শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ২১৯৭
ফজরের জামাআত আরম্ভ হওয়ার পর মসজিদে প্রবেশকারী সুন্নত আদায় করতে পারবে কি না?
২১৯৭। ইবন মারযূক (রাহঃ) ..... শো'বা (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, ইবন আব্বাস (রাযিঃ) বলতেনঃ হে লোক সকল! তোমরা কি আল্লাহকে ভয় কর না? তাহলে তোমরা ফরয ও নফল সালাতের মাঝে ব্যবধান কর। ইবন আব্বাস (রাযিঃ) মাগরিবের পর দু'রাক'আত (সুন্নত) নিজ ঘরেই গড়তেন। অতএব ইবন আব্বাস (রাযিঃ) তাদেরকে বলার উদ্দেশ্য হলোঃ ফরয এবং নফলের মাঝে ব্যবধান করা। আর আবু হুরায়রা (রাযিঃ), ইবন বৃহায়না (রাযিঃ) ও ইবন সারজিস (রাযিঃ) এর হাদীসের উদ্দেশ্যও এটাই।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ আমরা ফরয ও নফলের মধ্যে ব্যবধানকে মুস্তাহাব মনে করি। যেমনিভাবে এ অনুচ্ছেদে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নির্দেশ দ্বারা প্রমাণিত হলো। কেউ যদি ফজরের সুন্নত না পড়ে মাসজিদে আসে এবং ইমাম তখন জামাআতে ফরয সালাত আরম্ভ করে থাকেন। এমতাবস্থায় সে যদি মসজিদের পিছনের দিকে ফজরের দু'রাক'আত (সুন্নত) আদায় করে তারপর পিছন থেকে হেটে এসে জামাআতে লোকদের সাথে শামিল হয় তাহলে তাতে কোন অসুবিধা আছে বলে আমরা মনে করি না।
লক্ষণীয় যে, যদি সে যুহর, আসর অথবা ইশার সালাতে অনুরূপ করে তাহলে তাতে কোন অসুবিধা নেই। এই ব্যক্তি ফরয নফল মিলিয়ে আদায়কারী গণ্য হয় না।
এরূপভাবে ফজরের সালাতে হলেও কোন অসুবিধা হবে না। সে ফরয- নফল মিলিয়ে আদায়কারী হবে না। এটাই হচ্ছে, আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মত। পূর্ববর্তী অনেক মনীষী থেকে এরূপ বর্ণিত আছেঃ
2197 - وَقَدْ حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ , عَنْ أَبِي ذِئْبٍ , عَنْ شُعْبَةَ , قَالَ: كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَقُولُ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ، أَلَا تَتَّقُونَ اللهَ , افْصِلُوا صَلَاتَكُمْ» قَالَ: وَكَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا لَا يُصَلِّي الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ إِلَّا فِي بَيْتِهِ , فَأَرَادَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا مِنْهُمُ الْفَصْلَ , مِنَ الْفَرِيضَةِ وَالتَّطَوُّعِ , وَذَلِكَ الَّذِي أُرِيدَ فِي حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَابْنِ بُحَيْنَةَ , وَابْنِ سَرْجِسَ وَاللهُ أَعْلَمُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: وَنَحْنُ نَسْتَحِبُّ أَيْضًا الْفَصْلَ بَيْنَ الْفَرَائِضِ وَالنَّوَافِلِ , بِمَا أَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فِيمَا رَوَيْنَا فِي هَذَا الْبَابِ , وَلَا نَرَى بَأْسًا لِمَنْ لَمْ يَكُنْ رَكَعَ رَكْعَتَيِ الْفَجْرِ حَتَّى جَاءَ الْمَسْجِدَ , وَقَدْ دَخَلَ الْإِمَامُ فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ أَنْ يَرْكَعَهُمَا فِي مُؤَخَّرِ الْمَسْجِدِ , ثُمَّ يَمْشِيَ إِلَى مُقَدَّمِهِ , فَيُصَلِّيَ مَعَ النَّاسِ. أَلَا تَرَى أَنَّ ذَلِكَ لَوْ كَانَ فِي ظُهْرٍ , أَوْ عَصْرٍ , أَوْ عِشَاءٍ , لَمْ يَكُنْ بِهِ بَأْسٌ , وَلَا يَكُونُ فَاعِلُ ذَلِكَ وَاصِلًا بَيْنَ فَرِيضَةٍ , وَتَطَوُّعٍ , فَكَذَلِكَ إِذَا كَانَ فِي صُبْحٍ فَلَا بَأْسَ بِهِ , وَلَا يَكُونُ فَاعِلُهُ وَاصِلًا بَيْنَ فَرِيضَةٍ وَتَطَوُّعٍ , وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ جُلَّةٍ مِنَ الْمُتَقَدِّمِينَ
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ২১৯৭ | মুসলিম বাংলা