শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২১. মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা
হাদীস নং: ৭০৪০
কবিতা আবৃত্তি করা মাকরূহ কিনা
৭০৪০। মুহাম্মাদ ইবন আলী ইবন দাউদ (রাহঃ) ..... জাবির ইবন আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বললেন, আকরা ইবন হারিস (রাযিঃ) তাদের যুবকদের থেকে এক যুবককে বললেন, উঠ, নিজের এবং নিজ কাওমের শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা কর। অনন্তর সে দাঁড়াল এবং বলল : (কবিতা)
আমরা সম্মানিত, কোন গোত্র আমাদের সমকক্ষ নয়, আমরা মর্যাদাসম্পন্ন, নেতৃত্ব আমাদের মাঝে বণ্টন হয়।
আমরা দুর্ভিক্ষের সময় সমস্ত লোকদেরকে (উটের কুঁজের চর্বি আহার করাই, যখন ছোট উট পাওয়া না যায়।
যখন আমরা এসে যাব তবে আমাদের সমকক্ষ কেউ হতে পারে না, আমরা অভিজাত; গৌরবের সময় আমরা উঁচু হই।
বর্ণনাকারী বলেন, অনন্তর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, হে হাসান, তাকে জবাব দাও। তিনি বললেন : (কবিতা)
আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এবং দ্বীনের পরিপূর্ণ সাহায্য করেছি, এবং এটা শহর ও গ্রামের অবাধ্য লোকদের বিরোধী।
এরূপ প্রহারের সঙ্গে (সাহায্য করেছে) যা গর্ভবর্তী উষ্ট্রীর পেশাবের ন্যায় দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে; এবং এরূপ বর্শা মারামারির সঙ্গে যা দুর্গন্ধবতী এবং তৃপ্ত উষ্ট্রীর মুখের ন্যায়।
আমরা কি বড় যুদ্ধের মাঝে মৃত্যুর মধ্যে ঢুকে পড়িনি? যখন সেনাদের মাঝে প্রচণ্ড বিবাদ হয়,
আমরা বর্ম পরিহিতদের গর্দান উড়িয়ে দেই এবং গর্বকারী গোত্র গাসসান-এর মূলের দিকে ধাবিত হয়েছি।
যদি আল্লাহর হাবীব না হতেন, তবে আমরা দুই গোত্রের সঙ্গে লোকদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করে বলতে পারতাম, কোন গর্বকারী আছে কি?
সুতরাং আমাদের গোত্রগুলো ঐ সমস্ত লোক অপেক্ষা উত্তম যারা ভূমিতে বিচরণ করে এবং আমাদের মৃতরা কবরস্থদের থেকে উত্তম ।
সুতরাং যখন এই সমস্ত মুতাওয়াতির রিওয়ায়াতসমূহে কবিতা আবৃত্তির বৈধতা ব্যক্ত হয়েছে, তাই সাব্যস্ত হয়েছে। যে, প্রথমোক্ত রিওয়ায়াতসমূহে যে নিষেধাজ্ঞা বিধৃত হয়েছে তা এই জন্য নয় যে, কবিতা আবৃত্তি করা মাকরূহ। বরং তা ঐ বৈশিষ্ট্যের কারণে যা কবিতায় পাওয়া যায় এবং এর কারণে তিনি নিষেধ করেছেন। একদল আলিম এই সমস্ত (উল্লেখিত) রিওয়ায়াতসমূহের বিশ্লেষণের ব্যাপারে আমাদের বর্ণনাকৃত বিশ্লেষণের পরিপন্থি বিশ্লেষণ করছেন। যা আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এই অনুচ্ছেদের শুরুতে বর্ণনা করেছি। তাঁরা বলেন, যদি এ দ্বারা ঐ কবিতা উদ্দেশ্য হতো যাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিন্দাবাদ করা হয়েছে, তাহলে উদরপূর্ণ হওয়ার কোন অর্থ হতো না। কেননা সংশ্লিষ্ট ব্যাপার অল্প-বিস্তর কুফরী। পক্ষান্তরে উদরপূর্ণ হওয়ার উল্লেখ করাতে প্রতীয়মান হয় যে, উদরপূর্ণ হওয়াতে যে বিষয়টি রয়েছে তা এর থেকে কমের মধ্যেই নেই। তিনি বলেন, আমাদের নিকট তা দ্বারা সেই সমস্ত কবিতা উদ্দেশ্য যা উদরকে ভরে দেয় এবং তাতে কুরআন শরীফ ও তাসবীহ ইত্যাদি কিছু হবে না। পক্ষান্তরে সেই ব্যক্তি, যার উদরে কুরআনও রয়েছে এবং কবিতাও রয়েছে, তাহলে সে ঐ সমস্ত লোকের অন্তর্ভুক্ত হবে না যাদের উদর কবিতা দিয়ে পূর্ণ। আর সে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর ঐ বাণী থেকে বহির্ভূত যে, তোমাদের কারো উদর কবিতা দিয়ে পূর্ণ হওয়া অপেক্ষা পুঁজ দিয়ে পূর্ণ হওয়া উত্তম।
ইবন আবী ইমরান (রাহঃ) বলেন, আমি উবায়দুল্লাহ্ ইবন মুহাম্মাদ ইবন আয়েশাকে এ হাদীসের এই বিশ্লেষণ করতে শুনেছি। আমি ইবন আবী ইমরান (রাহঃ) আলী ইবন আব্দুল আযীয (রাহঃ) থেকে শুনেছি। তারা উভয়ে আবু উবায়দ (রাহঃ) থেকে এটি-ই নকল করেছেন।
আমরা সম্মানিত, কোন গোত্র আমাদের সমকক্ষ নয়, আমরা মর্যাদাসম্পন্ন, নেতৃত্ব আমাদের মাঝে বণ্টন হয়।
আমরা দুর্ভিক্ষের সময় সমস্ত লোকদেরকে (উটের কুঁজের চর্বি আহার করাই, যখন ছোট উট পাওয়া না যায়।
যখন আমরা এসে যাব তবে আমাদের সমকক্ষ কেউ হতে পারে না, আমরা অভিজাত; গৌরবের সময় আমরা উঁচু হই।
বর্ণনাকারী বলেন, অনন্তর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, হে হাসান, তাকে জবাব দাও। তিনি বললেন : (কবিতা)
আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এবং দ্বীনের পরিপূর্ণ সাহায্য করেছি, এবং এটা শহর ও গ্রামের অবাধ্য লোকদের বিরোধী।
এরূপ প্রহারের সঙ্গে (সাহায্য করেছে) যা গর্ভবর্তী উষ্ট্রীর পেশাবের ন্যায় দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে; এবং এরূপ বর্শা মারামারির সঙ্গে যা দুর্গন্ধবতী এবং তৃপ্ত উষ্ট্রীর মুখের ন্যায়।
আমরা কি বড় যুদ্ধের মাঝে মৃত্যুর মধ্যে ঢুকে পড়িনি? যখন সেনাদের মাঝে প্রচণ্ড বিবাদ হয়,
আমরা বর্ম পরিহিতদের গর্দান উড়িয়ে দেই এবং গর্বকারী গোত্র গাসসান-এর মূলের দিকে ধাবিত হয়েছি।
যদি আল্লাহর হাবীব না হতেন, তবে আমরা দুই গোত্রের সঙ্গে লোকদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করে বলতে পারতাম, কোন গর্বকারী আছে কি?
