শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
১৮. আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
হাদীস নং: ৬১৪৪
কোন ব্যক্তির নিকট অন্য কোন ব্যক্তির জন্য সাক্ষ্য থাকলে তাকে জানানাে কি তার ওপর ওয়াজিব; এবং স্বেচ্ছায় সাক্ষ্য প্রদান করলে হাকিম কি তা গ্রহণ করবেন ।
৬১৪৪। ইউনুস ..... আবু উমারাহ আনসারী হযরত যায়দ ইব্ন খালিদ আল-জুহানী হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) - ইরশাদ করেন, আমি কি তােমাদের মধ্যে উত্তম সাক্ষী সম্পর্কে খবর দিব না? সে হলাে এ ব্যক্তি, যার নিকট সাক্ষ্য দেয়ার জন্য আবেদন করার পূর্বেই সে সাক্ষ্য প্রদান করে। অথবা তিনি বলেন, যে ব্যক্তি তার নিকট তলব করার পূর্বেই তার সাক্ষ্যের সংবাদ প্রদান করে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, এর অর্থ হলাে ঐ সাক্ষ্যদাতা যার পক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করে, সে ব্যক্তি এ কথা জানেই না যে, সে তার একজন সাক্ষী। অথবা সাক্ষ্যদাতা ইমামের (শাসকের) নিকট উপস্থিত হয়ে তার নিকট সাক্ষ্য প্রদান করে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই সাক্ষীকেই উত্তম সাক্ষী সাব্যস্ত করেছেন। অতএব প্রথম উল্লেখিত হাদীসসমূহকে ঐ অর্থেই প্রয়ােগ করা উত্তম যাতে পরস্পর বিরােধী না হয় এবং এক হাদীস অন্য হাদীসের সহিত বিরােধপূর্ণ না হয়। পূর্ববর্তী হাদীসসমূহের আমরা যে ব্যাখ্যা পেশ করেছি, সে ব্যাখ্যা এতেও প্রযােজ্য হবে। আর শেষে যে হাদীস আমরা বর্ণনা করেছি, তা প্রযােজ্য হবে ঐ সাক্ষ্যদাতার ফযীলত বর্ণনা করার ওপর, যে স্বেচ্ছায় হাকিমের নিকট সত্য সাক্ষ্য প্রদান করেছে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সাহাবা-ই কিরাম এরূপ করেছেন। তাঁরা হাকিমের নিকট উপস্থিত হয়ে স্বেচ্ছায় সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। তাঁদের মধ্যে একজন হযরত আবু বকর (রাযিঃ) এবং আরাে যারা তাঁর সাথে ছিলেন, যখন তারা হযরত মুগীরা ইব্ন শুবা (রাযিঃ)-এর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করেছিলেন, তারা এটা তাদের জন্য জরুরী মনে করেছিলেন এবং তাদের নিকট সাক্ষ্য প্রদানের জন্য অনুরােধ ছাড়াই যে তাঁরা সাক্ষ্য প্রদান করেছিলেন, এ কারণে হযরত উমর (রাযিঃ) তাদেরকে কোন তিক্ত কথা বলেন নি; বরং তাদের সাক্ষ্য শ্রবণ করেছেন। তাদের সাক্ষ্য প্রদানের জন্য যদি তারা নিন্দিত হতেন, তবে অবশ্যই তিনি তাঁদের নিন্দা করতেন। হযরত উমর (রাযিঃ) যখন তাদের নিকট হতে শ্রবণ করলেন এবং তিনি তাদের ওপর কোন আপত্তি উত্থাপন করেননি। আর সে সাহাবা-ই কিরামও কোন অভিযােগ করেন নি, যারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, তাদের ওপর এমন করাই ফরয ছিল। আর এ কথাও প্রমাণ করে যে, যে ব্যক্তি কোন অনুরােধ ছাড়াই সাক্ষ্য প্রদান করে, সে প্রশংসানীয়। আর এ সম্পর্কে যে সব হাদীস বর্ণিত হয়েছে তার কিছু এই ;
মালিক (রাহঃ) বলেন, এর অর্থ হলাে ঐ সাক্ষ্যদাতা যার পক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করে, সে ব্যক্তি এ কথা জানেই না যে, সে তার একজন সাক্ষী। অথবা সাক্ষ্যদাতা ইমামের (শাসকের) নিকট উপস্থিত হয়ে তার নিকট সাক্ষ্য প্রদান করে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই সাক্ষীকেই উত্তম সাক্ষী সাব্যস্ত করেছেন। অতএব প্রথম উল্লেখিত হাদীসসমূহকে ঐ অর্থেই প্রয়ােগ করা উত্তম যাতে পরস্পর বিরােধী না হয় এবং এক হাদীস অন্য হাদীসের সহিত বিরােধপূর্ণ না