শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ২১৫৬
জুমু'আর দিন ইমামের খুতবা দানকালে কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে সালাত পড়বে কিনা?
২১৫৬। বাহর ইবন নসর (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ্ ইবন বুসর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি জুমু'আর দিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর পাশে বসা ছিলাম। আব্দুল্লাহ্ বলেন, এক ব্যক্তি জুমু'আর দিন মানুষের গর্দান টপকিয়ে (মসজিদের ভিতরে) এল। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে বললেন, বস, তুমি মানুষদেরকে পিছনে ফেলে এসেছ, তাদেরকে কষ্ট দিয়েছ। আবু যাহিরিয়্যা (রাহঃ) বলেন, তখন আমরা ইমামের বেরিয়ে আসার আগ পর্যন্ত কথাবার্তা বলতাম।
লক্ষণীয়, এখানে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এই লোকটিকে বসতে বলেছেন, কিন্তু তাকে সালাত আদায়ের নির্দেশ দেননি। অতএব এই হাদীসটি সুলাইক (রাযিঃ)-এর হাদীসের পরিপন্থী এবং অনুচ্ছেদের প্রথম দিককার বর্ণিত আবু সাঈদ (রাযিঃ) এর হাদীস দ্বারা প্রমাণিত এই নির্দেশটি (দু'রাক'আত সালাত আদায়ের হুকুমটি) ছিলো তখনকার, যখন খুতবার মাঝে (সালাত বহির্ভূত) কাজ করা বৈধ ছিলো, নিষিদ্ধ হয়নি। আপনি কি লক্ষ্য করেননি ? বর্ণনাকারী বলেছেনঃ “লোকজন তাকে অনেক কাপড়-চোপড় দিয়েছে।” অথচ সমস্ত মুসলমান এ ব্যাপারে একমত যে, ইমামের খুতবার সময় শরীর থেকে পোশাক খুলে ফেলা মাকরূহ, ইমামের খুতবা দানকালে কারো পক্ষে কঙ্কর স্পর্শ করা মাকরূহ, ইমামের খুতবার সময় সাথীকে 'চুপ কর' বলা মাকরূহ।” এটা প্রমাণ করে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কর্তৃক সুলাইক (রাযিঃ)-কে সালাতের নির্দেশ প্রদান এবং অন্যকে সাদাকা করার হুকুম ছিলো প্রথম দিককার নির্দেশ। পরবর্তী হুকুম এর বিপরীত।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে মুতাওয়াতির সূত্রে বর্ণিত আছে যে, জুমু'আর দিনে ইমামের খুতবা দানকালে কেউ যদি তার সাথীকে বলে 'চুপ কর' তবে ‘সে নিরর্থক কাজ করল।'
লক্ষণীয়, এখানে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এই লোকটিকে বসতে বলেছেন, কিন্তু তাকে সালাত আদায়ের নির্দেশ দেননি। অতএব এই হাদীসটি সুলাইক (রাযিঃ)-এর হাদীসের পরিপন্থী এবং অনুচ্ছেদের প্রথম দিককার বর্ণিত আবু সাঈদ (রাযিঃ) এর হাদীস দ্বারা প্রমাণিত এই নির্দেশটি (দু'রাক'আত সালাত আদায়ের হুকুমটি) ছিলো তখনকার, যখন খুতবার মাঝে (সালাত বহির্ভূত) কাজ করা বৈধ ছিলো, নিষিদ্ধ হয়নি। আপনি কি লক্ষ্য করেননি ? বর্ণনাকারী বলেছেনঃ “লোকজন তাকে অনেক কাপড়-চোপড় দিয়েছে।” অথচ সমস্ত মুসলমান এ ব্যাপারে একমত যে, ইমামের খুতবার সময় শরীর থেকে পোশাক খুলে ফেলা মাকরূহ, ইমামের খুতবা দানকালে কারো পক্ষে কঙ্কর স্পর্শ করা মাকরূহ, ইমামের খুতবার সময় সাথীকে 'চুপ কর' বলা মাকরূহ।” এটা প্রমাণ করে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কর্তৃক সুলাইক (রাযিঃ)-কে সালাতের নির্দেশ প্রদান এবং অন্যকে সাদাকা করার হুকুম ছিলো প্রথম দিককার নির্দেশ। পরবর্তী হুকুম এর বিপরীত।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে মুতাওয়াতির সূত্রে বর্ণিত আছে যে, জুমু'আর দিনে ইমামের খুতবা দানকালে কেউ যদি তার সাথীকে বলে 'চুপ কর' তবে ‘সে নিরর্থক কাজ করল।'
2156 - فَإِذَا بَحْرُ بْنُ نَصْرٍ قَدْ حَدَّثَنَا , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ , قَالَ: سَمِعْتُ مُعَاوِيَةَ بْنَ صَالِحٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي الزَّاهِرِيَّةِ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُسْرٍ , قَالَ: كُنْتُ جَالِسًا إِلَى جَنْبِهِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ , فَقَالَ: جَاءَ رَجُلٌ يَتَخَطَّى رِقَابَ النَّاسِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اجْلِسْ فَقَدْ آذَيْتَ وَآنَيْتَ» قَالَ أَبُو الزَّاهِرِيَّةِ: وَكُنَّا نَتَحَدَّثُ حَتَّى يَخْرُجَ الْإِمَامُ أَفَلَا تَرَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ هَذَا الرَّجُلَ بِالْجُلُوسِ , وَلَمْ يَأْمُرْهُ بِالصَّلَاةِ , فَهَذَا يُخَالِفُ حَدِيثَ سُلَيْكٍ , وَفِي حَدِيثِ أَبِي سَعِيدٍ الَّذِي رَوَيْنَاهُ , فِي الْفَصْلِ الْأَوَّلِ , مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ ذَلِكَ كَانَ فِي حَالِ إِبَاحَةِ الْأَفْعَالِ فِي الْخُطْبَةِ قَبْلَ أَنْ يَنْهَى عَنْهَا , أَلَا تَرَاهُ يَقُولُ: فَأَلْقَى النَّاسُ ثِيَابَهُمْ. وَقَدْ أَجْمَعَ الْمُسْلِمُونَ أَنَّ نَزْعَ الرَّجُلِ ثَوْبَهُ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ مَكْرُوهٌ , وَأَنَّ مَسَّهُ الْحَصَى وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ مَكْرُوهٌ , وَأَنَّ قَوْلَهُ لِصَاحِبِهِ أَنْصِتْ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ مَكْرُوهٌ أَيْضًا. فَذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ مَا كَانَ أَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُلَيْكًا , وَالرَّجُلَ الَّذِي أَمَرَهُ بِالصَّدَقَةِ عَلَيْهِ , كَانَ فِي حَالٍ الْحُكْمُ فِيهَا فِي ذَلِكَ , بِخِلَافِ الْحُكْمِ فِيمَا بَعْدُ. وَلَقَدْ تَوَاتَرَتِ الرِّوَايَاتُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَنَّ مَنْ قَالَ لِصَاحِبِهِ: أَنْصِتْ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ , فَقَدْ لَغَا