সুতরাং আমাদের গোত্রগুলো ঐ সমস্ত লোক অপেক্ষা উত্তম যারা ভূমিতে বিচরণ করে এবং আমাদের মৃতরা কবরস্থদের থেকে উত্তম ।
সুতরাং যখন এই সমস্ত মুতাওয়াতির রিওয়ায়াতসমূহে কবিতা আবৃত্তির বৈধতা ব্যক্ত হয়েছে, তাই সাব্যস্ত হয়েছে। যে, প্রথমোক্ত রিওয়ায়াতসমূহে যে নিষেধাজ্ঞা বিধৃত হয়েছে তা এই জন্য নয় যে, কবিতা আবৃত্তি করা মাকরূহ। বরং তা ঐ বৈশিষ্ট্যের কারণে যা কবিতায় পাওয়া যায় এবং এর কারণে তিনি নিষেধ করেছেন। একদল আলিম এই সমস্ত (উল্লেখিত) রিওয়ায়াতসমূহের বিশ্লেষণের ব্যাপারে আমাদের বর্ণনাকৃত বিশ্লেষণের পরিপন্থি বিশ্লেষণ করছেন। যা আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এই অনুচ্ছেদের শুরুতে বর্ণনা করেছি। তাঁরা বলেন, যদি এ দ্বারা ঐ কবিতা উদ্দেশ্য হতো যাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিন্দাবাদ করা হয়েছে, তাহলে উদরপূর্ণ হওয়ার কোন অর্থ হতো না। কেননা সংশ্লিষ্ট ব্যাপার অল্প-বিস্তর কুফরী। পক্ষান্তরে উদরপূর্ণ হওয়ার উল্লেখ করাতে প্রতীয়মান হয় যে, উদরপূর্ণ হওয়াতে যে বিষয়টি রয়েছে তা এর থেকে কমের মধ্যেই নেই। তিনি বলেন, আমাদের নিকট তা দ্বারা সেই সমস্ত কবিতা উদ্দেশ্য যা উদরকে ভরে দেয় এবং তাতে কুরআন শরীফ ও তাসবীহ ইত্যাদি কিছু হবে না। পক্ষান্তরে সেই ব্যক্তি, যার উদরে কুরআনও রয়েছে এবং কবিতাও রয়েছে, তাহলে সে ঐ সমস্ত লোকের অন্তর্ভুক্ত হবে না যাদের উদর কবিতা দিয়ে পূর্ণ। আর সে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর ঐ বাণী থেকে বহির্ভূত যে, তোমাদের কারো উদর কবিতা দিয়ে পূর্ণ হওয়া অপেক্ষা পুঁজ দিয়ে পূর্ণ হওয়া উত্তম।
ইবন আবী ইমরান (রাহঃ) বলেন, আমি উবায়দুল্লাহ্ ইবন মুহাম্মাদ ইবন আয়েশাকে এ হাদীসের এই বিশ্লেষণ করতে শুনেছি। আমি ইবন আবী ইমরান (রাহঃ) আলী ইবন আব্দুল আযীয (রাহঃ) থেকে শুনেছি। তারা উভয়ে আবু উবায়দ (রাহঃ) থেকে এটি-ই নকল করেছেন।
7040 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا مُعَلَّى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْوَاسِطِيُّ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْحَكَمِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: قَالَ الْأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ , لِشَابٍّ مِنْ شُبَّانِهِمْ، قُمْ , فَاذْكُرْ فَضْلَكَ وَفَضْلَ قَوْمِكَ، فَقَامَ، فَقَالَ:
[البحر البسيط]
نَحْنُ الْكِرَامُ فَلَا حَيٌّ يُعَادِلُنَا ... نَحْنُ الْكِرَامُ وَفِينَا يُقْسَمُ الرُّبُعُ
وَنُطْعِمُ النَّاسَ عِنْدَ الْقَحْطِ كُلَّهُمْ ... مِنَ الشَّرِيفِ إِذَا لَمْ يُونُسُ الْقَرَعُ
إِذَا أَبَيْنَا فَلَا يُعْدَلُ بِنَا أَحَدٌ ... إِنَّا كِرَامٌ وَعِنْدَ الْفَخْرِ نَرْتَفِعُ
قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا حَسَّانُ أَجِبْهُ» ، فَقَالَ:
