শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
১১. শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
হাদীস নং: ৫০৪৮
৬. কোন মু'মিন কাফিরকে ইচ্ছাকৃত হত্যা করা প্রসঙ্গ
৫০৪৮। ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ) ….. কায়স ইব্ন উব্বাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ও আশতার (হারিস ইব্ন মালিক) আলী (রাযিঃ)-এর নিকট গেলাম এবং জিজ্ঞাসা করলাম যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) কি আপনার থেকে কোন প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন, যা সাধারণ লােকদের থেকে নেন নাই। তিনি বললেন, ‘না’ তবে যা কিছু আমার এই কিতাবে রয়েছে। অতঃপর তিনি স্বীয় তরবারির খাপ-থেকে একটি কিতাব বের করলেন, যাতে লেখা ছিল যে, মু'মিনদের খুন পারস্পরিক রূপে বরাবর এবং তাদের প্রতিশ্রুতি (পূর্ণ করার) জন্য নগণ্য মুসলমানও চেষ্টা করতে পারবে। তারা অন্যদের বিরুদ্ধে একটি শক্তি। কোন মু'মিন (মুসলিম) কে কাফিরের (অমুসলিমমের) বদলায় হত্যা করা হবেনা। এবং না কোন চুক্তিবদ্ধ লােককে তার চুক্তি চলাকালীন সময়ে হত্যা করা হবে। যে ব্যক্তি দ্বীনের মাঝে কোন (এরূপ) নতুন বিষয় আবিস্কার করে (যা দ্বীনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়) এর অশুভ পরিণতি তারই উপর বর্তাবে। আর যে ব্যক্তি কোন (খারাপ) বিদ্'আত প্রবর্তন করবে অথবা কোন বিদ্'আতিকে আশ্রয় দিবে, তার উপর আল্লাহ্, ফিরিশতা ও সমস্ত লােকদের লা'নত (অভিসম্পাত)।
আলী (রাযিঃ)-এর পরিপূর্ণ হাদীস এটাই। এতে যে মু'মিনকে কাফিরের বদলায় হত্যা না করার উল্লেখ রয়েছে। তা হলাে তার এই উক্তিঃ কোন মু'মিনকে কোন কাফিরের বদলায় এবং কোন চুক্তিবদ্ধলােককে চুক্তি চলাকালীন সময় হত্যা করা হবে না। এর সেই মর্ম যা প্রথমােক্ত মতপােষণকারীগণ নিয়েছে তা অসম্ভব। কেননা তা হলে তা ভুল হত। আর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) এ থেকে অপরাপর সমস্ত লোকদের অপেক্ষা সর্বাপেক্ষা দূরে অবস্থানকারী। এবং মর্ম এটা হত যে, কোন মু'মিনকে কাফির এবং কোন চুক্তিবদ্ধলােকের বদলায় তার চুক্তি চলাকালীন সময়ে হত্যা করা হবে না। যখন এর শব্দ এরূপ নয় বরং এর শব্দ হলাে নিম্নরূপঃ “কোন চুক্তিবদ্ধ লােককে তার চুক্তি চলাকালীন সময়ে হত্যা করা হবে না।” এতে আমরা জানতে পেরেছি যে, কিসাস দ্বারা চুক্তিবদ্ধ (যিম্মী)ই উদ্দেশ্য। সুতরাং এখন এই উক্তি এরূপ হবে যে, কোন মু'মিন এবং চুক্তিবদ্ধ (যিম্মী)-কে তার চুক্তির সময়ে কোন কাফির (অযিম্মী)-এর বদলায় হত্যা করা হবে না।
আর এটা আমাদের জানা কথা যে, চুক্তিবদ্ধ (যিম্মী) ও কাফির। সুতরাং প্রমাণিত হলাে যে, এই হাদীসে যে কাফিরের বদলায় মু'মিনকে হত্যা করা নিষিদ্ধ, সে অচুক্তিবদ্ধ (অযিম্মী) কাফির। আর এ সম্পর্কে মু'মিনদের মাঝে কোনরূপ বিরােধ নেই যে, হারবী কাফিরের বদলায় মু'মিনকে হত্যা করা হবে না এবং ওই যিম্মী কাফির যার সঙ্গে চুক্তি রয়েছে তাকেও হারবী কাফিরের বদলায় হত্যা করা হবে না।
আমরা এরূপ বিষয় (বাক্যের মাঝে আগে পরে হওয়া) কুরআন মাজীদে প্রচুর পেয়ে থাকি। আল্লাহ্ তা'আলার বলেনঃ وَاللَّائِي يَئِسْنَ مِنَ الْمَحِيضِ مِنْ نِسَائِكُمْ إِنِ ارْتَبْتُمْ فَعِدَّتُهُنَّ ثَلَاثَةُ أَشْهُرٍ وَاللَّائِي لَمْ يَحِضْنَ
অর্থাৎঃ তােমাদের যেসকল স্ত্রী ঋতুমতি হবার আশা নাই তাদের ইদ্দত সম্পর্কে তােমরা সন্দেহ করলে তাদের ইদ্দতকাল হবে তিন মাস এবং যারা এখনও রজস্বলা হয় নাই। (সূরাঃ ৬৫ আয়াতঃ ৪) এর অর্থ হলাে তােমাদের যেসকল স্ত্রীর ঋতুমতী হবার আশা নাই এবং যারা এখনও ঋতুমতী হয় নাই, তাদের ইদ্দত সম্পর্কে তােমরা সন্দেহ করলে, তাদের ইদ্দতকাল হবে তিন মাস। (এ আয়াতে) আগে পরে করা হয়েছে। অনুরূপভাবে তাঁর উক্তিঃ কোন মু'মিনকে কাফিরের বদলায় এবং কোন চুক্তিবদ্ধ (যিম্মী)-কে তার চুক্তি চলাকালীন সময়ে হত্যা করা হবে না। এতে তাঁর উদ্দেশ্য হলােঃ (আল্লাহ্ই সর্বাধিক জ্ঞাত আছেন) কোন মু'মিন এবং যিম্মীকে তার চুক্তির সময়ে কাফিরের বদলায় হত্যা করা হবে না। (সংশ্লিষ্ট বাক্যে) আগে পরে করা হয়েছে। সুতরাং যে কাফিরের বদলায় মু'মিনকে হত্যা করতে নিষেধ করা হয়েছে তা দ্বারা ওই কাফির উদ্দেশ্য, যার সাথে কোন চুক্তি বা প্রতিশ্রুতি নাই (অর্থাৎ হারবী কাফির)। যদি কোন প্রশ্নকারী বলে যে, তাঁর উক্তি “এবং না কোন চুক্তিবদ্ধ লােককে তার চুক্তি চলাকালীন সময়ে”- এর মর্ম হবে এই যে, তিনি “মু'মিনকে কাফিরের বদলায় হত্যা করা হবে না” বলার পর বক্তব্য বিচ্ছিন্ন তথা শেষ করে দিয়েছেন। অতঃপর নতুনভাবে বলেছেন যে, কোন চুক্তিবদ্ধ লােককে তার চুক্তি চলাকালীন সময়ে হত্যা করা হবে না।
তার বিরুদ্ধে আমাদের দলীল হলাে যে, এই হাদীসটি ওই খুনের ব্যাপারে বর্ণিত হয়েছে, যা কারাে বদলায় প্রবাহিত করা হয়। কেননা তিনি বলেছেন, মুসলমানদের অন্যের উপরে প্রাধান্য রয়েছে, তাদের রক্ত পারস্পরিকভাবে বরাবর এবং তাদের কৃত প্রতিশ্রুতি (পূর্ণ করার) জন্য নগণ্য মুসলমানও চেষ্টা করতে পারে। অতঃপর বলেছেনঃ কোন মু'মিনকে কোন কাফিরের বদলায় হত্যা করা হবে না এবং না কোন চুক্তিবদ্ধ (যিম্মী)-কে স্বীয় চুক্তি চলাকালীন সময়ে হত্যা করা হবে। সুতরাং এই বাক্য ওই খুনের ব্যাপারে বলা হয়েছে, যা কিসাসরূপে প্রবাহিত করা হয়। পক্ষান্তরে চুক্তির কারণে খুনের হুরমত সম্পর্কে এই বাক্য বলা হয় নাই। সুতরাং এই হাদীসূকে এর উপরই প্রয়ােগ করা হবে। এই হলো একটি দলীল বা বিশ্লেষণ।
