শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২১. মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা

হাদীস নং: ৭২৪৯
স্বাধীনা মহিলাদের কেশের প্রতি গোলামের দৃষ্টি
৭২৪৯। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ)..... আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন যায়নাব বিনত জাহাশ (রাযিঃ)-কে বিবাহ করলেন তখন লোকদেরকে দাওয়াত করেন। লোকজন আহার্য গ্রহণ করেন। এরপর তারা আলোচনায় বসেন। কিছুক্ষণ পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়াতে উদ্যত হলেন কিন্তু তারা দাঁড়ালেন না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন এরূপ অবস্থা দেখলেন তখন নিজে দাঁড়িয়ে গেলেন। আর তাঁর সাথে লোকদের মধ্য হতে যারা দাড়াঁবার তারা দাঁড়ালেন কিন্তু তিনজন বসে রইলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফিরে এসে প্রবেশ করতে ইচ্ছে করলেন কিন্তু দেখলেন ঐ তিনজন বসে রয়েছেন। অনেকক্ষণ পর তারা উঠে দাঁড়ালেন এবং চলে গেলেন। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে গমন করলাম এবং সংবাদ দিলাম যে, তারা ইতোমধ্যে প্রত্যাগমন করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আগমন করলেন এবং ঘরে প্রবেশ করলেন। এরপর পর্দার আয়াত নাযিল হয়:
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلَّا أَن يُؤْذَنَ لَكُمْ إِلَىٰ طَعَامٍ غَيْرَ نَاظِرِينَ إِنَاهُ وَلَٰكِنْ إِذَا دُعِيتُمْ فَادْخُلُوا فَإِذَا طَعِمْتُمْ فَانتَشِرُوا وَلَا مُسْتَأْنِسِينَ لِحَدِيثٍ ۚ إِنَّ ذَٰلِكُمْ كَانَ يُؤْذِي النَّبِيَّ فَيَسْتَحْيِي مِنكُمْ ۖ وَاللَّهُ لَا يَسْتَحْيِي مِنَ الْحَقِّ ۚ وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِن وَرَاءِ حِجَابٍ ۚ ذَٰلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ ۚ وَمَا كَانَ لَكُمْ أَن تُؤْذُوا رَسُولَ اللَّهِ وَلَا أَن تَنكِحُوا أَزْوَاجَهُ مِن بَعْدِهِ أَبَدًا ۚ إِنَّ ذَٰلِكُمْ كَانَ عِندَ اللَّهِ عَظِيمًا
অর্থাৎ হে মু’মিনগণ! তোমাদেরকে অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা আহার্য প্রস্তুতির জন্যে অপেক্ষা না করে আহারের জন্য নবী গৃহে প্রবেশ করবে না। তবে তোমাদেরকে আহবান করলে তোমরা প্রবেশ করবে এবং আহার শেষে তোমরা চলে যাবে। তোমরা কথাবার্তায় মশগুল হয়ে পড়বে না। কারণ তোমাদের এ আচরণ নবীকে পীড়া দেয়। তোমাদেরকে তিনি উঠিয়ে দিতে সংকোচবোধ করেন, কিন্তু আল্লাহ্ সত্য বলতে সংকোচ বোধ করেন না। তোমরা তার পত্মীদের নিকট হতে কিছু চাইলে পর্দার অন্তরাল হতে চাবে। এ বিধান তোমাদের ও তাদের হৃদয়ের জন্য অধিকতর পবিত্র। তোমাদের কারোরও পক্ষে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-কে কষ্ট দেয়া অথবা তার মৃত্যুর পর তার স্ত্রীদেরকে বিয়ে করা সংগত নয়। আল্লাহর দৃষ্টিতে এটা ঘোরতর অপরাধ। (সূরা ৩৩:৫৩)।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, মু'মিনদের মাতাদেরকে এমন পর্দায় বিশেষিত করা হয়েছিল যা সাধারণ লোককে পর্দায় ভূষিত করা হয়নি।
যদি কেউ বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা ইরশাদ করেছেন:
وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا
অর্থাৎ, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আপনি মু'মিন নারীদেরকে বলুন তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশ থাকে তা ব্যতীত তাদের আভরণ প্রদর্শন না করে। অতঃপর আবার বলেন:
وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ
অর্থাৎ, তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভাই, ভাইয়ের পুত্র, বোনের পুত্র, আপন নারীগণ, তাদের মালিকানাধীন দাসী ব্যতীত কারো নিকট তাদের আভরণ প্রকাশ না করে।
এ আয়াতে তাদের মালিকানাধীন দাসীকে মাহরামদের ন্যায় মর্যাদা দেয়া হয়েছে। উত্তরে তাকে বলা যায়, তাদেরকে মাহরামদের ন্যায় মর্যাদা দেয়া হয়নি; বরং আল্লাহ্ তা'আলা ফরমান وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ -এর ব্যতিক্রমী একটি দলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাই স্বামী, পিতা ও অন্যান্যদেরকে মালিকানাধীন দাসীর ন্যায় উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের সম্পর্কে নির্দেশাবলী এক হিসেবে, তাদেরকে একত্রে এখানে উল্লেখ করা হয়নি। কেননা আমরা লক্ষ্য করেছি যে, স্বামীর জন্য স্ত্রীর এমন অঙ্গপ্রতঙ্গের দিকে দৃষ্টি করা বৈধ যা তার পিতার জন্যে বৈধ নয়। অতঃপর আল্লাহ্ তা'আলা বলেন: أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ অর্থাৎ অথবা তাদের মালিকানাধীন দাসী। সুতরাং তাদেরকে তাদের পূর্বে উল্লেখিত জনগোষ্টীর সাথে উল্লেখ করায় এ কথা বুঝানো হয়নি যে, এদের হুকুম তাদের হুকুমের ন্যায়; বরং এ আয়াতে যা মালিকানাধীন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে মুবাহ করা হয়েছে, তাহল নারীদের প্রতি তাদের নযর করা। আর এটা হল যা সাধারণত প্রকাশ তাঁকে যেমন চেহারা, দুহাতের তালু। আর এগুলো মালিকানাধীন জন্য মুবাহ্ করা এবং তাদেরকে মাহরাম হিসেবে গণ্য না করায় এ কথা বুঝা যায় যে, স্বাধীন পুরুষগণ যারা মাহরাম নয়, তারা নারীদের জন্যে নযরের দিক্ দিয়ে অনুরূপ হারাম। আর এ তত্ত্বটি আব্দ ইবন যামআ' কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে উম্মুল মু'মিনীন হযরত সাওদাহ্ (রাযিঃ)-কে লক্ষ্য করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বাণী "তুমি তার থেকে পর্দা করবে" দ্বারা সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সুতরাং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হযরত সাওদাহ্ (রাযিঃ)-কে ঐ লোকটি থেকে পর্দা করতে হুকুম দেন যে তার পিতার দাসীর ছেলে, সে হয়ত হবে তাঁর ভাই, নয়ত তাঁর পিতার দাসীর ছেলে।
দ্বিতীয় অবস্থায় সে হবে তাঁর ও তাঁর পিতার সমস্ত ওয়ারিসের মালিকানাধীন সম্পদ। অতঃপর আমরা অবগত হলাম যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে হযরত সাওদা (রাযিঃ)-এর ভাই হিসেবে পর্দা করতে বলেননি, বরং সে তাঁর ভাই নয় এ হিসেবে পর্দা করতে বলেছেন। আর সে এ অবস্থায় হল মালিকানাধীন সম্পদ। সুতরাং সে তার গোলামী নিয়ে হযরত সাওদা (রাযিঃ)-এর প্রতি নযর করতে পারে না বা নযর করা তার জন্যে বৈধ নয়। এ হিসেবে এ হাদীসটি হযরত উম্মে সালামা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের বিপরীত মনে হয়। তাই প্রশ্নকারীর বক্তব্যের আলোকে আমাদের উল্লেখিত আয়াতটি হযরত সাওদা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের প্রতি পথ নির্দেশ করে যে, এটার হুকুম সমস্ত নারীর জন্যে, নবীর স্ত্রীদের জন্যে শুধু নয়। কেননা নবীর স্ত্রীদের গোলামরা তাঁদের দিকে নযর করার ক্ষেত্রে এমন আত্মীয়-স্বজনের ন্যায় যাদের পরস্পরে এবং তাদের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক নেই। আর তারা এমন আত্মীয়ের ন্যায় নয় যাদের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের মতে প্রত্যেক ব্যক্তিই যার মধ্যে ও তাদের মধ্যে মাহরাম সম্পর্ক, সে এমন আত্মীয়ের হুকুমে গণ্য যে আমাদের বর্ণিত প্রতিরোধের ক্ষেত্রে মুহরিম। অতঃপর আমরা গবেষণার আশ্রয় নিলাম যাতে দুটি মতামত থেকে একটি বিশুদ্ধ মতামত উদ্ভাবন করতে পারি। আমরা লক্ষ্য করলাম আত্মীয়ের জন্যে কোন দোষ নেই যদি সে মহিলাটির মাহরাম হয় তাহলে সে তার চেহারা, কেশ ও হাঁটুর নিম্নভাগে নযর করতে পারে । আর গায়র মাহরাম আত্মীয় তার শুধু চেহারা ও দুই হাতের তালুর প্রতি নযর করতে পারে। আরো দেখলাম গোলামকে, যার পক্ষে সকলের মতে স্ত্রীলোকের খোলা বুক কিংবা তার দুই পায়ের নলী দেখা অবৈধ, সে ঐ স্ত্রীলোকের গোলাম হোক কিংবা অন্যের গোলাম হোক তাতে কোন পার্থক্য নেই।
আমাদের উল্লেখিত বর্ণনানুযায়ী যখন সে নারীর কাছে অপরিচিত লোকের ন্যায়, তার মাহরামের ন্যায় নয়। তাহলে তার কেশের দিকে নযর করার ক্ষেত্রেও সে অপরিচিত লোকের ন্যায়ই হবে, নারীর মাহরামের ন্যায় হবে না। এ অনুচ্ছেদে গবেষণার ফলাফল এটাই ।
আর এটা আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসুফ রে) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত । এ ব্যাপারে তাদের সাথে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন মুতাকাদ্দিমীনের হযরত হাসান বসরী (রাহঃ) ও ইমাম আশ-শাবী (রাহঃ)।
7249 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُعَاذٍ، قَالَ: ثنا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي مُجَالِدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: لَمَّا تَزَوَّجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ , دَعَا الْقَوْمَ , فَطَعِمُوا , ثُمَّ جَلَسُوا يَتَحَدَّثُونَ , فَأَخَذَ كَأَنَّهُ يَتَهَيَّأُ لِلْقِيَامِ , فَلَمْ يَقُومُوا. فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ قَامَ , وَقَامَ مَنْ قَامَ مَعَهُ الْقَوْمُ , وَقَعَدَ الثَّلَاثَةُ. ثُمَّ إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَ فَدَخَلَ , فَإِذَا الْقَوْمُ جُلُوسٌ , ثُمَّ إِنَّهُمْ قَامُوا وَانْطَلَقُوا. فَجِئْتُ فَأَخْبَرْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُمْ قَدِ انْطَلَقُوا , فَجَاءَ فَدَخَلَ , وَأُنْزِلَتْ آيَةُ الْحِجَابِ {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلَّا أَنْ يُؤْذَنَ} [الأحزاب: 53] الْآيَةَ " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَكُنَّ أُمَّهَاتُ الْمُؤْمِنِينَ قَدْ خُصِصْنَ بِالْحِجَابِ مَا لَمْ يُجْعَلْ فِيهِ سَائِرُ النَّاسِ مِثْلَهُنَّ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَقَدْ قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ {وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا} [النور: 31] ثُمَّ قَالَ {وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ} [النور: 31] فَجَعَلَ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ كَذِي الرَّحِمِ الْمَحْرَمِ فِيهِنَّ. قِيلَ لَهُ: مَا جَعَلَهُنَّ كَذَلِكَ وَلَكِنَّهُ ذَكَرَ جَمَاعَةً مُسْتَثْنِينَ مِنْ قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ {وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ} [النور: 31] فَذَكَرَ الْبُعُولَ , وَذَكَرَ الْآبَاءَ , وَمَنْ ذُكِرَ مَعَهُمْ , مِثْلُ مَا ذَكَرَهُ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ. فَلَمْ يَكُنْ جَمْعُهُ بَيْنَهُمْ , بِدَلِيلٍ عَلَى اسْتِوَاءِ أَحْكَامِهِمْ , لِأَنَّا قَدْ رَأَيْنَا الْبَعْلَ قَدْ يَجُوزُ لَهُ أَنْ يَنْظُرَ مِنِ امْرَأَتِهِ إِلَى مَا لَا يَنْظُرُ إِلَيْهَا أَبُوهَا مِنْهَا. ثُمَّ قَالَ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ فَلَا يَكُونُ ضَمُّهُ أُولَئِكَ مَعَ مَا قَبْلِهِمْ , بِدَلِيلِ أَنَّ حُكْمَهُمْ , مِثْلُ حُكْمِهِمْ. وَلَكِنِ الَّذِي أُبِيحَ بِهَذِهِ الْآيَةِ لِلْمَمْلُوكِينَ مِنَ النَّظَرِ إِلَى النِّسَاءِ , إِنَّمَا هُوَ مَا ظَهَرَ مِنَ الزِّينَةِ , وَهُوَ الْوَجْهُ وَالْكَفَّانِ. وَفِي إِبَاحَتِهِ ذَلِكَ لِلْمَمْلُوكِينَ , وَلَيْسُوا بِذَوِي أَرْحَامٍ مُحَرَّمَةٍ , دَلِيلٌ أَنَّ الْأَحْرَارَ الَّذِينَ لَيْسُوا بِذَوِي أَرْحَامٍ , مُحَرَّمَةٍ مِنَ النِّسَاءِ فِي ذَلِكَ كَذَلِكَ. وَقَدْ بَيَّنَ هَذَا الْمَعْنَى مَا فِي حَدِيثِ عَبْدِ بْنِ زَمْعَةَ مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِسَوْدَةِ احْتَجِبِي مِنْهُ فَأَمَرَهَا بِالْحِجَابِ مِنْهُ وَهُوَ ابْنُ وَلِيدَةِ أَبِيهَا , وَلَيْسَ يَخْلُو أَنْ يَكُونَ أَخَاهَا , أَوِ ابْنَ وَلِيدَةِ أَبِيهَا , فَيَكُونُ مَمْلُوكًا لَهَا , وَلِسَائِرِ وَرَثَةِ أَبِيهَا. [ص:335] فَعَلِمْنَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَحْجُبْهَا مِنْهُ , لِأَنَّهُ أَخُوهَا , وَلَكِنْ , لِأَنَّهُ غَيْرُ أَخِيهَا , وَهُوَ فِي تِلْكَ الْحَالِ , مَمْلُوكٌ , فَلَمْ يَحِلَّ لَهُ، بِرِقِّهِ، النَّظَرُ إِلَيْهَا. فَقَدْ ضَادَّ هَذَا الْحَدِيثُ , حَدِيثَ أُمِّ سَلَمَةَ , وَخَالَفَهُ , وَصَارَتِ الْآيَةُ الَّتِي ذَكَرْنَا عَلَى قَوْلِ هَذَا الذَّاهِبِ إِلَى حَدِيثِ سَوْدَةَ أَنَّهَا عَلَى سَائِرِ النِّسَاءِ دُونَ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ , وَأَنَّ عَبِيدَ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ كَانُوا فِي حُكْمِ النَّظَرِ إِلَيْهِنَّ فِي حُكْمِ الْقُرَبَاءِ مِنْهُنَّ الَّذِينَ لَا رَحِمَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَهُنَّ , لَا فِي حُكْمِ ذَوِي الْأَرْحَامِ مِنْهُنَّ الْمُحَرَّمَةِ. وَكُلُّ مَنْ كَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُنَّ مَحْرَمَةٌ , فَهُوَ عِنْدَنَا فِي حُكْمِ ذَوِي الْأَرْحَامِ الْمُحَرَّمَةِ فِي مَنْعِ مَا وَصَفْنَا. ثُمَّ رَجَعْنَا إِلَى النَّظَرِ , لِنَسْتَخْرِجَ بِهِ مِنَ الْقَوْلَيْنِ , قَوْلًا صَحِيحًا. فَرَأَيْنَا ذَا الرَّحِمِ لَا بَأْسَ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى الْمَرْأَةِ الَّتِي هُوَ لَهَا مَحْرَمٌ إِلَى وَجْهِهَا , وَصَدْرِهَا , وَشَعْرِهَا , وَمَا دُونَ رُكْبَتِهَا. وَرَأَيْنَا الْقَرِيبَ مِنْهَا يَنْظُرُ إِلَى وَجْهِهَا وَكَفَّيْهَا فَقَطْ. ثُمَّ رَأَيْنَا الْعَبْدَ حَرَامٌ عَلَيْهِ، فِي قَوْلِهِمْ جَمِيعًا أَنْ يَنْظُرَ إِلَى صَدْرِ الْمَرْأَةِ مَكْشُوفًا , أَوْ إِلَى سَاقَيْهَا , سَوَاءً كَانَ رِقُّهُ لَهَا أَوْ لِغَيْرِهَا. فَلَمَّا كَانَ فِيمَا ذَكَرْنَا , كَالْأَجْنَبِيِّ مِنْهَا , لَا كَذِي رَحِمِهَا الْمَحْرَمِ عَلَيْهَا كَانَ فِي النَّظَرِ إِلَى شَعْرِهَا أَيْضًا كَالْأَجْنَبِيِّ لَا كَذِي رَحِمِهَا الْمَحْرَمِ عَلَيْهَا. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ فِي هَذَا الْبَابِ وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَقَدْ وَافَقَهُمْ فِي ذَلِكَ مِنَ الْمُتَقَدِّمِينَ , الْحَسَنُ , وَالشَّعْبِيُّ
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ৭২৪৯ | মুসলিম বাংলা