শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
৫. রোযার অধ্যায়
হাদীস নং: ৩১৬২
সিয়াম পালনকারীর জন্য যে সময়ে আহার করা হারাম
৩১৬২। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ..... সাহল ইন সা’দ আস্ সায়েদী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, যখন নিম্মােক্ত আয়াত অবতীর্ণ হলাে:
وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ
তখন লােকেরা একটি সাদা রশি, একটি কালাে রশি নিয়ে বালিশের নীচে রেখে দিত এবং দেখত কখন এই দু’টি স্পষ্ট হবে এরপর খাদ্য গ্রহণ পরিহার করবে। তিনি বলেন, তারপর আল্লাহ তা'আলা তা বর্ণনা করে দিলেন এবং অবতীর্ণ হলােঃ مِنَ الْفَجْرِ উষার (শুভ্রতা)। যখন এই আয়াতের হুকুম (অনুধাবন) সাহাবা (রাযিঃ) দের উপর মুশকিল হয়ে পড়ল তখন আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য এ ব্যাপারে যা সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করার বর্ণনা করে দিলেন এবং حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ অবতীর্ণ করার পরে مِنَ الْفَجْرِ অবতীর্ণ করলেন।
সুতরাং আয়াতের হুকুম হলো: তারা পানাহার করবে যতক্ষণ না তাঁদের জন্য উষার শুভ্রতা উদ্ভাসিত হয়। আর আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর বাণীর مِنَ الْفَجْرِ যা আমরা উল্লেখ করেছি, এর দ্বারা সাহল (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসে যে বিষয়বস্তু বর্ণনা করেছেন তাকে রহিত করে দিয়েছেন। আর সম্ভবত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রাসূলুল্লাহর থেকে হুযায়ফা (রাযিঃ) যা রিওয়ায়াত করেছেন, তা উক্ত আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বের ঘটনা। যখন আল্লাহ তা'আলা উক্ত আয়াত অবতীর্ণ করে উক্ত বিষয়কে সুদৃঢ় করেন এবং আয়াতে বর্ণিত বিষয়ের দিকে হুকুমকে ফিরিয়ে দেন। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ থেকেও নিন্মােক্ত হাদীস বর্ণিত আছে :
وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ
তখন লােকেরা একটি সাদা রশি, একটি কালাে রশি নিয়ে বালিশের নীচে রেখে দিত এবং দেখত কখন এই দু’টি স্পষ্ট হবে এরপর খাদ্য গ্রহণ পরিহার করবে। তিনি বলেন, তারপর আল্লাহ তা'আলা তা বর্ণনা করে দিলেন এবং অবতীর্ণ হলােঃ مِنَ الْفَجْرِ উষার (শুভ্রতা)। যখন এই আয়াতের হুকুম (অনুধাবন) সাহাবা (রাযিঃ) দের উপর মুশকিল হয়ে পড়ল তখন আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য এ ব্যাপারে যা সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করার বর্ণনা করে দিলেন এবং حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ অবতীর্ণ করার পরে مِنَ الْفَجْرِ অবতীর্ণ করলেন।
সুতরাং আয়াতের হুকুম হলো: তারা পানাহার করবে যতক্ষণ না তাঁদের জন্য উষার শুভ্রতা উদ্ভাসিত হয়। আর আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর বাণীর مِنَ الْفَجْرِ যা আমরা উল্লেখ করেছি, এর দ্বারা সাহল (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসে যে বিষয়বস্তু বর্ণনা করেছেন তাকে রহিত করে দিয়েছেন। আর সম্ভবত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রাসূলুল্লাহর থেকে হুযায়ফা (রাযিঃ) যা রিওয়ায়াত করেছেন, তা উক্ত আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বের ঘটনা। যখন আল্লাহ তা'আলা উক্ত আয়াত অবতীর্ণ করে উক্ত বিষয়কে সুদৃঢ় করেন এবং আয়াতে বর্ণিত বিষয়ের দিকে হুকুমকে ফিরিয়ে দেন। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ থেকেও নিন্মােক্ত হাদীস বর্ণিত আছে :
3162 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا الْمُقَدَّمِيُّ , قَالَ: ثنا الْفُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ , عَنْ أَبِي حَازِمٍ , عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ , قَالَ: لَمَّا نَزَلَتْ {وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ} [البقرة: 187] " جَعَلَ الرَّجُلُ يَأْخُذُ خَيْطًا أَبْيَضَ وَخَيْطًا أَسْوَدَ , فَيَضَعُهُمَا تَحْتَ وِسَادَةٍ , فَيَنْظُرُ مَتَى يَسْتَبِينُهُمَا فَيَتْرُكُ الطَّعَامَ. قَالَ: فَبَيَّنَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ ذَلِكَ , وَنَزَلَتْ " {مِنَ الْفَجْرِ} [البقرة: 187] فَلَمَّا كَانَ حُكْمُ هَذِهِ الْآيَةِ قَدْ كَانَ أَشْكَلَ عَلَى أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى بَيَّنَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُمْ مِنْ ذَلِكَ مَا بَيَّنَ , وَحَتَّى أَنْزَلَ " {مِنَ الْفَجْرِ} [البقرة: 187] بَعْدَمَا قَدْ كَانَ أَنْزَلَ {حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ "} [البقرة: 187] فَكَانَ الْحُكْمُ أَنْ يَأْكُلُوا وَيَشْرَبُوا , حَتَّى يَتَبَيَّنَ ذَلِكَ لَهُمْ , حَتَّى نَسَخَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ بِقَوْلِهِ {مِنَ الْفَجْرِ} [البقرة: 187] عَلَى مَا ذَكَرْنَا , مَا قَدْ بَيَّنَهُ سَهْلٌ فِي حَدِيثِهِ. وَاحْتُمِلَ أَنْ يَكُونَ مَا رَوَى حُذَيْفَةُ مِنْ ذَلِكَ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ قَبْلَ نُزُولِ تِلْكَ الْآيَةِ , فَلَمَّا أَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ تِلْكَ الْآيَةَ , أَحْكَمَ ذَلِكَ , وَرَدَّ الْحُكْمَ إِلَى مَا بَيَّنَ فِيهَا
وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا فِي ذَلِكَ
وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا فِي ذَلِكَ
