আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯৬৪
সূরা আদিয়াত
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, الْكَنُوْدُ অর্থ অকৃতজ্ঞ। فَأَثَرْنَ بِهٰ نَقْعًا অর্থ সে সময় ধূলি উৎক্ষিপ্ত করে। لِحُبِّ الْخَيْرِ অর্থ ধন-সম্পদের প্রতি মহব্বতের কারণে। لَشَدِيْدٌ মানে অবশ্যই কৃপণ। কৃপণকে আরবী ভাষায় شَدِيْدٌ বলা হয়। حُصِّلَ অর্থ পৃথক করা হবে।
সূরা কারি’আ
كَالْفَرَاشِ الْمَبْثُوْثِ মানে বিক্ষিপ্ত পতঙ্গের মত। পতঙ্গ যেমন একটি আরেকটির ওপর পতিত হয়, ঠিক তেমনিভাবে একজন মানুষ আরেকজনের ওপর পতিত হবে। كَالْعِهْنِ মানে বিভিন্ন রকমের তুলার মত। আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাস‘উদ (রাযিঃ) كَالصُّوْفِ পড়েছেন।
সূরা তাকাছুর
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, التَّكَاثُرُ ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততির আধিক্য।
সূরা আসর
وَقَالَ يَحْيَى الْعَصْرُ الدَّهْرُ أَقْسَمَ بِهِ বলা হয় الْعَصْرُ কাল বা সময়। আল্লাহ্ তা‘আলা এখানে কালের শপথ করেছেন।
সূরা হুমাযা
الْحُطَمَةُ ‘লাযা’ ও ‘সাকার’ যেমন দোযখের নাম, তেমনি ‘হুতামা-ও একটি দোযখের নাম।
সূরা ফীল
ألم تر আপনি কি জানেন না? মুজাহিদ (র) أبابيل ঝাঁকে ঝাঁকে ও একত্রিত। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, مِنْ سِجِّيْلٍ শব্দটি سَنْكِ ও كِلْ থেকে আরবীকৃত অনারবী শব্দ (এর অর্থ হল পাথর ও মাটির ঢিল)।
সূরা কুরাইশ
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, لِإِيْلَافِ মানে তারা এ বিষয়ে অভ্যস্ত ছিল। ফলে, শীত ও গ্রীষ্মে তা তাদের জন্য কষ্টকর হয় না। وَاٰمَنَهُمْ আল্লাহ্ তা‘আলা হারাম শরীফের মাঝে তাদের সর্বপ্রকার শত্রু থেকে নিরাপত্তা দিয়েছেন।
ইবনে উয়ায়না (রাহঃ) বলেন, لِإِيْلَافِ কুরাইশদের প্রতি আমার নিয়ামতের কারণে।
সূরা মাউন
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, يَدُعٌ সে তাকে হক না দিয়ে ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। বলা হয় এ শব্দটি دَعَعْتُ শব্দ থেকে উদগত। يُدَعُّوْنَ অর্থ তাদেরকে বাধা দেয়া হয়। ساهُوْنَ অর্থ উদাসীন। الماعُوْن সর্বপ্রকার কল্যাণকর কাজ। কোন কোন আরবী ভাষা বিশেষজ্ঞ বলেন, الماعُوْنُ অর্থ পানি।
‘ইকরিমা (রাযিঃ) বলেন, মাউনের অন্তর্ভুক্ত সর্বোচ্চ স্তরের বিষয় হচ্ছে যাকাত প্রদান করা এবং সর্বনিম্ন পর্যায়ের বিষয় হচ্ছে গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় ছোট খাট জিনিস ধার দেয়া।
সূরা কাউসার
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, شانِئَكَ অর্থ তোমার শত্রু।
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, الْكَنُوْدُ অর্থ অকৃতজ্ঞ। فَأَثَرْنَ بِهٰ نَقْعًا অর্থ সে সময় ধূলি উৎক্ষিপ্ত করে। لِحُبِّ الْخَيْرِ অর্থ ধন-সম্পদের প্রতি মহব্বতের কারণে। لَشَدِيْدٌ মানে অবশ্যই কৃপণ। কৃপণকে আরবী ভাষায় شَدِيْدٌ বলা হয়। حُصِّلَ অর্থ পৃথক করা হবে।
সূরা কারি’আ
كَالْفَرَاشِ الْمَبْثُوْثِ মানে বিক্ষিপ্ত পতঙ্গের মত। পতঙ্গ যেমন একটি আরেকটির ওপর পতিত হয়, ঠিক তেমনিভাবে একজন মানুষ আরেকজনের ওপর পতিত হবে। كَالْعِهْنِ মানে বিভিন্ন রকমের তুলার মত। আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাস‘উদ (রাযিঃ) كَالصُّوْفِ পড়েছেন।
সূরা তাকাছুর
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, التَّكَاثُرُ ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততির আধিক্য।
সূরা আসর
وَقَالَ يَحْيَى الْعَصْرُ الدَّهْرُ أَقْسَمَ بِهِ বলা হয় الْعَصْرُ কাল বা সময়। আল্লাহ্ তা‘আলা এখানে কালের শপথ করেছেন।
সূরা হুমাযা
الْحُطَمَةُ ‘লাযা’ ও ‘সাকার’ যেমন দোযখের নাম, তেমনি ‘হুতামা-ও একটি দোযখের নাম।
সূরা ফীল
ألم تر আপনি কি জানেন না? মুজাহিদ (র) أبابيل ঝাঁকে ঝাঁকে ও একত্রিত। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, مِنْ سِجِّيْلٍ শব্দটি سَنْكِ ও كِلْ থেকে আরবীকৃত অনারবী শব্দ (এর অর্থ হল পাথর ও মাটির ঢিল)।
সূরা কুরাইশ
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, لِإِيْلَافِ মানে তারা এ বিষয়ে অভ্যস্ত ছিল। ফলে, শীত ও গ্রীষ্মে তা তাদের জন্য কষ্টকর হয় না। وَاٰمَنَهُمْ আল্লাহ্ তা‘আলা হারাম শরীফের মাঝে তাদের সর্বপ্রকার শত্রু থেকে নিরাপত্তা দিয়েছেন।
ইবনে উয়ায়না (রাহঃ) বলেন, لِإِيْلَافِ কুরাইশদের প্রতি আমার নিয়ামতের কারণে।
সূরা মাউন
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, يَدُعٌ সে তাকে হক না দিয়ে ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। বলা হয় এ শব্দটি دَعَعْتُ শব্দ থেকে উদগত। يُدَعُّوْنَ অর্থ তাদেরকে বাধা দেয়া হয়। ساهُوْنَ অর্থ উদাসীন। الماعُوْن সর্বপ্রকার কল্যাণকর কাজ। কোন কোন আরবী ভাষা বিশেষজ্ঞ বলেন, الماعُوْنُ অর্থ পানি।
‘ইকরিমা (রাযিঃ) বলেন, মাউনের অন্তর্ভুক্ত সর্বোচ্চ স্তরের বিষয় হচ্ছে যাকাত প্রদান করা এবং সর্বনিম্ন পর্যায়ের বিষয় হচ্ছে গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় ছোট খাট জিনিস ধার দেয়া।
সূরা কাউসার
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, شانِئَكَ অর্থ তোমার শত্রু।
৪৬০৪। আদম (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আকাশের দিকে নবী (ﷺ) এর মি’রাজ হলে তিনি বলেন, আমি একটি নহরের ধারের পৌঁছলাম, যার উভয় তীরে ফাঁপা (খোখলাকৃত) মোতির তৈরী গম্বুজসমূহ রয়েছে। আমি বললাম, হে জিবরাঈল! এটা কি? তিনি বললেন, এটিই (হাউযে) কাউসার।
