শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ২২৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ২২৬৮
উট রাখার স্থানে সালাত আদায় করা।
২২৬৭-২২৬৮। ইবনে মারজুক (রাহঃ)... আব্দুল্লাহ ইবনে মুগাফ্ফাল থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ছাগল রাখার ঘরে সালাত আদায় করতে পার; তবে উট রাখার স্থানে সালাত আদায় করবে না।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম বলেছেন যে, উট রাখার স্থানে সালাত আদায় করা মাকরুহ। তারা এই সমস্ত হাদীস দ্বারা দলিল পেশ করেন। এমনকি তাদের কেউ কেউ এর বিধান সম্পর্কে কঠোরতা অবলম্বন করে এতে সালাত বিনষ্ট হওয়ার অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরোধিতা করেছেন এবং তারা উট রাখার স্থানে সালাত আদায়ের অনুমতি দিয়েছেন। তাদের দলিল হচ্ছে, এসব হাদীস, যাতে উট রাখার স্থানে সালাত আদায়ের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এগুলোর অর্থ সম্পর্কে এবং নিষেধাজ্ঞার কারণ সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। একদল বলেছেন যে, উট মালিকদের অভ্যাস ছিল, তাদের উটের নিকটে তারা পেশাব-পায়খানা করত, এতে তারা রাখার স্থানকে অপবিত্র করে ফেলত, এজন্যই উট রাখার স্থানে সালাত আদায় থেকে নিষেধ করা হয়েছে, উটের কারণে নিষেধ করা হয়নি। বরং অপবিত্রতার কারণে নিষেধ করা হয়েছে। আর অপবিত্রতার কারণে যে কোনো স্থানে সালাত পড়া নিষেধ।
আর ছাগল মালিকদের অভ্যাস ছিল, নিজ নিজ ছাগল রাখার স্থানকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং এতে মলমূত্র পরিহার করে চলা। এজন্য ছাগল রাখার স্থানে সালাত আদায় করা বৈধ করা হয়েছে।
সুরাইক ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ), থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। তিনি এ অর্থে হাদীস ব্যাখ্যা করতেন।
ইয়াহইয়া আদম (রাহঃ) বলেছেনঃ আমার মতে উক্ত কারণে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়নি এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছে উটের আক্রমণ আশঙ্কায়, যে এর কাছে যাবে এটি তাকে আক্রমণ করে বসবে। দেখতে পাচ্ছ না যে, তিনি বলেছেন, উট হচ্ছে- জিন, এটি জিন থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণিত রাফি' ইবনে খাদিজ (রাযিঃ)-এর হাদীসে বলা হয়েছে তিনি বলেছেনঃ নিশ্চয়ই বন্য জন্তুর হিংস্রতা ন্যায় এই উটের হিংস্রতা রয়েছে। ছাগল থেকে কিন্তু এরূপ আশঙ্কা করা হয় না। এজন্য উট রাখার স্থানে সালাত আদায় থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, এর আচরণ থেকে এটিকে আশঙ্কাজনক মনে করা হয়েছে। এর অপবিত্রতা এর কারণে নয়, কেননা ছাগলের মধ্যেও এ কারণ বিদ্যমান পক্ষান্তরে ছাগল রাখার স্থান এর সালাত আদায় করা হয়েছে যেহেতু এর থেকে সেই আক্রমণের আশঙ্কা করা হয়না যা উট থেকে আশঙ্কা করা হয়।
খাল্লাদ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ)... ইবনে সুজা সালাযী (রাহঃ)-এর সূত্রে ইয়াহইয়া ইবনে আদম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি (অপবিত্রতা এবং আক্রমণের আশঙ্কায়) উভয় ব্যাখ্যাই বর্ণনা করেছেন।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম বলেছেন যে, উট রাখার স্থানে সালাত আদায় করা মাকরুহ। তারা এই সমস্ত হাদীস দ্বারা দলিল পেশ করেন। এমনকি তাদের কেউ কেউ এর বিধান সম্পর্কে কঠোরতা অবলম্বন করে এতে সালাত বিনষ্ট হওয়ার অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরোধিতা করেছেন এবং তারা উট রাখার স্থানে সালাত আদায়ের অনুমতি দিয়েছেন। তাদের দলিল হচ্ছে, এসব হাদীস, যাতে উট রাখার স্থানে সালাত আদায়ের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এগুলোর অর্থ সম্পর্কে এবং নিষেধাজ্ঞার কারণ সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। একদল বলেছেন যে, উট মালিকদের অভ্যাস ছিল, তাদের উটের নিকটে তারা পেশাব-পায়খানা করত, এতে তারা রাখার স্থানকে অপবিত্র করে ফেলত, এজন্যই উট রাখার স্থানে সালাত আদায় থেকে নিষেধ করা হয়েছে, উটের কারণে নিষেধ করা হয়নি। বরং অপবিত্রতার কারণে নিষেধ করা হয়েছে। আর অপবিত্রতার কারণে যে কোনো স্থানে সালাত পড়া নিষেধ।
আর ছাগল মালিকদের অভ্যাস ছিল, নিজ নিজ ছাগল রাখার স্থানকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং এতে মলমূত্র পরিহার করে চলা। এজন্য ছাগল রাখার স্থানে সালাত আদায় করা বৈধ করা হয়েছে।
