শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
৩. জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৯২৫
রাত্রিতে দাফন করা
২৯২৫। ফাহাদ (রাহঃ)..... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর দাফন (এর সময়) সম্পর্কে জানতাম না। তারপর আমরা শেষ রাত্রে কোদালের শব্দ শুনতে পেলাম। তা ছিল বুধবার রাত্রি। আর এটি ঘটেছিল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবীদের উপস্থিতিতে। তাঁদের কেউ এর প্রতিবাদ করেননি। এতে প্রমাণিত হয় যে, রাত্রে দাফন করার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিষেধাজ্ঞা ছিল বিশেষ কারণবশত। এই জন্য নয় যে, রাত্রে দাফন করা মাকরূহ; যখন কিনা তা কোন বিশেষ কারণে না হয়। উকবা ইবন আমির (রাযিঃ) বলেছেনঃ তিনটি সময় এমন, যেগুলোতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে সালাত আদায় করতে বা মৃতদের কবরে রাখতে নিষেধ করতেন, সূর্য যখন উঠে পূর্ণভাবে উদিত না হওয়া পর্যন্ত, ঠিক মধ্যাহ্নের সময় পশ্চিম দিকে সূর্য না হেলা পর্যন্ত, অস্তমিত হওয়ার দিকে ঝুঁকে যাওয়ার সময় পূর্ণভাবে অস্ত না যাওয়া পর্যন্ত। আমরা অবশ্যই এটি এর সনদসহ এই গ্রন্থে পূর্বেই উল্লেখ করে এসেছি। তাতে প্রমাণিত হয় যে, উক্ত (তিন) সময় ব্যতীত মৃতের সালাতুল জানাযা ও দাফন মাকরূহ হবে না।
2925 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ بُهْلُولٍ، قَالَ: ثنا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: «مَا عَلِمْنَا بِدَفْنِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى سَمِعْنَا صَوْتَ الْمَسَاحِي فِي آخِرِ اللَّيْلِ اللَّيْلَةَ الْأَرْبِعَاءَ» وَهَذَا بِحَضْرَةِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يُنْكِرُهُ أَحَدٌ مِنْهُمْ. فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ مَا كَانَ مِنْ نَهْيِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الدَّفْنِ لَيْلًا إِنَّمَا كَانَ لِعَارِضٍ , لَا لِأَنَّ اللَّيْلَ يُكْرَهُ الدَّفْنُ فِيهِ إِذَا لَمْ يَكُنْ ذَلِكَ لِعَارِضٍ. وَقَدْ قَالَ عُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ: " ثَلَاثُ سَاعَاتٍ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْهَانَا أَنْ نُصَلِّيَ فِيهِنَّ , وَأَنْ نَقْبُرَ فِيهِنَّ مَوْتَانَا: حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ حَتَّى تَرْتَفِعَ , وَحِينَ يَقُومُ قَائِمُ الظَّهِيرَةِ حَتَّى يَمِيلَ , وَحِينَ تَضِيفُ الشَّمْسُ لِلْغُرُوبِ حَتَّى تَغْرُبَ " وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ بِإِسْنَادِهِ فِيمَا تَقَدَّمَ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا. فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ مَا سِوَى هَذِهِ الْأَوْقَاتِ بِخِلَافِهَا فِي الصَّلَاةِ عَلَى الْمَوْتَى وَدَفْنِهِمْ فِي الْكَرَاهَةِ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, উপরিউক্ত তিন ওয়াক্তে সব ধরণের নামায পড়াই মাকরূহ। তবে কেউ ঐ দিনের আসর না পড়ে থাকলে সূর্য ডুবন্ত অবস্থাতেও তা পড়ে নিবে। বুখারী-৫২৯) এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৩৭১)
উলামায়ে কিরামের তাহকীক মতে উক্ত মাকরূহ সময় হলো সূর্যোদয় থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত, সূর্য মাথায় আসার পূর্বে ৩ মিনিট ও পরে ৩ মিনিট এবং সূর্যাস্তের পূর্বে ১০ মিনিট।
উলামায়ে কিরামের তাহকীক মতে উক্ত মাকরূহ সময় হলো সূর্যোদয় থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত, সূর্য মাথায় আসার পূর্বে ৩ মিনিট ও পরে ৩ মিনিট এবং সূর্যাস্তের পূর্বে ১০ মিনিট।
