শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২১. মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা

হাদীস নং: ৬৬৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ৬৬৪১
রসূন, পিঁয়াজ ও কুরাস (পিঁয়াজ ও রসূন সদৃশ এক প্রকার দুর্গন্ধময় তরকারি)খাওয়া প্রসঙ্গে
৬৬৩৮-৪১। রাবী আল-মুয়াযযিন …… আবুল খায়ের, আবু রুহম আস-সামাঈ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, হযরত আবু আইয়ূব (রাযিঃ) আমাকে বলেছেন, একবার আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি আপনার অবশিষ্ট খাবার পাঠিয়ে দিতেন, তখন আমি তা দেখতাম। যখন আমি তার মধ্যে আপনার আঙ্গুলের আলামত দেখতে পেতাম, সেখানে আমার হাত রেখে দিতাম (এবং আমি তা খেয়ে নিতাম)। অবশেষে এই খাবার আপনি পাঠিয়েছেন, তার মধ্যেও আমি লক্ষ্য করেছি, কিন্তু এর মধ্যে আপনার আঙ্গুলের কোন চিহ্ন আমি দেখতে পাইনি । তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ এর মধ্যে পিঁয়াজ রয়েছে, অতএব ঐ ফিরিশতার কারণে আমি তা খাওয়া অপছন্দ করেছি, যিনি আমার নিকট আগমন করেন। তবে তোমরা তা আহার কর ।

সালিহ ইবন আব্দুর রহমান আনসারী …… ইবন লাহীয়া ইয়াযীদ ইবন আবু হাবীব হতে বর্ণনা করেন, অতঃপর তিনি নিজস্ব সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেন।

ইবন আবু দাউদ ...... হযরত আবু উমামা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন। কিন্তু তিনি الشَّجَرَةَ শব্দটি উল্লেখ করেননি।

ইউনুস ……. হযরত আবু আইয়্যূব আনসারী (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি (রাবী) তার বর্ণনায় بصل أو كراث (পিঁয়াজ অথবা কুরাস)-এর কথা উল্লেখ করেছেন এবং তার বর্ণনার শেষে ليس بمحرم (তা হারাম নয়) কথাটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন।
এসব হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মানুষের জন্য পিঁয়াজ ও কুরাস মুবাহ বলে উল্লেখ করেছেন এবং এসব হারাম নয় । যদি কেউ বলেন, আপনি যে সব পিঁয়াজ-রসূন ও কুরাস মুবাহ বলেছেন তা তো হলো পাকানো। আর যা পাকানো হয়নি, তা সেই নিষেধাজ্ঞারই অন্তর্ভুক্ত, যা পূর্বে উল্লেখিত হাদীসে রয়েছে।

তবে তাকে বলা হবে, উল্লেখিত হাদীসসমূহের এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এ কথা বলেছেন যে, তিনি এর দুর্গন্ধের কারণেই অপছন্দ করেছেন। কিন্তু তিনি তাঁর সাহাবা-ই কিরামের জন্য মুবাহ করেছেন। অতএব রান্না করার পরও যে পিঁয়াজ-রসূনের মধ্যে দুর্গন্ধ থাকবে, তার ঐ হুকুমই বহাল থাকবে যা রান্না করার পূর্বে ছিল। কারণ তিনি তো দুর্গন্ধের কারণে উভয়টাই অপছন্দ করেছেন। অতএব রান্না করার পর তার মধ্যে দুর্গন্ধ থাকা সত্ত্বেও সাহাবা-ই কিরামের জন্য তা মুবাহ করা এ কথাই প্রমাণ করে যে, তাদের জন্য রান্না করার পূর্বেও তা জায়েয।
6638 - وَحَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا شُعَيْبُ بْنُ اللَّيْثِ , قَالَ: ثنا اللَّيْثُ , عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ , عَنْ أَبِي الْخَيْرِ , عَنْ أَبِي رُهْمٍ السَّمَاعِيِّ , أَنَّ أَبَا أَيُّوبَ حَدَّثَهُ قَالَ: قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ كُنْتَ تُرْسِلُ بِالطَّعَامِ فَأَنْظُرُ , فَإِذَا رَأَيْتُ أَثَرَ أَصَابِعِكَ , وَضَعْتُ يَدِي فِيهِ , حَتَّى كَانَ هَذَا الطَّعَامُ الَّذِي أَرْسَلْتَ بِهِ , فَنَظَرْتُ فِيهِ , فَلَمْ أَرَ فِيهِ أَثَرَ أَصَابِعِكَ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَجَلْ , إِنَّ فِيهِ بَصَلًا , فَكَرِهْتُ أَنْ آكُلَهُ مِنْ أَجْلِ الْمَلَكِ الَّذِي يَأْتِينِي , وَأَمَّا أَنْتُمْ فَكُلُوهُ»

6639 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَنْصَارِيُّ، قَالَ: ثنا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

6640 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عَيَّاشُ بْنُ وَلِيدٍ الرَّقَّامُ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: ثنا ابْنُ إِسْحَاقَ، قَالَ: حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ مَرْثَدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يُسَمِّ الشَّجَرَةَ

6641 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ بَكْرِ بْنِ سَوَادَةَ، أَنَّ سُفْيَانَ بْنَ عَبْدِ اللهِ، حَدَّثَهُ , عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ , إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: بَصَلٌ , أَوْ كُرَّاثٌ وَزَادَ فِي آخِرِهِ وَلَيْسَ بِمُحَرَّمٍ فَقَدْ أَبَاحَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذِهِ الْآثَارِ لِلنَّاسِ , أَكْلَ الْبَصَلِ وَالْكُرَّاثِ , وَأَنَّ ذَلِكَ غَيْرُ مُحَرَّمٍ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: هَذَا الَّذِي ذَكَرْتُ , إِنَّمَا هُوَ عَلَى مَا كَانَ مِنْهُمَا قَدْ طُبِخَ. [ص:240] فَأَمَّا مَا كَانَ غَيْرَ مَطْبُوخٍ , فَهُوَ دَاخِلٌ فِي النَّهْيِ الَّذِي فِي الْآثَارِ الْأُوَلِ. قِيلَ لَهُ: قَدْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا ذَكَرْنَا عَنْهُ فِي هَذِهِ الْآثَارِ إِنَّمَا كَرِهَهُ لِرِيحِهِ وَقَدْ أَبَاحَ أَصْحَابُهُ أَكْلَهُ. فَمَا كَانَتْ رِيحُهُ فِيهِ قَائِمَةً بَعْدَ الطَّبْخِ , كَانَ عَلَى حُكْمِهِ قَبْلَ الطَّبْخِ , إِذْ كَانَ إِنَّمَا كَرِهَ أَكْلَهُ فِيهِمَا جَمِيعًا , مِنْ أَجْلِ رِيحِهِ. فَدَلَّ إِبَاحَتُهُ أَكْلَهُ لَهُمْ بَعْدَ الطَّبْخِ وَرِيحُهُ مَوْجُودَةٌ عَلَى أَنَّ أَكْلَهُمْ إِيَّاهُ قَبْلَ الطَّبْخِ , مُبَاحٌ لَهُمْ أَيْضًا
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ৬৬৩৮ | মুসলিম বাংলা