শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৩০০
কা‘বার অভ্যন্তরে সালাত আদায় করা।
২৩০০। রাসূলুল্লাহ থেকে এ বিষয়ে আরাে বর্ণিত আছে । ইবনে আবু দাউদ (রাহঃ)... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি বায়তুল্লায় প্রবেশ করে তাতে সালাত পড়ার ইচ্ছা পােষণ করি। এতে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) আমার হাত ধরে হাতীমে প্রবেশ করালেন এবং তিনি বললেনঃ তারা (কুরাইশরা) যখন কাবা ঘর নির্মাণ করলেন তখন তারা এর নির্মাণ সঙ্কুচিত করে বায়তুল্লা থেকে হাতীমকে বের করে ফেলে। তুমি বায়তুল্লায় সালাত পড়ার ইচ্ছা করলে হাতীমে পড়ে নিবে, যেহেতু এটি তার (কা'বার) অংশ।
সুতরাং রাসূলুল্লাহ হাতীমে সালাত পড়ার অনুমতি দিয়েছেন, যা কা’বার অন্তর্ভুক্ত।
বস্তুত আমাদের উল্লিখিত বর্ণনা দ্বারা অবশ্যই তাদের উক্তির বিশুদ্ধতা প্রমাণিত হয়েছে, যারা বায়তুল্লায়
সালাত আদায়ের অনুমতি প্রদান করেন। এটি-ই হচ্ছে এ অধ্যায়ে হাদীসগুলাের সঠিক মর্ম নির্ধারণের পন্থা। বস্তুত যুক্তির নিরিখে এর বিধান হচ্ছে নিম্নরূপঃ যারা কাবা ঘরের ভিতরে সালাত আদায়কে নিষেধ করেন তারা এজন্য নিযেধ করেন যে, যেহেতু তাদের নিকট কা'বা ঘর পুরােটাই কিবলা। তারা বলেনঃ যে ব্যক্তি এর ভিতরে সালাত আদায় করবে অবশ্যই সে এর কিছু অংশকে পিছনে রাখবে। অতএব সে কিবলাকে পিছনে রাখা ব্যক্তির ন্যায় হয়ে যায়। সুতরাং তার সালাত জায়িয হবে না ।
বস্তুত এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে দলীল হচ্ছে যে, আমরা লক্ষ্য করেছি, যে ব্যক্তি কিবলা-কে পিছনে করে অথবা কিবলা তার ডানে কিংবা বামে করে, এসবই সমান এবং তার সালাত জায়িয হবে না। পক্ষান্তরে (কা'বার বাইরে) কেউ যদি বায়তুল্লাহর দিকে হয়ে সালাত আদায় করে তাহলে ঐকমত্যঙ্গবে তার সালাত জায়েয হয়ে যাবে। অথচ এরূপভাবে করলে সে পুরাে বায়তুল্লাহর দিকে মুখকারী সালাত আদায়কারী হয় না। যেহেতু তার ডানে-বামে কিবলা থেকে যায়। অনুরূপভাবে সালাতে বায়তুল্লাহর পুরাে দিককে সম্মুখে করার দায়িত্ব তার নয়; বরং কিবলার কোন এক দিককে সমুখে করা তার দায়িত্ব। অতএব বায়তুল্লাহর দিককে সম্মুখে করার পর অপরাপর দিককে সম্মুখে না করলে তার ক্ষতি হবে না।
এ বিষয়ে যুক্তির দাবি হচ্ছে- যে ব্যক্তি কা'বার ভিতরে সলাত আদায় করবে (সে অবশই) এর এক দিককে সম্মুখে নিয়েছে এবং অপর দিককে পিছনে নিয়েছে। যে দিককে পিছনে নিয়েছে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায়, যে কা’বার বাইরে সালাত আদায়ের সময় ডানে-বামে কাবার কিছু অংশের অভিমুখী থাকে না যদিও কাবার কোন দিক তার সম্মুখে থাকে। এতে তাদের উক্তি প্রমাণিত হলাে, যারা কা'বা ঘরের ভিতরে সালাত আদায় করাকে জায়েয বলেন। আর এটিই হচ্ছে আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর উক্তি ও মাযহাব। আর এটি আব্দুল্লাহ্ ইবন যুবায়র (রাযিঃ) থেকেও রিওয়ায়াত করা হয়েছে।
