শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
৪. যাকাতের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৯৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৯৫
সুস্থ-সবল দরিদ্র ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল কি-না।
২৯৯৩-৯৫। আলী ইবন মা'বাদ (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
আবু বাকরা (রাহঃ) ….. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ফাহাদ (রাহঃ) ….. আবু বাকর ইবন আইয়্যাশ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
আবু জা'ফর (তাহাবী র) বলেনঃ একদল 'আলিম বলেছেন, সুস্থ সবল ব্যক্তির জন্য সাদাকা গ্রহণ হালাল নয় এবং তাঁরা তাকে এ ব্যাপারে ধনীর ন্যায় সাব্যস্ত করেছেন। তাঁরা এই বিষয়ে এই সমস্ত হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন। পক্ষান্তরে এই বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করেছেন, তাঁরা বলেছেন, শক্তিশালী, পঙ্গু প্রত্যেক দরিদ্র ব্যক্তির জন্য সাদাকা গ্রহণ করা হালাল।
বস্তুত তাঁরা পূর্বোল্লেখিত এই সমস্ত হাদীসের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ এভাবে করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর উক্তি “সুস্থ সবল ব্যক্তির জন্য সাদাকা গ্রহণ হালাল নয়" অর্থাৎ তা তার জন্য তেমনভাবে হালাল নয় যেমনিভাবে সাদাকা গ্রহণ করা অক্ষম-পঙ্গু, দরিদ্র ব্যক্তির জন্য হালাল। যে কিনা সাদাকা ব্যতীত অন্য কিছুর সামর্থ্য রাখে না, অপরাগ হয়ে প্রয়োজনের তাগিদে তা গ্রহণ করে এবং সার্বিকভাবে সাদাকা গ্রহণের ব্যাপারে তার প্রয়োজন প্রমাণিত। পক্ষান্তরে সুস্থ-সবল অন্য কিছু কামাই করার উপর শক্তিমান ব্যক্তি, তার জন্য সাদাকা হালাল হওয়ার ব্যাপারে সে পঙ্গু-দরিদ্র ব্যক্তির অনুরূপ নয়। যেহেতু পঙ্গু-দরিদ্র ব্যক্তির জন্য (সাদাকা) হালাল হয় পঙ্গুত্ব ও সাদাকা ব্যতীত অন্য কিছুর উপর তার অক্ষমতার দিক দিয়ে। আর সুস্থ-সবল ব্যক্তির জন্য (সাদাকা) হালাল নয় বিশেষত দরিদ্রতার দিক দিয়ে। যদিও তাদের দুই জনের জন্য তা গ্রহণ করা হালাল, কিন্তু সুস্থ-সবল ব্যক্তির জন্য উত্তম হচ্ছে তা পরিত্যাগ করা এবং নিজ উপার্জন ও কামাই থেকে আহার করা। আর এসব অনুক্রম বস্তুকে কখনো কঠোরতা অবলম্বন করে 'হালাল নয়' অথবা 'এরূপ হবে না' শব্দে ব্যক্ত করা হয় । এই জন্য যে, এতে উপকরণের পরিপূর্ণতা বিদ্যমান নেই যার দ্বারা উক্ত অর্থ (সাদাকা) বৈধ হিসাবে বিবেচিত হবে। যদিও এই অর্থ ঐ সমস্ত উপকরণের পরিপূর্ণতা ব্যতীতও হালাল বিবেচিত হয়। বস্তুত সুস্থ-সবলকে মিসকীন সাব্যস্ত করে সাদাকাকে হালাল করার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে হাদীস বর্ণিত আছেঃ তিনি বলেছেনঃ সেই ব্যক্তি (প্রকৃত) মিসকীন নয় যে ব্যক্তি দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায় এবং সেই ব্যক্তিও মিসকীন নয়। যাকে একটি খেজুর, দু'টি খেজুর, একটি লোকমা, দু'টি লোকমা দ্বারে দ্বারে ঘুরায়। কিন্তু প্রকৃত মিসকীন হচ্ছে সেই ব্যক্তি, যে কারো কাছে সওয়াল করে না এবং তার থেকে দরিদ্রতা ও অভাবগ্রস্ততা প্রকাশিত হয় না যে, তার উপর লোকেরা সাদাকা করবে।
সুতরাং সওয়ালকারী মিসকীন দরিদ্রতার উপকরণ ও বিধানাবলী থেকে এরূপ বহির্ভূত নয় যে, যার দ্বারা তার জন্য সাদাকা গ্রহণ হালাল হবে না এবং কেউ তাকে সাদাকা প্রদান করলে তা জায়িয হবে না, এমনটি নয়। বরং তা এই অর্থে বলা হয়েছে যে, সেই ব্যক্তি মিসকীন হওয়ার সমস্ত উপকরণের সাথে বা উপকরণ নিয়ে মিসকীন নয়। অনুরূপভাবে তাঁর উক্তি "সুস্থ-সবল ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল নয়” অর্থাৎ যে সমস্ত কারণে সাদাকা হালাল হয় সেই সব কারণ ও উপকরণ নিয়ে তার জন্য সাদাকা হালাল নয়। যদিও কতক উপকরণের সাথে তা তার জন্য হালাল হয়। প্রথমোক্ত মত পোষণকারী আলিমগণ তাঁদের মাযহাবের স্বপক্ষে নিম্মোক্ত হাদীস দ্বারাও দলীল পেশ করেনঃ
আবু বাকরা (রাহঃ) ….. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ফাহাদ (রাহঃ) ….. আবু বাকর ইবন আইয়্যাশ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
আবু জা'ফর (তাহাবী র) বলেনঃ একদল 'আলিম বলেছেন, সুস্থ সবল ব্যক্তির জন্য সাদাকা গ্রহণ হালাল নয় এবং তাঁরা তাকে এ ব্যাপারে ধনীর ন্যায় সাব্যস্ত করেছেন। তাঁরা এই বিষয়ে এই সমস্ত হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন। পক্ষান্তরে এই বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করেছেন, তাঁরা বলেছেন, শক্তিশালী, পঙ্গু প্রত্যেক দরিদ্র ব্যক্তির জন্য সাদাকা গ্রহণ করা হালাল।
বস্তুত তাঁরা পূর্বোল্লেখিত এই সমস্ত হাদীসের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ এভাবে করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর উক্তি “সুস্থ সবল ব্যক্তির জন্য সাদাকা গ্রহণ হালাল নয়" অর্থাৎ তা তার জন্য তেমনভাবে হালাল নয় যেমনিভাবে সাদাকা গ্রহণ করা অক্ষম-পঙ্গু, দরিদ্র ব্যক্তির জন্য হালাল। যে কিনা সাদাকা ব্যতীত অন্য কিছুর সামর্থ্য রাখে না, অপরাগ হয়ে প্রয়োজনের তাগিদে তা গ্রহণ করে এবং সার্বিকভাবে সাদাকা গ্রহণের ব্যাপারে তার প্রয়োজন প্রমাণিত। পক্ষান্তরে সুস্থ-সবল অন্য কিছু কামাই করার উপর শক্তিমান ব্যক্তি, তার জন্য সাদাকা হালাল হওয়ার ব্যাপারে সে পঙ্গু-দরিদ্র ব্যক্তির অনুরূপ নয়। যেহেতু পঙ্গু-দরিদ্র ব্যক্তির জন্য (সাদাকা) হালাল হয় পঙ্গুত্ব ও সাদাকা ব্যতীত অন্য কিছুর উপর তার অক্ষমতার দিক দিয়ে। আর সুস্থ-সবল ব্যক্তির জন্য (সাদাকা) হালাল নয় বিশেষত দরিদ্রতার