[البحر الطويل]
نَصَرْنَا رَسُولَ اللهِ وَالدِّينَ عَنْوَةً ... عَلَى رَغْمِ عَاتٍ مِنْ بَعِيدٍ وَحَاضِرِ
بِضَرْبٍ كَإِنْزَاعِ الْمَخَاضِ مُشَاشَةً ... وَطَعْنٍ كَأَفْوَاهِ اللِّقَاحِ الصَّوَادِرِ
أَلَسْنَا نَخُوضُ الْمَوْتَ فِي حَوْمَةِ الْوَغَى ... إِذَا صَارَ بَرْدُ الْمَوْتِ بَيْنَ الْعَسَاكِرِ
وَنَضْرِبُ هَامَ الدَّارِعِينَ وَنَنْتَمِي ... إِلَى حَسَبٍ مِنْ حَرَمِ غَسَّانَ بَاهِرِ
وَلَوْلَا حَبِيبُ اللهِ قُلْنَا تَكَرُّمًا ... عَلَى النَّاسِ بِالْحَنِينِ هَلْ مِنْ مَفَاخِرِ
فَأَحْيَاؤُنَا مِنْ خَيْرِ مَنْ وَطِئَ الْحَصَى ... وَأَمْوَاتُنَا مِنْ خَيْرِ أَهْلِ الْمَقَابِرِ
فَلَمَّا جَاءَتْ هَذِهِ الْآثَارُ مُتَوَاتِرَةً بِإِبَاحَةِ قَوْلِ الشِّعْرِ , ثَبَتَ أَنَّ مَا نُهِيَ عَنْهُ فِي الْآثَارِ الْأُوَلِ , لَيْسَ لِأَنَّ الشِّعْرَ مَكْرُوهٌ , وَلَكِنْ لِمَعْنًى كَانَ فِي خَاصٍّ مِنَ الشِّعْرِ , قَصَدَ بِذَلِكَ النَّهْيَ إِلَيْهِ. وَقَدْ ذَهَبَ قَوْمٌ فِي تَأْوِيلِ هَذِهِ الْآثَارِ الَّتِي ذَكَرْنَاهَا , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ إِلَى خِلَافِ التَّأْوِيلِ الَّذِي وَصَفْنَا. فَقَالُوا: لَوْ كَانَ أُرِيدَ بِذَلِكَ مَا هُجِيَ بِهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الشِّعْرِ , لَمْ يَكُنْ لِذِكْرِ الِامْتِلَاءِ مَعْنًى , لِأَنَّ قَلِيلَ ذَلِكَ وَكَثِيرَهُ كُفْرٌ وَلَكِنْ ذِكْرُ الِامْتِلَاءِ , يَدُلُّ عَلَى مَعْنًى فِي الِامْتِلَاءِ , لَيْسَ فِيمَا دُونَهُ. قَالَ: فَهُوَ عِنْدَنَا , عَلَى الشِّعْرِ الَّذِي يَمْلَأُ الْجَوْفَ , فَلَا يَكُونُ فِيهِ قُرْآنٌ وَلَا تَسْبِيحٌ وَلَا غَيْرُهُ. [ص:301] فَأَمَّا مَا كَانَ فِي جَوْفِهِ الْقُرْآنُ وَالشِّعْرُ مَعَ ذَلِكَ , فَلَيْسَ مِمَّنِ امْتَلَأَ جَوْفُهُ شِعْرًا , فَهُوَ خَارِجٌ مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَأَنْ يَمْتَلِئَ جَوْفُ أَحَدِكُمْ قَيْحًا , خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَمْتَلِئَ شِعْرًا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عِمْرَانَ، قَالَ: سَمِعْتُ عُبَيْدَ اللهِ بْنَ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , يُفَسِّرُ هَذَا الْحَدِيثَ عَلَى هَذَا التَّفْسِيرِ , وَسَمِعْتُ ابْنَ أَبِي عِمْرَانَ أَيْضًا , وَعَلِيَّ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ , يَذْكُرَانِ ذَلِكَ , عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ أَيْضًا
[البحر البسيط]
نَحْنُ الْكِرَامُ فَلَا حَيٌّ يُعَادِلُنَا ... نَحْنُ الْكِرَامُ وَفِينَا يُقْسَمُ الرُّبُعُ
وَنُطْعِمُ النَّاسَ عِنْدَ الْقَحْطِ كُلَّهُمْ ... مِنَ الشَّرِيفِ إِذَا لَمْ يُونُسُ الْقَرَعُ
إِذَا أَبَيْنَا فَلَا يُعْدَلُ بِنَا أَحَدٌ ... إِنَّا كِرَامٌ وَعِنْدَ الْفَخْرِ نَرْتَفِعُ
قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا حَسَّانُ أَجِبْهُ» ، فَقَالَ:
[البحر الطويل]
نَصَرْنَا رَسُولَ اللهِ وَالدِّينَ عَنْوَةً ... عَلَى رَغْمِ عَاتٍ مِنْ بَعِيدٍ وَحَاضِرِ
بِضَرْبٍ كَإِنْزَاعِ الْمَخَاضِ مُشَاشَةً ... وَطَعْنٍ كَأَفْوَاهِ اللِّقَاحِ الصَّوَادِرِ
أَلَسْنَا نَخُوضُ الْمَوْتَ فِي حَوْمَةِ الْوَغَى ... إِذَا صَارَ بَرْدُ الْمَوْتِ بَيْنَ الْعَسَاكِرِ
وَنَضْرِبُ هَامَ الدَّارِعِينَ وَنَنْتَمِي ... إِلَى حَسَبٍ مِنْ حَرَمِ غَسَّانَ بَاهِرِ
وَلَوْلَا حَبِيبُ اللهِ قُلْنَا تَكَرُّمًا ... عَلَى النَّاسِ بِالْحَنِينِ هَلْ مِنْ مَفَاخِرِ
فَأَحْيَاؤُنَا مِنْ خَيْرِ مَنْ وَطِئَ الْحَصَى ... وَأَمْوَاتُنَا مِنْ خَيْرِ أَهْلِ الْمَقَابِرِ
فَلَمَّا جَاءَتْ هَذِهِ الْآثَارُ مُتَوَاتِرَةً بِإِبَاحَةِ قَوْلِ الشِّعْرِ , ثَبَتَ أَنَّ مَا نُهِيَ عَنْهُ فِي الْآثَارِ الْأُوَلِ , لَيْسَ لِأَنَّ الشِّعْرَ مَكْرُوهٌ , وَلَكِنْ لِمَعْنًى كَانَ فِي خَاصٍّ مِنَ الشِّعْرِ , قَصَدَ بِذَلِكَ النَّهْيَ إِلَيْهِ. وَقَدْ ذَهَبَ قَوْمٌ فِي تَأْوِيلِ هَذِهِ الْآثَارِ الَّتِي ذَكَرْنَاهَا , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ إِلَى خِلَافِ التَّأْوِيلِ الَّذِي وَصَفْنَا. فَقَالُوا: لَوْ كَانَ أُرِيدَ بِذَلِكَ مَا هُجِيَ بِهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الشِّعْرِ , لَمْ يَكُنْ لِذِكْرِ الِامْتِلَاءِ مَعْنًى , لِأَنَّ قَلِيلَ ذَلِكَ وَكَثِيرَهُ كُفْرٌ وَلَكِنْ ذِكْرُ الِامْتِلَاءِ , يَدُلُّ عَلَى مَعْنًى فِي الِامْتِلَاءِ , لَيْسَ فِيمَا دُونَهُ. قَالَ: فَهُوَ عِنْدَنَا , عَلَى الشِّعْرِ الَّذِي يَمْلَأُ الْجَوْفَ , فَلَا يَكُونُ فِيهِ قُرْآنٌ وَلَا تَسْبِيحٌ وَلَا غَيْرُهُ. [ص:301] فَأَمَّا مَا كَانَ فِي جَوْفِهِ الْقُرْآنُ وَالشِّعْرُ مَعَ ذَلِكَ , فَلَيْسَ مِمَّنِ امْتَلَأَ جَوْفُهُ شِعْرًا , فَهُوَ خَارِجٌ مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَأَنْ يَمْتَلِئَ جَوْفُ أَحَدِكُمْ قَيْحًا , خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَمْتَلِئَ شِعْرًا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عِمْرَانَ، قَالَ: سَمِعْتُ عُبَيْدَ اللهِ بْنَ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , يُفَسِّرُ هَذَا الْحَدِيثَ عَلَى هَذَا التَّفْسِيرِ , وَسَمِعْتُ ابْنَ أَبِي عِمْرَانَ أَيْضًا , وَعَلِيَّ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ , يَذْكُرَانِ ذَلِكَ , عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ أَيْضًا