সুতরাং রাসূলুল্লাহ হাতীমে সালাত পড়ার অনুমতি দিয়েছেন, যা কা’বার অন্তর্ভুক্ত।
বস্তুত আমাদের উল্লিখিত বর্ণনা দ্বারা অবশ্যই তাদের উক্তির বিশুদ্ধতা প্রমাণিত হয়েছে, যারা বায়তুল্লায়
সালাত আদায়ের অনুমতি প্রদান করেন। এটি-ই হচ্ছে এ অধ্যায়ে হাদীসগুলাের সঠিক মর্ম নির্ধারণের পন্থা। বস্তুত যুক্তির নিরিখে এর বিধান হচ্ছে নিম্নরূপঃ যারা কাবা ঘরের ভিতরে সালাত আদায়কে নিষেধ করেন তারা এজন্য নিযেধ করেন যে, যেহেতু তাদের নিকট কা'বা ঘর পুরােটাই কিবলা। তারা বলেনঃ যে ব্যক্তি এর ভিতরে সালাত আদায় করবে অবশ্যই সে এর কিছু অংশকে পিছনে রাখবে। অতএব সে কিবলাকে পিছনে রাখা ব্যক্তির ন্যায় হয়ে যায়। সুতরাং তার সালাত জায়িয হবে না ।
বস্তুত এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে দলীল হচ্ছে যে, আমরা লক্ষ্য করেছি, যে ব্যক্তি কিবলা-কে পিছনে করে অথবা কিবলা তার ডানে কিংবা বামে করে, এসবই সমান এবং তার সালাত জায়িয হবে না। পক্ষান্তরে (কা'বার বাইরে) কেউ যদি বায়তুল্লাহর দিকে হয়ে সালাত আদায় করে তাহলে ঐকমত্যঙ্গবে তার সালাত জায়েয হয়ে যাবে। অথচ এরূপভাবে করলে সে পুরাে বায়তুল্লাহর দিকে মুখকারী সালাত আদায়কারী হয় না। যেহেতু তার ডানে-বামে কিবলা থেকে যায়। অনুরূপভাবে সালাতে বায়তুল্লাহর পুরাে দিককে সম্মুখে করার দায়িত্ব তার নয়; বরং কিবলার কোন এক দিককে সমুখে করা তার দায়িত্ব। অতএব বায়তুল্লাহর দিককে সম্মুখে করার পর অপরাপর দিককে সম্মুখে না করলে তার ক্ষতি হবে না।
এ বিষয়ে যুক্তির দাবি হচ্ছে- যে ব্যক্তি কা'বার ভিতরে সলাত আদায় করবে (সে অবশই) এর এক দিককে সম্মুখে নিয়েছে এবং অপর দিককে পিছনে নিয়েছে। যে দিককে পিছনে নিয়েছে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায়, যে কা’বার বাইরে সালাত আদায়ের সময় ডানে-বামে কাবার কিছু অংশের অভিমুখী থাকে না যদিও কাবার কোন দিক তার সম্মুখে থাকে। এতে তাদের উক্তি প্রমাণিত হলাে, যারা কা'বা ঘরের ভিতরে সালাত আদায় করাকে জায়েয বলেন। আর এটিই হচ্ছে আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর উক্তি ও মাযহাব। আর এটি আব্দুল্লাহ্ ইবন যুবায়র (রাযিঃ) থেকেও রিওয়ায়াত করা হয়েছে।
