শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ২৪৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৬৮
মুসাফিরের সালাত
২৪৬৭-২৪৬৮। ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ).....বনু আমির গোত্রের জনৈক ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর নিকট আসেন, আর তখন তিনি আহার করছিলেন। তিনি বললেন, এসো, খাও। তিনি বললেন, আমি সিয়ামরত। তিনি বললেন, নিকটে এসো, তোমাকে সিয়াম সম্পর্কে অবহিত করছিঃ নিশ্চয় আল্লাহ্ তাআলা মুসাফির থেকে অর্ধেক সালাত এবং গর্ভবর্তী ও স্তন্যদানকারিণী নারী থেকে সিয়াম মউকুফ করে দিয়েছেন।

ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ).....আবুল আলা নিজ কাওমের জনৈক ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর নিকট এসেছিলেন, পরে তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
2467 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، قَالَ: ثنا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ بَنِي عَامِرٍ: أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَطْعَمُ فَقَالَ: «هَلُمَّ فَكُلْ» فَقَالَ: إِنِّي صَائِمٌ. فَقَالَ: «ادْنُ حَتَّى أُخْبِرَكَ عَنِ الصَّوْمِ , إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ وَضَعَ شَطْرَ الصَّلَاةِ عَنِ الْمُسَافِرِ , وَالصَّوْمَ عَنِ الْحُبْلَى وَالْمُرْضِعِ»

2468 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا رَوْحٌ قَالَ: ثنا حَمَّادٌ , عَنِ الْجُرَيْرِيِّ , عَنْ أَبِي الْعَلَاءِ , عَنْ رَجُلٍ مِنْ قَوْمِهِ أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ مِثْلَهُ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, মুসাফিরের জন্য সফরের হালতে রোযা না রাখার সুযোগ রয়েছে। তবে অস্বাভাবিক কষ্ট না হলে রোযা রাখাই উত্তম। আর অস্বাভাবিক কষ্ট হলে রোযা রাখা মাকরূহ। এ অবস্থায় রোযা না রেখে পরে তা কাযা করবে।

আছিম রাহ. বলেন, আনাস রা.কে সফরকালে রোযা রাখার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, ‘যে রোযা রাখবে না সে অবকাশ গ্রহণ করল। আর যে রোযা রাখল সে উত্তম কাজ করল।’-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৬/১৩২; রদ্দুল মুহতার ২/৪২১; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৪০৩

গর্ভবতী নারীর যদি রোযা রাখলে গর্ভস্থ বাচ্চার ক্ষতির আশংকা হয়, বা গর্ভবতী নারী মারাত্মক অসুস্থ্য হয়ে যাওয়ার আশংকা হয়, তাহলে রোযা রাখবে না। বরং রোযা ভাঙ্গা তার জন্য জায়েজ। তবে পরবর্তীতে এর কাযা আদায় করতে হবে। {ফাতওয়ায়ে রহিমীয়া-৭/২৭০}

অনুরুপ ভাবে দুগ্ধদানকারিনী মা রোযা রাখলে যদি সন্তান দুধ না পায় আর ঐ সন্তান অন্য কোনো খাবারেও অভ্যস্ত না হয়, ফলে দুধ না পাওয়ার কারণে

সন্তানের মৃত্যুর বা মারাত্মক স্বাস্থ্যহানীর আশঙ্কা হয়, তাহলে তিনি রোযা ভাঙ্গতে পারবেন এবং পরে কাযা করে নিবেন। হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, অর্থ : আল্লাহ তাআলা মুসাফিরের জন্য রোযার হুকুম শিথিল করেছেন এবং আংশিক নামায কমিয়ে দিয়েছেন। আর গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারিনীর জন্যও রোযার হুকুম শিথিল করেছেন।-জামে তিরমিযী ১/১৫২; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৫৯; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪২২

#সংগৃহীত
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান