শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ২৬২৩
সালাতে ইশারা করা প্রসঙ্গে
২৬২৩। ফাহদ (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি সালাতে নবী করীম ﷺ কে সালাম করতাম এবং তিনি আমার সালামের জওয়াব দিতেন। একবার আমি তাঁকে সালাম করলে তিনি আমার সালামের জওয়াব দিলেন না। এতে আমি আন্তরিকভাবে চিন্তিত হয়ে পড়লাম। তারপর আমি তাঁর নিকট তা উল্লেখ করলে তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা'আলা যখন ইচ্ছা করেন নতুন বিধান সৃষ্টি করেন।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ আবু দাউদ (রাহঃ) থেকে আবু বাকরা (রাহঃ) কতৃক বর্নিত হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ সেই ব্যক্তির (সালামের জওয়াব) সালাত থেকে অবসর হওয়ার পরে দিয়েছেন যে তাঁকে সালাতরত অবস্থায় সালাম করেছিল।
বস্তুত এটি প্রমাণ বহন করে যে, তিনি সালাতে তাঁর সালামের জওয়াব দেননি। যেহেতু তিনি যদি সালাতে জওয়াব দিতেন তাহলে তাঁকে সালাত থেকে অবসর হওয়ার পর জওয়াব দিতে হতো না। যেমনটি সেই ব্যক্তি বলে, যে কিনা সালাতে ইশারার দ্বারা (সালামের) জওয়াব প্রদানের অভিমত ব্যক্ত করে। আর মুসল্লী যখন সেই ব্যক্তির সাথে এমনটি করবে যে ব্যক্তি তাকে সালাতে সালাম প্রদান করে, তাহলে তার উপরে সালাত থেকে অবসর হওয়ার পর জওয়াব দেয়া ওয়াজিব হবে না।
অনুরূপভাবে মু'আম্মিল (রাহঃ) থেকে বর্নিত আবু বাকরা (রাহঃ) এর হাদীসেও ব্যক্ত হয়েছে যে, তখন তিনি আমার (সালামের) জওয়াব দেন নি। এতে আমাকে ভাবনায় ফেলে দিল যে, কি ব্যাপার ঘটেছে এবং নতুনভাবে কি সৃষ্টি (নাজিল) হয়েছে?
বস্তুত এটি প্রমাণ বহন করে যে, তাঁর থেকে কোন রূপ জওয়াব ছিল না, না ইশারার দ্বারা না অন্য কিছুর দ্বারা। যেহেতু তিনি ইশারার দ্বারা তাঁর জওয়াব দিতেন তাহলে রাবী তিনি "আমার (সালামের) জওয়াব দেননি" বলতেন না। বরং বলতেন, তিনি ইশারার দ্বারা আমার জওয়াব প্রদান করেছেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যখন তাঁর অন্তরে সেই জিনিসটি লাগল যা তিনি "কি ব্যাপার ঘটেছে এবং নতুন কি (বিধান) নাজিল হয়েছে" বাক্যের দ্বারা ব্যক্ত করেছেন। আর আলী ইবন শায়বা (রাহঃ) -এর হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ " নিশ্চয় সালাতে (বিশেষ এক) ব্যস্ততা বিদ্যমান রয়েছে"। বস্তুত এটি প্রমাণ বহন করে যে, মুসল্লী উক্ত ব্যস্ততার কারনে কোন মুসলিমকে সালামের জওয়াব প্রদান করায় অপারগ এবং অন্যকেও সালাম থেকে নিষেধ করা হলো।
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর (ইন্তেকালের) পর আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) এর নিন্মোক্ত উক্তি বর্ননা করা হয়ঃ
2623 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا الْحِمَّانِيُّ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ أَبِي الْجَهْمِ، عَنْ أَبِي الرَّضْرَاضِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: كُنْتُ أُسَلِّمُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الصَّلَاةِ فَيَرُدُّ عَلَيَّ. فَلَمَّا كَانَ ذَاتَ يَوْمٍ سَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيَّ , فَوَجَدْتُ فِي نَفْسِي , فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ: «إِنَّ اللهَ يُحْدِثُ مِنْ أَمْرِهِ مَا يَشَاءُ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَفِي حَدِيثِ أَبِي بَكْرَةَ , عَنْ أَبِي دَاوُدَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَدَّ عَلَى الَّذِي سَلَّمَ عَلَيْهِ فِي الصَّلَاةِ بَعْدَ فَرَاغِهِ مِنْهَا , فَذَلِكَ دَلِيلُ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ مِنْهُ فِي الصَّلَاةِ رَدُّ السَّلَامِ عَلَيْهِ , لِأَنَّهُ لَوْ كَانَ ذَلِكَ مِنْهُ لَأَغْنَاهُ عَنِ الرَّدِّ عَلَيْهِ بَعْدَ الْفَرَاغِ مِنَ الصَّلَاةِ كَمَا يَقُولُ الَّذِي يَرَى الرَّدَّ فِي الصَّلَاةِ بِالْإِشَارَةِ , وَأَنَّ الْمُصَلِّيَ إِذَا فَعَلَ ذَلِكَ بِمَنْ يُسَلِّمُ عَلَيْهِ فِي صَلَاتِهِ فَلَا يَجِبُ عَلَيْهِ الرَّدُّ بَعْدَ فَرَاغِهِ مِنْ صَلَاتِهِ. وَفِي حَدِيثِ أَبِي بَكْرَةَ أَيْضًا عَنْ مُؤَمَّلٍ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيَّ فَأَخَذَنِي مَا قَدُمَ وَمَا حَدَثَ. فَفِي ذَلِكَ دَلِيلٌ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ رَدَّ أَصْلًا بِالْإِشَارَةِ وَلَا غَيْرِهَا , لِأَنَّهُ لَوْ كَانَ رَدَّ عَلَيْهِ بِإِشَارَتِهِ , لَمْ يَقُلْ لَمْ يَرُدَّ عَلَيَّ وَلَقَالَ: رَدَّ عَلَيَّ إِشَارَةً وَلَمَّا أَصَابَهُ مِنْ ذَلِكَ مَا أَخْبَرَ أَنَّهُ أَصَابَهُ مِمَّا قَدُمَ وَمِمَّا حَدَثَ. وَفِي حَدِيثِ عَلِيِّ بْنِ شَيْبَةَ , فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ فِي الصَّلَاةِ شُغْلًا» فَذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ الْمُصَلِّيَ مَعْذُورٌ بِذَلكَ الشُّغْلِ عَنْ رَدِّ السَّلَامِ عَلَى الْمُسَلِّمِ عَلَيْهِ , وَنَهْيٌ لِغَيْرِهِ عَنِ السَّلَامِ عَلَيْهِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللهِ مِنْ قَوْلِهِ بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ২৬২৩ | মুসলিম বাংলা