শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৯৯৪
মসজিদসমূহে নফল সালাত আদায় করা প্রসঙ্গে
১৯৯৪। বাহ্র ইব্ন নসর (রাহঃ) … আব্দুল্লাহ্ ইব্ন সা’দ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (স) –কে আমার গৃহের সালাত ও মসজিদের সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞাস করলাম? তিনি উত্তরে আমাকে বললেন, তুমি তো অবশ্যই দেখছে আমার নিবাস মসজিদ থেকে কত নিকটবর্তী। তা সত্ত্বেও ফরয সালাত ছাড়া মসজিদে সালাত অপেক্ষা ঘরে সালাত পড়া আমার নিকট সবচেয়ে প্রিয় ।
আবু জা’ফর তাহবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিমের মত হল মসজিদসমুহের মধ্যে নফল পড়া অনুচিত। অবশ্য যেসব সালাত বর্জন করা অনুচিত সেগুলো এর ব্যতিক্রম , যেমন যুহরের পর দু’রাক’আত , মাগরিবের পর দু’রাক’আত ও মসজিদে প্রবেশকালে দু’রাক’আত । এগুলো ছাড়া অন্য সালাত মসজিদে পড়া উচিত নয়। সেগুলো ঘরে আদায়ের জন্য মুলতবী রাখা উচিত ।
পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাঁদের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেন, মসজিদসমূহে নফল পড়া ভাল , তবে তার থেকে উত্তম হল ঘরে পড়া । এ প্রসঙ্গে তাঁরা নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেনঃ
আবু জা’ফর তাহবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিমের মত হল মসজিদসমুহের মধ্যে নফল পড়া অনুচিত। অবশ্য যেসব সালাত বর্জন করা অনুচিত সেগুলো এর ব্যতিক্রম , যেমন যুহরের পর দু’রাক’আত , মাগরিবের পর দু’রাক’আত ও মসজিদে প্রবেশকালে দু’রাক’আত । এগুলো ছাড়া অন্য সালাত মসজিদে পড়া উচিত নয়। সেগুলো ঘরে আদায়ের জন্য মুলতবী রাখা উচিত ।
পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাঁদের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেন, মসজিদসমূহে নফল পড়া ভাল , তবে তার থেকে উত্তম হল ঘরে পড়া । এ প্রসঙ্গে তাঁরা নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেনঃ
1994 - حَدَّثَنَا بَحْرُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: ثنا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ حَرَامِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ عَبْدِ اللهِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ: سَأَلْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الصَّلَاةِ فِي بَيْتِي وَالصَّلَاةِ فِي الْمَسْجِدِ فَقَالَ: «قَدْ تَرَى مَا أَقْرَبَ بَيْتِي مِنَ الْمَسْجِدِ فَلَأَنْ أُصَلِّيَ فِي بَيْتِي أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أُصَلِّيَ فِي الْمَسْجِدِ إِلَّا أَنْ تَكُونَ صَلَاةً مَكْتُوبَةً» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ التَّطَوُّعَ لَا يَنْبَغِي أَنْ يُفْعَلَ فِي الْمَسَاجِدِ إِلَّا الَّذِي لَا يَنْبَغِي تَرْكُهُ مِثْلُ الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الظُّهْرِ وَالرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ وَالرَّكْعَتَيْنِ عِنْدَ دُخُولِ الْمَسْجِدِ فَأَمَّا مَا سِوَى ذَلِكَ فَلَا يَنْبَغِي أَنْ تُصَلَّى فِي الْمَسَاجِدِ وَلَكِنْ تُؤَخَّرُ ذَلِكَ لِلْبُيُوتِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: التَّطَوُّعُ فِي الْمَسَاجِدِ حَسَنٌ , غَيْرَ أَنَّ التَّطَوُّعَ فِي الْمَنَازِلِ أَفْضَلُ مِنْهُ وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
