আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫৫- ভরণ পোষণ বাসস্থান অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৫৩৫৯
২৮২৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ “মায়েরা যেন তাদের সন্তানদের পূর্ণ দু’বছর দুধ পান করায়, সেই পিতার জন্য যে পূর্ণ সময়কাল পর্যন্ত দুধ পান করাতে চায় ........ তোমরা যা কর আল্লাহ্ তা দেখেন।”
তিনি আরো ইরশাদ করেনঃ তাকে গর্ভে ধারণ ও দুধ ছাড়ানোর সময় তিরিশ মাস।
তিনি আরও বলেনঃ যদি তোমরা অসুবিধা বোধ কর, তাহলে অপর কোন মহিলা তাকে দুধ পান করাতে পারে। সচ্ছল ব্যক্তি স্বীয় সাধ্য অনুসারে খরচ করবে.... প্রাচুর্য দান করবেন।
ইউনুস, যুহরী থেকে বর্ণনা করেন যে আল্লাহ্ নিষেধ করেছেন কোন মাকে তার সন্তানের জন্য ক্ষতিগ্রস্থ করা হবে না। আর তা হলো এরূপ যে, মাতা একথা বলে বসলো, আমি একে দুধ পান করাব না। অথচ মায়ের দুধ শিশুর জন্য উৎকৃষ্ট খাদ্য এবং অন্যান্য মহিলার তুলনায় মাতা সন্তানের জন্য অধিক স্নেহশীলা ও কোমল। কাজেই পিতা যথাসাধ্য নিজের পক্ষে থেকে কিছু দেওয়ার পরও মাতার জন্য দুধ পান করাতে অস্বীকার করা উচিত হবে না। এমনিভাবে সন্তানের পিতার জন্য উচিত নয় সে সন্তানের কারণে তার মাতাকে কষ্ট দেওয়া অর্থাৎ কষ্টে ফেলার উদ্দেশ্যে শিশু মাকে দুধ পান করাতে না দিয়ে অন্য মহিলাকে দুধ পান করাতে দেওয়া। হ্যাঁ, মাতা-পিতা খুশী হয়ে যদি কাউকে ধাত্রী নিযুক্ত করে, তবে তাতে কোন দোষ নেই। তেমনি যদি তারা উভয়ে দুধ ছাড়াতে চায়, তবে তাতেও তাদের কোন দোষ নেই, যদি তা পারস্পরিক সম্মতি ও পরামর্শের ভিত্তিতে হয়ে থাকে। فِصَالُهُ অর্থ فِطَامُهُ -দুধ ছাড়ানো।
৪৯৬৮। ইবনে মুকাতিল (রাহঃ) ......... ‘আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হিনদা বিনতে ‘উতবা এসে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আবু সুফিয়ান কঠিন লোক। আমি যদি তার মাল থেকে পরিবারের কাউকে কিছু দেই তাহলে আমার গুনাহ হবে কি? তিনি বললেন, না; তবে সঙ্গতভাবে ব্যয় করবে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন