শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
৫. রোযার অধ্যায়
হাদীস নং: ৩১৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৭১
২. সুবহি সাদিকের পরে সিয়াম পালনের নিয়্যত প্রসঙ্গে
৩১৬৪-৭১। ইউনুস (রাহঃ) ..... হাফসা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি যদি ফজরের পূর্বে রাতে সিয়ামের নিয়াত না করে তার সিয়ামই নেই।
ইউনুস (রাহঃ) ..... ইবন লাহিয়্যা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
মুহাম্মাদ ইবন হুমায়দ ইবন হিশাম আররঈনী (রাহঃ) ..... ইয়াহইয়া ইবন আয়্যুব (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ কব্রেছেন।
আবু জাফর (তাহাবী র) বলেনঃ একদল আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন যে, কেউ যদি ফজর শুরু হওয়ার পূর্বে সিয়ামের শুরুর নিয়াত না করে, তাহলে তার জন্য পরবর্তীতে নতুন নিয়াতের দ্বারা সেই দিনের সিয়াম পালন করা জায়িয নয়। তাঁরা এই হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন । পক্ষান্তরে এই বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরােধিতা করে বলেছেনঃ ইবন শিহাব (যুহরী র) থেকে যে সমস্ত হাফিয রাবীগণ এই হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন তাঁরা তা মারফু হিসাবে রিওয়ায়াত করেননি এবং তারা তার থেকে এতে এরূপ বিরােধ করেছেন যা হাদীসের ‘ইযুতিরাব' (তথ্যবিভ্রাট) হওয়াটাকে অপরিহার্য করে, বরং তার চাইতে নিচু পর্যায়ের । কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা এটাকে বিশেষ সিয়ামের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য বলে সাব্যস্ত করি। আর তা হচ্ছে, সেই সমস্ত ফরয সিয়াম যা নির্দিষ্ট দিনে পালন করা হয় না। যেমনঃ কাফফারার সিয়াম, রামাযানের কাযা সিয়াম ইত্যাদি। যুহরী (রাহঃ) থেকে এই হাদীসের হাফিযদের রিওয়ায়াত যা আমরা উল্লেখ করেছি এবং এই হাদীসের মধ্যে তাঁর সূত্রে তাঁদের মতবিরােধ রয়েছে।
যেহেতু ইবরাহীম ইবন মারযুক (রাহঃ) ..... ইবন শিহাব (যুহরী র) সূত্রে আয়েশা (রাযিঃ) ও হাফসা (রাযিঃ) থেকে (মাউকুফ হিসাবে) এই রূপ বর্ণনা করেছেন, যা আমরা এই অনুচ্ছেদের শুরুতে উল্লেখ করেছি।
আবু বাকরা (রাহঃ) ..... হামযা ইবন আব্দুল্লাহ (রাহঃ)-এর পিতা আব্দুল্লাহ্ (রাহঃ) সূত্রে উম্মুল মু'মিনীন হাফসা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন এবং এটিকে মারফু' হিসাবে বর্ণনা করেননি।
আবু বাকরা (রাহঃ) ..... ইবন উমর (রাযিঃ) সূত্রে হাফসা (রাযিঃ) থেকে তা রিওয়ায়াত করেছেন এবং তা মারফু হিসাবে বর্ণনা করেননি। (বর্ণনাকারী) এই মালিক (রাহঃ), ইব্ন উয়ায়না (রাহঃ) ও মা'মার (রাহঃ) তারাই হচ্ছেন যুহরী (রাহঃ) থেকে রাবী হিসাবে হুজ্জত (নির্ভরযােগ্য প্রমাণ) তাঁরা এই হাদীসের সনদে মতবিরােধ করেছেন, যেমনিভাবে আমরা উল্লেখ করেছি।
উক্ত হাদীসটিকে যুহরী (রাহঃ) থেকে তারা ব্যতীত অন্যরা আব্দুল্লাহ ইবন আবু বকর (রাহঃ)-এর বিপরীত রূপেও রিওয়ায়াত করেছেন।
আবু বাকরা (রাহঃ) ..... সালিম (রাহঃ)-এর পিতা থেকে তা রিওয়ায়াত করেছেন। তিনি হাফসা (রাযিঃ)-এর উল্লেখও করেননি এবং এটিকে ‘মারফূ’ রূপেও বর্ণনা করেননি।
আবুৃ বাকরা (রাহঃ) ..... মুত্তালিব ইব্ন আবী ওয়াদায়া (রাহঃ) হাফসা (রাযিঃ) থেকে তা রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু তিনি তা মারফূ হিসাবে বর্ণনা করেননি। তারপর এটিকে নাফি' (রাহঃ) ও ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে এই রকম রিওয়ায়াত করেছেন। তিনি হাফসা (রাযিঃ)-এরও উল্লেখ করেন নি এবং এটিকে মারফু হিসাবেও বর্ণনা করেননি।