সুরাইক ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ), থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। তিনি এ অর্থে হাদীস ব্যাখ্যা করতেন।
ইয়াহইয়া আদম (রাহঃ) বলেছেনঃ আমার মতে উক্ত কারণে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়নি এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছে উটের আক্রমণ আশঙ্কায়, যে এর কাছে যাবে এটি তাকে আক্রমণ করে বসবে। দেখতে পাচ্ছ না যে, তিনি বলেছেন, উট হচ্ছে- জিন, এটি জিন থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণিত রাফি' ইবনে খাদিজ (রাযিঃ)-এর হাদীসে বলা হয়েছে তিনি বলেছেনঃ নিশ্চয়ই বন্য জন্তুর হিংস্রতা ন্যায় এই উটের হিংস্রতা রয়েছে। ছাগল থেকে কিন্তু এরূপ আশঙ্কা করা হয় না। এজন্য উট রাখার স্থানে সালাত আদায় থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, এর আচরণ থেকে এটিকে আশঙ্কাজনক মনে করা হয়েছে। এর অপবিত্রতা এর কারণে নয়, কেননা ছাগলের মধ্যেও এ কারণ বিদ্যমান পক্ষান্তরে ছাগল রাখার স্থান এর সালাত আদায় করা হয়েছে যেহেতু এর থেকে সেই আক্রমণের আশঙ্কা করা হয়না যা উট থেকে আশঙ্কা করা হয়।
খাল্লাদ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ)... ইবনে সুজা সালাযী (রাহঃ)-এর সূত্রে ইয়াহইয়া ইবনে আদম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি (অপবিত্রতা এবং আক্রমণের আশঙ্কায়) উভয় ব্যাখ্যাই বর্ণনা করেছেন।
2267 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ مُبَارَكٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صَلُّوا فِي مَرَابِضِ الْغَنَمِ , وَلَا تُصَلُّوا فِي أَعْطَانِ الْإِبِلِ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الصَّلَاةَ فِي أَعْطَانِ الْإِبِلِ مَكْرُوهَةٌ , وَاحْتَجُّوا بِهَذِهِ الْآثَارِ , حَتَّى غَلِطَ بَعْضُهُمْ فِي حُكْمِ ذَلِكَ , فَأَفْسَدَ الصَّلَاةَ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَأَجَازُوا الصَّلَاةَ فِي ذَلِكَ الْمَوْطِنِ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ أَنَّ هَذِهِ الْآثَارَ الَّتِي نَهَتْ عَنِ الصَّلَاةِ فِي أَعْطَانِ الْإِبِلِ , قَدْ تَكَلَّمَ النَّاسُ فِي مَعْنَاهَا , وَفِي السَّبَبِ الَّذِي كَانَ مِنْ أَجْلِهِ النَّهْيُ. فَقَالَ قَوْمٌ: أَصْحَابُ الْإِبِلِ مِنْ عَادَتِهِمُ التَّغَوُّطُ بِقُرْبِ إِبِلِهِمْ وَالْبَوْلُ , فَيُنَجِّسُونَ بِذَلِكَ أَعْطَانَ الْإِبِلِ , فَنُهِيَ عَنِ الصَّلَاةِ فِي أَعْطَانِ الْإِبِلِ لِذَلِكَ , لَا لِعِلَّةِ الْإِبِلِ , وَإِنَّمَا هُوَ لِعِلَّةِ النَّجَاسَةِ الَّتِي تَمْنَعُ مِنَ الصَّلَاةِ فِي أَيِّ مَوْضِعٍ مَا كَانَتْ , وَأَصْحَابُ الْغَنَمِ مِنْ عَادَتِهِمْ تَنْظِيفُ مَوَاضِعِ غَنَمِهِمْ , وَتَرْكُ الْبَوْلِ فِيهِ وَالتَّغَوُّطُ , فَأُبِيحَتِ الصَّلَاةُ فِي مَرَابِضِهَا لِذَلِكَ. هَكَذَا رُوِيَ عَنْ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّهُ كَانَ يُفَسِّرُ هَذَا الْحَدِيثَ عَلَى هَذَا الْمَعْنَى. وَقَالَ يَحْيَى بْنُ آدَمَ: لَيْسَ مِنْ قِبَلِ هَذِهِ الْعِلَّةِ عِنْدِي جَاءَ النَّهْيُ , وَلَكِنْ مِنْ قِبَلِ أَنَّ الْإِبِلَ يُخَافُ وُثُوبُهَا فَيَعْطَبُ مَنْ يُلَاقِيهَا حِينَئِذٍ , أَلَا تَرَاهُ قَالَ: فَإِنَّهَا جِنٌّ مِنْ جِنٍّ خُلِقَتْ. وَفِي حَدِيثِ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «إِنَّ لِهَذِهِ الْإِبِلِ أَوَابِدَ كَأَوَابِدِ الْوَحْشِ» وَهَذَا فَغَيْرُ مَخُوفٍ مِنَ الْغَنَمِ , فَأَمَرَ بِاجْتِنَابِ الصَّلَاةِ فِي مَعَاطِنِ الْإِبِلِ , خَوْفَ ذَلِكَ مِنْ فِعْلِهَا , لَا لِأَنَّ لَهَا نَجَاسَةً لَيْسَتْ لِلْغَنَمِ مِثْلُهَا , وَأُبِيحَتِ الصَّلَاةُ فِي مَرَابِضِ الْغَنَمِ , لِأَنَّهُ لَا يُخَافُ مِنْهَا مَا يُخَافُ مِنَ الْإِبِلِ.
2268 - حَدَّثَنِي خَلَّادُ بْنُ مُحَمَّدٍ , عَنِ ابْنِ شُجَاعٍ الثَّلْجِيِّ , عَنْ يَحْيَى بْنِ آدَمَ بِالتَّفْسِيرَيْنِ جَمِيعًا
2268 - حَدَّثَنِي خَلَّادُ بْنُ مُحَمَّدٍ , عَنِ ابْنِ شُجَاعٍ الثَّلْجِيِّ , عَنْ يَحْيَى بْنِ آدَمَ بِالتَّفْسِيرَيْنِ جَمِيعًا
