শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ১৮১৭
আসরের পর দু’রাক’আতে
১৮১৭। ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ......... মু’আয ইব্ন আফরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি আসরের পর অথবা ফজরের সালাতের পর তাওয়াফ করলেন কিন্তু কোন সালাত পড়তেন না। এ বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন ঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফজরের পর সূর্য উঠা পর্যন্ত এবং আসরের সালাতের পর সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত সালাত থেকে নিষেধ করেছেন।
1817 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدٍ، عَنْ نَصْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُعَاذِ ابْنِ عَفْرَاءَ أَنَّهُ طَافَ بَعْدَ الْعَصْرِ أَوْ بَعْدَ صَلَاةِ الصُّبْحِ فَلَمْ يُصَلِّ , فَسُئِلَ عَنْ ذَلِكَ , فَقَالَ: «نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ صَلَاةٍ بَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ , وَعَنْ صَلَاةٍ بَعْدَ الْعَصْرِ , حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, সুবহে সাদেকের পরে সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত আর কোন নফল নামায পড়া যাবে না। অনুরূপভাবে আসরের নামাযের পরে সূর্য কিরণহীন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আর কোন নফল নামায পড়া যাবে না। আর সূর্য কিরণহীন হয়ে পড়লে ঐ দিনের আসর ব্যতীত সব ধরণের নামায পড়াই নিষিদ্ধ। তবে সুবহে সাদেকের পরে সূর্য উদিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এবং আসরের পরে সূর্য কিরণহীন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কাযা নামায আদায়ের সুযোগ রয়েছে। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৩৭৫)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ১৮১৭ | মুসলিম বাংলা