ. فَنَظَرْنَا فِيمَا رُوِيَ مِنَ الْآثَارِ فِي هَذَا الْبَابِ , سِوَى هَذَا الْأَثَرِ , أَيْضًا.
