শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
৬. হজ্বের অধ্যায়
হাদীস নং: ৪১৫০
শিশুদের হজ্জ
৪১৫০। মুহাম্মাদ (রাহঃ) ….. ইউনুস ইব্ন উবাইদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) কে ঐ ক্রীতদাস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি, যে হজ্জ পালন করেছে তারপর তাকে আযাদ করে দেয়া হয়েছে। তিনি বললেন, তার উপর পুন হজ্জ পালন আবশ্যক হবে। এবং ঐ শিশু সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি, যে হজ্জ পালন করেছে তারপর বালিগ হয়েছে ? তিনি বললেন, সেও পুন হজ্জ পালন করবে।
আপনাদের ধারণা মতে যিনি হাদীস রিওয়ায়াত করেন তিনি সংশ্লিষ্ট হাদীসের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত। সুতরাং এই ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ)! যিনি নবী(ﷺ) থেকে ঐ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন যা আমরা এই অনুচ্ছেদের শুরুতে উল্লেখ করেছি। তারপর তিনি সেই কথা বলেছেন, যা আমরা উল্লেখ করেছি। সুতরাং আপনাদের মূলনীতি মুতাবিক এটা নবী(ﷺ) থেকে বর্ণিত হাদীসের বিষয়বস্তুর উপর দলীল হওয়া বাঞ্ছনীয়। যদি কোন প্রশ্নকারী বলেন যে, আপনারা কিভাবে জানলেন যে, এই হজ্জ পালন তার (শিশুর) ইসলাম জনিত হজ্জের জন্য যথেষ্ট হবে না ?
তার উত্তরে আমি বলছিঃ রাসূলুল্লাহ(ﷺ)-এর বাণীঃ তিন ব্যক্তির উপর থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে, শিশু যতক্ষণ না বড় (বালিগ) হবে....। আমি এই হাদীসটি সনদসহ এই গ্রন্থের অন্যস্থানে উল্লেখ করেছি। যখন সাব্যস্ত হল যে, শিশুর উপর থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে তখন প্রমাণিত হল যে, তার হজ্জ ফরয হজ্জ নয়।(ফকীহ্গণ) এ বিষয়ে ঐকমত্য পােষণ করেন যে, যদি কোন না বালিগ শিশু সালাতের ওয়াক্তে প্রবেশ করে সালাত আদায় করে নেয়। তারপর সেই সালাতের ওয়াক্তে বালিগ হয়ে যায়। তাহলে তার উপর সালাত পুন আদায় করা আবশ্যক এবং সে ঐ ব্যক্তির হুকুমে বিবেচিত হবে, সালাত আদায় করেনি। যখন তাদের ঐকমত্যের দ্বারা এই বিষয়টি সাব্যস্ত হল, তখন হজ্জের অনুরূপ হুকুম হওয়াও সাব্যস্ত হল এবং যখন সে হজ্জ পালনের পরে বালিগ হবে তখন সে সেই ব্যক্তির হুকুমে বিবেচিত হবে যে হজ্জ পালন করেনি এবং তার উপর পুন হজ্জ পালন করা আবশ্যক হবে।
কোন প্রশ্নকারী যদি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন যে, আমরা লক্ষ্য করছি যে, হজ্জের হুকুম সালাতের হুকুমের পরিপন্থী। আর তা হল এভাবেঃ আল্লাহ্ তা'আলা হজ্জ পালন ঐ ব্যক্তির উপর ফরয করেছেন যে সেখানে (বায়তুল্লাহ্) পর্যন্ত পৌঁছার সামর্থ্য রাখে। তা ব্যতীত অন্যের উপর ফরয করেননি। সুতরাং যার সেখান পর্যন্ত পৌঁছার শক্তি বা সামর্থ্য নেই তার উপর হজ্জ পালন ফরয নয়। যেমন, না-বালিগ শিশু, যে বালিগ হয়নি তার উপর ফরয নয়। তারপর (ফকীহ্গণ) এ বিষয়ে ঐকমত্য পােষণ করেন যে, যে ব্যক্তির নিকট হজ্জের জন্য পাথেয় না থাকে এবং সে নিজেকে কষ্টেপতিত করে পায়ে হেটে হজ্জব্রত পালন করে তবে এটা তার জন্য যথেষ্ট হবে।
