শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৬১২
সালাতে কৃত ভুলের জন্য কথা বলা
২৬১২। রবী'উল মু'আযযিন (রাহঃ) ...... যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি মদীনার অনেক 'আলিম (সাহাবা)- কে জিজ্ঞাসা করেছি, তাঁদের কেউ এই বিষয়ে আমাকে বলেননি যে, তিনি যুলইয়াদায়নের ঘটনার দিনে দুই সিজদা সাহো করেছেন।
বস্তুত আমাদের নিকট এর অর্থ (আল্লাহ তা'আলাই ভালো জানেন) হলোঃ সালাতে সিজদা সাহো তখন ওয়াজিব হয় যখন তাতে অনুচিত কিছু করা হয়, যথা বসার স্থলে দাঁড়িয়ে যাওয়া কিংবা বসার স্থান নয় এমন স্থানে বসা ইত্যাদি সেই সমস্ত কাজ যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে করা হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ক্রটিকারীরূপে সাব্যস্ত হবে। পক্ষান্তরে মাকরূহ নয় এরূপ কিছু যদি তাতে করা হয় তাহলে এতে সিজদা সাহো (জরুরী) হবে না। আর যুলইয়াদায়নের ঘটনার দিনে সালাতের বিধান ছিলো যে, তাতে কথা বলা এবং হ্যাঁটা-চলাতে কোন দোষ ছিলো না। কেউ তা ইচ্ছাকৃত ভাবে করলেও ক্রটিকারী বিবেচিত হতো না। তাই যে তা ভুলে করবে তাঁর উপর সিজদা সাহো ওয়াজিব হবে না। বস্তুত এটি-ই হচ্ছে সেই সমস্ত লোকদের ('আলিমদের) মাযহাব যাঁরা এইমত পোষণ করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ সেই দিন তাতে সিজদা করেননি। এটি (দলীল) হচ্ছে সেই সমস্ত মত পোষণকারীদের যা আমি এই অনুচ্ছেদে বর্ণনা করেছি। আর যারা উল্লেখ করেন যে, তিনি ﷺ সেই দিন সিজদা (সাহো) করেছেন। তাঁদের মতে যদিও তখন সালাতে কথা বলা এবং হ্যাঁটা-চলা মুবাহ (বৈধ) ছিলো, কিন্তু তখন সালাম ফিরানোর সময়ের পূর্বে সালাম ফিরানো মুবাহ ছিল না। যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাতকে পূর্ণ করে ফেলেছেন (তাঁর ধারনায়) এবং তা থেকে বের হওয়ার উদ্দেশ্যে তাতে সালাম ফিরিয়ে ফেলেন।
বস্তুত এরূপ যদি কেউ ইচ্ছাকৃত করে তাহলে সে ক্রটিকারী বিবেচিত হবে। কিন্তু যখন তিনি তা ভুলে করেছেন তাহলে তাতে সিজদা সাহো ওয়াজিব হবে। এটি হচ্ছে, এই হাদীসে (উল্লিখিত) মত পোষণকারীদের মাযহাব।
বস্তুত আমাদের নিকট এর অর্থ (আল্লাহ তা'আলাই ভালো জানেন) হলোঃ সালাতে সিজদা সাহো তখন ওয়াজিব হয় যখন তাতে অনুচিত কিছু করা হয়, যথা বসার স্থলে দাঁড়িয়ে যাওয়া কিংবা বসার স্থান নয় এমন স্থানে বসা ইত্যাদি সেই সমস্ত কাজ যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে করা হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ক্রটিকারীরূপে সাব্যস্ত হবে। পক্ষান্তরে মাকরূহ নয় এরূপ কিছু যদি তাতে করা হয় তাহলে এতে সিজদা সাহো (জরুরী) হবে না। আর যুলইয়াদায়নের ঘটনার দিনে সালাতের বিধান ছিলো যে, তাতে কথা বলা এবং হ্যাঁটা-চলাতে কোন দোষ ছিলো না। কেউ তা ইচ্ছাকৃত ভাবে করলেও ক্রটিকারী বিবেচিত হতো না। তাই যে তা ভুলে করবে তাঁর উপর সিজদা সাহো ওয়াজিব হবে না। বস্তুত এটি-ই হচ্ছে সেই সমস্ত লোকদের ('আলিমদের) মাযহাব যাঁরা এইমত পোষণ করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ সেই দিন তাতে সিজদা করেননি। এটি (দলীল) হচ্ছে সেই সমস্ত মত পোষণকারীদের যা আমি এই অনুচ্ছেদে বর্ণনা করেছি। আর যারা উল্লেখ করেন যে, তিনি ﷺ সেই দিন সিজদা (সাহো) করেছেন। তাঁদের মতে যদিও তখন সালাতে কথা বলা এবং হ্যাঁটা-চলা মুবাহ (বৈধ) ছিলো, কিন্তু তখন সালাম ফিরানোর সময়ের পূর্বে সালাম ফিরানো মুবাহ ছিল না। যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাতকে পূর্ণ করে ফেলেছেন (তাঁর ধারনায়) এবং তা থেকে বের হওয়ার উদ্দেশ্যে তাতে সালাম ফিরিয়ে ফেলেন।
বস্তুত এরূপ যদি কেউ ইচ্ছাকৃত করে তাহলে সে ক্রটিকারী বিবেচিত হবে। কিন্তু যখন তিনি তা ভুলে করেছেন তাহলে তাতে সিজদা সাহো ওয়াজিব হবে। এটি হচ্ছে, এই হাদীসে (উল্লিখিত) মত পোষণকারীদের মাযহাব।
2612 - حَدَّثَنَا بِذَلِكَ، رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: سَأَلْتُ أَهْلَ الْعِلْمِ بِالْمَدِينَةِ , فَمَا أَخْبَرَنِي أَحَدٌ مِنْهُمْ أَنَّهُ صَلَّاهُمَا , يَعْنِي سَجْدَةَ السَّهْوِ , يَوْمَ ذِي الْيَدَيْنِ , فَمَعْنَى هَذَا عِنْدَنَا , وَاللهُ أَعْلَمُ , أَنَّهُ إِنَّمَا يَجِبُ سُجُودُ السَّهْوِ فِي الصَّلَاةِ إِذَا فَعَلَ فِيهَا مَا لَا يَنْبَغِي أَنْ يَفْعَلَ فِيهَا. مِثْلَ الْقِيَامِ مِنَ الْقُعُودِ , أَوِ الْقُعُودِ فِي غَيْرِ مَوْضِعِ الْقُعُودِ , أَوْ مَا أَشْبَهَ ذَلِكَ , مِمَّا لَوْ فُعِلَ عَلَى الْعَمْدِ , كَانَ فَاعِلُهُ مُسِيئًا. فَأَمَّا مَا فُعِلَ فِيهَا , مِمَّا لَيْسَ بِمَكْرُوهٍ فِيهَا , فَلَيْسَ فِيهِ سُجُودُ السَّهْوِ , وَكَانَ حُكْمُ الصَّلَاةِ يَوْمَ ذِي الْيَدَيْنِ لَا بَأْسَ بِالْكَلَامِ فِيهَا وَالتَّصَرُّفِ فِيهَا. فَلَمَّا فَعَلَ ذَلِكَ فِيهَا عَلَى السَّهْوِ , وَكَانَ فَاعِلُهُ عَلَى الْعَمْدِ غَيْرَ مُسِيءٍ , كَانَ فَاعِلُهُ عَلَى السَّهْوِ , غَيْرُ وَاجِبٍ سُجُودُ السَّهْوِ. فَهَذَا مَذْهَبُ الَّذِينَ ذَهَبُوا إِلَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَسْجُدْ يَوْمَئِذٍ. وَهَذَا حُجَّةٌ لِأَهْلِ الْمَقَالَةِ الَّتِي بَيَّنَّاهَا فِي هَذَا الْبَابِ. وَكَانَ مَذْهَبُ الَّذِينَ ذَكَرُوا أَنَّهُ سَجَدَ يَوْمَئِذٍ , أَنَّ الْكَلَامَ وَالتَّصَرُّفَ , وَإِنْ كَانَا قَدْ كَانَا مُبَاحَيْنِ فِي الصَّلَاةِ يَوْمَئِذٍ فَلَمْ يَكُنْ مِنَ الْمُبَاحِ يَوْمَئِذٍ , أَنْ يُسَلِّمَ فِي الصَّلَاةِ قَبْلَ أَوَانِ السَّلَامِ. فَلَمَّا سَلَّمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهَا سَلَامًا أَرَادَ بِهِ الْخُرُوجَ مِنْهَا , عَلَى أَنَّهُ قَدْ كَانَ أَتَمَّهَا , وَكَانَ ذَلِكَ مِمَّا لَوْ فَعَلَهُ فَاعِلٌ عَلَى الْعَمْدِ , كَانَ مُسِيئًا , لَمَّا فَعَلَهُ عَلَى السَّهْوِ , وَجَبَ فِيهِ سُجُودُ السَّهْوِ. وَهَذَا مَذْهَبُ أَهْلِ الْمَقَالَةِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ
