শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

১১. শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়

হাদীস নং: ৪৮৪৮
১. অবিবাহিতের যিনার শাস্তি।
৪৮৪৮। রাওহ ইবনুল ফারাজ (রাহঃ) ..... আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে তাদের এক দাসী সম্বন্ধে সংবাদ দেয়া হল যে, সে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে তার কাছে প্রেরণ করেন এবং বলেন, তুমি যাও এবং তার উপর শাস্তি প্রয়ােগ কর। হযরত আলী (রাযিঃ) বলেন, আমি গেলাম এবং আমি তাকে পেলাম যে তার রক্ত এখনাে শুকায়নি। তাই আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে ফেরত আসলাম, তখন তিনি আমাকে বললেন, তুমি কি তােমার উপর অর্পিত কর্তব্য সম্পাদন করে অবসর হয়েছ? তখন আমি বললাম, আমি তাকে পেয়েছি কিন্তু তার রক্ত এখনও শুকায়নি, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যখন তার রক্ত শুকিয়ে যাবে তখন তাকে বেত্রাঘাত করবে। হযরত আলী (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, তােমরা তােমাদের দাস-দাসীর উপর শাস্তি প্রয়ােগ করবে।

উলামায়ে কিরাম বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাসীকে ব্যভিচারে লিপ্ত হলে বেত্রাঘাত করার হুকুম দিয়েছেন কিন্তু কেএঘাতের সাথে নির্বাসনের হুকুম দেননি। আল্লাহ্ তা'আলা কুরআনুল কারিমের সূরা নিসাঃ ২৫ আয়াতে ইরশাদ করেনঃ فَعَلَيْهِنَّ نِصْفُ مَا عَلَى الْمُحْصَنَاتِ مِنَ الْعَذَابِ অর্থাৎ “তবে তাদের শান্তি স্বাধীনা নারীর অর্ধেক।” আমরা জানতে পারলাম যে, দাসী ব্যভিচারে লিপ্ত হলে তার উপর স্বাধীনা নারীর অর্ধেক শাস্তি প্রয়ােগ করা ওয়াজিব হয়। অতঃপর প্রমাণিত হয় যে, দাসী যেমন ব্যভিচারে লিপ্ত হলে তার জন্য কোন নির্বাসন নেই, স্বাধীনা নারীও ব্যভিচারে লিপ্ত হলে তার জন্যে নির্বাসন নেই। কেননা আমরা ইতিমধ্যে আমাদের এ কিতাবে উল্লেখ করেছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন নারীকে মাহরাম ব্যতীত তিন দিনের বেশী ভ্রমণ করতে নিষেধ করেছেন। তাই এটাও একটা দলীল যে, কোন নারী যেন মাহরাম ব্যতীত ব্যভিচারের শাস্তির ক্ষেত্রে তিন দিনের বেশী ভ্ৰমণ না করে। আর এ হাদীসের দ্বারাই ব্যভিচারের ক্ষেত্রে মহিলাদের থেকে নির্বাসনের শাস্তি বাতিল করা হয়। সুতরাং দেখা যায় যে, পরাধীন নারীর ক্ষেত্রে ব্যভিচারের বেলায় যেমন নির্বাসনকে রহিত করা হয়েছে, অনুরূপ পুরুষদের থেকেও তা রহিত করা হয়েছে। আর আমাদের উল্লেখিত পরাধীনা নারীদের থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর রহিত করার ফলে স্বাধীনা নারীদের থেকেও রহিত হয়ে যায় আর স্বাধীনা নারীদের ক্ষেত্রে রহিত করার বিষয়টিও স্বাধীন পুরুষদের ক্ষেত্রে রহিত হিসেবে গণ্য। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) এবং ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
