শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৪৫২
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৫৮
মুসাফিরের সালাত
২৪৫২-২৪৫৮। আবু বাক্রা (রাহঃ) .....উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন: তোমাদের নবী (ﷺ) -এর যবানীতে কসর বিহীন পূর্ণরূপে (ঈদুল) আয্হার সালাত দু’রাক’আত, (ঈদুল) ফিত্রের (সালাত) দু’রাক’আত, জুমু’আর (সালাত) দু’রাক’আত ও সফরের সালাত দু’রাক’আত।
ইয়াযিদ ইব্ন সিনান (রাহঃ) আব্দুর রহমান ইব্ন আবী লায়লা (রাহঃ) ..... থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমাদেরকে উমর (রাযিঃ) খুত্বা প্রদান করেছেন। তারপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন ।
ইয়াযিদ ইব্ন সিনান (রাহঃ) এবং ইবরাহীম ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ..... আব্দুর রহমান ইব্ন আবী লায়লা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, উমর (রাযিঃ) বলেছেন। পরে তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
ইন মারযূক (রাহঃ).....যুবায়দ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি পরে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ) .....উমর (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
ফাহাদ (রাহঃ) যুবায়দ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, পরে তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তিনি الثِّقَةِ উল্লেখ করেননি।
ইয়াযিদ ইব্ন সিনান (রাহঃ) আব্দুর রহমান ইব্ন আবী লায়লা (রাহঃ) ..... থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমাদেরকে উমর (রাযিঃ) খুত্বা প্রদান করেছেন। তারপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন ।
ইয়াযিদ ইব্ন সিনান (রাহঃ) এবং ইবরাহীম ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ..... আব্দুর রহমান ইব্ন আবী লায়লা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, উমর (রাযিঃ) বলেছেন। পরে তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
ইন মারযূক (রাহঃ).....যুবায়দ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি পরে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ) .....উমর (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
ফাহাদ (রাহঃ) যুবায়দ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, পরে তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তিনি الثِّقَةِ উল্লেখ করেননি।
2452 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ، وَرَوْحٌ، قَالَا: ثنا الثَّوْرِيُّ، عَنْ زُبَيْدِ الْيَامِيِّ ح
2453 - وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ أَبُو الْمُطَرِّفِ بْنُ أَبِي الْوَزِيرِ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ بْنُ مُصَرِّفٍ، عَنْ زُبَيْدٍ الْيَامِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «صَلَاةُ الْأَضْحَى رَكْعَتَانِ , وَالْفِطْرُ رَكْعَتَانِ , وَالْجُمُعَةُ رَكْعَتَانِ وَصَلَاةُ السَّفَرِ رَكْعَتَانِ , تَمَامٌ لَيْسَ بِقَصْرٍ , عَلَى لِسَانِ نَبِيِّكُمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
2454 - وَحَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ , وَمُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ , عَنْ زُبَيْدٍ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى , قَالَ: خَطَبَنَا عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فَذَكَرَ مِثْلَهُ
2455 - وَحَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَا: ثنا أَبُو عَامِرٍ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ زُبَيْدٍ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى , قَالَ: قَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. فَذَكَرَ مِثْلَهُ
2456 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو إِسْحَاقَ الضَّرِيرُ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ , عَنْ زُبَيْدٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
2457 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا الْقَوَارِيرِيُّ , قَالَ: ثنا يَحْيَى , عَنْ سُفْيَانَ , قَالَ: ثنا زُبَيْدٌ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى , عَنِ الثِّقَةِ , عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِثْلَهُ
2458 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ، قَالَ: ثنا شَرِيكٌ، عَنْ زُبَيْدٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ عَنِ الثِّقَةِ
2453 - وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ أَبُو الْمُطَرِّفِ بْنُ أَبِي الْوَزِيرِ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ بْنُ مُصَرِّفٍ، عَنْ زُبَيْدٍ الْيَامِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «صَلَاةُ الْأَضْحَى رَكْعَتَانِ , وَالْفِطْرُ رَكْعَتَانِ , وَالْجُمُعَةُ رَكْعَتَانِ وَصَلَاةُ السَّفَرِ رَكْعَتَانِ , تَمَامٌ لَيْسَ بِقَصْرٍ , عَلَى لِسَانِ نَبِيِّكُمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
2454 - وَحَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ , وَمُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ , عَنْ زُبَيْدٍ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى , قَالَ: خَطَبَنَا عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فَذَكَرَ مِثْلَهُ
2455 - وَحَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَا: ثنا أَبُو عَامِرٍ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ زُبَيْدٍ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى , قَالَ: قَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. فَذَكَرَ مِثْلَهُ
2456 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو إِسْحَاقَ الضَّرِيرُ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ , عَنْ زُبَيْدٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
2457 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا الْقَوَارِيرِيُّ , قَالَ: ثنا يَحْيَى , عَنْ سُفْيَانَ , قَالَ: ثنا زُبَيْدٌ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى , عَنِ الثِّقَةِ , عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِثْلَهُ
2458 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ، قَالَ: ثنا شَرِيكٌ، عَنْ زُبَيْدٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ عَنِ الثِّقَةِ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হযরত উমার রা. থেকে বর্ণিত রসূলুল্লাহ স.-এর বাণী থেকে প্রমাণিত হয় যে, মুসাফিরের নামায দু’রাকাত। তিনি এ বর্ণনায় চার রাকাত পড়ার কোন সুযোগের কথা বর্ণনা না করে সরাসরি বলেছেন যে, মুসাফিরের নামায দু’রাকাত। এটা রসূলুল্লাহ স.-এর স্থিরকৃত সিদ্ধানত্ম। সফরে কসরই মূল বিধান মর্মে হযরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে সহীহ সনদে আরো বর্ণিত আছে যে, আল্লাহ তাআলা তোমাদের নবীর যবানে ফরয করেছেন নিজ অঞ্চলে চার রাকাত, সফরে দু’রাকাত। (মুসলিম: ১৪৪৮) এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ২/১২৩)
কোন কোন ইমাম এটাকে ‘ছাড়’ বলে মনত্মব্য করতঃ পূর্ণ চার রাকাত পড়া উত্তম বলেছেন। দলীল হিসেবে সে সকল বর্ণনা পেশ করেছেন যে সকল বর্ণনায় সফরে কসর করাকে صَدَقَةٌ (ছদকা) বা رُخْصَة (ছাড়) শব্দ দ্বারা ব্যক্ত করা হয়েছে। যেমন বর্ণিত হয়েছে মুসলিম শরীফ: ১৪৪৬ নাম্বার হাদীসে। এ সকল হাদীসের জবাবে আমরা বলি যে, আল্লাহ তাআলার ‘ছদকা’ বা ‘ছাড়’ বান্দার জন্য বড় ধরণের নিআমত যা প্রত্যাখ্যানের কোন সুযোগ নেই। উপরন্তু রসূলুল্লাহ স.কে কোন ব্যাপারে সুযোগ দেয়া হলে তিনি সর্বদা সহজটা গ্রহণ করতেন। (বুখারী-৩৩০৮)
কোন কোন ইমাম এটাকে ‘ছাড়’ বলে মনত্মব্য করতঃ পূর্ণ চার রাকাত পড়া উত্তম বলেছেন। দলীল হিসেবে সে সকল বর্ণনা পেশ করেছেন যে সকল বর্ণনায় সফরে কসর করাকে صَدَقَةٌ (ছদকা) বা رُخْصَة (ছাড়) শব্দ দ্বারা ব্যক্ত করা হয়েছে। যেমন বর্ণিত হয়েছে মুসলিম শরীফ: ১৪৪৬ নাম্বার হাদীসে। এ সকল হাদীসের জবাবে আমরা বলি যে, আল্লাহ তাআলার ‘ছদকা’ বা ‘ছাড়’ বান্দার জন্য বড় ধরণের নিআমত যা প্রত্যাখ্যানের কোন সুযোগ নেই। উপরন্তু রসূলুল্লাহ স.কে কোন ব্যাপারে সুযোগ দেয়া হলে তিনি সর্বদা সহজটা গ্রহণ করতেন। (বুখারী-৩৩০৮)
