শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

১৮. আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান

হাদীস নং: ৬১৪৭
কোন ব্যক্তির নিকট অন্য কোন ব্যক্তির জন্য সাক্ষ্য থাকলে তাকে জানানাে কি তার ওপর ওয়াজিব; এবং স্বেচ্ছায় সাক্ষ্য প্রদান করলে হাকিম কি তা গ্রহণ করবেন ।
৬১৪৭। ফাহদ ..... ওয়ালীদ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন জুমাই বলেন, আবুত-তুফায়ল বলেছেন, একবার কিছু লােক একজন মহিলাসহ আগমন করল। এমনকি অবতরণ করে তারা নিজ নিজ প্রয়ােজনে পৃথক পৃথক হয়ে গেল। এমনকি অবতরণ করে তারা নিজ নিজ প্রয়োজনে পৃথক পৃথক হয়ে গেল। তাদের মধ্যে একজন পুরুষ মহিলার সাথে পেছনে রয়ে গেল। অতঃপর তারা ফিরে এসে দেখতে পেল পুরুষটি মহিলার দু'পায়ের মাঝে অবস্থান করছে। তারপর তাদের তিনজন সাক্ষ্য দিল যে, তারা তাকে ঠিক দ্রুপ নড়তে দেখেছে, যেমন সুরমাদানীর কাঠি সুরমাদানীর মধ্যে নড়ে। কিন্তু চতুর্থজন বলল, আমি আমার কান-চক্ষুকে সংরক্ষণ করেছি। আমি তাকে তার মধ্যে নড়তে দেখিনি, আমি তার দুটো অণ্ডকোষ গাধার কানের মত মহিলার নিতম্ব ও তার দু'পায়ে আঘাত করতে দেখেছি। আর তখন মক্কার শাসক ছিলেন নাফে ইবন আব্দুল হারিস খুযাঈ, তিনি এ বিষয়ে হযরত উমর (রাযিঃ)-এর নিকট পত্র লিখলেন। অতঃপর হযরত উমর (রাযিঃ) পত্র লিখলেন, যদি চতুর্থ ব্যক্তিও অন্য তিনজনের মত সাক্ষ্য প্রদান করে, তবে ঐ দুজনকে পাঠিয়ে দাও, আমি তাদেরকে বেত্রাঘাত করব। যদি তারা মুহসান হয়, তবে রজম করব। আর যদি চতুর্থ ব্যক্তি এটা ছাড়া সাক্ষ্য না দেয়, যা তুমি আমার নিকট লিখেছ, তবে তুমি ঐ তিনজনকে বেত্রাঘাত কর এবং একজনকে ছেড়ে দাও। রাবী। বলেন, অতঃপর তিনি তিনজনকে বেত্রাঘাত করলেন এবং পুরুষ ও মহিলাকে ছেড়ে দিলেন।
এই যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সাহাবায়ে কিরাম, তাঁদের কেউ কেউ সাক্ষ্য প্রদানের জন্য অনুমতি দান করা ছাড়াই সাক্ষ্য প্রদান করেছেন এবং কেউ কেউ তা গ্রহণ করেছেন এবং তখন সেখানে তাদের অধিকাংশ উপস্থিত থেকে কোন আপত্তি উপস্থাপন করে নি। সুতরাং এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, তারা সকলেই এ অর্থে একমত এবং এ কথাও প্রমাণিত হয় যে, পূর্বে উল্লেখিত হাদীসসমূহের যে অর্থ আমরা তার স্ব স্ব স্থানে উল্লেখ করেছি, তাও যথার্থ। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মত ও মাযহাব।
6147 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ، قَالَ: ثنا الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ جُمَيْعٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو الطُّفَيْلِ، قَالَ: أَقْبَلَ رَهْطٌ مَعَهُمُ امْرَأَةٌ حَتَّى نَزَلُوا فَتَفَرَّقُوا فِي حَوَائِجِهِمْ فَتَخَلَّفَ رَجُلٌ مَعَ امْرَأَةٍ فَرَجَعُوا وَهُوَ بَيْنَ رِجْلَيْهَا فَشَهِدَ ثَلَاثَةٌ مِنْهُمْ أَنَّهُمْ رَأَوْهُ يَهُبُّ كَمَا يَهُبُّ الْمِرْوَدُ فِي الْمُكْحُلَةِ. وَقَالَ الرَّابِعُ: أَحْمِي سَمْعِي وَبَصَرِي لَمْ أَرَهُ يَهُبُّ فِيهَا رَأَيْتُ سِخْتَلَيْهِ يَعْنِي خُصْيَتَيْهِ، يَضْرِبَانِ اسْتَهَا وَرِجْلَاهَا مِثْلُ أُذُنَيْ حِمَارٍ. وَعَلَى مَكَّةَ يَوْمَئِذٍ نَافِعُ بْنُ الْحَارِثِ الْخُزَاعِيُّ وَكَتَبَ إِلَى عُمَرَ. [ص:154] فَكَتَبَ عُمَرُ إِنْ شَهِدَ رَابِعٌ بِمِثْلِ مَا شَهِدَ الثَّلَاثَةُ فَقَدِّمْهُمَا أَجْلِدْهُمَا وَإِنْ كَانَا مُحْصَنَيْنِ فَارْجُمْهُمَا وَإِنْ لَمْ يَشْهَدْ إِلَّا بِمَا كَتَبْتَ بِهِ إِلَيَّ فَاجْلِدِ الثَّلَاثَةَ وَخَلِّ سَبِيلَ الرَّجُلِ. قَالَ: فَجَلَدَ الثَّلَاثَةَ وَأَخْلَى سَبِيلَ الرَّجُلِ وَالْمَرْأَةِ فَهَؤُلَاءِ أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ شَهِدَ بَعْضُهُمُ ابْتِدَاءً وَقَبِلَهَا بَعْضُهُمْ وَحَضَرَ ذَلِكَ أَكْثَرُهُمْ فَلَمْ يُنْكِرْ. فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى اتِّفَاقِهِمْ جَمِيعًا عَلَى هَذَا الْمَعْنَى وَثَبَتَ أَنَّ مَعَانِيَ الْآثَارِ الْأُوَلِ عَلَى مَا ذَكَرْنَا مِنْ مَعَانِيهَا الَّتِي وَصَفْنَاهَا فِي مَوَاضِعِهَا. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ৬১৪৭ | মুসলিম বাংলা