শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ২৩৬৬
নফল আদায়কারীর পিছনে ফরজ আদায় করা
২৩৬৬। বকর ইব্‌ন ইদ্‌রিস (রাহঃ)..... মুহাম্মাদ ইব্‌ন ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, জনৈক ব্যক্তি উমর (রাযিঃ)-কে বল্‌ল, আমি সালাত পড়েছি কিন্তু এতে কোন কিরা’আত করিনি। উমর (রাযিঃ) তাকে বললেন, তুমি কি রুক্ এবং সিজ্‌দা পরিপূর্ণ করনি ? সে বলল, হ্যাঁ তা পূর্ণ করেছি। তিনি বললেন, তোমার সালাত পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। শু’বা (রাহঃ) বলেন, আমার নিকট আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন উমর আল-উমরী (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন, আমি মুহাম্মাদ ইব্‌ন ইবরাহীম (রাহঃ)-কে বললাম, আপনি কার নিকট থেকে এ হাদীসটি শুনেছেন? তিনি বললেন, উমর (রাযিঃ)-এর বরাতে আবু সালামা (রাহঃ) থেকে।
উত্তরে তাকে বলা হবে যে, এটি অবশ্যই উমর (রাযিঃ) থেকে তোমরা যেরূপ উল্লেখ করেছ সেরূপই বর্ণিত আছে। কিন্তু শুরুতে তাঁর থেকে আমরা যে রিওয়ায়াত উল্লেখ করেছি সেটি সনদের দিক দিয়ে উমর (রাযিঃ) থেকে মুত্তাসিল (অবিচ্ছিন্ন)। আর হাম্মাম (রাহঃ) সে সময় তাঁর নিকট উপস্থিত ছিলেন। অতএব তাঁর থেকে যে সনদটি মুত্তাসিল এটিই গ্রহণ করা উত্তম বিবেচিত হবে এর পরিপন্থী সেই রিওয়ায়াত থেকে।
আর এটি যুক্তিরও দাবি । তা এভাবে, যেহেতু আলিমদের এ বিষয়ে ঐকমত্য রয়েছে যে, কেউ যদি (অপবিত্র) ব্যক্তির পিছনে জানা সত্ত্বেও সালাত পড়ে তাহলে তার সালাত বাতিল হিসাবে গণ্য হবে এবং তাঁরা তার সালাতকে ইমামের সালাতের অধীন সাব্যস্ত করেছেন। মুকতাদী নিজ ইমামের সালাত বিনষ্ট হওয়া সম্পর্কে অবিহত হলে যখন তার নিজের সালাতও নষ্ট হওয়ার বিধান রয়েছে তাহলে যুক্তির চাহিদা মুতাবিক অবহিত না হলেও অনুরূপ বিধান প্রযোজ্য হবে।
তুমি কি দেখতে পাচ্ছ না, যদি কোন মুকতাদী অপবিত্র অবস্থায় সালাত পড়ে এ সম্পর্কে সে অবহিত হউক অথবা না হউক তার সালাত বাতিলরূপে গণ্য হবে ? সুতরাং অবহিত হওয়া অবস্থায় যে বস্তু তার সালাতকে বিনষ্ট করে দেয়, অনবহিত অবস্থায়ও সে বস্তু তার সালাতকে বিনষ্ট করে দিবে। আর নিজের ইমামের সালাত বিনষ্ট হয়েছে বলে জানা থাকলে তার নিজের সালাত বিনষ্ট হয়ে যায়। অনুরূপভাবে এর ভিত্তিতে যুক্তির চাহিদা হলো নিজ ইমামের সালাতের বিনষ্ট হওয়া সম্পর্কে অনবহিত থাকা অবস্থায়ও তার সালাত বিনষ্ট হবে! এটি-ই হচ্ছে যুক্তি এবং এটি হচ্ছে, আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ ইব্‌নুল হাসান (রাহঃ)-এর উক্তি ।
বস্তুত অবশ্যই তাউস (রাহঃ) এবং মুজাহিদ (রাহঃ) ও অনুরূপ মত ব্যক্ত করেছেন।
2366 - فَذَكَرَ مَا حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ إِدْرِيسَ , قَالَ: ثنا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ لَهُ رَجُلٌ: إِنِّي صَلَّيْتُ صَلَاةً لَمْ أَقْرَأْ فِيهَا شَيْئًا. فَقَالَ لَهُ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: «أَلَيْسَ قَدْ أَتْمَمْتُ الرُّكُوعَ وَالسُّجُودَ؟» قَالَ: بَلَى , قَالَ: «تَمَّتْ صَلَاتُكَ» قَالَ شُعْبَةُ فَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللهِ بْنِ عُمَرَ الْغَمْرِيُّ , قَالَ: قُلْتُ لِمُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ: مِمَّنْ سَمِعْتُ هَذَا الْحَدِيثَ؟ فَقَالَ: مِنْ أَبِي سَلَمَةَ , عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. قِيلَ لَهُ: قَدْ رُوِيَ هَذَا عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِنْ حَيْثُ ذَكَرْتُمْ , وَلَكِنَّ الَّذِي رَوَيْنَا عَنْهُ فِيمَا بَدَأْنَا بِذِكْرِهِ , مُتَّصِلُ الْإِسْنَادِ عَنْ عُمَرَ , وَهَمَّامٌ حَاضِرٌ ذَلِكَ مِنْهُ , فَمَا اتَّصَلَ إِسْنَادُهُ عَنْهُ , فَهُوَ أَوْلَى أَنْ يُقْبَلَ عَنْهُ , مِمَّا خَالَفَهُ. وَهَذَا أَيْضًا مِمَّا يَدُلُّ عَلَيْهِ النَّظَرُ , وَذَلِكَ لِأَنَّهُمْ أَجْمَعُوا أَنَّ رَجُلًا لَوْ صَلَّى خَلْفَ جُنُبٍ وَهُوَ يَعْلَمُ بِذَلِكَ , أَنَّ صَلَاتَهُ بَاطِلَةٌ وَجَعَلُوا صَلَاتَهُ مُضَمَّنَةً بِصَلَاةِ الْإِمَامِ. فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ إِذَا كَانَ يَعْلَمُ بِفَسَادِ صَلَاةِ إِمَامِهِ , كَانَ كَذَلِكَ فِي النَّظَرِ , إِذَا كَانَ لَا يَعْلَمُ بِهَا. أَلَا تَرَى أَنَّ الْمَأْمُومَ لَوْ صَلَّى وَهُوَ جُنُبٌ , وَهُوَ يَعْلَمُ , أَوْ لَا يَعْلَمُ , كَانَتْ صَلَاتُهُ بَاطِلَةً. فَكَانَ مَا يُفْسِدُ صَلَاتَهُ فِي حَالِ عِلْمِهِ بِهِ , هُوَ الَّذِي يُفْسِدُ صَلَاتَهُ فِي حَالِ جَهْلِهِ بِهِ وَكَانَ عِلْمُهُ بِفَسَادِ صَلَاةِ إِمَامِهِ تَفْسُدُ بِهِ صَلَاتُهُ. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ جَهْلُهُ بِفَسَادِ صَلَاةِ إِمَامِهِ , فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَقَدْ قَالَ بِذَلِكَ طَاوُسٌ وَمُجَاهِدٌ
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ২৩৬৬ | মুসলিম বাংলা