শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২১. মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা

হাদীস নং: ৭২৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৮৫
কাফিরদেরকে সালাম দেয়া
৭২৮৪-৮৫। ইউনুস (রাহঃ) ..... আবু বাসরা আল-গিফারী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আমি ইয়াহুদীদের কাছে আগমন করছি, যদি তোমরা তাদের কাছে আগমন কর, আর তারা তোমাদেরকে সালাম দেয়, তাহলে তোমরা প্রতিউত্তরে বলবে, “তোমাদের উপরও।”

আবু বাকরা (রাহঃ) .... ইয়াযীদ ইবন আবু হাবীব (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন৷ তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
এসব হাদীসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বাণী দ্বারা ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদেরকে প্রথমে সালাম করতে নিষেধ করা হয়েছে। আর প্রথম হাদীসে দেখা যায় যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরকে সালাম দিয়েছেন। এ কথাটি উসামা (রাযিঃ) বলেছেন, এতে সন্তাবনা রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের মধ্যে যারা মুসলমান ছিলেন, তাদেরকে সালাম দেয়ার ইচ্ছে করেছিলেন। তিনি ইয়াহূদী, খ্রিষ্টান ও পৌত্তলিকদেরকে সালাম দেয়ার ইচ্ছে করেননি। এরূপ ব্যাখ্যা গ্রহণ করা হলে এ সব হাদীসের মধ্যে কোন বৈপরীত্ব থাকে না। কেননা কোন ব্যক্তি যদি এক দল লোককে সালাম দেয় আর এতে কিছু সংখ্যক লোক উদ্দেশ্য করা হয়, তাহলে এটা নৈধ । আবার এটাও হতে পারে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের সকলকে সালাম দিয়েছিলেন আর এটা ছিল ঐ সময়ের কথা, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে হুকুম দেয়া হয়েছিল, তিনি কোন উত্তম পন্থা ব্যতীত তাদের সাথে বিতর্ক না করেন। তখন সালাম দেয়ার কথাটি ছিল উত্তম পন্থার অন্তর্গত । অতঃপর তাদের সাথে লড়াই করার জন্যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে হুকুম দেয়া হয়েছিল এবং পূর্বে যে তাদের প্রতি সালাম দেয়ার বিধান ছিল, তা রহিত হয়ে গেল। এ ব্যাপারে আমরা গবেষণার আশ্রয় নিলাম এবং এ সম্পর্কে একটি বর্ণনাও খুঁজে পেলাম।
7284 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا بَصْرَةَ الْغِفَارِيَّ، يَقُولُ: إِنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " إِنِّي رَاكِبٌ إِلَى يَهُودَ , فَإِذَا أَتَيْتُمُوهُمْ , فَسَلَّمُوا عَلَيْكُمْ , فَقُولُوا: وَعَلَيْكُمْ " [ص:342]

7285 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ فَفِي هَذِهِ الْآثَارِ , النَّهْيُ عَنِ ابْتِدَاءِ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى بِالسَّلَامِ مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَفِي الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَلَّمَ عَلَيْهِمْ فِي قَوْلِ أُسَامَةَ. فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرَادَ بِسَلَامِهِ , مَنْ كَانَ فِيهِمْ مِنَ الْمُسْلِمِينَ , وَلَمْ يُرِدِ الْيَهُودَ , وَلَا النَّصَارَى , وَلَا عَبَدَةَ الْأَوْثَانِ , حَتَّى لَا تَتَضَادَّ هَذِهِ الْآثَارُ , وَهَذَا الَّذِي وَصَفْنَا جَائِزٌ. فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يُسَلِّمَ رَجُلٌ عَلَى جَمَاعَةٍ وَهُوَ يُرِيدُ بَعْضَهُمْ , وَقَدْ يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَلَّمَ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ لِأَنَّ ذَلِكَ كَانَ فِي وَقْتٍ قَدْ أُمِرَ فِيهِ أَنْ لَا يُجَادِلَهُمْ إِلَّا بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ , فَكَانَ السَّلَامُ مِنْ ذَلِكَ ثُمَّ أُمِرَ بِقِتَالِهِمْ وَمُنَابَذَتِهِمْ , فَنَسَخَ ذَلِكَ مَا كَانَ تَقَدَّمَ مِنْ سَلَامِهِ عَلَيْهِمْ. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ৭২৮৪ | মুসলিম বাংলা