2300 - وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ أَيْضًا فِي ذَلِكَ مَا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ , قَالَ: أنا ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ , قَالَ: ثنا عَلْقَمَةُ بْنُ أَبِي عَلْقَمَةَ عَنْ أُمِّهِ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: كُنْتُ أُحِبُّ أَنْ أَدْخُلَ الْبَيْتَ , فَأُصَلِّيَ فِيهِ , فَأَخَذَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِي فَأَدْخَلَنِي الْحِجْرَ وَقَالَ: «إِنَّ قَوْمَكَ لَمَا بَنَوْا الْكَعْبَةَ , اقْتَصَرُوا فِي بِنَائِهَا فَأَخْرَجُوا الْحِجْرَ مِنَ الْبَيْتِ , فَإِذَا أَرَدْتَ أَنْ تُصَلِّيَ فِي الْبَيْتِ , فَصَلِّ فِي الْحِجْرِ , فَإِنَّمَا هُوَ قِطْعَةٌ مِنْهُ»
فَهَذَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَجَازَ الصَّلَاةَ فِي الْحِجْرِ الَّذِي هُوَ مِنَ الْبَيْتِ. فَقَدْ ثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا , تَصْحِيحُ قَوْلِ مَنْ ذَهَبَ إِلَى إِجَازَةِ الصَّلَاةِ فِي الْبَيْتِ. فَهَذَا حُكْمُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ تَصْحِيحِ مَعَانِي الْآثَارِ. وَأَمَّا حُكْمُهُ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ فَإِنَّ الَّذِينَ يَنْهَوْنَ عَنِ الصَّلَاةِ فِيهِ إِنَّمَا نَهَوْا عَنْ ذَلِكَ لِأَنَّ الْبَيْتَ كُلَّهُ عِنْدَهُمْ قِبْلَةٌ , قَالُوا: فَمَنْ صَلَّى فِيهِ فَقَدِ اسْتَدْبَرَ بَعْضَهُ , فَهُوَ كَمُسْتَدْبِرٍ بَعْضَ الْقِبْلَةِ , فَلَا تُجْزِيهِ صَلَاتُهُ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ , أَنَّا رَأَيْنَا مَنِ اسْتَدْبَرَ الْقِبْلَةَ , وَوَلَّاهَا يَمِينَهُ أَوْ شِمَالَهُ أَنَّ ذَلِكَ كُلَّهُ سَوَاءٌ , وَأَنَّ صَلَاتَهُ لَا تُجْزِيهِ. وَكَانَ مَنْ صَلَّى مُسْتَقْبِلَ جِهَةٍ مِنْ جِهَاتِ الْبَيْتِ أَجْزَأَتْهُ الصَّلَاةُ بِاتِّفَاقِهِمْ , وَلَيْسَ هُوَ فِي ذَلِكَ مُسْتَقْبِلَ جِهَاتِ الْبَيْتِ كُلِّهَا , لِأَنَّ مَا عَنْ يَمِينِ مَا اسْتَقْبَلَ مِنَ الْبَيْتِ , وَمَا عَنْ يَسَارِهِ , لَيْسَ هُوَ مُسْتَقْبِلَهُ وَكَمَا كَانَ لَمْ يَتَعَبَّدْ بِاسْتِقْبَالِ كُلِّ جِهَاتِ الْبَيْتِ فِي صَلَاتِهِ , وَإِنَّمَا تَعَبَّدَ بِاسْتِقْبَالِ جِهَةٍ مِنْ جِهَاتِهِ , فَلَا يَضُرُّهُ تَرْكُ اسْتِقْبَالِ مَا بَقِيَ مِنْ جِهَاتِهِ بَعْدَهَا. كَانَ النَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنَّ مَنْ صَلَّى فِيهِ , فَقَدِ اسْتَقْبَلَ إِحْدَى جِهَاتِهِ , وَاسْتَدْبَرَ غَيْرَهَا. فَمَا اسْتَدْبَرَ مِنْ ذَلِكَ فَهُوَ فِي حُكْمِ مَا كَانَ عَنْ يَمِينِ مَا اسْتَقْبَلَ مِنْ جِهَاتِ الْبَيْتِ وَعَنْ يَسَارِهِ , إِذَا كَانَ خَارِجًا مِنْهُ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَيْضًا قَوْلُ الَّذِينَ أَجَازُوا الصَّلَاةَ فِي الْبَيْتِ وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ أَيْضًا عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ
فَهَذَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَجَازَ الصَّلَاةَ فِي الْحِجْرِ الَّذِي هُوَ مِنَ الْبَيْتِ. فَقَدْ ثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا , تَصْحِيحُ قَوْلِ مَنْ ذَهَبَ إِلَى إِجَازَةِ الصَّلَاةِ فِي الْبَيْتِ. فَهَذَا حُكْمُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ تَصْحِيحِ مَعَانِي الْآثَارِ. وَأَمَّا حُكْمُهُ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ فَإِنَّ الَّذِينَ يَنْهَوْنَ عَنِ الصَّلَاةِ فِيهِ إِنَّمَا نَهَوْا عَنْ ذَلِكَ لِأَنَّ الْبَيْتَ كُلَّهُ عِنْدَهُمْ قِبْلَةٌ , قَالُوا: فَمَنْ صَلَّى فِيهِ فَقَدِ اسْتَدْبَرَ بَعْضَهُ , فَهُوَ كَمُسْتَدْبِرٍ بَعْضَ الْقِبْلَةِ , فَلَا تُجْزِيهِ صَلَاتُهُ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ , أَنَّا رَأَيْنَا مَنِ اسْتَدْبَرَ الْقِبْلَةَ , وَوَلَّاهَا يَمِينَهُ أَوْ شِمَالَهُ أَنَّ ذَلِكَ كُلَّهُ سَوَاءٌ , وَأَنَّ صَلَاتَهُ لَا تُجْزِيهِ. وَكَانَ مَنْ صَلَّى مُسْتَقْبِلَ جِهَةٍ مِنْ جِهَاتِ الْبَيْتِ أَجْزَأَتْهُ الصَّلَاةُ بِاتِّفَاقِهِمْ , وَلَيْسَ هُوَ فِي ذَلِكَ مُسْتَقْبِلَ جِهَاتِ الْبَيْتِ كُلِّهَا , لِأَنَّ مَا عَنْ يَمِينِ مَا اسْتَقْبَلَ مِنَ الْبَيْتِ , وَمَا عَنْ يَسَارِهِ , لَيْسَ هُوَ مُسْتَقْبِلَهُ وَكَمَا كَانَ لَمْ يَتَعَبَّدْ بِاسْتِقْبَالِ كُلِّ جِهَاتِ الْبَيْتِ فِي صَلَاتِهِ , وَإِنَّمَا تَعَبَّدَ بِاسْتِقْبَالِ جِهَةٍ مِنْ جِهَاتِهِ , فَلَا يَضُرُّهُ تَرْكُ اسْتِقْبَالِ مَا بَقِيَ مِنْ جِهَاتِهِ بَعْدَهَا. كَانَ النَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنَّ مَنْ صَلَّى فِيهِ , فَقَدِ اسْتَقْبَلَ إِحْدَى جِهَاتِهِ , وَاسْتَدْبَرَ غَيْرَهَا. فَمَا اسْتَدْبَرَ مِنْ ذَلِكَ فَهُوَ فِي حُكْمِ مَا كَانَ عَنْ يَمِينِ مَا اسْتَقْبَلَ مِنْ جِهَاتِ الْبَيْتِ وَعَنْ يَسَارِهِ , إِذَا كَانَ خَارِجًا مِنْهُ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَيْضًا قَوْلُ الَّذِينَ أَجَازُوا الصَّلَاةَ فِي الْبَيْتِ وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ أَيْضًا عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ
