শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ২০১১
বিত্রের পর নফল পড়া
২০১১। ফাহাদ (রাহঃ) ……, রাসূলুল্লাহ্ (স)-এর আযাদকৃত দাস ছাওবান (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা (একবার ) এক সফরে রাসূলুল্লাহ্ (স)- এর সঙ্গে ছিলাম । তিনি বললেন, এই সফর ভারী ও কষ্টকর । অতএব কেউ যদি বিত্রের সালাত পড়ে তাহলে এরপর যেন দু’রাক’আত পড়ে নেয় । তারপর যদি জাগ্রত হতে পারে তবে তো ভাল অন্যথায় এ দু’রাক’আত-ই তার জন্য যথেষ্ট হবে ।
তাই দেখা যাচ্ছে রাসূলুল্লাহ্ (স) বিত্রের পর দু’রাক’আত নফল বসে আদায় করেছেন। এ নফল তার পূর্বে আদায়কৃত বিত্রকে ভঙ্গকারী হয়নি । যারা প্রথমে মতের প্রবক্তা , তারা যে এ দাবি করেন যে, আলী (রাযিঃ) এর হাদীসের মর্মার্থ হলো , রাসূলুল্লাহ্ (স) –এর বিত্র সাহরী (উষা উদয়ের পুর্ব সময় ) –এর সময় পর্যন্ত পৌঁছা তাঁদের ব্যাখ্যা অপেক্ষা এটাই উত্তম । তাছাড়া এতেও (সাহরীর সময় পর্যন্ত বিত্র পৌঁছা ) তাঁদের ব্যাখ্যা অপেক্ষা এটাই উত্তম । তাছাড়া এতেও (সাহ্রীর সময় পর্যন্ত পৌছা) আমাদের মতে সাথে বিরোধ নেই । কারণ হতে পারে রাসূলুল্লাহ্ (স) –এর বিত্র সাহরির সময় পর্যন্ত পৌঁছত । তারপর ফজর উদয়ের পুর্বে নফল আদায় করতেন ।
কোন প্রশ্নকারী যদি বলেন , হতে পারে সে দু’রাক’আত ছিলো ফজরের । তাহলে তো সেটা আর রাতের সালাত হলো না।
এত উত্তরে বলা হবে, এটা সম্ভব নয় দু’কারণে (ক) সা’দ ইব্ন হিশাম (রাহঃ) আয়িশা (রাযিঃ) –কে রাসূলুল্লাহ্ (স) –এর রাতের সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন । অতএব আয়িশা (রাযিঃ) নিশ্চয়ই প্রশ্নকারীর প্রশ্নের উত্তরে ও রাসূলুল্লাহ্ (স) কিরূপ রাতের সালাত আদায় করতেন সে সম্পর্কেই অবহিত করেছেন । (খ) যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে সালাত পড়তে সমর্থ্য তারপক্ষে তো ফজরের দু’রাক’আত বসে অনুমতি নেই । কারণ তাতে সে কিয়াম (দাঁড়ানো ) পরিত্যাগকারী হয়ে থাকে । দাঁড়ানোর শক্তি থাকা সত্ত্বেও বসে সালাত পড়া তার জন্য জায়েয, যার জন্য সুনিশ্চিতরূপে সালাত ছেড়ে দেয়া জায়েয । অতএব পূর্ণ সালাত যার ত্যাগ করার অধিকার আছে , তেমনি কিয়াম (দাঁড়ানো ) ত্যাগের অধিকারও তার আছে । পক্ষান্তরে যার সালাত বর্জনের অধিকার নেই, তার পক্ষে কিয়াম বর্জনের অধিকারও নেই ।
এতে প্রমাণিত হলো রাসূলুল্লাহ্ (স) যে দু’রাক’আত বিত্রের পর পড়েছেন সে দু’রাক’আত রাতের সালাত ছিল। এতে সেসব লোকের উক্তিও প্রমাণিত হলো, যারা মনে করেন, বিত্রের পর নফল পড়াতের কোন দোষ নেই । এবং এর ফলে বিত্র ভেঙ্গে যায় বলে মনে করেন না । রাসূলুল্লাহ্ (স) –এর এরূপ বাণী বর্ণিত হয়েছে, যা দ্বারা উক্ত বিষয়টিও প্রমাণিত হয় , যা আমরা তাঁর থেকে ছাওবান (রাযিঃ) এর হাদীস বর্ণনা করেছি ।
তাই দেখা যাচ্ছে রাসূলুল্লাহ্ (স) বিত্রের পর দু’রাক’আত নফল বসে আদায় করেছেন। এ নফল তার পূর্বে আদায়কৃত বিত্রকে ভঙ্গকারী হয়নি । যারা প্রথমে মতের প্রবক্তা , তারা যে এ দাবি করেন যে, আলী (রাযিঃ) এর হাদীসের মর্মার্থ হলো , রাসূলুল্লাহ্ (স) –এর বিত্র সাহরী (উষা উদয়ের পুর্ব সময় ) –এর সময় পর্যন্ত পৌঁছা তাঁদের ব্যাখ্যা অপেক্ষা এটাই উত্তম । তাছাড়া এতেও (সাহরীর সময় পর্যন্ত বিত্র পৌঁছা ) তাঁদের ব্যাখ্যা অপেক্ষা এটাই উত্তম । তাছাড়া এতেও (সাহ্রীর সময় পর্যন্ত পৌছা) আমাদের মতে সাথে বিরোধ নেই । কারণ হতে পারে রাসূলুল্লাহ্ (স) –এর বিত্র সাহরির সময় পর্যন্ত পৌঁছত । তারপর ফজর উদয়ের পুর্বে নফল আদায় করতেন ।
কোন প্রশ্নকারী যদি বলেন , হতে পারে সে দু’রাক’আত ছিলো ফজরের । তাহলে তো সেটা আর রাতের সালাত হলো না।
এত উত্তরে বলা হবে, এটা সম্ভব নয় দু’কারণে (ক) সা’দ ইব্ন হিশাম (রাহঃ) আয়িশা (রাযিঃ) –কে রাসূলুল্লাহ্ (স) –এর রাতের সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন । অতএব আয়িশা (রাযিঃ) নিশ্চয়ই প্রশ্নকারীর প্রশ্নের উত্তরে ও রাসূলুল্লাহ্ (স) কিরূপ রাতের সালাত আদায় করতেন সে সম্পর্কেই অবহিত করেছেন । (খ) যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে সালাত পড়তে সমর্থ্য তারপক্ষে তো ফজরের দু’রাক’আত বসে অনুমতি নেই । কারণ তাতে সে কিয়াম (দাঁড়ানো ) পরিত্যাগকারী হয়ে থাকে । দাঁড়ানোর শক্তি থাকা সত্ত্বেও বসে সালাত পড়া তার জন্য জায়েয, যার জন্য সুনিশ্চিতরূপে সালাত ছেড়ে দেয়া জায়েয । অতএব পূর্ণ সালাত যার ত্যাগ করার অধিকার আছে , তেমনি কিয়াম (দাঁড়ানো ) ত্যাগের অধিকারও তার আছে । পক্ষান্তরে যার সালাত বর্জনের অধিকার নেই, তার পক্ষে কিয়াম বর্জনের অধিকারও নেই ।
এতে প্রমাণিত হলো রাসূলুল্লাহ্ (স) যে দু’রাক’আত বিত্রের পর পড়েছেন সে দু’রাক’আত রাতের সালাত ছিল। এতে সেসব লোকের উক্তিও প্রমাণিত হলো, যারা মনে করেন, বিত্রের পর নফল পড়াতের কোন দোষ নেই । এবং এর ফলে বিত্র ভেঙ্গে যায় বলে মনে করেন না । রাসূলুল্লাহ্ (স) –এর এরূপ বাণী বর্ণিত হয়েছে, যা দ্বারা উক্ত বিষয়টিও প্রমাণিত হয় , যা আমরা তাঁর থেকে ছাওবান (রাযিঃ) এর হাদীস বর্ণনা করেছি ।
2011 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ شُرَيْحِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ ثَوْبَانَ، مَوْلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ , فَقَالَ: «إِنَّ هَذَا السَّفَرَ جَهْدٌ وَثِقَلٌ , إِذَا أَوْتَرَ أَحَدُكُمْ فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ , فَإِنْ , اسْتَيْقَظَ وَإِلَّا كَانَتَا لَهُ» فَهَذَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ تَطَوَّعَ بَعْدَ الْوِتْرِ بِرَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ وَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ نَاقِضًا لِوِتْرِهِ الْمُتَقَدِّمِ , فَهَذَا أَوْلَى مِمَّا تَأَوَّلَهُ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى وَادَّعَوْهُ مِنْ مَعْنَى حَدِيثِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْتَهَى وِتْرُهُ إِلَى السَّحَرِ» مَعَ أَنَّ ذَلِكَ أَيْضًا لَيْسَ بِهِ خِلَافٌ عِنْدَنَا لِهَذَا , لِأَنَّهُ قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ وِتْرُهُ يَنْتَهِي إِلَى السَّحَرِ ثُمَّ يَتَطَوَّعُ بَعْدَهُ قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ تَيْنِكَ الرَّكْعَتَانِ هُمَا رَكْعَتَا الْفَجْرِ , فَلَا يَكُونُ ذَلِكَ مِنْ صَلَاةِ اللَّيْلِ. قِيلَ لَهُ: لَا يَجُوزُ ذَلِكَ مِنْ جِهَتَيْنِ أَمَّا أَحَدُهُمَا: فَلِأَنَّ سَعْدَ بْنَ هِشَامٍ إِنَّمَا سَأَلَ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , عَنْ صَلَاةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِاللَّيْلِ , فَكَانَ ذَلِكَ مِنْهَا جَوَابًا لِسُؤَالِهِ وَإِخْبَارًا مِنْهَا إِيَّاهُ , عَنْ صَلَاتِهِ بِاللَّيْلِ كَيْفَ كَانَتْ. وَالْجِهَةُ الْأُخْرَى أَنَّهُ لَيْسَ لِأَحَدٍ أَنْ يُصَلِّيَ رَكْعَتَيِ الْفَجْرِ جَالِسًا , وَهُوَ يُطِيقُ الْقِيَامَ ; لِأَنَّهُ بِذَلِكَ تَارِكٌ لِقِيَامِهَا , وَإِنَّمَا يَجُوزُ أَنْ يُصَلِّيَ قَاعِدًا وَهُوَ يُطِيقُ الْقِيَامَ مَا لَهُ أَنْ لَا يُصَلِّيَهُ أَلْبَتَّةَ , وَيَكُونُ لَهُ تَرْكُهُ , فَهُوَ كَمَا لَهُ تَرْكُهُ بِكَمَالِهِ , يَكُونُ لَهُ تَرْكُ الْقِيَامِ فِيهِ. فَأَمَّا مَا لَيْسَ لَهُ تَرْكُهُ فَلَيْسَ لَهُ تَرْكُ الْقِيَامِ فِيهِ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ تَيْنِكَ الرَّكْعَتَيْنِ اللَّتَيْنِ تَطَوَّعَ بِهِمَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ الْوِتْرِ كَانَتَا مِنْ صَلَاةِ اللَّيْلِ , وَفِي ذَلِكَ مَا وَجَبَ بِهِ قَوْلُ الَّذِينَ لَمْ يَرَوْا بِالتَّطَوُّعِ فِي اللَّيْلِ بَعْدَ الْوِتْرِ بَأْسًا وَلَمْ يَنْقُضُوا بِهِ الْوِتْرَ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ مِنْ قَوْلِهِ مَا يَدُلُّ عَلَى هَذَا أَيْضًا مَا قَدْ ذَكَرْنَاهُ عَنْهُ فِي حَدِيثِ ثَوْبَانَ
