শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
৪. যাকাতের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৯৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৯৮
সুস্থ-সবল দরিদ্র ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল কি-না।
২৯৯৬-৯৮। আবু উমাইয়া (রাহঃ) ….. উবায়দুল্লাহ ইবন আদী ইবনুল খিয়ার (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমার সম্প্রদায়ের দুই (সবল যুবক) ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ)-এর দরবারে তাঁর নিকট সাদাকার জন্য সওয়াল করলেন। তখন তিনি সাদাকা বণ্টন করছিলেন। তিনি দৃষ্টি উঁচু-নিচু করলেন এবং তাদের দুই জনকে তিনি শক্তিশালী হিসাবে দেখলেন। তিনি বললেন, তোমরা যদি চাও তাহলে আমি তোমাদেরকে দিয়ে দিচ্ছি, তবে এতে ধনী উপার্জনের উপযোগী শক্তিশালী (ব্যক্তির) জন্য হক তথা অধিকার নেই ।
ইউনুস (রাহঃ) ..... হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
আবু বাকরা (রাহঃ) ..... হিশাম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, তিনি তাদের উভয়কে বললেন, উপার্জনের উপযোগী শক্তিশালী ব্যক্তির জন্য এতে হক (অধিকার) নেই। এটি প্রমাণ বহন করছে যে, উপার্জনের উপযোগী শক্তিশালী ব্যক্তির জন্য সাদাকাতে (কোন) হিস্যা নেই এবং কেউ তাকে সাদাকা থেকে কিছু দিলে দাতার দায়িত্ব মুক্তির জন্য যথেষ্ট বিবেচিত হবে না।
বস্তুত এই বিষয়ে তাদের (প্রথমোক্ত আলিমদের) বিরুদ্ধ অপরাপর আলিমদের দলীলঃ তাঁর উক্তি “তোমরা যদি চাও তাহলে আমি তোমাদের দিয়ে দেব, তবে এতে ধনীর হক নেই” অর্থাৎ তোমাদের ধনাঢ্যতা আমার কাছে গোপন রয়েছে, যদি তোমারা দুই জন ধনী ও সম্পদশালী হও তাহলে এতে তোমাদের হক নেই। আর যদি তোমরা চাও যে আমি তোমাদেরকে (সাদাকা থেকে) দিয়ে দেই, তাহলে তোমাদের ধনাঢ্যতার ব্যাপারে অনবহিত হওয়ার দরুণ আমার জন্য তা প্রদান করা বৈধ হবে, কিন্তু আমি যা দেব তা তোমাদের জন্য গ্রহণ করা হারাম হবে। যেহেতু আমি তোমাদের বাহ্যিক অবস্থা যা দেখছি যার দ্বারা তোমাদের দরিদ্রতা প্রকাশ পাচ্ছে এর বিপরীত তোমরা তোমাদের নিজেদের ধনাঢ্যতার প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত রয়েছ। সুতরাং “তোমরা যদি চাও তাহলে আমি তোমাদের দিয়ে দেব, তবে এতে ধনীর হক নেই” এটিই তাঁর উল্লিখিত (যথার্থ) বিশ্লেষণ। তাঁর উক্তিঃ “এবং উপার্জনের উপযোগী শক্তিশালী ব্যক্তির জন্য (সাদাকাতে) হক নেই” এটি এই অর্থে যে, এতে উপার্জনের উপযোগী শক্তিশালী ব্যক্তির জন্য সমস্ত দিক দিয়ে হক নেই, যার দ্বারা তাতে হক ওয়াজিব হয়। অতএব এর সেই অর্থই হবে যে অর্থ আমরা 'সাদাকা হালাল নয় সুস্থ-সবল, শক্তিশালী ব্যক্তির জন্য' বাক্যের ক্ষেত্রে উল্লেখ করেছি।
বলা হয়ঃ 'অমুক ব্যক্তি নিশ্চিত আলিম' বস্তুত এটি তখন বলা হবে যখন তার মধ্যে সেই সমস্ত কারণ ও উপকরণ পূর্ণরূপে বিদ্যমান হবে, যাতে উক্ত ব্যক্তি আলিমরূপে বিবেচিত হয়। পক্ষান্তরে এর ব্যতিক্রম হলে 'সে নিশ্চিতরূপে আলিম' বলা হয় না, যদিও সে 'আলিম হিসাবে বিবেচিত। অনুরূপভাবে 'সে নিশ্চিত ফকির' বলা হয় না, যদিও সে ফকীর হয়। তবে সেই ব্যক্তিকে তা বলা যাবে, যার মধ্যে সেই সমস্ত উপকরণ পূর্ণরূপে বিদ্যমান থাকবে যার দ্বারা ফকির, ফকির হিসাবে বিবেচিত হয়। এ কারণে উক্ত দুই ব্যক্তিকে তিনি বলেছেন এবং এতে উপার্জন উপযোগী শক্তিশালী ব্যক্তির জন্য অধিকার নেই। অর্থাৎ এতে তার হক নেই যতক্ষণ না তার সাথে নিশ্চিতভাবে সাদাকা গ্রহণের উপযুক্ততা পাওয়া যায়, আর তা হচ্ছে উপার্জন উপযোগী শক্তিশালী হওয়া। যদি উপার্জন উপযোগী শক্তিশালী ফকিরকে নবী করীম (ﷺ) সদর কর্তৃক সাদাকা প্রদান করা জায়িয না হত তাহলে তিনি তাদের দুই জনকে বলতেন না যে, যদি তোমরা চাও (আমি তোমাদেরকে সাদাকা দিয়ে দেই) তাহলে আমি তোমাদেরকে দিয়ে দিচ্ছি।
বস্তুত এই সমস্ত হাদীসের এই অর্থ ও বিশ্লেষণই উত্তম। কারণ প্রথমোক্ত আলিমগণ এই সমস্ত হাদীসের যে অর্থ ও বিশ্লেষণ করেছেন যদি সেই অর্থ নেয়া হয় তাহলে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত অপরাপর হাদীসের সাথে এগুলোর সাংঘর্ষিক হওয়া অনিবার্য হবে। এই বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীস অন্যতমঃ
ইউনুস (রাহঃ) ..... হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
আবু বাকরা (রাহঃ) ..... হিশাম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, তিনি তাদের উভয়কে বললেন, উপার্জনের উপযোগী শক্তিশালী ব্যক্তির জন্য এতে হক (অধিকার) নেই। এটি প্রমাণ বহন করছে যে, উপার্জনের উপযোগী শক্তিশালী ব্যক্তির জন্য সাদাকাতে (কোন) হিস্যা নেই এবং কেউ তাকে সাদাকা থেকে কিছু দিলে দাতার দায়িত্ব মুক্তির জন্য যথেষ্ট বিবেচিত হবে না।
বস্তুত এই বিষয়ে তাদের (প্রথমোক্ত আলিমদের) বিরুদ্ধ অপরাপর আলিমদের দলীলঃ তাঁর উক্তি “তোমরা যদি চাও তাহলে আমি তোমাদের দিয়ে দেব, তবে এতে ধনীর হক নেই” অর্থাৎ তোমাদের ধনাঢ্যতা আমার কাছে গোপন রয়েছে, যদি তোমারা দুই জন ধনী ও সম্পদশালী হও তাহলে এতে তোমাদের হক নেই। আর যদি তোমরা চাও যে আমি তোমাদেরকে (সাদাকা থেকে) দিয়ে দেই, তাহলে তোমাদের ধনাঢ্যতার ব্যাপারে অনবহিত হওয়ার দরুণ আমার জন্য তা প্রদান করা বৈধ হবে, কিন্তু আমি যা দেব তা তোমাদের জন্য গ্রহণ করা হারাম হবে। যেহেতু আমি তোমাদের বাহ্যিক অবস্থা যা দেখছি যার দ্বারা তোমাদের দরিদ্রতা প্রকাশ পাচ্ছে এর বিপরীত তোমরা তোমাদের নিজেদের ধনাঢ্যতার প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত রয়েছ। সুতরাং “তোমরা যদি চাও তাহলে আমি তোমাদের দিয়ে দেব, তবে এতে ধনীর হক নেই” এটিই তাঁর উল্লিখিত (যথার্থ) বিশ্লেষণ। তাঁর উক্তিঃ “এবং উপার্জনের উপযোগী শক্তিশালী ব্যক্তির জন্য (সাদাকাতে) হক নেই” এটি এই অর্থে যে, এতে উপার্জনের উপযোগী শক্তিশালী ব্যক্তির জন্য সমস্ত দিক দিয়ে হক নেই, যার দ্বারা তাতে হক ওয়াজিব হয়। অতএব এর সেই অর্থই হবে যে অর্থ আমরা 'সাদাকা হালাল নয় সুস্থ-সবল, শক্তিশালী ব্যক্তির জন্য' বাক্যের ক্ষেত্রে উল্লেখ করেছি।
বলা হয়ঃ 'অমুক ব্যক্তি নিশ্চিত আলিম' বস্তুত এটি তখন বলা হবে যখন তার মধ্যে সেই সমস্ত কারণ ও উপকরণ পূর্ণরূপে বিদ্যমান হবে, যাতে উক্ত ব্যক্তি আলিমরূপে বিবেচিত হয়। পক্ষান্তরে এর ব্যতিক্রম হলে 'সে নিশ্চিতরূপে আলিম' বলা হয় না, যদিও সে 'আলিম হিসাবে বিবেচিত। অনুরূপভাবে 'সে নিশ্চিত ফকির' বলা হয় না, যদিও সে ফকীর হয়। তবে সেই ব্যক্তিকে তা বলা যাবে, যার মধ্যে সেই সমস্ত উপকরণ পূর্ণরূপে বিদ্যমান থাকবে যার দ্বারা ফকির, ফকির হিসাবে বিবেচিত হয়। এ কারণে উক্ত দুই ব্যক্তিকে তিনি বলেছেন এবং এতে উপার্জন উপযোগী শক্তিশালী ব্যক্তির জন্য অধিকার নেই। অর্থাৎ এতে তার হক নেই যতক্ষণ না তার সাথে নিশ্চিতভাবে সাদাকা গ্রহণের উপযুক্ততা পাওয়া যায়, আর তা হচ্ছে উপার্জন উপযোগী শক্তিশালী হওয়া। যদি উপার্জন উপযোগী শক্তিশালী ফকিরকে নবী করীম (ﷺ) সদর কর্তৃক সাদাকা প্রদান করা জায়িয না হত তাহলে তিনি তাদের দুই জনকে বলতেন না যে, যদি তোমরা চাও (আমি তোমাদেরকে সাদাকা দিয়ে দেই) তাহলে আমি তোমাদেরকে দিয়ে দিচ্ছি।
বস্তুত এই সমস্ত হাদীসের এই অর্থ ও বিশ্লেষণই উত্তম। কারণ প্রথমোক্ত আলিমগণ এই সমস্ত হাদীসের যে অর্থ ও বিশ্লেষণ করেছেন যদি সেই অর্থ নেয়া হয় তাহলে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত অপরাপর হাদীসের সাথে এগুলোর সাংঘর্ষিক হওয়া অনিবার্য হবে। এই বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীস অন্যতমঃ
2996- بِمَا حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ , قَالَ: ثنا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ قَالَ: ثنا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ الْخِيَارِ , قَالَ: حَدَّثَنِي رَجُلَانِ مِنْ قَوْمِي أَنَّهُمَا أَتَيَا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَقْسِمُ الصَّدَقَةَ فَسَأَلَاهُ مِنْهَا , فَرَفَعَ الْبَصَرَ وَخَفَضَهُ , فَرَآهُمَا جَلْدَيْنِ قَوِيَّيْنِ، فَقَالَ: «إِنْ شِئْتُمَا فَعَلْتُ , وَلَا حَقَّ فِيهَا لِغَنِيٍّ , وَلَا لِقَوِيٍّ مُكْتَسِبٍ» .
2997 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ , وَاللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ , عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.
2998 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا الْحَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , وَهَمَّامٌ , عَنْ هِشَامٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادَهِ مِثْلَهُ. قَالُوا: فَقَدْ قَالَ لَهُمَا: «لَا حَقَّ فِيهَا لِقَوِيٍّ مُكْتَسِبٍ» فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ الْقَوِيَّ الْمُكْتَسِبَ لَا حَظَّ لَهُ فِي الصَّدَقَةِ , وَلَا تُجْزِئُ مَنْ أَعْطَاهُ مِنْهَا شَيْئًا. فَالْحُجَّةُ لِلْآخَرِينَ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ أَنَّ قَوْلَهُ: «إِنْ شِئْتُمَا فَعَلْتُ وَلَا حَقَّ فِيهَا لِغَنِيٍّ» أَيْ إِنَّ غِنَاكُمَا يَخْفَى عَلَيَّ , فَإِنْ كُنْتُمَا غَنِيَّيْنِ , فَلَا حَقَّ لَكُمَا فِيهَا , وَإِنْ شِئْتُمَا فَعَلْتُ , لِأَنِّي لَمْ أَعْلَمْ بِغِنَاكُمَا، فَمُبَاحٌ لِي إِعْطَاؤُكُمَا، وَحَرَامٌ عَلَيْكُمَا أَخْذُ مَا أَعْطَيْتُكُمَا إِنْ كُنْتُمَا تَعْلَمَانِ مِنْ حَقِيقَةِ أُمُورِكُمَا فِي الْغِنَى , خِلَافَ مَا أَرَى مِنْ ظَاهِرِكُمَا الَّذِي اسْتَدْلَلْتُ بِهِ عَلَى فَقْرِكُمَا. فَهَذَا مَعْنَى قَوْلِهِ: «إِنْ شِئْتُمَا فَعَلْتُ، وَلَا حَقَّ فِيهَا لِغَنِيٍّ» . وَأَمَّا قَوْلُهُ: «وَلَا لِقَوِيٍّ مُكْتَسِبٍ» فَذَلِكَ عَلَى أَنَّهُ لَا حَقَّ لِلْقَوِيِّ الْمُكْتَسِبِ مِنْ جَمِيعِ الْجِهَاتِ الَّتِي يَجِبُ الْحَقُّ فِيهَا , فَعَادَ مَعْنَى ذَلِكَ إِلَى مَعْنَى مَا ذَكَرْنَا مِنْ قَوْلِهِ: «وَلَا لِذِي مِرَّةٍ قَوِيٍّ» . وَقَدْ يُقَالُ: فُلَانٌ عَالِمٌ حَقًّا , إِذَا تَكَامَلَتْ فِيهِ الْأَسْبَابُ الَّتِي بِهَا يَكُونُ الرَّجُلُ عَالِمًا , وَلَا يُقَالُ: هُوَ عَالِمٌ حَقًّا , إِذَا كَانَ دُونَ ذَلِكَ , وَإِنْ كَانَ عَالِمًا. فَكَذَلِكَ لَا يُقَالُ: فَقِيرٌ حَقًّا إِلَّا لِمَنْ تَكَامَلَتْ فِيهِ الْأَسْبَابُ الَّتِي يَكُونُ بِهَا الْفَقِيرُ فَقِيرًا , وَإِنْ كَانَ فَقِيرًا , وَلِهَذَا قَالَ لَهُمَا: «وَلَا حَقَّ فِيهَا لِقَوِيٍّ مُكْتَسِبٍ» أَيْ: وَلَا حَقَّ لَهُ فِيهَا , حَتَّى يَكُونَ بِهِ مِنْ أَهْلِهَا حَقًّا , وَهُوَ قَوِيٌّ مُكْتَسِبٌ. وَلَوْلَا أَنَّهُ يَجُوزُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِعْطَاؤُهُ لِلْقَوِيِّ الْمُكْتَسِبِ , إِذَا كَانَ فَقِيرًا , لَمَا قَالَ لَهُمَا: «إِنْ شِئْتُمَا فَعَلْتُ» . وَهَذَا أَوْلَى مَا حُمِلَتْ عَلَيْهِ هَذِهِ الْآثَارُ , لِأَنَّهَا إِنْ حُمِلَتْ عَلَى مَا حَمَلَهَا عَلَيْهِ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى , ضَادَّتْ سِوَاهَا , مِمَّا قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
فَمِنْ ذَلِكَ
2997 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ , وَاللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ , عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.
2998 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا الْحَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , وَهَمَّامٌ , عَنْ هِشَامٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادَهِ مِثْلَهُ. قَالُوا: فَقَدْ قَالَ لَهُمَا: «لَا حَقَّ فِيهَا لِقَوِيٍّ مُكْتَسِبٍ» فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ الْقَوِيَّ الْمُكْتَسِبَ لَا حَظَّ لَهُ فِي الصَّدَقَةِ , وَلَا تُجْزِئُ مَنْ أَعْطَاهُ مِنْهَا شَيْئًا. فَالْحُجَّةُ لِلْآخَرِينَ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ أَنَّ قَوْلَهُ: «إِنْ شِئْتُمَا فَعَلْتُ وَلَا حَقَّ فِيهَا لِغَنِيٍّ» أَيْ إِنَّ غِنَاكُمَا يَخْفَى عَلَيَّ , فَإِنْ كُنْتُمَا غَنِيَّيْنِ , فَلَا حَقَّ لَكُمَا فِيهَا , وَإِنْ شِئْتُمَا فَعَلْتُ , لِأَنِّي لَمْ أَعْلَمْ بِغِنَاكُمَا، فَمُبَاحٌ لِي إِعْطَاؤُكُمَا، وَحَرَامٌ عَلَيْكُمَا أَخْذُ مَا أَعْطَيْتُكُمَا إِنْ كُنْتُمَا تَعْلَمَانِ مِنْ حَقِيقَةِ أُمُورِكُمَا فِي الْغِنَى , خِلَافَ مَا أَرَى مِنْ ظَاهِرِكُمَا الَّذِي اسْتَدْلَلْتُ بِهِ عَلَى فَقْرِكُمَا. فَهَذَا مَعْنَى قَوْلِهِ: «إِنْ شِئْتُمَا فَعَلْتُ، وَلَا حَقَّ فِيهَا لِغَنِيٍّ» . وَأَمَّا قَوْلُهُ: «وَلَا لِقَوِيٍّ مُكْتَسِبٍ» فَذَلِكَ عَلَى أَنَّهُ لَا حَقَّ لِلْقَوِيِّ الْمُكْتَسِبِ مِنْ جَمِيعِ الْجِهَاتِ الَّتِي يَجِبُ الْحَقُّ فِيهَا , فَعَادَ مَعْنَى ذَلِكَ إِلَى مَعْنَى مَا ذَكَرْنَا مِنْ قَوْلِهِ: «وَلَا لِذِي مِرَّةٍ قَوِيٍّ» . وَقَدْ يُقَالُ: فُلَانٌ عَالِمٌ حَقًّا , إِذَا تَكَامَلَتْ فِيهِ الْأَسْبَابُ الَّتِي بِهَا يَكُونُ الرَّجُلُ عَالِمًا , وَلَا يُقَالُ: هُوَ عَالِمٌ حَقًّا , إِذَا كَانَ دُونَ ذَلِكَ , وَإِنْ كَانَ عَالِمًا. فَكَذَلِكَ لَا يُقَالُ: فَقِيرٌ حَقًّا إِلَّا لِمَنْ تَكَامَلَتْ فِيهِ الْأَسْبَابُ الَّتِي يَكُونُ بِهَا الْفَقِيرُ فَقِيرًا , وَإِنْ كَانَ فَقِيرًا , وَلِهَذَا قَالَ لَهُمَا: «وَلَا حَقَّ فِيهَا لِقَوِيٍّ مُكْتَسِبٍ» أَيْ: وَلَا حَقَّ لَهُ فِيهَا , حَتَّى يَكُونَ بِهِ مِنْ أَهْلِهَا حَقًّا , وَهُوَ قَوِيٌّ مُكْتَسِبٌ. وَلَوْلَا أَنَّهُ يَجُوزُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِعْطَاؤُهُ لِلْقَوِيِّ الْمُكْتَسِبِ , إِذَا كَانَ فَقِيرًا , لَمَا قَالَ لَهُمَا: «إِنْ شِئْتُمَا فَعَلْتُ» . وَهَذَا أَوْلَى مَا حُمِلَتْ عَلَيْهِ هَذِهِ الْآثَارُ , لِأَنَّهَا إِنْ حُمِلَتْ عَلَى مَا حَمَلَهَا عَلَيْهِ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى , ضَادَّتْ سِوَاهَا , مِمَّا قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
فَمِنْ ذَلِكَ
