আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৭- নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮২
৩২৯। মসজিদ ও অন্যান্য স্থানে এক হাতের আঙুল অন্য হাতের আঙুলে প্রবেশ করানো
৪৬৬। ইসহাক (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একবার আমাদের বিকালের এক নামাযে ইমামতি করলেন। ইবনে সীরীন (রাহঃ) বলেনঃ আবূ হুরায়রা (রা) নামাযের নাম বলেছিলেন, কিন্তু আমি তা ভুলে গিয়েছি। আবূ হুরায়রা (রা) বলেন : তিনি আমাদের নিয়ে দু’রাকআত নামায আদায় করে সালাম ফিরালেন। তারপর মসজিদে রাখা এক টুকরা কাঠের উপর ভর দিয়ে দাঁড়ালেন। তাঁকে রাগান্বিত মনে হচ্ছিল। তিনি তাঁর ডান হাত বাঁ হাতের উপর রেখে এক হাতের আঙুল অপর হাতের আঙুলের মধ্যে প্রবেশ করালেন। আর তাঁর ডান গাল বাম হাতের পিঠের উপর রাখলেন। যাঁদের তাড়া ছিল তাঁরা মসজিদের দরজা দিয়ে বাইরে চলে গেলেন। সাহাবীগণ বললেনঃ নামায কি সংক্ষিপ্ত হয়ে গেছে? উপস্থিত লোকজনের মধ্যে আবু বকর (রাযিঃ) এবং উমর (রাযিঃ)-ও ছিলেন। কিন্তু তাঁরা নবী (ﷺ) এর সঙ্গে কথা বলতে ভয় পেলেন।
আর লোকজনের মধ্যে লম্বা হাত বিশিষ্ট এক ব্যক্তি ছিলেন, যাকে “যুল-ইয়াদাইন” বলা হতো, তিনি বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি কি ভুলে গেছেন, নাকি নামায সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে? তিনি বললেনঃ আমি ভুলিনি এবং নামায সংক্ষেপও করা হয়নি। এরপর (অন্যদের) জিজ্ঞাসা করলেনঃ যুল-ইয়াদাইনের কথা কি ঠিক? তাঁরা বললেন, হ্যাঁ। তারপর তিনি এগিয়ে এলেন এবং নামাযের বাদপড়া অংশটুকু আদায় করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন ও তাকবীর বললেন এবং স্বাভাবিকভাবে সিজদার মতো বা একটু দীর্ঘ সিজদা করলেন। তারপর তাকবীর বলে মাথা উঠালেন। পরে আবার তাকবীর বললেন এবং স্বাভাবিকভাবে সিজদার মতো বা একটু দীর্ঘ সিজদা করলেন। তারপর তাকবীর বলে মাথা উঠালেন। লোকেরা প্রায়ই ইবনে সীরীন (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করতো “পরে কি তিনি সালাম ফিরিয়েছিলেন?” তখন ইবনে সীরীন (রাহঃ) বলতেনঃ আমার কাছে বর্ণনা করা হয়েছে যে, ইমরান ইবনে হুসাইন (রাযিঃ) বলেছেনঃ তারপর তিনি সালাম ফিরিয়েছিলেন।
আর লোকজনের মধ্যে লম্বা হাত বিশিষ্ট এক ব্যক্তি ছিলেন, যাকে “যুল-ইয়াদাইন” বলা হতো, তিনি বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি কি ভুলে গেছেন, নাকি নামায সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে? তিনি বললেনঃ আমি ভুলিনি এবং নামায সংক্ষেপও করা হয়নি। এরপর (অন্যদের) জিজ্ঞাসা করলেনঃ যুল-ইয়াদাইনের কথা কি ঠিক? তাঁরা বললেন, হ্যাঁ। তারপর তিনি এগিয়ে এলেন এবং নামাযের বাদপড়া অংশটুকু আদায় করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন ও তাকবীর বললেন এবং স্বাভাবিকভাবে সিজদার মতো বা একটু দীর্ঘ সিজদা করলেন। তারপর তাকবীর বলে মাথা উঠালেন। পরে আবার তাকবীর বললেন এবং স্বাভাবিকভাবে সিজদার মতো বা একটু দীর্ঘ সিজদা করলেন। তারপর তাকবীর বলে মাথা উঠালেন। লোকেরা প্রায়ই ইবনে সীরীন (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করতো “পরে কি তিনি সালাম ফিরিয়েছিলেন?” তখন ইবনে সীরীন (রাহঃ) বলতেনঃ আমার কাছে বর্ণনা করা হয়েছে যে, ইমরান ইবনে হুসাইন (রাযিঃ) বলেছেনঃ তারপর তিনি সালাম ফিরিয়েছিলেন।
باب تَشْبِيكِ الأَصَابِعِ فِي الْمَسْجِدِ وَغَيْرِهِ
482 - حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، قَالَ: حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِحْدَى صَلاَتَيِ العَشِيِّ - قَالَ ابْنُ سِيرِينَ: سَمَّاهَا أَبُو هُرَيْرَةَ وَلَكِنْ نَسِيتُ أَنَا - قَالَ: فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ سَلَّمَ، فَقَامَ إِلَى خَشَبَةٍ مَعْرُوضَةٍ فِي المَسْجِدِ، فَاتَّكَأَ عَلَيْهَا كَأَنَّهُ غَضْبَانُ، وَوَضَعَ يَدَهُ اليُمْنَى عَلَى اليُسْرَى، وَشَبَّكَ بَيْنَ أَصَابِعِهِ، وَوَضَعَ خَدَّهُ الأَيْمَنَ عَلَى ظَهْرِ كَفِّهِ اليُسْرَى، وَخَرَجَتِ السَّرَعَانُ مِنْ أَبْوَابِ المَسْجِدِ، فَقَالُوا: قَصُرَتِ الصَّلاَةُ؟ وَفِي القَوْمِ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ، فَهَابَا أَنْ يُكَلِّمَاهُ، وَفِي القَوْمِ رَجُلٌ فِي يَدَيْهِ طُولٌ، يُقَالُ لَهُ: ذُو اليَدَيْنِ، قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَسِيتَ أَمْ قَصُرَتِ الصَّلاَةُ؟ قَالَ: «لَمْ أَنْسَ وَلَمْ تُقْصَرْ» فَقَالَ: «أَكَمَا يَقُولُ ذُو اليَدَيْنِ» فَقَالُوا: نَعَمْ، فَتَقَدَّمَ فَصَلَّى مَا تَرَكَ، ثُمَّ سَلَّمَ، ثُمَّ كَبَّرَ وَسَجَدَ مِثْلَ سُجُودِهِ أَوْ أَطْوَلَ، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ وَكَبَّرَ، ثُمَّ كَبَّرَ وَسَجَدَ مِثْلَ سُجُودِهِ أَوْ أَطْوَلَ، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ وَكَبَّرَ، فَرُبَّمَا سَأَلُوهُ: ثُمَّ سَلَّمَ؟ فَيَقُولُ: نُبِّئْتُ أَنَّ عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ، قَالَ: ثُمَّ سَلَّمَ