আবুৃ বাকরা (রাহঃ) ..... ইব্ন উমার (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। সুতরাং এটিই হচ্ছে এই হাদীসের মৌলিক বিষয় (অর্থাৎ এটি মাউকুফ)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে ফজর শুরু হওয়ার পর সিয়াম শুরু করার বৈধতা সম্পর্কেও বর্ণিত আছে।
ইউনুস (রাহঃ) ..... ইবন লাহিয়্যা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
মুহাম্মাদ ইবন হুমায়দ ইবন হিশাম আররঈনী (রাহঃ) ..... ইয়াহইয়া ইবন আয়্যুব (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ কব্রেছেন।
আবু জাফর (তাহাবী র) বলেনঃ একদল আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন যে, কেউ যদি ফজর শুরু হওয়ার পূর্বে সিয়ামের শুরুর নিয়াত না করে, তাহলে তার জন্য পরবর্তীতে নতুন নিয়াতের দ্বারা সেই দিনের সিয়াম পালন করা জায়িয নয়। তাঁরা এই হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন । পক্ষান্তরে এই বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরােধিতা করে বলেছেনঃ ইবন শিহাব (যুহরী র) থেকে যে সমস্ত হাফিয রাবীগণ এই হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন তাঁরা তা মারফু হিসাবে রিওয়ায়াত করেননি এবং তারা তার থেকে এতে এরূপ বিরােধ করেছেন যা হাদীসের ‘ইযুতিরাব' (তথ্যবিভ্রাট) হওয়াটাকে অপরিহার্য করে, বরং তার চাইতে নিচু পর্যায়ের । কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা এটাকে বিশেষ সিয়ামের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য বলে সাব্যস্ত করি। আর তা হচ্ছে, সেই সমস্ত ফরয সিয়াম যা নির্দিষ্ট দিনে পালন করা হয় না। যেমনঃ কাফফারার সিয়াম, রামাযানের কাযা সিয়াম ইত্যাদি। যুহরী (রাহঃ) থেকে এই হাদীসের হাফিযদের রিওয়ায়াত যা আমরা উল্লেখ করেছি এবং এই হাদীসের মধ্যে তাঁর সূত্রে তাঁদের মতবিরােধ রয়েছে।
যেহেতু ইবরাহীম ইবন মারযুক (রাহঃ) ..... ইবন শিহাব (যুহরী র) সূত্রে আয়েশা (রাযিঃ) ও হাফসা (রাযিঃ) থেকে (মাউকুফ হিসাবে) এই রূপ বর্ণনা করেছেন, যা আমরা এই অনুচ্ছেদের শুরুতে উল্লেখ করেছি।
আবু বাকরা (রাহঃ) ..... হামযা ইবন আব্দুল্লাহ (রাহঃ)-এর পিতা আব্দুল্লাহ্ (রাহঃ) সূত্রে উম্মুল মু'মিনীন হাফসা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন এবং এটিকে মারফু' হিসাবে বর্ণনা করেননি।
আবু বাকরা (রাহঃ) ..... ইবন উমর (রাযিঃ) সূত্রে হাফসা (রাযিঃ) থেকে তা রিওয়ায়াত করেছেন এবং তা মারফু হিসাবে বর্ণনা করেননি। (বর্ণনাকারী) এই মালিক (রাহঃ), ইব্ন উয়ায়না (রাহঃ) ও মা'মার (রাহঃ) তারাই হচ্ছেন যুহরী (রাহঃ) থেকে রাবী হিসাবে হুজ্জত (নির্ভরযােগ্য প্রমাণ) তাঁরা এই হাদীসের সনদে মতবিরােধ করেছেন, যেমনিভাবে আমরা উল্লেখ করেছি।
উক্ত হাদীসটিকে যুহরী (রাহঃ) থেকে তারা ব্যতীত অন্যরা আব্দুল্লাহ ইবন আবু বকর (রাহঃ)-এর বিপরীত রূপেও রিওয়ায়াত করেছেন।
আবু বাকরা (রাহঃ) ..... সালিম (রাহঃ)-এর পিতা থেকে তা রিওয়ায়াত করেছেন। তিনি হাফসা (রাযিঃ)-এর উল্লেখও করেননি এবং এটিকে ‘মারফূ’ রূপেও বর্ণনা করেননি।
আবুৃ বাকরা (রাহঃ) ..... মুত্তালিব ইব্ন আবী ওয়াদায়া (রাহঃ) হাফসা (রাযিঃ) থেকে তা রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু তিনি তা মারফূ হিসাবে বর্ণনা করেননি। তারপর এটিকে নাফি' (রাহঃ) ও ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে এই রকম রিওয়ায়াত করেছেন। তিনি হাফসা (রাযিঃ)-এরও উল্লেখ করেন নি এবং এটিকে মারফু হিসাবেও বর্ণনা করেননি।
আবুৃ বাকরা (রাহঃ) ..... ইব্ন উমার (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। সুতরাং এটিই হচ্ছে এই হাদীসের মৌলিক বিষয় (অর্থাৎ এটি মাউকুফ)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে ফজর শুরু হওয়ার পর সিয়াম শুরু করার বৈধতা সম্পর্কেও বর্ণিত আছে।
بَابُ الرَّجُلِ يَنْوِي الصِّيَامَ بَعْدَمَا يَطْلُعُ الْفَجْرَ
71 - 3164 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ , وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ سَالِمٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ حَفْصَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ لَمْ يُبَيِّتِ الصِّيَامَ قَبْلَ الْفَجْرِ , فَلَا صِيَامَ لَهُ»
حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ , قَالَ: ثنا ابْنُ لَهِيعَةَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ هِشَامٍ الرُّعَيْنِيُّ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ , عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الرَّجُلَ , إِذَا لَمْ يَنْوِ الدُّخُولَ فِي الصِّيَامِ قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ , لَمْ يُجْزِهِ أَنْ يَصُومَ يَوْمَهُ ذَلِكَ , بِنِيَّةٍ تَحْدُثُ لَهُ بَعْدَ ذَلِكَ , وَاحْتَجُّوا بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: هَذَا الْحَدِيثُ لَا يَرْفَعُهُ الْحُفَّاظُ الَّذِينَ يَرْوُونَهُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , وَيَخْتَلِفُونَ عَنْهُ فِيهِ اخْتِلَافًا يُوجِبُ اضْطِرَابَ الْحَدِيثِ بِمَا هُوَ دُونَهُ. وَلَكِنْ، مَعَ ذَلِكَ، نُثْبِتُهُ , وَنَجْعَلُهُ عَلَى خَاصٍّ مِنَ الصَّوْمِ , وَهُوَ الصَّوْمُ الْفَرْضُ , الَّذِي لَيْسَ فِي أَيَّامٍ بِعَيْنِهَا , مِثْلَ الصَّوْمِ فِي الْكَفَّارَاتِ , وَقَضَاءِ رَمَضَانَ , وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ. فَأَمَّا مَا ذَكَرْنَا مِنْ رِوَايَةِ الْحُفَّاظِ لِهَذَا الْحَدِيثِ عَنِ الزُّهْرِيِّ , وَمِنَ اخْتِلَافِهِمْ عَنْهُ فِيهِ فَإِنَّ إِبْرَاهِيمَ بْنَ مَرْزُوقٍ
حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا الْقَعْنَبِيُّ , قَالَ: ثنا مَالِكٌ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ عَائِشَةَ وَحَفْصَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , بِذَلِكَ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا رَوْحٌ , قَالَ: ثنا ابْنُ عُيَيْنَةَ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ اللهِ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ حَفْصَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , بِذَلِكَ , وَلَمْ يَرْفَعْهُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا حُسَيْنُ بْنُ مَهْدِيٍّ , قَالَ: أَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ , قَالَ: أَنَا مَعْمَرٌ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ سَالِمٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ , عَنْ حَفْصَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا بِذَلِكَ , وَلَمْ يَرْفَعْهُ فَهَذَا مَالِكٌ , وَمَعْمَرٌ , وَابْنُ عُيَيْنَةَ , وَهُمُ الْحُجَّةُ عَنِ الزُّهْرِيِّ , قَدِ اخْتَلَفُوا فِي إِسْنَادِ هَذَا الْحَدِيثِ كَمَا ذَكَرْنَا. وَقَدْ رَوَاهُ أَيْضًا عَنِ الزُّهْرِيِّ , غَيْرُ هَؤُلَاءِ , عَلَى خِلَافِ مَا رَوَاهُ عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ أَيْضًا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا رَوْحٌ , قَالَ: ثنا صَالِحُ بْنُ أَبِي الْأَخْضَرِ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , حَدَّثَهُ عَنْ سَالِمٍ , عَنْ أَبِيهِ , بِذَلِكَ , وَلَمْ يَذْكُرْ حَفْصَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , وَلَمْ يَرْفَعْهُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا رَوْحٌ , قَالَ: ثنا صَالِحُ بْنُ أَبِي الْأَخْضَرِ , قَالَ: ثنا ابْنُ شِهَابٍ , عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ , عَنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ أَبِي وَدَاعَةَ , عَنْ حَفْصَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا بِذَلِكَ , وَلَمْ يَرْفَعْهُ. ثُمَّ قَدْ رَوَاهُ نَافِعٌ أَيْضًا , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا بِذَلِكَ , وَلَمْ يَذْكُرْ حَفْصَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَيْضًا , وَلَمْ يَرْفَعْهُ.
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا رَوْحٌ , قَالَ: ثنا مَالِكٌ , عَنْ يُونُسَ , قَالَ: أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ , عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا مِثْلَهُ فَهَذَا هُوَ أَصْلُ هَذَا الْحَدِيثِ , وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا فِي إِبَاحَةِ الدُّخُولِ فِي الصِّيَامِ , بَعْدَ طُلُوعِ الْفَجْرِ
حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ , قَالَ: ثنا ابْنُ لَهِيعَةَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ هِشَامٍ الرُّعَيْنِيُّ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ , عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الرَّجُلَ , إِذَا لَمْ يَنْوِ الدُّخُولَ فِي الصِّيَامِ قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ , لَمْ يُجْزِهِ أَنْ يَصُومَ يَوْمَهُ ذَلِكَ , بِنِيَّةٍ تَحْدُثُ لَهُ بَعْدَ ذَلِكَ , وَاحْتَجُّوا بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: هَذَا الْحَدِيثُ لَا يَرْفَعُهُ الْحُفَّاظُ الَّذِينَ يَرْوُونَهُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , وَيَخْتَلِفُونَ عَنْهُ فِيهِ اخْتِلَافًا يُوجِبُ اضْطِرَابَ الْحَدِيثِ بِمَا هُوَ دُونَهُ. وَلَكِنْ، مَعَ ذَلِكَ، نُثْبِتُهُ , وَنَجْعَلُهُ عَلَى خَاصٍّ مِنَ الصَّوْمِ , وَهُوَ الصَّوْمُ الْفَرْضُ , الَّذِي لَيْسَ فِي أَيَّامٍ بِعَيْنِهَا , مِثْلَ الصَّوْمِ فِي الْكَفَّارَاتِ , وَقَضَاءِ رَمَضَانَ , وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ. فَأَمَّا مَا ذَكَرْنَا مِنْ رِوَايَةِ الْحُفَّاظِ لِهَذَا الْحَدِيثِ عَنِ الزُّهْرِيِّ , وَمِنَ اخْتِلَافِهِمْ عَنْهُ فِيهِ فَإِنَّ إِبْرَاهِيمَ بْنَ مَرْزُوقٍ
حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا الْقَعْنَبِيُّ , قَالَ: ثنا مَالِكٌ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ عَائِشَةَ وَحَفْصَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , بِذَلِكَ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا رَوْحٌ , قَالَ: ثنا ابْنُ عُيَيْنَةَ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ اللهِ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ حَفْصَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , بِذَلِكَ , وَلَمْ يَرْفَعْهُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا حُسَيْنُ بْنُ مَهْدِيٍّ , قَالَ: أَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ , قَالَ: أَنَا مَعْمَرٌ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ سَالِمٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ , عَنْ حَفْصَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا بِذَلِكَ , وَلَمْ يَرْفَعْهُ فَهَذَا مَالِكٌ , وَمَعْمَرٌ , وَابْنُ عُيَيْنَةَ , وَهُمُ الْحُجَّةُ عَنِ الزُّهْرِيِّ , قَدِ اخْتَلَفُوا فِي إِسْنَادِ هَذَا الْحَدِيثِ كَمَا ذَكَرْنَا. وَقَدْ رَوَاهُ أَيْضًا عَنِ الزُّهْرِيِّ , غَيْرُ هَؤُلَاءِ , عَلَى خِلَافِ مَا رَوَاهُ عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ أَيْضًا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا رَوْحٌ , قَالَ: ثنا صَالِحُ بْنُ أَبِي الْأَخْضَرِ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , حَدَّثَهُ عَنْ سَالِمٍ , عَنْ أَبِيهِ , بِذَلِكَ , وَلَمْ يَذْكُرْ حَفْصَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , وَلَمْ يَرْفَعْهُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا رَوْحٌ , قَالَ: ثنا صَالِحُ بْنُ أَبِي الْأَخْضَرِ , قَالَ: ثنا ابْنُ شِهَابٍ , عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ , عَنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ أَبِي وَدَاعَةَ , عَنْ حَفْصَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا بِذَلِكَ , وَلَمْ يَرْفَعْهُ. ثُمَّ قَدْ رَوَاهُ نَافِعٌ أَيْضًا , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا بِذَلِكَ , وَلَمْ يَذْكُرْ حَفْصَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَيْضًا , وَلَمْ يَرْفَعْهُ.
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا رَوْحٌ , قَالَ: ثنا مَالِكٌ , عَنْ يُونُسَ , قَالَ: أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ , عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا مِثْلَهُ فَهَذَا هُوَ أَصْلُ هَذَا الْحَدِيثِ , وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا فِي إِبَاحَةِ الدُّخُولِ فِي الصِّيَامِ , بَعْدَ طُلُوعِ الْفَجْرِ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
রোযার নিয়ত করা ফরয। নিয়ত অর্থ সংকল্প। যেমন মনে মনে এ সংকল্প করবে, আমি আল্লাহর সন'ষ্টির উদ্দেশ্যে আগামী কালের রোযা রাখছি। মুখে বলা জরুরি নয়। হাদীস শরীফে আছে, ‘সকল আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল।’- সহীহ বুখারী ১/২
ফরয রোযার নিয়ত রাত বাকি থাকতেই করা উত্তম। উম্মুল মুমিনীন হাফসা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- من لم يجمع الصيام قبل الفجر فلا صيام له.যে ব্যক্তি ফজরের আগে রোযা রাখার নিয়ত করবে না তার রোযা (পূর্ণাঙ্গ) হবে না।-সুনানে আবু দাউদ ১/৩৩৩
রাতে নিয়ত করতে না পারলে দিনে সূর্য ঢলার আগে নিয়ত করলেও রোযা হয়ে যাবে। সালামা ইবনুল আকওয়া রা. বলেন, (আশুরার রোযা যখন ফরয ছিল তখন) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আসলাম’ গোত্রের একজন ব্যক্তিকে ঘোষণা করতে বললেন, ‘যে সকাল থেকে কিছু খায়নি সে বাকি দিন রোযা রাখবে। আর যে খেয়েছে সেও বাকি দিন রোযা রাখবে। কারণ আজ আশুরা-দিবস।’-সহীহ বুখারী ২০০৭
আবদুল করীম জাযারী বলেন, কিছু লোক সকালে চাঁদ দেখার সাক্ষ্য দিল। তখন উমর ইবনে আবদুল আযীয রাহ. বললেন, ‘যে ব্যক্তি (ইতিমধ্যে কিছু) খেয়েছে সে বাকি দিন খাওয়া থেকে বিরত থাকবে। আর যে খায়নি সে বাকি দিন রোযা রাখবে।’-মুহাল্লা ৪/২৯৩
পুরো রমযানের জন্য একত্রে নিয়ত করা যথেষ্ট নয়; বরং প্রত্যেক রোযার নিয়ত পৃথক পৃথকভাবে করতে হবে। কারণ প্রতিটি রোযা ভিন্ন ভিন্ন আমল (ইবাদত)। আর প্রতিটি আমলের জন্যই নিয়ত করা জরুরি। হাদীস শরীফে আছে, ‘সকল আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল।’-সহীহ বুখারী ১/২
আরো দেখুন : আলমুহাল্লা ৪/২৮৫
রাতে রোযার নিয়ত করলেও সুবহে সাদিক পর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রী-মিলনের অবকাশ থাকে। এতে নিয়তের কোনো ক্ষতি হবে না। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
احل لكم ليلة الصيام الرفث الى نسائكم
তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে রমযানের রাতে স্বীয় স্ত্রীর সাথে প্রবৃত্ত হওয়া।-সূরা বাকারা : ১৮৭
নিয়তের সময় শুরু হয় পূর্বের দিনের সূর্যাস্তের পর থেকে। যেমন-মঙ্গলবারের রোযার নিয়ত সোমবার দিবাগত রাত তথা সূর্যাস্তের পর থেকে করা যায় সোমবার সূর্যাস্তের পূর্বে সঙ্গলবারের রোযার নিয়ত করা যথেষ্ট নয়। কেননা, হাদীস শরীফে রাতে নিয়ত করার কথা বলা হয়েছে।
#সংগৃহীত
ফরয রোযার নিয়ত রাত বাকি থাকতেই করা উত্তম। উম্মুল মুমিনীন হাফসা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- من لم يجمع الصيام قبل الفجر فلا صيام له.যে ব্যক্তি ফজরের আগে রোযা রাখার নিয়ত করবে না তার রোযা (পূর্ণাঙ্গ) হবে না।-সুনানে আবু দাউদ ১/৩৩৩
রাতে নিয়ত করতে না পারলে দিনে সূর্য ঢলার আগে নিয়ত করলেও রোযা হয়ে যাবে। সালামা ইবনুল আকওয়া রা. বলেন, (আশুরার রোযা যখন ফরয ছিল তখন) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আসলাম’ গোত্রের একজন ব্যক্তিকে ঘোষণা করতে বললেন, ‘যে সকাল থেকে কিছু খায়নি সে বাকি দিন রোযা রাখবে। আর যে খেয়েছে সেও বাকি দিন রোযা রাখবে। কারণ আজ আশুরা-দিবস।’-সহীহ বুখারী ২০০৭
আবদুল করীম জাযারী বলেন, কিছু লোক সকালে চাঁদ দেখার সাক্ষ্য দিল। তখন উমর ইবনে আবদুল আযীয রাহ. বললেন, ‘যে ব্যক্তি (ইতিমধ্যে কিছু) খেয়েছে সে বাকি দিন খাওয়া থেকে বিরত থাকবে। আর যে খায়নি সে বাকি দিন রোযা রাখবে।’-মুহাল্লা ৪/২৯৩
পুরো রমযানের জন্য একত্রে নিয়ত করা যথেষ্ট নয়; বরং প্রত্যেক রোযার নিয়ত পৃথক পৃথকভাবে করতে হবে। কারণ প্রতিটি রোযা ভিন্ন ভিন্ন আমল (ইবাদত)। আর প্রতিটি আমলের জন্যই নিয়ত করা জরুরি। হাদীস শরীফে আছে, ‘সকল আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল।’-সহীহ বুখারী ১/২
আরো দেখুন : আলমুহাল্লা ৪/২৮৫
রাতে রোযার নিয়ত করলেও সুবহে সাদিক পর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রী-মিলনের অবকাশ থাকে। এতে নিয়তের কোনো ক্ষতি হবে না। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
احل لكم ليلة الصيام الرفث الى نسائكم
তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে রমযানের রাতে স্বীয় স্ত্রীর সাথে প্রবৃত্ত হওয়া।-সূরা বাকারা : ১৮৭
নিয়তের সময় শুরু হয় পূর্বের দিনের সূর্যাস্তের পর থেকে। যেমন-মঙ্গলবারের রোযার নিয়ত সোমবার দিবাগত রাত তথা সূর্যাস্তের পর থেকে করা যায় সোমবার সূর্যাস্তের পূর্বে সঙ্গলবারের রোযার নিয়ত করা যথেষ্ট নয়। কেননা, হাদীস শরীফে রাতে নিয়ত করার কথা বলা হয়েছে।
#সংগৃহীত