দ্বিতীয় দলীল এই যে, এই হাদীসটি আলী (রাযিঃ) সূত্রে নবী(ﷺ) থেকে বর্ণিত। আমাদের জানা নেই যে, সহীহ সনদের সাথে এটি অন্য কোন সাহাবী থেকেও বর্ণিত আছে। সুতরাং তিনি এর ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ অধিক অবহিত। যদি এটা তােমাদের নিকট কোন বিষয়ের সম্ভাবনা রাখে তাহলে ওই দুই অর্থের সম্ভাবনা হবে, যা তােমরা উল্লেখ করেছ। আর এটা এ কথার দলীল যে, বাস্তবে এর মর্ম সেটাই হবে, যা তিনি [আলী (রাযিঃ)] বর্ণনা করেছেন।
আলী (রাযিঃ)-এর পরিপূর্ণ হাদীস এটাই। এতে যে মু'মিনকে কাফিরের বদলায় হত্যা না করার উল্লেখ রয়েছে। তা হলাে তার এই উক্তিঃ কোন মু'মিনকে কোন কাফিরের বদলায় এবং কোন চুক্তিবদ্ধলােককে চুক্তি চলাকালীন সময় হত্যা করা হবে না। এর সেই মর্ম যা প্রথমােক্ত মতপােষণকারীগণ নিয়েছে তা অসম্ভব। কেননা তা হলে তা ভুল হত। আর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) এ থেকে অপরাপর সমস্ত লোকদের অপেক্ষা সর্বাপেক্ষা দূরে অবস্থানকারী। এবং মর্ম এটা হত যে, কোন মু'মিনকে কাফির এবং কোন চুক্তিবদ্ধলােকের বদলায় তার চুক্তি চলাকালীন সময়ে হত্যা করা হবে না। যখন এর শব্দ এরূপ নয় বরং এর শব্দ হলাে নিম্নরূপঃ “কোন চুক্তিবদ্ধ লােককে তার চুক্তি চলাকালীন সময়ে হত্যা করা হবে না।” এতে আমরা জানতে পেরেছি যে, কিসাস দ্বারা চুক্তিবদ্ধ (যিম্মী)ই উদ্দেশ্য। সুতরাং এখন এই উক্তি এরূপ হবে যে, কোন মু'মিন এবং চুক্তিবদ্ধ (যিম্মী)-কে তার চুক্তির সময়ে কোন কাফির (অযিম্মী)-এর বদলায় হত্যা করা হবে না।
আর এটা আমাদের জানা কথা যে, চুক্তিবদ্ধ (যিম্মী) ও কাফির। সুতরাং প্রমাণিত হলাে যে, এই হাদীসে যে কাফিরের বদলায় মু'মিনকে হত্যা করা নিষিদ্ধ, সে অচুক্তিবদ্ধ (অযিম্মী) কাফির। আর এ সম্পর্কে মু'মিনদের মাঝে কোনরূপ বিরােধ নেই যে, হারবী কাফিরের বদলায় মু'মিনকে হত্যা করা হবে না এবং ওই যিম্মী কাফির যার সঙ্গে চুক্তি রয়েছে তাকেও হারবী কাফিরের বদলায় হত্যা করা হবে না।
আমরা এরূপ বিষয় (বাক্যের মাঝে আগে পরে হওয়া) কুরআন মাজীদে প্রচুর পেয়ে থাকি। আল্লাহ্ তা'আলার বলেনঃ وَاللَّائِي يَئِسْنَ مِنَ الْمَحِيضِ مِنْ نِسَائِكُمْ إِنِ ارْتَبْتُمْ فَعِدَّتُهُنَّ ثَلَاثَةُ أَشْهُرٍ وَاللَّائِي لَمْ يَحِضْنَ
অর্থাৎঃ তােমাদের যেসকল স্ত্রী ঋতুমতি হবার আশা নাই তাদের ইদ্দত সম্পর্কে তােমরা সন্দেহ করলে তাদের ইদ্দতকাল হবে তিন মাস এবং যারা এখনও রজস্বলা হয় নাই। (সূরাঃ ৬৫ আয়াতঃ ৪) এর অর্থ হলাে তােমাদের যেসকল স্ত্রীর ঋতুমতী হবার আশা নাই এবং যারা এখনও ঋতুমতী হয় নাই, তাদের ইদ্দত সম্পর্কে তােমরা সন্দেহ করলে, তাদের ইদ্দতকাল হবে তিন মাস। (এ আয়াতে) আগে পরে করা হয়েছে। অনুরূপভাবে তাঁর উক্তিঃ কোন মু'মিনকে কাফিরের বদলায় এবং কোন চুক্তিবদ্ধ (যিম্মী)-কে তার চুক্তি চলাকালীন সময়ে হত্যা করা হবে না। এতে তাঁর উদ্দেশ্য হলােঃ (আল্লাহ্ই সর্বাধিক জ্ঞাত আছেন) কোন মু'মিন এবং যিম্মীকে তার চুক্তির সময়ে কাফিরের বদলায় হত্যা করা হবে না। (সংশ্লিষ্ট বাক্যে) আগে পরে করা হয়েছে। সুতরাং যে কাফিরের বদলায় মু'মিনকে হত্যা করতে নিষেধ করা হয়েছে তা দ্বারা ওই কাফির উদ্দেশ্য, যার সাথে কোন চুক্তি বা প্রতিশ্রুতি নাই (অর্থাৎ হারবী কাফির)। যদি কোন প্রশ্নকারী বলে যে, তাঁর উক্তি “এবং না কোন চুক্তিবদ্ধ লােককে তার চুক্তি চলাকালীন সময়ে”- এর মর্ম হবে এই যে, তিনি “মু'মিনকে কাফিরের বদলায় হত্যা করা হবে না” বলার পর বক্তব্য বিচ্ছিন্ন তথা শেষ করে দিয়েছেন। অতঃপর নতুনভাবে বলেছেন যে, কোন চুক্তিবদ্ধ লােককে তার চুক্তি চলাকালীন সময়ে হত্যা করা হবে না।
তার বিরুদ্ধে আমাদের দলীল হলাে যে, এই হাদীসটি ওই খুনের ব্যাপারে বর্ণিত হয়েছে, যা কারাে বদলায় প্রবাহিত করা হয়। কেননা তিনি বলেছেন, মুসলমানদের অন্যের উপরে প্রাধান্য রয়েছে, তাদের রক্ত পারস্পরিকভাবে বরাবর এবং তাদের কৃত প্রতিশ্রুতি (পূর্ণ করার) জন্য নগণ্য মুসলমানও চেষ্টা করতে পারে। অতঃপর বলেছেনঃ কোন মু'মিনকে কোন কাফিরের বদলায় হত্যা করা হবে না এবং না কোন চুক্তিবদ্ধ (যিম্মী)-কে স্বীয় চুক্তি চলাকালীন সময়ে হত্যা করা হবে। সুতরাং এই বাক্য ওই খুনের ব্যাপারে বলা হয়েছে, যা কিসাসরূপে প্রবাহিত করা হয়। পক্ষান্তরে চুক্তির কারণে খুনের হুরমত সম্পর্কে এই বাক্য বলা হয় নাই। সুতরাং এই হাদীসূকে এর উপরই প্রয়ােগ করা হবে। এই হলো একটি দলীল বা বিশ্লেষণ।
দ্বিতীয় দলীল এই যে, এই হাদীসটি আলী (রাযিঃ) সূত্রে নবী(ﷺ) থেকে বর্ণিত। আমাদের জানা নেই যে, সহীহ সনদের সাথে এটি অন্য কোন সাহাবী থেকেও বর্ণিত আছে। সুতরাং তিনি এর ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ অধিক অবহিত। যদি এটা তােমাদের নিকট কোন বিষয়ের সম্ভাবনা রাখে তাহলে ওই দুই অর্থের সম্ভাবনা হবে, যা তােমরা উল্লেখ করেছ। আর এটা এ কথার দলীল যে, বাস্তবে এর মর্ম সেটাই হবে, যা তিনি [আলী (রাযিঃ)] বর্ণনা করেছেন।
5048 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ , قَالَ: ثنا يَحْيَى , عَنِ ابْنِ أَبِي عَرُوبَةَ , قَالَ: ثنا قَتَادَةُ , عَنِ الْحَسَنِ , " عَنْ قَيْسِ بْنِ عَبَّادٍ , قَالَ: انْطَلَقْتُ أَنَا وَالْأَشْتَرُ إِلَى عَلِيٍّ فَقُلْنَا هَلْ عَهِدَ إِلَيْكَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَهْدًا لَمْ يَعْهَدْهُ إِلَى النَّاسِ عَامَّةً؟ قَالَ: «لَا إِلَّا مَا كَانَ فِي كِتَابِي هَذَا» فَأَخْرَجَ كِتَابًا مِنْ قِرَابِ سَيْفِهِ فَإِذَا فِيهِ الْمُؤْمِنُونَ تَتَكَافَأُ دِمَاؤُهُمْ وَيَسْعَى بِذِمَّتِهِمْ أَدْنَاهُمْ وَهُمْ يَدٌ عَلَى مَنْ سِوَاهُمْ لَا يُقْتَلُ مُؤْمِنٌ بِكَافِرٍ وَلَا ذُو عَهْدٍ فِي عَهْدِهِ وَمَنْ أَحْدَثَ حَدَثًا فَعَلَى نَفْسِهِ وَمَنْ أَحْدَثَ حَدَثًا أَوْ آوَى مُحْدِثًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ «فَهَذَا هُوَ حَدِيثُ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بِتَمَامِهِ وَالَّذِي فِيهِ مِنْ نَفْيِ قَتْلِ الْمُؤْمِنِ بِالْكَافِرِ هُوَ قَوْلُهُ» لَا يُقْتَلُ مُؤْمِنٌ بِكَافِرٍ وَلَا ذُو عَهْدٍ فِي عَهْدِهِ «. [ص:193] فَاسْتَحَالَ أَنْ يَكُونَ مَعْنَاهُ عَلَى مَا حَمَلَهُ عَلَيْهِ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى لِأَنَّهُ لَوْ كَانَ مَعْنَاهُ عَلَى مَا ذَكَرُوا لَكَانَ ذَلِكَ لَحْنًا وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبْعَدُ النَّاسِ مِنْ ذَلِكَ وَلَكَانَ لَا يُقْتَلُ مُؤْمِنٌ بِكَافِرٍ وَلَا ذِي عَهْدٍ فِي عَهْدِهِ. فَلَمَّا لَمْ يَكُنْ لَفْظُهُ كَذَلِكَ وَإِنَّمَا هُوَ» وَلَا ذُو عَهْدٍ فِي عَهْدِهِ «عَلِمْنَا بِذَلِكَ أَنَّ ذَا الْعَهْدِ هُوَ الْمَعْنِيُّ بِالْقِصَاصِ. فَصَارَ ذَلِكَ كَقَوْلِهِ» لَا يُقْتَلُ مُؤْمِنٌ وَلَا ذُو عَهْدٍ فِي عَهْدِهِ بِكَافِرٍ «. وَقَدْ عَلِمْنَا أَنَّ ذَا الْعَهْدِ كَافِرٌ فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ الْكَافِرَ الَّذِي مَنَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُقْتَلَ بِهِ الْمُؤْمِنُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ هُوَ الْكَافِرُ الَّذِي لَا عَهْدَ لَهُ. فَهَذَا مِمَّا لَا اخْتِلَافَ فِيهِ بَيْنَ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّ الْمُؤْمِنَ لَا يُقْتَلُ بِالْكَافِرِ الْحَرْبِيِّ وَأَنَّ ذَا الْعَهْدِ الْكَافِرِ الَّذِي قَدْ صَارَ لَهُ ذِمَّةٌ لَا يُقْتَلُ بِهِ أَيْضًا. وَقَدْ نَجِدُ مِثْلَ هَذَا كَثِيرًا فِي الْقُرْآنِ قَالَ اللهُ تَعَالَى {» وَاللَّائِي يَئِسْنَ مِنَ الْمَحِيضِ مِنْ نِسَائِكُمْ إِنِ ارْتَبْتُمْ فَعِدَّتُهُنَّ ثَلَاثَةُ أَشْهُرٍ وَاللَّائِي لَمْ يَحِضْنَ "} [الطلاق: 4] . فَكَانَ مَعْنَى ذَلِكَ «وَاللَّائِي يَئِسْنَ مِنَ الْمَحِيضِ» وَاللَّائِي لَمْ يَحِضْنَ «إِنِ ارْتَبْتُمْ فَعِدَّتُهُنَّ ثَلَاثَةُ أَشْهُرٍ» فَقَدَّمَ وَأَخَّرَ. فَكَذَلِكَ قَوْلُهُ «لَا يُقْتَلُ مُؤْمِنٌ بِكَافِرٍ وَلَا ذُو عَهْدٍ فِي عَهْدِهِ» إِنَّمَا مُرَادُهُ فِيهِ وَاللهُ أَعْلَمُ «لَا يُقْتَلُ مُؤْمِنٌ وَلَا ذُو عَهْدٍ فِي عَهْدِهِ بِكَافِرٍ» فَقَدَّمَ وَأَخَّرَ. فَالْكَافِرُ الَّذِي مُنِعَ أَنْ يُقْتَلَ بِهِ الْمُؤْمِنُ هُوَ الْكَافِرُ غَيْرُ الْمُعَاهَدِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: قَوْلُهُ «وَلَا ذُو عَهْدٍ فِي عَهْدِهِ» إِنَّمَا مَعْنَاهُ «لَا يُقْتَلُ مُؤْمِنٌ بِكَافِرٍ» فَانْقَطَعَ الْكَلَامُ ثُمَّ قَالَ «وَلَا ذُو عَهْدٍ فِي عَهْدِهِ» كَلَامًا مُسْتَأْنَفًا أَيْ: «وَلَا يُقْتَلُ الْمُعَاهَدُ فِي عَهْدِهِ» . فَكَانَ مِنْ حُجَّتِنَا عَلَيْهِ أَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ إِنَّمَا جَرَى فِي الدِّمَاءِ الْمَسْفُوكِ بَعْضُهَا بِبَعْضٍ لِأَنَّهُ قَالَ «الْمُسْلِمُونَ يَدٌ عَلَى مَنْ سِوَاهُمْ تَتَكَافَأُ دِمَاؤُهُمْ وَيَسْعَى بِذِمَّتِهِمْ أَدْنَاهُمْ» ثُمَّ قَالَ «لَا يُقْتَلُ مُؤْمِنٌ بِكَافِرٍ وَلَا ذُو عَهْدٍ فِي عَهْدِهِ» فَإِنَّمَا أَجْرَى الْكَلَامَ عَلَى الدِّمَاءِ الَّتِي تُؤْخَذُ قِصَاصًا وَلَمْ يَجْرِ عَلَى حُرْمَةِ دَمٍ بِعَهْدٍ فَيُحْمَلُ الْحَدِيثُ عَلَى ذَلِكَ فَهَذَا وَجْهٌ. وَحُجَّةٌ أُخْرَى أَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ إِنَّمَا رُوِيَ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا نَعْلَمُ أَنَّهُ رُوِيَ عَنْ غَيْرِهِ مِنْ طَرِيقٍ صَحِيحٍ فَهُوَ كَانَ أَعْلَمَ بِتَأْوِيلِهِ. وَتَأْوِيلُهُ فِيهِ إِذْ كَانَ مُحْتَمِلًا عِنْدَكُمْ يَحْتَمِلُ هَذَيْنِ الْمَعْنَيَيْنِ اللَّذَيْنِ ذَكَرْتُمْ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ مَعْنَاهُ فِي الْحَقِيقَةِ هُوَ مَا تَأَوَّلَهُ عَلَيْهِ
