শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২১. মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা
হাদীস নং: ৭২৮৬
কাফিরদেরকে সালাম দেয়া
৭২৮৬। ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ) ..... উসামা ইব্ন যায়দ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি সংবাদ পরিবেশ করেন যে, একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি গাধায় আরোহণ করেন। একটি কাপড়ে কিছু তরি-তরকারি বাঁধা ছিল। তিনি তার পিছনে উসামা ইব্ন যায়দ (রাযিঃ)-কে সওয়ার হতে অনুমতি দিলেন । তিনি আল-হারিস ইবুন খাযরাজ গোত্রে সা'দ ইবন উবাদা (রাযিঃ)-এর সেবার জন্যে গমন করছিলেন। আর এটা ছিল বদর যুদ্ধের আগের ঘটনা। তিনি যেতে যেতে এমন একটি মজলিসে উপস্থিত হলেন, যেখানে ইসলাম গ্রহণের পূর্বে আব্দুল্লাহ্ ইবন উবাই ইব্ন সালূলও উপস্থিত ছিল। আর মজলিসে ছিল মুসলিম, মুশরিক ও পৌত্তলিক এবং ইয়াহুদীদের সম্মিলিত একটি দল ৷ আর ঐ মজলিসে আব্দুল্লাহ্ ইবন রাওহা (রাযিঃ)-ও উপস্থিত ছিলেন। গাধাটির পায়ের ধূলাবালিতে যখন মজলিসটি ধূলাময় হয়ে যায়, আব্দুল্লাহ্ ইবন উবাই ইবন সালূল নিজ চাদর দ্বারা নাক ঢেকে ফেলে এবং বলে, তোমরা আমাদের উপর ধুলা ছিটাবে না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরকে সালাম দিলেন। অতঃপর তিনি থামলেন, বাহন থেকে অবতরণ করলেন এবং তাদেরকে আল্লাহ্ দিকে আহ্বান করলেন, তাদের নিকট কুরআন পাঠ করলেন। তখন আব্দুল্লাহ্ ইব্ন উবাই ইবন সালূল বলল, হে ব্যক্তি! তুমি যা বলছ যদি সত্য হয় তাহলে তো উত্তম কথা । তবে আমাদেরকে আমাদের মজলিসে বিরক্ত করবে না। তুমি তোমার বাসস্থান ফিরে যাও। যে তোমার কাছে আসবে, তার কাছে তোমার এসব কথা বর্ণনা করবে। তখন আব্দুল্লাহ্ ইবন রাওয়াহা (রাযিঃ) বলেন বরং ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! আপনি আমাদের মজলিসে আসবেন, আপনার কথা বলবেন আমরা তা কবুল করব। এরপর মুসলমান, মুশরিক ও ইয়াহূদীগণ পরম্পরে গালি-গালাজ করতে শুরু করল। এমনকি তারা পরস্পরকে মল্লযুদ্ধে আহ্বান করতে লাগল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরকে চুপ করার জন্যে অনুরোধ করছিলেন। অতঃপর
তারা চুপচাপ হয়ে গেল । রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পুনরায় তাঁর বাহনে আরোহণ করেন এবং পথ চলতে লাগলেন। তিনি
সা'দ ইব্ন উবাদা (রাযিঃ)-এর ঘরে প্রবেশ করেন । রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, হে সা'দ! তুমি কি শুনেছ আবু হুবাব আব্দুল্লাহ্ ইব্ন উবাই ইবন সালূল কি বলেছে? সে এরূপ এরূপ বলেছে। সা'দ (রাযিঃ) বলেন, হে আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ)! আপনি তাকে ক্ষমা করে দিন, তার প্রতি উদারতা অবলম্বন করুন । ঐ সত্তার শপথ যিনি আপনার
প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন, আপনার প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে, নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ তা'আলা আপনার প্রতি
হক বা সত্য নাযিল করেছেন। এ ঝিলের বাসিন্দাগণ তার সম্পর্কে ঐকমত্যে পৌঁছেছিল এবং তাকে নেতা
নির্ধারণ করার উদ্দেশ্যে তার মাথায় পাগড়ী বাঁধবার জন্যেও ঐকমত্যে পৌঁছেছিল। কিন্তু আল্লাহ্ তা'আলা
আপনার উপর প্রেরিত সত্যের মাধ্যমে যখন তাদের সিদ্ধান্ত রহিত করেন, তখন সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। আর
আপনি দেখেছেন সে যেরূপ আচরণ করেছে। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে ক্ষমা করে ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তার সাহাবীগণ কিতাবী ও মুশরিকদেরকে ক্ষমা করে দিতেন এবং তাদের যন্ত্রণাদায়ক আচরণ সহ্য করতেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ্ তা'আলা ইরশাদ করেন:
وَلَتَسْمَعُنَّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلِكُمْ وَمِنَ الَّذِينَ أَشْرَكُوا أَذًى كَثِيرًا وَإِنْ تَصْبِرُوا وَتَتَّقُوا فَإِنَّ ذَلِكَ مِنْ عَزْمِ الْأُمُورِ
তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছিল তাদের এবং মুশরিকদের নিকট থেকে অনেক কষ্টদায়ক কথা শুনবে। যদি তোমরা ধৈর্য ধর এবং সাবধান হয়ে চল, তবে এটা হবে দৃঢ় সংকল্পের কাজ। (সূরা ৩ : ১৮৬)
আল্লাহ্ তা'আলা আরো বলেন:
وَدَّ كَثِيرٌ مِّنْ أَهْلِ الْكِتَابِ لَوْ يَرُدُّونَكُم مِّن بَعْدِ إِيمَانِكُمْ كُفَّارًا حَسَدًا مِّنْ عِندِ أَنفُسِهِم مِّن بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمُ الْحَقُّ ۖ فَاعْفُوا وَاصْفَحُوا حَتَّىٰ يَأْتِيَ اللَّهُ بِأَمْرِهِ
তাদের নিকট সত্য প্রকাশিত হবার পরও কিতাবীদের মধ্যে অনেকেই তোমাদের ঈমান আনার পর ঈর্ষামূলক মনোভাববশত আবার তোমাদেরকে সত্য প্রত্যাখ্যানকারীরূপে ফিরে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করে। তোমরা ক্ষমা কর ও উপেক্ষা কর, যতক্ষণ না আল্লাহ্ কোন নির্দেশ দেন। (সূরা ২ : ১০৯)
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের ক্ষেত্রে ক্ষমা অবলম্বন করতেন যেমন আল্লাহ্ তা'আলা নির্দেশ করেছেন। অতঃপর তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে আল্লাহ্ তা'আলা আদেশ করেন। বদরের যুদ্ধে যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অংশ নিলেন, তখন আল্লাহ্ তা'আলা কুরায়শ কাফির সরদারদের মৃত্যু ঘটালেন। ইব্ন উবাই ইবন সালূল এবং তার সাথী পৌত্তলিক মুশরিকরা বলতে লাগল, এ ব্যাপারটি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, তাই তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে ইসলামের বায়আত গ্রহণ করল এবং মুসলমান হয়ে গেল।
এ হাদীসে যে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরকে সালাম দিয়েছেন, তা ছিল ঐ সময়ের ঘটনা যখন আল্লাহ্ তা'আলা তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়ার, উপেক্ষা করার এবং উত্তম পন্থা ব্যতীত তাদের সাথে তর্ক-বিতর্ক বর্জনের জন্যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন । অতঃপর আল্লাহ্ তা'আলা এ হুকুম রহিত করেন এবং তাদের সাথে প্রয়োজনে যুদ্ধ করার আদেশ দেন। এর সাথে তাদেরকে সালাম দেয়ার হুকুমটিও রহিত হয়ে যায় এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বাণীই প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি ইরশাদ করেন:
لَا تَبْدَءُوا الْيَهُودَ وَلَا النَّصَارَى بِالسَّلَامِ , وَمَنْ سَلَّمَ عَلَيْكُمْ مِنْهُمْ , فَقُولُوا: وَعَلَيْكُمْ , حَتَّى تَرُدُّوا عَلَيْهِ مَا قَالَ
ইয়াহুদী ও নাসারাদেরকে প্রথমে সালাম দেবে না। তাদের মধ্যে থেকে কোন ব্যক্তি যদি তোমাদেরকে সালাম দেয়, তাহলে সে যা বলেছে, তাকে তার জবাব দেয়ার উদ্দেশ্য বলবে وَعَلَيْكُمْ অর্থাৎ তোমাদের উপরও। আর তাদেরকে এর চেয়ে অধিক কিছু বলার জন্যে নিষেধ করা হয়েছে।
তারা চুপচাপ হয়ে গেল । রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পুনরায় তাঁর বাহনে আরোহণ করেন এবং পথ চলতে লাগলেন। তিনি
সা'দ ইব্ন উবাদা (রাযিঃ)-এর ঘরে প্রবেশ করেন । রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, হে সা'দ! তুমি কি শুনেছ আবু হুবাব আব্দুল্লাহ্ ইব্ন উবাই ইবন সালূল কি বলেছে? সে এরূপ এরূপ বলেছে। সা'দ (রাযিঃ) বলেন, হে আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ)! আপনি তাকে ক্ষমা করে দিন, তার প্রতি উদারতা অবলম্বন করুন । ঐ সত্তার শপথ যিনি আপনার
প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন, আপনার প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে, নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ তা'আলা আপনার প্রতি
হক বা সত্য নাযিল করেছেন। এ ঝিলের বাসিন্দাগণ তার সম্পর্কে ঐকমত্যে পৌঁছেছিল এবং তাকে নেতা
নির্ধারণ করার উদ্দেশ্যে তার মাথায় পাগড়ী বাঁধবার জন্যেও ঐকমত্যে পৌঁছেছিল। কিন্তু আল্লাহ্ তা'আলা
আপনার উপর প্রেরিত সত্যের মাধ্যমে যখন তাদের সিদ্ধান্ত রহিত করেন, তখন সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। আর
আপনি দেখেছেন সে যেরূপ আচরণ করেছে। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে ক্ষমা করে ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তার সাহাবীগণ কিতাবী ও মুশরিকদেরকে ক্ষমা করে দিতেন এবং তাদের যন্ত্রণাদায়ক আচরণ সহ্য করতেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ্ তা'আলা ইরশাদ করেন:
وَلَتَسْمَعُنَّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلِكُمْ وَمِنَ الَّذِينَ أَشْرَكُوا أَذًى كَثِيرًا وَإِنْ تَصْبِرُوا وَتَتَّقُوا فَإِنَّ ذَلِكَ مِنْ عَزْمِ الْأُمُورِ
তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছিল তাদের এবং মুশরিকদের নিকট থেকে অনেক কষ্টদায়ক কথা শুনবে। যদি তোমরা ধৈর্য ধর এবং সাবধান হয়ে চল, তবে এটা হবে দৃঢ় সংকল্পের কাজ। (সূরা ৩ : ১৮৬)
আল্লাহ্ তা'আলা আরো বলেন:
وَدَّ كَثِيرٌ مِّنْ أَهْلِ الْكِتَابِ لَوْ يَرُدُّونَكُم مِّن بَعْدِ إِيمَانِكُمْ كُفَّارًا حَسَدًا مِّنْ عِندِ أَنفُسِهِم مِّن بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمُ الْحَقُّ ۖ فَاعْفُوا وَاصْفَحُوا حَتَّىٰ يَأْتِيَ اللَّهُ بِأَمْرِهِ
তাদের নিকট সত্য প্রকাশিত হবার পরও কিতাবীদের মধ্যে অনেকেই তোমাদের ঈমান আনার পর ঈর্ষামূলক মনোভাববশত আবার তোমাদেরকে সত্য প্রত্যাখ্যানকারীরূপে ফিরে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করে। তোমরা ক্ষমা কর ও উপেক্ষা কর, যতক্ষণ না আল্লাহ্ কোন নির্দেশ দেন। (সূরা ২ : ১০৯)
