শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২১. মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা
হাদীস নং: ৬৯১৮
মসজিদে তীর নিয়ে অতিক্রমকারী প্রসঙ্গে
৬৯১৮। আবু বাকরা (রাহঃ) ও আলী ইবন মা'বাদ (রাহঃ) ..... আবু মুসা (রাযিঃ) সূত্রে নবী থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ আমাদের মসজিদে অথবা (বলেছেন) আমাদের মসজিদসমূহে তীর হাতে নিয়ে অতিক্রম করে সে যেন এর ফলা নিয়ন্ত্রণ করে, কাউকে যেন এর দ্বারা আঘাত বা যখম না করে।
পর্যালোচনা: আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, এক দল আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন যে, যদি কোন ব্যক্তি মসজিদ দিয়ে অতিক্রম করে এবং সে ঐ বস্তু বহন করে যা সে বহন করতে চায়, এতে কোন অসুবিধা নেই। তারা এ ব্যাপারে এই হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাদের বিরোধিতা করে বলেছেন যে, কোন ব্যক্তির জন্য জায়েয নেই, সে এরূপ বস্তু বহন করে মসজিদ অতিক্রম করবে। তবে এ নিয়ে সালাতের জন্য প্রবেশ হওয়া অথবা প্রবেশ হওয়ার প্রাক্কালে ঐ বস্তু সদকা করার ইচ্ছা থাকা। পক্ষান্তরে যদি শুধু অতিক্রম করার নিমিত্ত প্রবেশ হয় তাহলে এটা মাকরূহ হবে। তারা বলেন, সম্ভবত আবু মুসা (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতে যা কিছু আমরা উল্লেখ করেছি, তাতে নবী (ﷺ) সদকার জন্য প্রবেশ করা উদ্দেশ্য নিয়েছেন। তাই আমরা লক্ষ্য করার প্রয়াস পাব, এ বিষয়ে কোন রিওয়ায়াত পাই কিনা- যা এর প্রমাণ বহণ করে। নিম্নোক্ত রিওয়ায়াতসমূহ লক্ষণীয় :
পর্যালোচনা: আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, এক দল আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন যে, যদি কোন ব্যক্তি মসজিদ দিয়ে অতিক্রম করে এবং সে ঐ বস্তু বহন করে যা সে বহন করতে চায়, এতে কোন অসুবিধা নেই। তারা এ ব্যাপারে এই হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাদের বিরোধিতা করে বলেছেন যে, কোন ব্যক্তির জন্য জায়েয নেই, সে এরূপ বস্তু বহন করে মসজিদ অতিক্রম করবে। তবে এ নিয়ে সালাতের জন্য প্রবেশ হওয়া অথবা প্রবেশ হওয়ার প্রাক্কালে ঐ বস্তু সদকা করার ইচ্ছা থাকা। পক্ষান্তরে যদি শুধু অতিক্রম করার নিমিত্ত প্রবেশ হয় তাহলে এটা মাকরূহ হবে। তারা বলেন, সম্ভবত আবু মুসা (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতে যা কিছু আমরা উল্লেখ করেছি, তাতে নবী (ﷺ) সদকার জন্য প্রবেশ করা উদ্দেশ্য নিয়েছেন। তাই আমরা লক্ষ্য করার প্রয়াস পাব, এ বিষয়ে কোন রিওয়ায়াত পাই কিনা- যা এর প্রমাণ বহণ করে। নিম্নোক্ত রিওয়ায়াতসমূহ লক্ষণীয় :
بَابُ الرَّجُلِ يَتَطَرَّقُ فِي الْمَسْجِدِ بِالسِّهَامِ
6918 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ وَعَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَا: ثنا أَبُو أَحْمَدَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ , قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ , عَنْ أَبِي بُرْدَةَ , عَنْ أَبِي مُوسَى , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا مَرَّ أَحَدُكُمْ فِي مَسْجِدِنَا , أَوْ فِي مَسَاجِدِنَا , وَفِي يَدِهِ سِهَامٌ , فَلْيُمْسِكْ بِنِصَالِهَا , لَا يَعْقِرُ بِهَا أَحَدًا» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّهُ لَا بَأْسَ أَنْ يَتَخَطَّى الرَّجُلُ الْمَسْجِدَ , وَهُوَ حَامِلٌ مَا أَرَادَ حَمْلَهُ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , وَقَالُوا: لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يَدْخُلَ الْمَسْجِدَ , وَهُوَ حَامِلٌ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ , إِلَّا أَنْ يَكُونَ دَخَلَ بِهِ يُرِيدُ بِدُخُولِهِ الصَّلَاةَ , أَوْ أَنْ يَكُونَ إِذَا دَخَلَهُ , يُرِيدُ بِهِ الصَّدَقَةَ , فَأَمَّا أَنْ يَدْخُلَ بِهِ يُرِيدُ تَخَطِّيَ الْمَسْجِدِ , فَإِنَّ ذَلِكَ مَكْرُوهٌ. وَقَالُوا: قَدْ يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرَادَ بِمَا ذَكَرْنَا , فِي حَدِيثِ أَبِي مُوسَى , الْإِدْخَالَ لِلصَّدَقَةِ. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ , هَلْ نَجِدُ شَيْئًا مِنَ الْآثَارِ يَدُلُّ عَلَيْهِ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কারও হাতে তীর থাকা অবস্থায় মসজিদ বা বাজারের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় সে তীরের ফলা ধরে রাখতে বলেছেন। কেননা ভিড়ের মধ্যে তার কাঠি ধরে চলতে থাকলে কোনও মুসলিমের গায়ে ফলার খোঁচা লেগে জখম হয়ে যেতে পারে। এতে করে অহেতুক একজন মুসলিমকে শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়। এ ক্ষতি তার জানের হক সম্পর্কিত। জান, মাল ও ইজ্জতের নিরাপত্তালাভ প্রত্যেক মুসলিমের হক। এ হক নষ্ট করা সম্পূর্ণ হারাম। এ হারামে লিপ্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকার কারণেই নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম তীরের উন্মুক্ত ফলা নিয়ে মসজিদ ও বাজারের ভেতর দিয়ে চলতে নিষেধ করেছেন।
এখানে বিশেষভাবে মসজিদ ও বাজারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এ কারণে যে, সাধারণত এ দুই জায়গায় মানুষের ভিড় বেশি হয়ে থাকে। সুতরাং অন্য যেসকল স্থানে লোকসমাগম হয়ে থাকে, সেখানেও এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে। যেমন যানবাহনের স্টেশন, সভা-সমাবেশ ইত্যাদি।
এ হাদীছে বিশেষভাবে তীরের কথা উল্লেখ করার কারণ সেকালে শিকার করা, আত্মরক্ষা, ইত্যাদি প্রয়োজনে সাধারণভাবে এটাই বেশি ব্যবহৃত হত। সুতরাং এসকল প্রয়োজনে আরও যেসব অস্ত্র ব্যবহৃত হয় তাও এ হাদীছের আওতায় চলে আসবে,যেমন তরবারি, বর্শা ইত্যাদি। এসব অস্ত্রও সতর্কতার সাথে বহন করা জরুরি। তরবারি সম্পর্কে হযরত জাবির রাযি. থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ- نهى رسول الله ﷺ أن يتعاطى السيف مسلولا 'রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খাপমুক্ত অবস্থায় তরবারি প্রদান-গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন।