দিক দিয়ে। যদিও তাদের দুই জনের জন্য তা গ্রহণ করা হালাল, কিন্তু সুস্থ-সবল ব্যক্তির জন্য উত্তম হচ্ছে তা পরিত্যাগ করা এবং নিজ উপার্জন ও কামাই থেকে আহার করা। আর এসব অনুক্রম বস্তুকে কখনো কঠোরতা অবলম্বন করে 'হালাল নয়' অথবা 'এরূপ হবে না' শব্দে ব্যক্ত করা হয় । এই জন্য যে, এতে উপকরণের পরিপূর্ণতা বিদ্যমান নেই যার দ্বারা উক্ত অর্থ (সাদাকা) বৈধ হিসাবে বিবেচিত হবে। যদিও এই অর্থ ঐ সমস্ত উপকরণের পরিপূর্ণতা ব্যতীতও হালাল বিবেচিত হয়। বস্তুত সুস্থ-সবলকে মিসকীন সাব্যস্ত করে সাদাকাকে হালাল করার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে হাদীস বর্ণিত আছেঃ তিনি বলেছেনঃ সেই ব্যক্তি (প্রকৃত) মিসকীন নয় যে ব্যক্তি দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায় এবং সেই ব্যক্তিও মিসকীন নয়। যাকে একটি খেজুর, দু'টি খেজুর, একটি লোকমা, দু'টি লোকমা দ্বারে দ্বারে ঘুরায়। কিন্তু প্রকৃত মিসকীন হচ্ছে সেই ব্যক্তি, যে কারো কাছে সওয়াল করে না এবং তার থেকে দরিদ্রতা ও অভাবগ্রস্ততা প্রকাশিত হয় না যে, তার উপর লোকেরা সাদাকা করবে।
সুতরাং সওয়ালকারী মিসকীন দরিদ্রতার উপকরণ ও বিধানাবলী থেকে এরূপ বহির্ভূত নয় যে, যার দ্বারা তার জন্য সাদাকা গ্রহণ হালাল হবে না এবং কেউ তাকে সাদাকা প্রদান করলে তা জায়িয হবে না, এমনটি নয়। বরং তা এই অর্থে বলা হয়েছে যে, সেই ব্যক্তি মিসকীন হওয়ার সমস্ত উপকরণের সাথে বা উপকরণ নিয়ে মিসকীন নয়। অনুরূপভাবে তাঁর উক্তি "সুস্থ-সবল ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল নয়” অর্থাৎ যে সমস্ত কারণে সাদাকা হালাল হয় সেই সব কারণ ও উপকরণ নিয়ে তার জন্য সাদাকা হালাল নয়। যদিও কতক উপকরণের সাথে তা তার জন্য হালাল হয়। প্রথমোক্ত মত পোষণকারী আলিমগণ তাঁদের মাযহাবের স্বপক্ষে নিম্মোক্ত হাদীস দ্বারাও দলীল পেশ করেনঃ
2993- حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَ: ثنا مُعَلَّى بْنُ مَنْصُورٍ , قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ , عَنْ أَبِي حُصَيْنٍ , عَنْ أَبِي صَالِحٍ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ.
2994- حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ , عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ , عَنْ أَبِي حُصَيْنٍ , عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ.
2995- حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ , قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الصَّدَقَةَ لَا تَحِلُّ لِذِي الْمِرَّةِ السَّوِيِّ , وَجَعَلُوهُ فِيهَا كَالْغَنِيِّ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: كُلُّ فَقِيرٍ مِنْ قَوِيٍّ وَزَمِنٍ , فَالصَّدَقَةُ لَهُ حَلَالٌ. وَذَهَبُوا فِي تَأْوِيلِ هَذِهِ الْآثَارِ الْمُتَقَدِّمَةِ إِلَى أَنَّ قَوْلَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَحِلُّ الصَّدَقَةُ لِذِي مِرَّةٍ سَوِيٍّ» أَيْ أَنَّهَا لَا تَحِلُّ لَهُ , كَمَا تَحِلُّ لِلْفَقِيرِ الزَّمِنِ الَّذِي لَا يَقْدِرُ عَلَى غَيْرِهَا , فَيَأْخُذُهَا عَلَى الضَّرُورَةِ وَعَلَى الْحَاجَةِ , مِنْ جَمِيعِ الْجِهَاتِ مِنْهُ إِلَيْهَا. فَلَيْسَ مِثْلَهُ ذُو الْمِرَّةِ السَّوِيُّ الْقَادِرُ عَلَى اكْتِسَابِ غَيْرِهَا فِي حِلِّهَا لَهُ , لِأَنَّ الزَّمِنَ الْفَقِيرَ , يَحِلُّ لَهُ مِنْ قِبَلِ الزَّمَانَةِ , وَمِنْ قِبَلِ عَدَمِ قُدْرَتِهِ عَلَى غَيْرِهَا. وَذُو الْمِرَّةِ السَّوِيُّ إِنَّمَا تَحِلُّ لَهُ مِنْ جِهَةِ الْفَقْرِ خَاصَّةً , وَإِنْ كَانَا جَمِيعًا قَدْ يَحِلُّ لَهُمَا أَخْذُهَا , فَإِنَّ الْأَفْضَلَ لِذِي الْمِرَّةِ السَّوِيِّ تَرْكُهَا وَالْأَكْلُ مِنَ الِاكْتِسَابِ بِعَمَلِهِ. وَقَدْ يُغَلَّظُ الشَّيْءُ مِنْ هَذَا , فَيُقَالُ: لَا يَحِلُّ , أَوْ لَا يَكُونُ كَذَا , عَلَى أَنَّهُ غَيْرُ مُتَكَامِلِ الْأَسْبَابِ الَّتِي بِهَا يَحِلُّ ذَلِكَ الْمَعْنَى , وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ الْمَعْنَى قَدْ يَحِلُّ بِمَا دُونَ تَكَامُلِ تِلْكَ الْأَسْبَابِ مِنْ ذَلِكَ , مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «لَيْسَ الْمِسْكِينُ بِالطَّوَّافِ وَلَا بِالَّذِي تَرُدُّهُ التَّمْرَةُ وَالتَّمْرَتَانِ وَاللُّقْمَةُ وَاللُّقْمَتَانِ , وَلَكِنَّ الْمِسْكِينَ الَّذِي لَا يَسْأَلُ , وَلَا يُفْطَنُ لَهُ فَيُتَصَدَّقُ عَلَيْهِ» فَلَمْ يَكُنِ الْمِسْكِينُ الَّذِي يَسْأَلُ خَارِجًا مِنْ أَسْبَابِ الْمَسْكَنَةِ وَأَحْكَامِهَا , حَتَّى لَا يَحِلَّ لَهُ أَخْذُ الصَّدَقَةِ , وَحَتَّى لَا يُجْزِئَ مَنْ أَعْطَاهُ مِنْهَا شَيْئًا مِمَّا أَعْطَاهُ مِنْ ذَلِكَ، وَلَكِنَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّهُ لَيْسَ بِمِسْكِينٍ مُتَكَامِلِ أَسْبَابِ الْمَسْكَنَةِ. فَكَذَلِكَ قَوْلُهُ: «لَا تَحِلُّ الصَّدَقَةُ لِذِي مِرَّةٍ سَوِيٍّ» أَيْ أَنَّهَا لَا تَحِلُّ لَهُ مِنْ جَمِيعِ الْأَسْبَابِ الَّتِي بِهَا تَحِلُّ الصَّدَقَةُ , وَإِنْ كَانَ قَدْ تَحِلُّ لَهُ بِبَعْضِ تِلْكَ الْأَسْبَابِ
وَاحْتَجَّ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى لِمَذْهَبِهِمْ أَيْضًا
2994- حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ , عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ , عَنْ أَبِي حُصَيْنٍ , عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ.
2995- حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ , قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الصَّدَقَةَ لَا تَحِلُّ لِذِي الْمِرَّةِ السَّوِيِّ , وَجَعَلُوهُ فِيهَا كَالْغَنِيِّ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: كُلُّ فَقِيرٍ مِنْ قَوِيٍّ وَزَمِنٍ , فَالصَّدَقَةُ لَهُ حَلَالٌ. وَذَهَبُوا فِي تَأْوِيلِ هَذِهِ الْآثَارِ الْمُتَقَدِّمَةِ إِلَى أَنَّ قَوْلَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَحِلُّ الصَّدَقَةُ لِذِي مِرَّةٍ سَوِيٍّ» أَيْ أَنَّهَا لَا تَحِلُّ لَهُ , كَمَا تَحِلُّ لِلْفَقِيرِ الزَّمِنِ الَّذِي لَا يَقْدِرُ عَلَى غَيْرِهَا , فَيَأْخُذُهَا عَلَى الضَّرُورَةِ وَعَلَى الْحَاجَةِ , مِنْ جَمِيعِ الْجِهَاتِ مِنْهُ إِلَيْهَا. فَلَيْسَ مِثْلَهُ ذُو الْمِرَّةِ السَّوِيُّ الْقَادِرُ عَلَى اكْتِسَابِ غَيْرِهَا فِي حِلِّهَا لَهُ , لِأَنَّ الزَّمِنَ الْفَقِيرَ , يَحِلُّ لَهُ مِنْ قِبَلِ الزَّمَانَةِ , وَمِنْ قِبَلِ عَدَمِ قُدْرَتِهِ عَلَى غَيْرِهَا. وَذُو الْمِرَّةِ السَّوِيُّ إِنَّمَا تَحِلُّ لَهُ مِنْ جِهَةِ الْفَقْرِ خَاصَّةً , وَإِنْ كَانَا جَمِيعًا قَدْ يَحِلُّ لَهُمَا أَخْذُهَا , فَإِنَّ الْأَفْضَلَ لِذِي الْمِرَّةِ السَّوِيِّ تَرْكُهَا وَالْأَكْلُ مِنَ الِاكْتِسَابِ بِعَمَلِهِ. وَقَدْ يُغَلَّظُ الشَّيْءُ مِنْ هَذَا , فَيُقَالُ: لَا يَحِلُّ , أَوْ لَا يَكُونُ كَذَا , عَلَى أَنَّهُ غَيْرُ مُتَكَامِلِ الْأَسْبَابِ الَّتِي بِهَا يَحِلُّ ذَلِكَ الْمَعْنَى , وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ الْمَعْنَى قَدْ يَحِلُّ بِمَا دُونَ تَكَامُلِ تِلْكَ الْأَسْبَابِ مِنْ ذَلِكَ , مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «لَيْسَ الْمِسْكِينُ بِالطَّوَّافِ وَلَا بِالَّذِي تَرُدُّهُ التَّمْرَةُ وَالتَّمْرَتَانِ وَاللُّقْمَةُ وَاللُّقْمَتَانِ , وَلَكِنَّ الْمِسْكِينَ الَّذِي لَا يَسْأَلُ , وَلَا يُفْطَنُ لَهُ فَيُتَصَدَّقُ عَلَيْهِ» فَلَمْ يَكُنِ الْمِسْكِينُ الَّذِي يَسْأَلُ خَارِجًا مِنْ أَسْبَابِ الْمَسْكَنَةِ وَأَحْكَامِهَا , حَتَّى لَا يَحِلَّ لَهُ أَخْذُ الصَّدَقَةِ , وَحَتَّى لَا يُجْزِئَ مَنْ أَعْطَاهُ مِنْهَا شَيْئًا مِمَّا أَعْطَاهُ مِنْ ذَلِكَ، وَلَكِنَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّهُ لَيْسَ بِمِسْكِينٍ مُتَكَامِلِ أَسْبَابِ الْمَسْكَنَةِ. فَكَذَلِكَ قَوْلُهُ: «لَا تَحِلُّ الصَّدَقَةُ لِذِي مِرَّةٍ سَوِيٍّ» أَيْ أَنَّهَا لَا تَحِلُّ لَهُ مِنْ جَمِيعِ الْأَسْبَابِ الَّتِي بِهَا تَحِلُّ الصَّدَقَةُ , وَإِنْ كَانَ قَدْ تَحِلُّ لَهُ بِبَعْضِ تِلْكَ الْأَسْبَابِ
وَاحْتَجَّ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى لِمَذْهَبِهِمْ أَيْضًا
হাদীসের ব্যাখ্যা:
ليس المسكين... (মিসকীন সে নয় যে...)
এই হাদীস ও তার পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা দেখুন ১১১ নং হাদিসে
এই হাদীস ও তার পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা দেখুন ১১১ নং হাদিসে
.