হয়। পূর্ববর্তী হাদীসসমূহের আমরা যে ব্যাখ্যা পেশ করেছি, সে ব্যাখ্যা এতেও প্রযােজ্য হবে। আর শেষে যে হাদীস আমরা বর্ণনা করেছি, তা প্রযােজ্য হবে ঐ সাক্ষ্যদাতার ফযীলত বর্ণনা করার ওপর, যে স্বেচ্ছায় হাকিমের নিকট সত্য সাক্ষ্য প্রদান করেছে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সাহাবা-ই কিরাম এরূপ করেছেন। তাঁরা হাকিমের নিকট উপস্থিত হয়ে স্বেচ্ছায় সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। তাঁদের মধ্যে একজন হযরত আবু বকর (রাযিঃ) এবং আরাে যারা তাঁর সাথে ছিলেন, যখন তারা হযরত মুগীরা ইব্ন শুবা (রাযিঃ)-এর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করেছিলেন, তারা এটা তাদের জন্য জরুরী মনে করেছিলেন এবং তাদের নিকট সাক্ষ্য প্রদানের জন্য অনুরােধ ছাড়াই যে তাঁরা সাক্ষ্য প্রদান করেছিলেন, এ কারণে হযরত উমর (রাযিঃ) তাদেরকে কোন তিক্ত কথা বলেন নি; বরং তাদের সাক্ষ্য শ্রবণ করেছেন। তাদের সাক্ষ্য প্রদানের জন্য যদি তারা নিন্দিত হতেন, তবে অবশ্যই তিনি তাঁদের নিন্দা করতেন। হযরত উমর (রাযিঃ) যখন তাদের নিকট হতে শ্রবণ করলেন এবং তিনি তাদের ওপর কোন আপত্তি উত্থাপন করেননি। আর সে সাহাবা-ই কিরামও কোন অভিযােগ করেন নি, যারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, তাদের ওপর এমন করাই ফরয ছিল। আর এ কথাও প্রমাণ করে যে, যে ব্যক্তি কোন অনুরােধ ছাড়াই সাক্ষ্য প্রদান করে, সে প্রশংসানীয়। আর এ সম্পর্কে যে সব হাদীস বর্ণিত হয়েছে তার কিছু এই ;
6144 - مَا حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ عَنْ أَبِي عَمْرَةَ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِخَيْرِ الشُّهَدَاءِ؟ الَّذِي يَأْتِي بِشَهَادَتِهِ قَبْلَ أَنْ يُسْأَلَ عَنْهَا أَوْ يُخْبِرَ بِشَهَادَتِهِ قَبْلَ أَنْ يُسْأَلَهَا» قَالَ مَالِكٌ: الَّذِي يُخْبِرُ بِشَهَادَتِهِ وَلَا يَعْلَمُ بِهَا الَّذِي هِيَ لَهُ أَوْ يَأْتِي بِهَا الْإِمَامَ فَيَشْهَدُ بِهَا عِنْدَهُ وَجَعَلَهُ خَيْرَ الشُّهَدَاءِ [ص:153] فَأَوْلَى بِنَا أَنْ نَحْمِلَ الْآثَارَ الْأُوَلَ عَلَى مَا وَصَفْنَا مِنْ تَأْوِيلِ كُلِّ أَثَرٍ مِنْهَا حَتَّى لَا تَتَضَادَّ وَلَا تَخْتَلِفَ وَلَا يَدْفَعَ بَعْضُهَا بَعْضًا. فَتَكُونُ الْآثَارُ الْأُوَلُ عَلَى الْمَعَانِي الَّتِي ذَكَرْنَا وَتَكُونَ هَذِهِ الْآثَارُ الْأُخَرُ عَلَى تَفْضِيلِ الْمُبْتَدِئِ بِالشَّهَادَةِ مَنْ هِيَ لَهُ أَوِ الْمُخْبِرُ بِهَا الْإِمَامُ. وَقَدْ فَعَلَ ذَلِكَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَتَوْا الْإِمَامَ فَشَهِدُوا ابْتِدَاءً مِنْهُمْ أَبُو بَكْرَةَ وَمَنْ كَانَ مَعَهُ حِينَ شَهِدُوا عَلَى الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ فَرَأَوْا ذَلِكَ لِأَنْفُسِهِمْ لَازِمًا وَلَمْ يُعَنِّفْهُمْ عُمَرُ عَلَى ابْتِدَائِهِمْ إِيَّاهُ بِذَلِكَ بَلْ سَمِعَ شَهَادَاتِهِمْ. وَلَوْ كَانُوا فِي ذَلِكَ مَذْمُومِينَ لَذَمَّهُمْ مَنْ سَأَلَكُمْ عَنْ هَذَا؟ أَلَا قَعَدْتُمْ حَتَّى تُسْأَلُوا؟ . فَلَمَّا سَمِعَ مِنْهُمْ وَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ عُمَرُ وَلَا أَحَدٌ مِمَّنْ كَانَ بِحَضْرَتِهِ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ فَرْضَهُمْ كَذَلِكَ وَأَنَّ مَنْ فَعَلَ ذَلِكَ ابْتِدَاءً لَا عَنْ مَسْأَلَةٍ مَحْمُودٌ. فَمِمَّا رُوِيَ فِي ذَلِكَ