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের ক্ষেত্রে ক্ষমা অবলম্বন করতেন যেমন আল্লাহ্ তা'আলা নির্দেশ করেছেন। অতঃপর তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে আল্লাহ্ তা'আলা আদেশ করেন। বদরের যুদ্ধে যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অংশ নিলেন, তখন আল্লাহ্ তা'আলা কুরায়শ কাফির সরদারদের মৃত্যু ঘটালেন। ইব্ন উবাই ইবন সালূল এবং তার সাথী পৌত্তলিক মুশরিকরা বলতে লাগল, এ ব্যাপারটি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, তাই তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে ইসলামের বায়আত গ্রহণ করল এবং মুসলমান হয়ে গেল।
এ হাদীসে যে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরকে সালাম দিয়েছেন, তা ছিল ঐ সময়ের ঘটনা যখন আল্লাহ্ তা'আলা তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়ার, উপেক্ষা করার এবং উত্তম পন্থা ব্যতীত তাদের সাথে তর্ক-বিতর্ক বর্জনের জন্যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন । অতঃপর আল্লাহ্ তা'আলা এ হুকুম রহিত করেন এবং তাদের সাথে প্রয়োজনে যুদ্ধ করার আদেশ দেন। এর সাথে তাদেরকে সালাম দেয়ার হুকুমটিও রহিত হয়ে যায় এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বাণীই প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি ইরশাদ করেন:
لَا تَبْدَءُوا الْيَهُودَ وَلَا النَّصَارَى بِالسَّلَامِ , وَمَنْ سَلَّمَ عَلَيْكُمْ مِنْهُمْ , فَقُولُوا: وَعَلَيْكُمْ , حَتَّى تَرُدُّوا عَلَيْهِ مَا قَالَ
ইয়াহুদী ও নাসারাদেরকে প্রথমে সালাম দেবে না। তাদের মধ্যে থেকে কোন ব্যক্তি যদি তোমাদেরকে সালাম দেয়, তাহলে সে যা বলেছে, তাকে তার জবাব দেয়ার উদ্দেশ্য বলবে وَعَلَيْكُمْ অর্থাৎ তোমাদের উপরও। আর তাদেরকে এর চেয়ে অধিক কিছু বলার জন্যে নিষেধ করা হয়েছে।
7286 - فَإِذَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا أَبُو الْيَمَانِ قَالَ: ثنا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَنَّ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ أَخْبَرَهُ , أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكِبَ عَلَى حِمَارٍ عَلَيْهِ إِكَافٌ عَلَى قَطِيفَةٍ , وَأَرْدَفَ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ وَرَاءَهُ , يَعُودُ سَعْدَ بْنَ عُبَادَةَ فِي بَنِي الْحَارِثِ بْنِ خَزْرَجَ , قَبْلَ وَقْعَةِ بَدْرٍ. فَسَارَ , حَتَّى مَرَّ بِمَجْلِسٍ فِيهِ عَبْدُ اللهِ بْنُ أُبَيٍّ ابْنُ سَلُولَ فِي ذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يُسْلِمَ عَبْدُ اللهِ بْنُ أُبَيٍّ ابْنُ سَلُولَ فَإِذَا فِي الْمَجْلِسِ أَخْلَاطٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَالْمُشْرِكِينَ , وَعَبَدَةِ الْأَوْثَانِ , وَالْيَهُودِ , وَفِي الْمَجْلِسِ عَبْدُ اللهِ بْنُ رَوَاحَةَ. فَلَمَّا غَشِيَتِ الْمَجْلِسَ عَجَاجَةُ الدَّابَّةِ , خَمَّرَ ابْنُ أُبَيٍّ ابْنُ سَلُولَ أَنْفَهُ بِرِدَائِهِ ثُمَّ قَالَ: لَا تَعْبُرُوا عَلَيْنَا. فَسَلَّمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ , ثُمَّ وَقَفَ فَنَزَلَ , فَدَعَاهُمْ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ , وَقَرَأَ عَلَيْهِمِ الْقُرْآنَ. قَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ أُبَيٍّ ابْنُ سَلُولَ: أَيُّهَا الْمَرْءُ , إِنَّهُ لَحَسَنٌ مَا تَقُولُ , إِنْ كَانَ حَقًّا , فَلَا تُؤْذِينَا بِهِ فِي مَجَالِسِنَا , ارْجِعْ إِلَى رَحْلِكَ , فَمَنْ جَاءَكَ فَاقْصُصْ عَلَيْهِ. فَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ رَوَاحَةَ: بَلْ يَا رَسُولَ اللهِ , فَاغْشَنَا بِهِ فِي مَجَالِسِنَا , فَإِنَّا نُحِبُّ ذَلِكَ. فَاسْتَبَّ الْمُسْلِمُونَ وَالْمُشْرِكُونَ وَالْيَهُودُ , حَتَّى كَادُوا يَتَبَارَزُونَ , فَلَمْ يَزَلِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُخَفِّضُهُمْ , حَتَّى سَكَنُوا ثُمَّ رَكِبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَابَّتَهُ , فَسَارَ حَتَّى دَخَلَ عَلَى سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا سَعْدُ أَلَمْ تَسْمَعْ إِلَى مَا يَقُولُ أَبُو حُبَابٍ؟» يَعْنِي ابْنَ أُبَيٍّ ابْنَ سَلُولَ قَالَ كَذَا وَكَذَا قَالَ سَعْدُ: يَا رَسُولَ اللهِ , اعْفُ عَنْهُ وَاصْفَحْ , فَوَالَّذِي نَزَّلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ , لَقَدْ جَاءَكَ اللهُ بِالْحَقِّ الَّذِي أُنْزِلَ عَلَيْكَ وَلَقَدِ اصْطَلَحَ أَهْلُ هَذِهِ الْبُحَيْرَةِ عَلَى أَنْ يُتَوِّجُوهُ فَيَعْصِبُوهُ بِالْعِصَابَةِ , فَلَمَّا رَدَّ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ ذَلِكَ بِالْحَقِّ الَّذِي أَعْطَاكَ , شَرِقَ بِذَلِكَ فَذَلِكَ فِعْلُ مَا رَأَيْتَ , فَعَفَا عَنْهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ يَعْفُونَ عَنِ الْمُشْرِكِينَ , وَأَهْلِ الْكِتَابِ , وَيَصْبِرُونَ عَلَى الْأَذَى , حَتَّى قَالَ اللهُ عَزَّ [ص:343] وَجَلَّ {وَلَتَسْمَعُنَّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلِكُمْ وَمِنَ الَّذِينَ أَشْرَكُوا أَذًى كَثِيرًا وَإِنْ تَصْبِرُوا وَتَتَّقُوا فَإِنَّ ذَلِكَ مِنْ عَزْمِ الْأُمُورِ} [آل عمران: 186] . وَقَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ {وَدَّ كَثِيرٌ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ لَوْ يَرُدُّونَكُمْ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِكُمْ كُفَّارًا حَسَدًا مِنْ عِنْدِ أَنْفُسِهِمْ} [البقرة: 109] الْآيَةَ. وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَأَوَّلُ الْعَفْوَ , كَمَا أَمَرَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ بِهِ , حَتَّى أَذِنَ اللهُ فِيهِمْ. فَلَمَّا غَزَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَدْرًا , فَقَتَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ بِهِ مَنْ قُتِلَ مِنْ صَنَادِيدِ كُفَّارِ قُرَيْشٍ , قَالَ ابْنُ أُبَيٍّ ابْنُ سَلُولَ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُشْرِكِينَ , وَعَبَدَةِ الْأَوْثَانِ هَذَا أَمْرٌ قَدْ تَوَجَّهَ فَبَايِعُوا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْإِسْلَامِ , وَأَسْلِمُوا " فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ , أَنَّ مَا كَانَ مِنْ تَسْلِيمِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ , وَكَانَ فِي الْوَقْتِ الَّذِي أَمَرَهُ اللهُ بِالْعَفْوِ عَنْهُمْ , وَالصَّفْحِ , وَتَرْكِ مُجَادَلَتِهِمْ إِلَّا بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ , ثُمَّ نَسَخَ اللهُ ذَلِكَ وَأَمَرَهُ بِقِتَالِهِمْ فَنُسِخَ مَعَ ذَلِكَ , السَّلَامُ عَلَيْهِمْ , وَثَبَتَ قَوْلُهُ لَا تَبْدَءُوا الْيَهُودَ وَلَا النَّصَارَى بِالسَّلَامِ , وَمَنْ سَلَّمَ عَلَيْكُمْ مِنْهُمْ , فَقُولُوا: وَعَلَيْكُمْ , حَتَّى تَرُدُّوا عَلَيْهِ مَا قَالَ وَنُهُوا أَنْ يَزِيدُوهُمْ عَلَى ذَلِكَ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
যদি এমন কোনও স্থানে যাওয়া হয়, যেখানে মুসলিম-অমুসলিম বিভিন্ন শ্রেণির লোক আছে, তবে সালাম দেওয়া হবে কি না? আলোচ্য হাদীছটিতে তার উত্তর পাওয়া যায়। একবার নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরকম একটি মজলিসের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে মজলিসে মুসলিম, ইহুদি ও অগ্নিপূজারী তিনও শ্রেণির লোক ছিল।
কোনও কোনও বর্ণনায় আছে, তিনি যাচ্ছিলেন হযরত সা'দ ইবন উবাদা রাযি.-কে দেখতে। তিনি অসুস্থ ছিলেন। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মজলিসটির নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত লোকদের সালাম দিলেন। বলাবাহুল্য তাঁর সে সালামের লক্ষ্যবস্তু ছিল মুসলিমগণ। কেননা অমুসলিমদের সালাম দেওয়া যায় না। হাদীসে আছে- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমরা ইহুদি ও নাসারাকে আগে সালাম দিয়ো না। (সহীহ মুসলিম : : ২১৬৭; জামে তিরমিযী : ২৭০০; মুসনাদে আহমাদ: ৮৫৪০; মুসনাদুল ববযার: ৯০৫২; তহাবী, শারহু মা'আনিল আছার: ৭২৬০; বায়হাকী, শু'আবুল ঈমান : ৮৫১২)
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. যেখানে মুসলিম-অমুসলিম সবরকম লোক থাকে, সেরকম জায়গায় গেলে সালাম দেওয়া চাই। তাতে লক্ষ্যবস্তু থাকবে মুসলিমগণ।
খ. প্রয়োজনে অমুসলিমদের সঙ্গে এক মজলিসে উপস্থিত থাকা যেতে পারে। তবে সতর্ক থাকতে হবে যাতে নিজের উপর তাদের কোনও প্রভাব না পড়ে।
কোনও কোনও বর্ণনায় আছে, তিনি যাচ্ছিলেন হযরত সা'দ ইবন উবাদা রাযি.-কে দেখতে। তিনি অসুস্থ ছিলেন। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মজলিসটির নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত লোকদের সালাম দিলেন। বলাবাহুল্য তাঁর সে সালামের লক্ষ্যবস্তু ছিল মুসলিমগণ। কেননা অমুসলিমদের সালাম দেওয়া যায় না। হাদীসে আছে- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমরা ইহুদি ও নাসারাকে আগে সালাম দিয়ো না। (সহীহ মুসলিম : : ২১৬৭; জামে তিরমিযী : ২৭০০; মুসনাদে আহমাদ: ৮৫৪০; মুসনাদুল ববযার: ৯০৫২; তহাবী, শারহু মা'আনিল আছার: ৭২৬০; বায়হাকী, শু'আবুল ঈমান : ৮৫১২)
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. যেখানে মুসলিম-অমুসলিম সবরকম লোক থাকে, সেরকম জায়গায় গেলে সালাম দেওয়া চাই। তাতে লক্ষ্যবস্তু থাকবে মুসলিমগণ।
খ. প্রয়োজনে অমুসলিমদের সঙ্গে এক মজলিসে উপস্থিত থাকা যেতে পারে। তবে সতর্ক থাকতে হবে যাতে নিজের উপর তাদের কোনও প্রভাব না পড়ে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
