শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৯৫৩
সূর্যগ্রহণের সালাত কিরূপ
১৯৫৩। ইব্রাহীম ইব্ন আবু দাউদ (রাহঃ) … … আব্দুল্লাহ্, ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) সূর্যগ্রহণের দিন রাসূলুল্লাহ্ (স) কিভাবে সালাত আদায় করেছেন তার বিবরণ দিয়েছেন, যেরূপ বিবরণ দিয়েছেন উরওয়া (রাহঃ) আয়িশা (রাযিঃ) থেকে । যুহরী (রাযিঃ) বলেন, আমি উরওয়া (রাযিঃ) –কে জিজ্ঞেস করলাম, তোমার ভাই মদিনায় যেদিন সূর্যগ্রহণ হল সেদিন ফজরের সালাতের ন্যায় দু’রাক’আতের বেশী আদায় করলেন না । প্রতি উত্তরে উরওয়া (রাহঃ) বললেন, হ্যাঁ, তিনি সুন্নতের ব্যাপারে ভুল করেছেন ।
দেখুন, এখানে উরওয়া (রাহঃ) ও যুহ্রী (রাহঃ) আব্দুল্লাহ্ ইব্ন যুবাইর (রাযিঃ) একজন সাহাবী। তাঁর সামনে তখন উপস্থিত ছিলেন রাসূলুল্লাহ্ (স) এর সাহাবীগণ। কোন প্রতিবাদী তখন কোন প্রতিবাদ করেননি । বাকী রইল উরওয়া (রাহঃ)-এর উক্তি “তিনি সুন্নতের ব্যাপারে ভুল করেছেন” বস্তুত আমাদের নিকট এ কথাটির কোন মূল্য নেই।
এ অনুচ্ছেদে যা কিছু আলোচনা করলাম যে, সূর্যগ্রহণের সালাত দু’রাক’আত । মুসল্লী ইচ্ছা করলে এ রাক’আত দুটি কে দীর্ঘ করতে পারে। আবার সংক্ষিপ্তও করতে পারে। সালাত সংক্ষেপ করে সাথে সাথে দুআয় রত হবে যতক্ষণ না সুর্য আলোকোজ্জ্বল হয়। এটা হল (ইমাম) আবু হানীফা (রাহঃ), (ইমাম) আবু ইউসুফ ও (ইমাম) মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মত । আমাদের মতে যুক্তির দাবিও তাই । কারণ অন্যন্যা ফরয-নফল সব সালাত-ই এক রাক’আতে এক রুকূ-দুই সিজদা। অতএব যুক্তির নিরিখে সূর্যগ্রহণের সালাতও অনুরূপ-ই হওয়া উচিত ।
দেখুন, এখানে উরওয়া (রাহঃ) ও যুহ্রী (রাহঃ) আব্দুল্লাহ্ ইব্ন যুবাইর (রাযিঃ) একজন সাহাবী। তাঁর সামনে তখন উপস্থিত ছিলেন রাসূলুল্লাহ্ (স) এর সাহাবীগণ। কোন প্রতিবাদী তখন কোন প্রতিবাদ করেননি । বাকী রইল উরওয়া (রাহঃ)-এর উক্তি “তিনি সুন্নতের ব্যাপারে ভুল করেছেন” বস্তুত আমাদের নিকট এ কথাটির কোন মূল্য নেই।
এ অনুচ্ছেদে যা কিছু আলোচনা করলাম যে, সূর্যগ্রহণের সালাত দু’রাক’আত । মুসল্লী ইচ্ছা করলে এ রাক’আত দুটি কে দীর্ঘ করতে পারে। আবার সংক্ষিপ্তও করতে পারে। সালাত সংক্ষেপ করে সাথে সাথে দুআয় রত হবে যতক্ষণ না সুর্য আলোকোজ্জ্বল হয়। এটা হল (ইমাম) আবু হানীফা (রাহঃ), (ইমাম) আবু ইউসুফ ও (ইমাম) মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মত । আমাদের মতে যুক্তির দাবিও তাই । কারণ অন্যন্যা ফরয-নফল সব সালাত-ই এক রাক’আতে এক রুকূ-দুই সিজদা। অতএব যুক্তির নিরিখে সূর্যগ্রহণের সালাতও অনুরূপ-ই হওয়া উচিত ।
1953 - وَقَدْ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ دَاوُدَ , قَالَ: ثنا الْوُحَاظِيُّ , قَالَ: ثنا إِسْحَاقُ بْنُ يَحْيَى الْكَلْبِيُّ , قَالَ: ثنا الزُّهْرِيُّ , قَالَ: كَانَ كَثِيرُ بْنُ الْعَبَّاسِ , يُحَدِّثُ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا كَانَ يُحَدِّثُ , عَنْ صَلَاةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ خَسَفَتِ الشَّمْسُ بِمِثْلِ مَا حَدَّثَ بِهِ عُرْوَةُ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , قَالَ الزُّهْرِيُّ: فَقُلْتُ لِعُرْوَةِ: فَإِنَّ أَخَاكَ يَوْمَ خَسَفَتِ الشَّمْسُ بِالْمَدِينَةِ لَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ مِثْلِ صَلَاةِ الصُّبْحِ , فَقَالَ: أَجَلْ إِنَّهُ أَخْطَأَ السُّنَّةَ. فَهَذَا عُرْوَةُ وَالزُّهْرِيُّ قَدْ ذَكَرَا عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّهُ صَلَّى لِكُسُوفِ الشَّمْسِ رَكْعَتَيْنِ وَعَبْدُ اللهِ بْنُ الزُّبَيْرِ رَجُلٌ لَهُ صُحْبَةٌ وَقَدْ حَضَرَهُ أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَئِذٍ فَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ عَلَيْهِ مِنْهُمْ مُنْكِرٌ. فَأَمَّا قَوْلُ عُرْوَةَ إِنَّهُ أَخْطَأَ السُّنَّةَ ذَلِكَ عِنْدَنَا لَيْسَ بِشَيْءٍ. وَجَمِيعُ مَا بَيَّنَّاهُ فِي هَذَا الْبَابِ مِنْ صَلَاةِ الْكُسُوفِ أَنَّهَا رَكْعَتَانِ , وَأَنَّ الْمُصَلِّيَ إِنْ شَاءَ طَوَّلَهُمَا , وَإِنْ شَاءَ قَصَّرَهُمَا إِذَا وَصَلَهُمَا بِالدُّعَاءِ حَتَّى تَنْجَلِيَ الشَّمْسُ. وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى , وَهُوَ النَّظَرُ عِنْدَنَا ; لِأَنَّا رَأَيْنَا سَائِرَ الصَّلَاةِ مِنَ الْمَكْتُوبَاتِ وَالتَّطَوُّعِ مَعَ كُلِّ رَكْعَةٍ سَجْدَتَيْنِ فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ هَذِهِ الصَّلَاةُ كَذَلِكَ