বর্তমানকালে যেসব অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি ব্যবহৃত হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রেও এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে। যেমন বন্দুক, পিস্তল ইত্যাদি। যে-কোনও সমাবেশস্থলে এসব আগ্নেয়াস্ত্র অতি সাবধানতার সাথে বহন করা চাই, যাতে অনিচ্ছাকৃতভাবেও তা দ্বারা মানুষের জান-মালের কোনও ক্ষতি না হয়ে যায়। এমনিভাবে দা, কাঁচি প্রভৃতি ধারালো বস্তু, আগুন, গরম পানি ইত্যাদি বিপজ্জনক জিনিস নিয়ে চলাফেরাকালেও সাবধানতা অবলম্বন অতীব জরুরি। মোটকথা কারও পক্ষ হতে কোনওভাবেই যাতে অন্য কেউ আঘাত না পায় বা কোনওরকম ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে লক্ষ রেখে চলাফেরা করা একান্ত কর্তব্য।
এ হাদীছ অনিচ্ছাকৃত কষ্টদানের ব্যাপারে যখন এরূপ সতর্কতা অবলম্বনের হুকুম দিয়েছে, তখন ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে জখম করা, আঘাত করা বা অন্য কোনওরকম কষ্ট দেওয়া থেকে আমাদের কতটা গুরুত্বের সঙ্গে বিরত থাকতে হবে তা সহজেই অনুমেয়।
হাদীছটির প্রতি লক্ষ করলে উম্মতের প্রতি প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অপরিসীম দরদ ও মমত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। উম্মত যাতে কোনওভাবেই কষ্ট ও ক্ষতির সম্মুখীন না হয় এবং একজন দ্বারা অন্যজন যাতে কোনওভাবেই আঘাতপ্রাপ্ত না হয় সেজন্য তিনি কত সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বিষয়েও শিক্ষাদান করেছেন! এটা উম্মতের ঐক্য ও সংহতি রক্ষায় তাঁর গৃহীত পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থারও একটা অংশ। কেননা অসাবধানতাবশত কারও বহন করা অস্ত্র দ্বারা যদি কোনওরকম দুর্ঘটনা ঘটে যায় বা মানুষের জান-মালের কোনও ক্ষতি হয়ে যায়, তবে তার পরিণামে সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, এমনকি তাতে বড় রকমের আত্মকলহ ও দাঙ্গা লেগে যাওয়াও অসম্ভব নয়। একটুখানি ভুলের তরে অনেক বিপদ তো ঘটেই। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ হাদীছটির অনুসরণ সেরকম বিপদ থেকে। আত্মরক্ষার এক মোক্ষম উপায়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. জনসমাবেশের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো বস্তু বহনে সর্বোচ্চ সতর্কতা জরুরি।
খ. রাস্তাঘাটে চলাফেরার সময়ও নিজের বহন করা কোনও বস্তু দ্বারা কেউ যাতে জখম বা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে লক্ষ রাখা চাই।
গ. যেসকল কাজকর্ম ও আচার-আচরণ জাতীয় ঐক্য ও সংহতি বিনষ্টের কারণ হতে পারে, তা থেকে বিরত থাকা বাঞ্ছনীয়।
ঘ. এ হাদীছ উম্মতের প্রতি প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অপরিসীম দরদ ও মমত্বের পরিচায়ক। আমাদেরও কর্তব্য এ গুণের অধিকারী হতে সচেষ্ট থাকা।
এখানে বিশেষভাবে মসজিদ ও বাজারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এ কারণে যে, সাধারণত এ দুই জায়গায় মানুষের ভিড় বেশি হয়ে থাকে। সুতরাং অন্য যেসকল স্থানে লোকসমাগম হয়ে থাকে, সেখানেও এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে। যেমন যানবাহনের স্টেশন, সভা-সমাবেশ ইত্যাদি।
এ হাদীছে বিশেষভাবে তীরের কথা উল্লেখ করার কারণ সেকালে শিকার করা, আত্মরক্ষা, ইত্যাদি প্রয়োজনে সাধারণভাবে এটাই বেশি ব্যবহৃত হত। সুতরাং এসকল প্রয়োজনে আরও যেসব অস্ত্র ব্যবহৃত হয় তাও এ হাদীছের আওতায় চলে আসবে,যেমন তরবারি, বর্শা ইত্যাদি। এসব অস্ত্রও সতর্কতার সাথে বহন করা জরুরি। তরবারি সম্পর্কে হযরত জাবির রাযি. থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ- نهى رسول الله ﷺ أن يتعاطى السيف مسلولا 'রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খাপমুক্ত অবস্থায় তরবারি প্রদান-গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন।
বর্তমানকালে যেসব অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি ব্যবহৃত হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রেও এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে। যেমন বন্দুক, পিস্তল ইত্যাদি। যে-কোনও সমাবেশস্থলে এসব আগ্নেয়াস্ত্র অতি সাবধানতার সাথে বহন করা চাই, যাতে অনিচ্ছাকৃতভাবেও তা দ্বারা মানুষের জান-মালের কোনও ক্ষতি না হয়ে যায়। এমনিভাবে দা, কাঁচি প্রভৃতি ধারালো বস্তু, আগুন, গরম পানি ইত্যাদি বিপজ্জনক জিনিস নিয়ে চলাফেরাকালেও সাবধানতা অবলম্বন অতীব জরুরি। মোটকথা কারও পক্ষ হতে কোনওভাবেই যাতে অন্য কেউ আঘাত না পায় বা কোনওরকম ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে লক্ষ রেখে চলাফেরা করা একান্ত কর্তব্য।
এ হাদীছ অনিচ্ছাকৃত কষ্টদানের ব্যাপারে যখন এরূপ সতর্কতা অবলম্বনের হুকুম দিয়েছে, তখন ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে জখম করা, আঘাত করা বা অন্য কোনওরকম কষ্ট দেওয়া থেকে আমাদের কতটা গুরুত্বের সঙ্গে বিরত থাকতে হবে তা সহজেই অনুমেয়।
হাদীছটির প্রতি লক্ষ করলে উম্মতের প্রতি প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অপরিসীম দরদ ও মমত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। উম্মত যাতে কোনওভাবেই কষ্ট ও ক্ষতির সম্মুখীন না হয় এবং একজন দ্বারা অন্যজন যাতে কোনওভাবেই আঘাতপ্রাপ্ত না হয় সেজন্য তিনি কত সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বিষয়েও শিক্ষাদান করেছেন! এটা উম্মতের ঐক্য ও সংহতি রক্ষায় তাঁর গৃহীত পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থারও একটা অংশ। কেননা অসাবধানতাবশত কারও বহন করা অস্ত্র দ্বারা যদি কোনওরকম দুর্ঘটনা ঘটে যায় বা মানুষের জান-মালের কোনও ক্ষতি হয়ে যায়, তবে তার পরিণামে সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, এমনকি তাতে বড় রকমের আত্মকলহ ও দাঙ্গা লেগে যাওয়াও অসম্ভব নয়। একটুখানি ভুলের তরে অনেক বিপদ তো ঘটেই। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ হাদীছটির অনুসরণ সেরকম বিপদ থেকে। আত্মরক্ষার এক মোক্ষম উপায়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. জনসমাবেশের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো বস্তু বহনে সর্বোচ্চ সতর্কতা জরুরি।
খ. রাস্তাঘাটে চলাফেরার সময়ও নিজের বহন করা কোনও বস্তু দ্বারা কেউ যাতে জখম বা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে লক্ষ রাখা চাই।
গ. যেসকল কাজকর্ম ও আচার-আচরণ জাতীয় ঐক্য ও সংহতি বিনষ্টের কারণ হতে পারে, তা থেকে বিরত থাকা বাঞ্ছনীয়।
ঘ. এ হাদীছ উম্মতের প্রতি প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অপরিসীম দরদ ও মমত্বের পরিচায়ক। আমাদেরও কর্তব্য এ গুণের অধিকারী হতে সচেষ্ট থাকা।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