যদি পরবর্তীতে তার সামর্থ্য অর্জিত হয়ে যায় তবুও তার উপর পুন হজ্জ পালন করা এই জন্য জরুরী হবে না যে, প্রথমে সে সামর্থ্য অর্জিত না হওয়ার অবস্থায় হজ্জ পালন করেছে। সুতরাং এর উপর যুক্তির দাবি হল যে, শিশুরও এই হুকুম হবে, যখন সে বালিগ হওয়ার পূর্বে হজ্জ পালন করে নেয়। সে এমন আমল সম্পন্ন করেছে যা তার উপর ফরয ছিল না এটা তার জন্য যথেষ্ট, বালিগ হওয়ার পর তার উপর পুন হজ্জ পালন ফরয হবে না।
উত্তরে তাঁকে বলা হবে যে, যে ব্যক্তি সেখান পর্যন্ত পৌঁছার সামর্থ্য রাখে না তার থেকে ফরযিয়ত (ফরয হওয়া) এই জন্য রহিত হয়ে যায় যে, সে বায়তুল্লাহ্ শরীফ পর্যন্ত পৌছতে অক্ষম। যদি সে পায়ে হেঁটে বায়তুল্লাহ্ শরীফ পর্যন্ত পৌঁছে যায় তাহলে সেখান পর্যন্ত পৌঁছার সামর্থ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। এই কারণে তার উপর হজ্জ ফরয হয়ে যায়। এই জন্য আমরা বলি যে, এই হজ্জ তার জন্য যথেষ্ট হবে এবং এজন্যও যে, সে বায়তুল্লাহ্ শরীফ পর্যন্ত পৌঁছার পর সে সেখানকার বাসিন্দা হিসাবে গণ্য হবে, আর তার উপর হজ্জ আবশ্যক হবে। কিন্তু শিশুর উপর তাে বায়তুল্লাহ্ শরীফ পর্যন্ত পৌঁছার পূর্বে এবং পরে কোন অবস্থাতেই হজ্জ ফরয নয়। কেননা তার থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। সুতরাং যখন সে এর পরে বালিগ হবে তখন তার উপর হজ্জ পালন ফরয হবে। এই জন্য আমরা বলি যে, যে বালিগ হওয়ার পূর্বে হজ্জ করেছে তা তার জন্য যথেষ্ট নয়। তাকে বালিগ হওয়ার পর নতুনভাবে হজ্জ করতে হবে। যেমনিভাবে সেই ব্যক্তি করে থাকে, যে পূর্বে হজ্জ পালন করেনি। এই অনুচ্ছেদে এটাই যুক্তির দাবি। আর এটাই হল ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
আপনাদের ধারণা মতে যিনি হাদীস রিওয়ায়াত করেন তিনি সংশ্লিষ্ট হাদীসের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত। সুতরাং এই ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ)! যিনি নবী(ﷺ) থেকে ঐ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন যা আমরা এই অনুচ্ছেদের শুরুতে উল্লেখ করেছি। তারপর তিনি সেই কথা বলেছেন, যা আমরা উল্লেখ করেছি। সুতরাং আপনাদের মূলনীতি মুতাবিক এটা নবী(ﷺ) থেকে বর্ণিত হাদীসের বিষয়বস্তুর উপর দলীল হওয়া বাঞ্ছনীয়। যদি কোন প্রশ্নকারী বলেন যে, আপনারা কিভাবে জানলেন যে, এই হজ্জ পালন তার (শিশুর) ইসলাম জনিত হজ্জের জন্য যথেষ্ট হবে না ?
তার উত্তরে আমি বলছিঃ রাসূলুল্লাহ(ﷺ)-এর বাণীঃ তিন ব্যক্তির উপর থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে, শিশু যতক্ষণ না বড় (বালিগ) হবে....। আমি এই হাদীসটি সনদসহ এই গ্রন্থের অন্যস্থানে উল্লেখ করেছি। যখন সাব্যস্ত হল যে, শিশুর উপর থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে তখন প্রমাণিত হল যে, তার হজ্জ ফরয হজ্জ নয়।(ফকীহ্গণ) এ বিষয়ে ঐকমত্য পােষণ করেন যে, যদি কোন না বালিগ শিশু সালাতের ওয়াক্তে প্রবেশ করে সালাত আদায় করে নেয়। তারপর সেই সালাতের ওয়াক্তে বালিগ হয়ে যায়। তাহলে তার উপর সালাত পুন আদায় করা আবশ্যক এবং সে ঐ ব্যক্তির হুকুমে বিবেচিত হবে, সালাত আদায় করেনি। যখন তাদের ঐকমত্যের দ্বারা এই বিষয়টি সাব্যস্ত হল, তখন হজ্জের অনুরূপ হুকুম হওয়াও সাব্যস্ত হল এবং যখন সে হজ্জ পালনের পরে বালিগ হবে তখন সে সেই ব্যক্তির হুকুমে বিবেচিত হবে যে হজ্জ পালন করেনি এবং তার উপর পুন হজ্জ পালন করা আবশ্যক হবে।
কোন প্রশ্নকারী যদি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন যে, আমরা লক্ষ্য করছি যে, হজ্জের হুকুম সালাতের হুকুমের পরিপন্থী। আর তা হল এভাবেঃ আল্লাহ্ তা'আলা হজ্জ পালন ঐ ব্যক্তির উপর ফরয করেছেন যে সেখানে (বায়তুল্লাহ্) পর্যন্ত পৌঁছার সামর্থ্য রাখে। তা ব্যতীত অন্যের উপর ফরয করেননি। সুতরাং যার সেখান পর্যন্ত পৌঁছার শক্তি বা সামর্থ্য নেই তার উপর হজ্জ পালন ফরয নয়। যেমন, না-বালিগ শিশু, যে বালিগ হয়নি তার উপর ফরয নয়। তারপর (ফকীহ্গণ) এ বিষয়ে ঐকমত্য পােষণ করেন যে, যে ব্যক্তির নিকট হজ্জের জন্য পাথেয় না থাকে এবং সে নিজেকে কষ্টেপতিত করে পায়ে হেটে হজ্জব্রত পালন করে তবে এটা তার জন্য যথেষ্ট হবে।
যদি পরবর্তীতে তার সামর্থ্য অর্জিত হয়ে যায় তবুও তার উপর পুন হজ্জ পালন করা এই জন্য জরুরী হবে না যে, প্রথমে সে সামর্থ্য অর্জিত না হওয়ার অবস্থায় হজ্জ পালন করেছে। সুতরাং এর উপর যুক্তির দাবি হল যে, শিশুরও এই হুকুম হবে, যখন সে বালিগ হওয়ার পূর্বে হজ্জ পালন করে নেয়। সে এমন আমল সম্পন্ন করেছে যা তার উপর ফরয ছিল না এটা তার জন্য যথেষ্ট, বালিগ হওয়ার পর তার উপর পুন হজ্জ পালন ফরয হবে না।
উত্তরে তাঁকে বলা হবে যে, যে ব্যক্তি সেখান পর্যন্ত পৌঁছার সামর্থ্য রাখে না তার থেকে ফরযিয়ত (ফরয হওয়া) এই জন্য রহিত হয়ে যায় যে, সে বায়তুল্লাহ্ শরীফ পর্যন্ত পৌছতে অক্ষম। যদি সে পায়ে হেঁটে বায়তুল্লাহ্ শরীফ পর্যন্ত পৌঁছে যায় তাহলে সেখান পর্যন্ত পৌঁছার সামর্থ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। এই কারণে তার উপর হজ্জ ফরয হয়ে যায়। এই জন্য আমরা বলি যে, এই হজ্জ তার জন্য যথেষ্ট হবে এবং এজন্যও যে, সে বায়তুল্লাহ্ শরীফ পর্যন্ত পৌঁছার পর সে সেখানকার বাসিন্দা হিসাবে গণ্য হবে, আর তার উপর হজ্জ আবশ্যক হবে। কিন্তু শিশুর উপর তাে বায়তুল্লাহ্ শরীফ পর্যন্ত পৌঁছার পূর্বে এবং পরে কোন অবস্থাতেই হজ্জ ফরয নয়। কেননা তার থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। সুতরাং যখন সে এর পরে বালিগ হবে তখন তার উপর হজ্জ পালন ফরয হবে। এই জন্য আমরা বলি যে, যে বালিগ হওয়ার পূর্বে হজ্জ করেছে তা তার জন্য যথেষ্ট নয়। তাকে বালিগ হওয়ার পর নতুনভাবে হজ্জ করতে হবে। যেমনিভাবে সেই ব্যক্তি করে থাকে, যে পূর্বে হজ্জ পালন করেনি। এই অনুচ্ছেদে এটাই যুক্তির দাবি। আর এটাই হল ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
4150 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ , قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ , قَالَ: ثنا حَمَّادٌ , عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ , صَاحِبِ الْحُلِيِّ , قَالَ: سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنِ الْمَمْلُوكِ , إِذَا حَجَّ ثُمَّ عَتَقَ بَعْدَ ذَلِكَ؟ قَالَ: عَلَيْهِ الْحَجُّ أَيْضًا , وَعَنِ الصَّبِيِّ يَحُجُّ ثُمَّ يَحْتَلِمُ , قَالَ: يَحُجُّ أَيْضًا وَقَدْ زَعَمْتُمْ أَنَّ مَنْ رَوَى حَدِيثًا فَهُوَ أَعْلَمُ بِتَأْوِيلِهِ , فَهَذَا ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَدْ رَوَى عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا قَدْ ذَكَرْنَا فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ ثُمَّ قَالَ هُوَ , مَا قَدْ ذَكَرْنَا. فَيَجِبُ عَلَى أَصْلِكُمْ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ دَلِيلًا عَلَى مَعْنَى مَا رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ ذَلِكَ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَمَا الَّذِي دَلَّ عَلَى أَنَّ ذَلِكَ الْحَجَّ لَا يُجْزِيهِ مِنْ حَجَّةِ الْإِسْلَامِ؟ قُلْتُ؟ قَوْلُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ , عَنِ الصَّغِيرِ حَتَّى يَكْبَرَ» وَقَدْ ذَكَرْتُ ذَلِكَ بِأَسَانِيدِهِ فِي غَيْرِ هَذَا الْمَوْضِعِ , مِنْ هَذَا الْكِتَابِ ثَبَتَ أَنَّ الْقَلَمَ عَنِ الصَّبِيِّ مَرْفُوعٌ , ثَبَتَ أَنَّ الْحَجَّ عَلَيْهِ غَيْرُ مَكْتُوبٍ , وَقَدْ أَجْمَعُوا أَنَّ صَبِيًّا لَوْ دَخَلَ فِي وَقْتِ صَلَاةٍ فَصَلَّاهَا , ثُمَّ بَلَغَ بَعْدَ ذَلِكَ فِي وَقْتِهَا أَنَّ عَلَيْهِ أَنْ يُعِيدَهَا , وَهُوَ فِي حُكْمِ مَنْ لَمْ يُصَلِّهَا. فَلَمَّا ثَبَتَ ذَلِكَ مِنَ اتِّفَاقِهِمْ , ثَبَتَ أَنَّ الْحَجَّ كَذَلِكَ , وَأَنَّهُ إِذَا بَلَغَ وَقَدْ حَجَّ قَبْلَ ذَلِكَ , أَنَّهُ فِي حُكْمِ مَنْ لَمْ يَحُجَّ , وَعَلَيْهِ أَنْ يَحُجَّ بَعْدَ ذَلِكَ [ص:258] فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَقَدْ رَأَيْنَا فِي الْحَجِّ حُكْمًا يُخَالِفُ حُكْمَ الصَّلَاةِ , وَذَلِكَ أَنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ إِنَّمَا أَوْجَبَ الْحَجَّ عَلَى مَنْ وَجَدَ إِلَيْهِ سَبِيلًا , وَلَمْ يُوجِبْهُ عَلَى غَيْرِهِ. فَكَانَ مَنْ لَمْ يَجِدْ سَبِيلًا إِلَى الْحَجِّ , فَلَا حَجَّ عَلَيْهِ , كَالصَّبِيِّ الَّذِي لَمْ يَبْلُغْ. ثُمَّ قَدْ أَجْمَعُوا أَنَّ مَنْ لَمْ يَجِدْ سَبِيلًا إِلَى الْحَجِّ , فَحَمَلَ عَلَى نَفْسِهِ وَمَشَى حَتَّى حَجَّ , أَنَّ ذَلِكَ يُجْزِيهِ , وَإِنْ وَجَدَ إِلَيْهِ سَبِيلًا بَعْدَ ذَلِكَ , لَمْ يَجِبْ عَلَيْهِ أَنْ يَحُجَّ ثَانِيَةً , لِلْحَجَّةِ الَّتِي قَدْ كَانَ حَجَّهَا قَبْلَ وُجُودِهِ السَّبِيلَ. فَكَانَ النَّظَرُ، عَلَى ذَلِكَ، أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ الصَّبِيُّ إِذَا حَجَّ قَبْلَ الْبُلُوغِ , فَفَعَلَ مَا لَمْ يَجِبْ عَلَيْهِ , أُجْزَاهُ ذَلِكَ , وَلَمْ يَجِبْ عَلَيْهِ أَنْ يَحُجَّ ثَانِيَةً بَعْدَ الْبُلُوغِ. قِيلَ لَهُ: إِنَّ الَّذِي لَا يَجِدُ السَّبِيلَ , إِنَّمَا سَقَطَ الْفَرْضُ عَنْهُ لِعَدَمِ الْوُصُولِ إِلَى الْبَيْتِ , فَإِذَا مَشَى فَصَارَ إِلَى الْبَيْتِ , فَقَدْ بَلَغَ الْبَيْتَ , وَصَارَ مِنَ الْوَاجِدِينَ لِلسَّبِيلِ , فَوَجَبَ الْحَجُّ عَلَيْهِ لِذَلِكَ , فَلِذَلِكَ قُلْنَا إِنَّهُ أَجْزَأَهُ حَجَّةً , وَلِأَنَّهُ صَارَ بَعْدَ بُلُوغِهِ الْبَيْتَ , كَمَنْ كَانَ مَنْزِلُهُ هُنَالِكَ , فَعَلَيْهِ الْحَجُّ. وَأَمَّا الصَّبِيُّ فَفَرْضُ الْحَجِّ غَيْرُ وَاجِبٍ عَلَيْهِ , قَبْلَ وُصُولِهِ إِلَى الْبَيْتِ , وَبَعْدَ وُصُولِهِ إِلَيْهِ , لِرَفْعِ الْقَلَمِ عَنْهُ فَإِذَا بَلَغَ بَعْدَ ذَلِكَ , فَحِينَئِذٍ وَجَبَ عَلَيْهِ فَرْضُ الْحَجِّ. فَلِذَلِكَ قُلْنَا: إِنَّ مَا قَدْ كَانَ حَجُّهُ قَبْلَ بُلُوغِهِ , لَا يُجْزِيهِ , وَأَنَّ عَلَيْهِ أَنْ يَسْتَأْنِفَ الْحَجَّ بَعْدَ بُلُوغِهِ , كَمَنْ لَمْ يَكُنْ حَجَّ قَبْلَ ذَلِكَ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ أَيْضًا فِي هَذَا الْبَابِ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى
