আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯৬২
সূরা যিলযাল
বলা হয়, أَوْحَى لَهَا - أَوْحَى إِلَيْهَا - وَحَى لَهَا ও وَحَى إِلَيْهَا একই অর্থবোধক।
২৬০৮. আল্লাহর বাণীঃ فمن يعمل مثقال ذرة خيرا يره "কেউ অনু-পরিমাণ সৎকর্ম করলে, সে তা দেখবে" (৯৯ঃ ৭)
বলা হয়, أَوْحَى لَهَا - أَوْحَى إِلَيْهَا - وَحَى لَهَا ও وَحَى إِلَيْهَا একই অর্থবোধক।
২৬০৮. আল্লাহর বাণীঃ فمن يعمل مثقال ذرة خيرا يره "কেউ অনু-পরিমাণ সৎকর্ম করলে, সে তা দেখবে" (৯৯ঃ ৭)
৪৬০২। ইসমা‘ঈল ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... আবু হুরাইরা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তিন শ্রেণীর মানুষের ঘোড়া থাকে। এক শ্রেণীর মানুষের জন্য তা সাওয়াব ও পুরস্কারের কারণ হয়, এক শ্রেণীর মানুষের জন্য হয় তা (গুনাহ হতে) আবরণ স্বরূপ এবং এক শ্রেণীর মানুষের প্রতি তা হয় গুনাহের কারণ। যার জন্য তা সাওয়াবের কারণ হয়, তারা সেসব ব্যক্তি, যারা আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য তা প্রস্তুত করে রাখে এবং কোন চারণ ক্ষেত্রে বা বাগানে লম্বা রশি দিয়ে তাকে বেঁধে রাখে। রশির আওতায় চারণ ক্ষেত্রে বা বাগানে সে যা কিছু খায় তা ঐ ব্যক্তির জন্য নেকী হিসেবে গণ্য হয়। যদি ঘোড়াটি রশি ছিঁড়ে ফেলে এবং নিজ স্থান অতিক্রম করে দু’ এক উঁচু স্থানে চলে যায়, তাহলে তার পদচিহ্ন ও গোবরের বিনিময়েও ঐ ব্যক্তি সাওয়াব লাভ করবে। আর ঘোড়াটি যদি কোন নহরের কিনারায় গিয়ে নিজে নিজেই পানি পান করে, তবে মালিকের সেখান থেকে পানি পান করানোর ইচ্ছা না থাকলেও সে ব্যক্তি এর বিনিময়ে সাওয়াবের অধিকারী হবে। এই ঘোড়া এই ব্যক্তির জন্য তো হল সাওয়াবের কারণ। আরেক শ্রেণীর লোক যাদের জন্য এ ঘোড়া (গুনাহ হতে) আবরণ, তারা ঐ ব্যক্তি যারা মানুষের থেকে মুখাপেক্ষী না থাকার জন্য ও মানুষের কাছে হাত পাতা থেকে বেঁচে থাকার জন্য তা পালন করে। কিন্তু তাতে আল্লাহর যে হক আছে তা দিতে ভুলে যায় না। এই শ্রেণীর মানুষের জন্য এ ঘোড়া হল পর্দা। আরেক শ্রেণীর ঘোড়ার মালিক যারা গর্ব করার মনোভাব ও দুশমনীর উদ্দেশ্যে ঘোড়া রাখে। এ ঘোড়া হচ্ছে তাদের জন্য গুনাহের কারণ। এরপর রাসূলুল্লাহ (সা) কে গাধা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, একক ও ব্যাপক অর্থব্যঞ্জক এ একটি মাত্র আয়াত ব্যতীত এ বিষয়ে আল্লাহ আমার প্রতি আর কোন আয়াত নাযিল করেননি। আয়াতটি এইঃ “কেউ অণু-পরিমাণ সৎকর্ম করলে সে তা দেখবে এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে সে তা দেখবে” (৯৯ঃ ৭-৮)।
