শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ২৩০৮
কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়া প্রসঙ্গে।
২৩০৮। ফাহাদ (রাহঃ) হাসান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আবু বাকরা (রাযিঃ) কাতারের পিছনে সালাতের নিয়্যত বেঁধেছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে দু'আ দিয়ে বললেনঃ আল্লাহ তা'আলা তােমার আগ্রহ বৃদ্ধি করে
দিন, তবে তুমি আর এরূপ করবে না।
আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এ হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, আবু বাকরা (রাযিঃ) কাতারের পিছনে সালাতের নিয়্যত বেঁধে সালাতে শরীক হয়েছেন, এতে রাসুলুল্লাহ তাঁকে পুনঃ সালাত আদায়ের নির্দেশ দেননি। যদি কাতারের পিছনে সালাত আদায় কারীর সালাত না হবে তাহলে যে ব্যক্তি কাতারের পিছনে সালাতে প্রবেশ করে সে সালাতে প্রবেশকারী হিসাবে গণ্য হবে না।
তুমি কি দেখতে পাচ্ছ না? যে ব্যক্তি অপবিত্র স্থানে সালাত পড়ে তার সালাত হয় না। অনুরূপভাবে সেই
যদি অপবিত্র স্থানে সালাতের সূচনা করে পরে পবিত্র স্থানে স্থানান্তরিত হয় তার সালাত হয় না। অতএব যে
ব্যক্তি এরূপ স্থানে সালাত শুরু করে যে স্থানে তার জন্য সালাত জায়িয নেই, পরে সালাতকে এগন জায়গায় পূর্ণ করে, যে জায়গায় সালাত পড়া জায়িয আছে, তাহলে সালাতে প্রবেশকারী হিসাবে গণ্য হবে না।
বস্তুত যখন আবু বাকরা (রাযিঃ)-এর কাতারের পিছনে সালাতের নিয়্যত বেঁধে সালাতে প্রবেশ ও শ্রদ্ধা
হয়েছে, তখন সালাত আদায়কারীর সমস্ত সালাত কাতারের পিছনে শুদ্ধ হিসাবে গণ্য হবে।
কোন প্রশ্নকারী যদি প্রশ্ন করে যে, তাহলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উক্তি “তুমি এরূপ সাত পুনঃ পড়বে না” এর
অর্থ কি ?
উত্তরে তাকে বলা হবে যে, এটি আমাদের নিকট দু'টি অর্থের সম্ভাবনা রাখেঃ (ক) আগামীতে কখনো
কাতারের পিছনে সালাত শুরু করবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত কাতারের মধ্যে প্রবেশ না করবে। যেমন আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর হাদীসে ব্যক্ত হয়েছেঃ
2308 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا الْحِمَّانِيُّ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ زِيَادٍ الْأَعْلَمِ، قَالَ: ثنا الْحَسَنُ: أَنَّ أَبَا بَكْرَةَ، رَكَعَ دُونَ الصَّفِّ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «زَادَكَ اللهُ حِرْصًا وَلَا تَعُدْ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُ رَكَعَ دُونَ الصَّفِّ , فَلَمْ يَأْمُرْهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِإِعَادَةِ الصَّلَاةِ. فَلَوْ كَانَ مَنْ صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ لَا تُجْزِيهِ صَلَاتُهُ , لَكَانَ مَنْ دَخَلَ فِي الصَّلَاةِ خَلْفَ الصَّفِّ , لَا يَكُونُ دَاخِلًا فِيهَا. أَلَا تَرَى أَنَّ مَنْ صَلَّى عَلَى مَكَانٍ قَذِرٍ , أَنَّ صَلَاتَهُ فَاسِدَةٌ؟ وَمَنِ افْتَتَحَ الصَّلَاةَ عَلَى مَكَانٍ قَذِرٍ , ثُمَّ صَارَ إِلَى مَكَانٍ نَظِيفٍ أَنَّ صَلَاتَهُ فَاسِدَةٌ. فَكَانَ كُلُّ مَنِ افْتَتَحَ الصَّلَاةَ فِي مَوْطِنٍ لَا يَجُوزُ لَهُ فِيهِ أَنْ يَأْتِيَ بِالصَّلَاةِ فِيهِ بِكَمَالِهَا , لَمْ يَكُنْ دَاخِلًا فِي الصَّلَاةِ. فَلَمَّا كَانَ دُخُولُ أَبِي بَكْرَةَ فِي الصَّلَاةِ دُونَ الصَّفِّ دُخُولًا صَحِيحًا , كَانَتْ صَلَاةُ الْمُصَلِّي كُلَّهَا دُونَ الصَّفِّ , صَلَاةً صَحِيحَةً. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَمَا مَعْنَى قَوْلِهِ «وَلَا تَعُدْ» قِيلَ لَهُ: ذَلِكَ عِنْدَنَا يَحْتَمِلُ مَعْنَيَيْنِ: يَحْتَمِلُ: وَلَا تَعُدْ أَنْ تَرْكَعَ دُونَ الصَّفِّ حَتَّى تَقُومَ فِي الصَّفِّ , كَمَا قَدْ رَوَى عَنْهُ أَبُو هُرَيْرَةَ
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ২৩০৮ | মুসলিম বাংলা