যদি কোন ব্যক্তি বলে, “দাসী যদি ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাহলে তাকে ৬ মাসের নির্বাসন দেয়াটা স্বাধীনা নারীর নির্বাসনের অর্ধেক হিসেবে গণ্য। সে আরাে বলে, দাসীকে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার বেত্রাঘাতের শাস্তি সম্পর্কে তোমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে যে বাণী উল্লেখ করেছ এবং তাকে চতুর্থবারের সময় বিক্রি করার যে বাণী বর্ণিত হয়েছে, তাতে রাসূলুল্লাহ তার নির্বাসনকে প্রত্যাখ্যান করেননি।" উপরােক্ত প্রশ্নকারী তার এ কথা দ্বারা তার পূর্বেকার জ্ঞানীদের বিরােধিতা করেছে এবং তাদের বাণীগুলাে প্রত্যাখ্যান করেছে, তাই তাকে উত্তরে বলা যায় যে, বরং, আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে যে বর্ণনা পেশ করেছি, তিনি বলেছেন, যদি তােমার কোন দাসী ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাহলে তাকে তার মুনিব যেন বেত্রাঘাত করে। আর চতুর্থ বারের জনা বলেছেন, সে যেন তাকে বিক্রি করে দেয়। এ বাণীটি একথার উপর দলীল যে, তার জন্যে কোন নির্বাসন নেই, কেননা তিনি সাহাবায়ে কিরামকে ব্যভিচারে লিপ্ত দাসীদের সাথে যেরূপ আচরণ করতেন তা শিক্ষা দিয়েছেন, তাই তাদের ব্যাপারে যা কিছু করা দরকার তার থেকে কোন কিছু কম করা সম্ভব নয়। আবার ৬ মাস অতিক্রান্ত হবার পূর্বে বিক্রেতা থেকে হস্তগত হওয়ার সামর্থ্য না থাকায় এটাকে বিক্রি করার আদেশ করাও সম্ভব নয়। তাকে আরাে বলা যায় যে, যা তুমি ধারণা করেছ যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উনাইস (রাযিঃ) কে লক্ষ্য করে বলা, “তুমি মহিলাটির কাছে যাও, যদি সে স্বীকার করে তাহলে তাকে রাজম কর বাণীটি একথার দলীল যে, এর সাথে বেত্রাঘাত নেই, যদিও বেত্রাঘাত বাতিলের কথা এ হাদীসে উল্লেখ নেই। আর তুমি একথা বলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণিত বাণীর বিরােধিতা করলে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বাণী হল, “বিবাহিত বিবাহিতার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হলে একশ বেত্রাঘাত আসবে এবং রাজম আসবে। আর এটা যখন তােমার কাছে আমাদের উল্লেখিত মতামতের বিরুদ্ধে একটি দলীল হিসেবে গণ্য, তাহলে তুমি তােমার প্রতিপক্ষকে কেন খারাপ মনে করছ, যখন সে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর বাণী, “যদি তোমাদের কোন দাসী ব্যভিচার করে তাকে মুনিব বেত্রাঘাত করবে”-কে দাসার নির্বাসন বাতিলের জন্যে দলীল হিসেবে গ্রহণ করে। দাসীর নির্বাসন সম্বন্ধে হাদীসের মৌনতাই তার থেকে নির্বাসনকে দূরীভূত করে, যেমন তুমিও উল্লেখ করেছ যে, রাজমের সাথে বেত্রাঘাত থেকে মৌনতা অবলম্বন ব্যভিচারী বিবাহিতের শাস্তির ক্ষেত্রে প্রস্তরের সাথে বেত্রাঘাতকে দূরীভূত করেনা। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উনাইস (রাযিঃ)-কে বলেছিলেন فَإِنِ اعْتَرَفَتْ فَارْجُمْهَا যদি সে স্বীকার করে তাহলে তাকে প্রস্তর দ্বারা শাস্তি প্রদান করবে। এ ক্ষেত্রে তুমি যেরূপ ভূমিকা নিয়েছ তােমার প্রতিপক্ষও রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বাণীতে إِذَا زَنَتْ أَمَةُ أَحَدِكُمْ অর্থাৎ যখন তােমাদের কোন দাসী ব্যভিচারে লিপ্ত হয় فَلْيَجْلِدْهَا তখন সে যেন তাকে বেত্রাঘাত করে, অনুরূপ ভূমিকা নিয়েছে। প্রশ্নকারীকে আরাে বলা হয় যে, ব্যভিচারী ছাড়াও অন্যের ক্ষেত্রে নির্বাসন প্রয়ােগ করার ঘটনা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে দেখতে পাওয়া যায়
4848 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ , عَنْ عَبْدِ الْأَعْلَى التَّغْلِبِيِّ , عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ , عَنْ عَلِيٍّ , قَالَ: أُخْبِرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَمَةٍ لَهُمْ فَجَرَتْ فَأَرْسَلَنِي إِلَيْهَا فَقَالَ اذْهَبْ فَأَقِمْ عَلَيْهَا الْحَدَّ. فَانْطَلَقْتُ فَوَجَدْتُهَا لَمْ تَجِفَّ مِنْ دَمِهَا , فَرَجَعْتُ إِلَيْهِ فَقَالَ لِي: فَرَغْتَ؟ فَقُلْتُ: وَجَدْتُهَا لَمْ تَجِفَّ مِنْ دَمِهَا. فَقَالَ إِذَا هِيَ جَفَّتْ مِنْ دَمِهَا فَاجْلِدْهَا. قَالَ عَلِيٌّ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقِيمُوا الْحُدُودَ عَلَى مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ " [ص:137] قَالُوا: فَلَمَّا أَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْأَمَةِ إِذَا زَنَتْ أَنْ تُجْلَدَ وَلَمْ يَأْمُرْ مَعَ الْجَلْدِ بِنَفْيٍ وَقَدْ قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ «فَعَلَيْهِنَّ نِصْفُ مَا عَلَى الْمُحْصَنَاتِ مِنَ الْعَذَابِ» فَعَلِمْنَا بِذَلِكَ أَنَّ مَا يَجِبُ عَلَى الْإِمَاءِ - إِذَا زَنَيْنَ - هُوَ نِصْفُ مَا يَجِبُ عَلَى الْحَرَائِرِ إِذَا زَنَيْنَ. ثُمَّ ثَبَتَ أَنْ لَا نَفْيَ عَلَى الْأَمَةِ إِذَا زَنَتْ , كَانَ كَذَلِكَ أَيْضًا أَنْ لَا نَفْيَ عَلَى الْحُرَّةِ إِذَا زَنَتْ. وَقَدْ رَوَيْنَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا تَقَدَّمَ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا أَنَّهُ نَهَى أَنْ تُسَافِرَ امْرَأَةٌ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ إِلَّا مَعَ مَحْرَمٍ فَذَلِكَ دَلِيلٌ أَيْضًا أَنْ لَا تُسَافِرَ الْمَرْأَةُ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ فِي حَدِّ الزِّنَا بِغَيْرِ مَحْرَمٍ , وَفِي ذَلِكَ إِبْطَالُ النَّفْيِ عَنِ النِّسَاءِ فِي الزِّنَا , فَإِذَا انْتَفَى أَنْ يَكُونَ يَجِبُ عَلَى النِّسَاءِ اللَّاتِي غَيْرُ الْمُحْصَنَاتِ نَفْيٌ فِي الزِّنَا انْتَفَى ذَلِكَ أَيْضًا عَنِ الرِّجَالِ. وَكَانَ دَرْءُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاهُ عَنِ الْإِمَاءِ فِيمَا ذَكَرْنَا كَانَ دَرْءًا عَنِ الْحَرَائِرِ , وَفِي دَرْئِهِ إِيَّاهُ عَنِ الْحَرَائِرِ دَلِيلٌ عَلَى دَرْئِهِ إِيَّاهُ عَنِ الْأَحْرَارِ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَإِنَّ نَفْيَ الْأَمَةِ إِذَا زَنَتْ سِتَّةَ أَشْهُرٍ مِثْلُ مَا تُنْفَى الْحَرَّةُ؟ وَقَالَ: لَمْ يَنْفِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّفْيَ فِيمَا ذَكَرْتُمُوهُ عَنْهُ مِنْ جَلْدِ الْأَمَةِ إِذَا زَنَتْ وَلَا بِقَوْلِهِ ثُمَّ بِيعُوهَا فِي الْمَرَّةِ الرَّابِعَةِ. فَكَانَ هَذَا الْقَائِلُ يُخَالِفُ كُلَّ مَنْ تَقَدَّمَهُ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ وَخَرَجَ مِنْ أَقَاوِيلِهِمْ. فَيُقَالُ لَهُ: بَلْ فِيمَا رَوَيْنَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ قَوْلِهِ «إِذَا زَنَتْ أَمَةُ أَحَدِكُمْ فَلْيَجْلِدْهَا» ثُمَّ قَالَ فِي الرَّابِعَةِ فَلْيَبِعْهَا دَلِيلٌ عَلَى أَنْ لَا نَفْيَ عَلَيْهَا لِأَنَّهُ إِنَّمَا عَلَّمَهُمْ فِي ذَلِكَ مَا يَفْعَلُونَ بِإِمَائِهِمْ إِذَا زَنَيْنَ. فَمُحَالٌ أَنْ يَكُونَ يُقَصِّرُ فِي ذَلِكَ عَنْ جَمِيعِ مَا يَجِبُ عَلَيْهِنَّ وَمُحَالٌ أَنْ يَأْمُرَ بِبَيْعِ مَنْ لَا يَقْدِرُ مُبْتَاعُهُ عَلَى قَبْضِهِ مِنْ بَائِعِهِ , وَلَا تَصِلُ إِلَى ذَلِكَ إِلَّا بَعْدَ مُضِيِّ سِتَّةِ أَشْهُرٍ. وَيُقَالُ لَهُ أَيْضًا: قَدْ زَعَمْتَ أَنْتَ أَنَّ قَوْلَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأُنَيْسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ «اغْدُ عَلَى امْرَأَةِ هَذَا فَإِنِ اعْتَرَفَتْ فَارْجُمْهَا» دَلِيلٌ عَلَى أَنْ لَا جَلْدَ عَلَيْهَا مَعَ ذَلِكَ , وَإِنْ كَانَ إِبْطَالُ الْجَلْدِ لَمْ يُذْكَرْ فِي هَذَا الْحَدِيثِ وَجَعَلْتَ ذَلِكَ مُعَارِضًا لِمَا قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ قَوْلِهِ «الثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ جَلْدُ مِائَةٍ وَالرَّجْمُ» . فَإِذَا كَانَ هَذَا عِنْدَكَ دَلِيلًا عَلَى مَا ذَكَرْنَا فَمَا تُنْكِرُ عَلَى خَصْمِكَ أَنْ يَكُونَ قَوْلُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِذَا زَنَتْ أَمَةُ أَحَدِكُمْ فَلْيَجْلِدْهَا» عِنْدَهُ دَلِيلًا عَلَى إِبْطَالِ النَّفْيِ عَلَى الْأَمَةِ. فَإِذَا كَانَ مَا ذَكَرْنَا فِي السُّكُوتِ عَنْ نَفْيِ الْأَمَةِ لَيْسَ يَرْفَعُ النَّفْيَ عَنْهَا فِيمَا ذَكَرْتَ أَنْتَ أَيْضًا فِي السُّكُوتِ عَنِ الْجَلْدِ مَعَ الرَّجْمِ لَا يَرْفَعُ الْجَلْدَ عَنِ الثَّيِّبِ الزَّانِي مَعَ الرَّجْمِ. وَمَا يَلْزَمُ خَصْمَكَ فِي قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِذَا زَنَتْ أَمَةُ أَحَدِكُمْ فَلْيَجْلِدْهَا» شَيْءٌ إِلَّا لَزِمَكَ مِثْلُهُ فِي قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأُنَيْسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ «فَإِنِ اعْتَرَفَتْ فَارْجُمْهَا» . وَيُقَالُ لَهُ: رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي النَّفْيِ غَيْرُ الزِّنَا مَا قَدْ
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ৪৮৪৮ | মুসলিম বাংলা