শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২১. মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা

হাদীস নং: ৬৯১৫
পায়ের উপর পা রাখা।
৬৯১৫। ইবন মারযুক (র.)... ইমরান ইব্ন মুসলিম (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস ইবন মালিক (রা.)-কে দেখেছি, তিনি এক পা অপর পায়ের উপর রেখে বসে আছেন।

বস্তুত আমরা এই সমস্ত মহান মর্যাদার অধিকারী সাহাবা কিরাম থেকে রিওয়ায়াত করেছি এবং এটা এরূপ বিষয় নয় যা যৌক্তিকভাবে স্পষ্ট হতে পারে। (যদি হতো) তাহলে আমরা যুক্তিকে এই গ্রন্থের অপরাপর অনুচ্ছেদের ন্যায় এখানেও ব্যবহার করতাম। কিন্তু আমরা যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে ওই সমস্ত রিওয়ায়াত বর্ণনা করে এসেছি যা অনুচ্ছেদের শুরুতে লিপিবদ্ধ করেছি, কা'ব ইবন উযরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন : ‘’মানুষের জন্য সমীচীন নয়" আমাদের মতে এর মর্ম হচ্ছে (আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত) কোন মানুষের জন্য এটা এজন্য সমীচীন (জায়েয) নয় যে, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) এ থেকে নিষেধ করেছেন। আর তাঁর বিরুদ্ধাচরণ জায়েয নয়।

অতঃপর অনুচ্ছেদের দ্বিতীয় অংশে ঐ সমস্ত রিওয়ায়াত এসেছে যা আমরা উল্লেখ করেছি যে, এই আমল জায়েয। কেননা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) স্বয়ং এই আমল করেছেন। এতে সম্ভাবনা রয়েছে যে, তা থেকে একটি অপরটিকে রহিত করে দিয়েছে। যখন আবু বকর (রাযিঃ), উমর (রাযিঃ) ও উসমান (রাযিঃ) যারা খুলাফায়ে রাশেদীন, হিদায়াতপ্রাপ্ত তাঁরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নৈকট্যশীল এবং তাঁর বিধানাবলী সম্পর্কে সম্যকরূপে অবগত, তাঁদেরকে পেয়েছি যে, তাঁরা তাঁর পত্রে সকল সাহাবার উপস্থিতিতে ঐ আমল করেছেন। আর তাদের মাঝে তাঁরাও রয়েছেন, যারা মাকরুহ হওয়ার ব্যাপারে প্রথমক্ত হাদীস রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। তাদের কেউ এটা অস্বীকার করেননি। অতঃপর আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাযিঃ), ইবন উমর (রাযিঃ), উসামা ইবন যায়দ (রাযিঃ) ও আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) এই আমল করেছেন এবং কেউ তাতে আপত্তি করেননি।

এতে সাব্যস্ত হলো এই দুই মারফু রিওয়ায়াতের মধ্য থেকে এই রিওয়ায়াতের উপর আলিমদের আমল রয়েছে। আর তা দ্বারা এর বিপরীতটিই বাতিল হয়ে গেছে। যেমনটি আমরা উল্লেখ করেছি এবং সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেছি। এ বিষয়ে হাসান (রাহঃ) থেকে অন্য বিষয় প্রমাণকারী রিওয়ায়াতও বর্ণিত আছে।
6915 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ عِمْرَانَ بْنِ مُسْلِمٍ , قَالَ: رَأَيْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ قَاعِدًا , قَدْ وَضَعَ إِحْدَى رِجْلَيْهِ عَلَى الْأُخْرَى " فَقَدْ رَوَيْنَا عَنْ هَؤُلَاءِ الْجِلَّةِ , مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهَذَا مِمَّا لَا يَصِلُ إِلَى تَبْيِينِهِ , مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ فَنَسْتَعْمِلَ فِيهِ , مَا اسْتَعْمَلْنَاهُ فِي غَيْرِهِ مِنْ أَبْوَابِ هَذَا الْكِتَابِ. وَلَكِنْ لِمَا رَوَيْنَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا وَصَفْنَا فِي الْفَصْلِ الْمُتَقَدِّمِ , وَرُوِيَ عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ أَنَّهُ قَالَ: إِنَّهُ لَا يَصْلُحُ لِبَشَرٍ، فَكَانَ مَعْنَى هَذَا , عِنْدَنَا وَاللهُ أَعْلَمُ , أَنَّهَا لَا تَصْلُحُ لِبَشَرٍ لِنَهْيِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْهَا , ; لِأَنَّهُ لَا يَصْلُحُ لِبَشَرٍ أَنْ يُخَالِفَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ثُمَّ قَدْ جَاءَ مَا ذَكَرْنَاهُ فِي الْفَصْلِ الثَّانِي مِنْ إِبَاحَتِهَا , بِاسْتِعْمَالِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاهَا. فَاحْتَمَلَ أَنْ يَكُونَ أَحَدُ الْأَمْرَيْنِ قَدْ نَسَخَ الْآخَرَ , فَلَمَّا وَجَدْنَا أَبَا بَكْرٍ , وَعُمَرَ , وَعُثْمَانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ , وَهُمُ الْخُلَفَاءُ الرَّاشِدُونَ الْمَهْدِيُّونَ , عَلَى قُرْبِهِمْ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعِلْمِهِمْ بِأَمْرِهِ , قَدْ فَعَلُوا ذَلِكَ بَعْدَهُ , بِحَضْرَةِ أَصْحَابِهِ جَمِيعًا , وَفِيهِمِ الَّذِي حَدَّثَ بِالْحَدِيثِ الْأَوَّلِ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْكَرَاهَةِ , فَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ أَحَدٌ مِنْهُمْ , ثُمَّ فَعَلَهُ عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْعُودٍ , وَابْنُ عُمَرَ وَأُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ , وَأَنَسُ بْنُ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ , فَلَمْ يُنْكِرْ عَلَيْهِمْ مُنْكِرٌ. ثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ هَذَا , هُوَ مَا عَلَيْهِ أَهْلُ الْعِلْمِ , مِنْ هَذَيْنِ الْخَبَرَيْنِ الْمَرْفُوعَيْنِ , وَبَطَلَ بِذَلِكَ مَا خَالَفَهُ ; لِمَا ذَكَرْنَا وَبَيَّنَّا. وَقَدْ رُوِيَ عَنِ الْحَسَنِ فِي ذَلِكَ , مَا يَدُلُّ عَلَى غَيْرِ هَذَا الْمَعْنَى
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ৬৯১৫ | মুসলিম বাংলা